![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে কর তুমি মোরের দোকানে বসে চা খাচ্ছ, পাশে একটা ছেলে এসে বসলো, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ঘোড়াটা টেনে দিলো। অথবা ধরো রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছ একটা লড়ি এসে পিছন দিয়ে চাপা দিয়ে চলে গেলো। কত কিছুই হতে পারে......
আসলেই অনেক কিছুই হতে পারে। হচ্ছেও অনেক কিছুই। গুলশানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে ভয়াবহ হামলা হয়ে গেলো। বাংলাদেশের জনগনের লাভক্ষতির অনেক হিসাব আছে এই ঘটনায়।
ঘটনার সময় থেকে আমরা লক্ষ্য করলাম, সেখানে পুলিশ , পরে র্যাব আর বিজিবি আনা হলো । রাত আরো গভীর হলে সেখানে আনা হলো বিমানবাহিনীকে। আর নৌবাহিনী আগে থেকেই ছিলো। আমাদের সেনাবাহিনী তখনো আসেনি , হয়ত তারা জানেও না তাদের ডাকা হবে কি হবেনা। অন্যদিকে আমেরিকা আর ভারত তার বাহিনী প্রস্তুত রেখেছে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য।
সরকার প্রধানসহ হয়ত সবার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ছিল জনাব বেনজিরের দ্বারাই এই সামান্য ৬ জঙ্গি থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে। কেননা এর আগে এই বেনজিরে ভোর করেই হাসিনা অনেক বড় বড় বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছিলেন। গুলশানে রাতে বেনজিরকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিলো। এবারও হয়ত সরকারের উপর থেকে ঘোষণা এমনই ছিলো, আমি বেনজিরকে বলে দিয়েছি, ও সব দেখবে। ঠিক পিলখানার দিন যেভাবে মইনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
সরকার বিশেষ কারনে চায়নি সেনাবাহিনীকে ডাকতে। হয়ত প্রচ্ছন্ন ভয় এখনো কাজ করে সরকারের মাঝে সেনাবাহিনীকে নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকতে হয়েছে সেনাবাহিনীকেই, সফলতাও এসেছে তাদের হাত দিয়েই।
হামলাকারীদের একজন বাদে সবাই মারা গেছে। ওই রেস্টুরেন্টের প্রধান শেফকেও জঙ্গি বলা হচ্ছে – এমন বিতর্কও শুরু হয়েছে। যারা মারা গেছে তাদের ছবি আইএস এবং আমাদের সরকার সবাই প্রকাশ করেছে। এরপর দেখা যায় সেখানে আওয়ামীলীগের এক বড় নেতার ছেলেও ওই হামলাকারীদের সাথে ছিলো, যে মারা যায়। একজন যে আহত তার বিষয়ে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। হয়ত তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যাবে। না হলে বেড়িয়ে আসতে পারে আরো অনেক চোখ ছানাবড়া করা তথ্য।
ওইদিন রাতেই শাহরিয়ার কবির দাবি করে বসে হামলায় জামায়াত জড়িত। ছাগল হইলে তুমি কাঁঠাল পাতা খাও , কিন্তু দেশের চরম সংকটের মুহূর্তে কারো দালালি করো না। এরপর ৩ তারিখ ১৪ দল যার একখান আওয়ামীলীগ আর বাকি ১৩ খান সাউন্ডবক্স, মিটিং করে। মিটিং শেষে এই সাউন্ডবক্সগুলো বলতে থাকে গুলশান হামলার ঘটনায় জামায়াতের অর্থে শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা নাকি অংশ নেয়। তার আগেই অবশ্য আওয়ামীলীগের ঢাকা মহানগরীর এক নেতার ছেলে ওই হামলায় অংশ নেয়া এবং নিহত হবার খবর পাওয়া যায়। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি অবশ্য উচ্চপদস্থ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার ছেলে ওই হামলায় অংশ নেয়া ও মারা যাবার খবর জানিয়েছে। এতকিছুর পরও ওই সাউন্ডবক্সগুলো আগের সেই টেপ বাজিয়ে চলছে। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে তথ্য দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন না দিলে নাকি ব্যবস্থা নিবেন। ওরে কে বোঝাবে ফেসবুক সামাজিক মাধ্যম, রাষ্ট্রীয় কাজের মাধ্যম না।
যা ঘটেছে তার মাত্রা ও পরিণাম যদি সাউন্ডবক্সগুলো না বুঝতে পারে তবে ভিন্ন কথা। কিন্তু একসাথে এতগুলো বিদেশি হত্যার পর তার দোষ জামায়াত শিবিরের ওপর চাপানো আর সরকারি দলের নেতাদের সন্তানরা জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া খুব আনন্দের কোন খবর না। জামায়াতকে জড়িয়ে ক্যামেরার সামনে বয়ান দিলেই শেষ হয়ে যাবে না।
দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ধনীর দুলালদের এইভাবে চরমপন্থায় জড়ানো খুব স্বাভাবিক ঘটনা না। এইসব প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া অন্যদের বিষয়ে ভাবনার এখনো সময় আছে। আর যদি সাউন্ডবক্সগুলো আওয়াজ দিয়েই যায় তবে কি আর করা।
কোন সাউন্ডবক্স হয়তো ক্যামেরার সামনে বলছে, কোন জঙ্গি নেই সব জামায়াত শিবিরের কাজ, এমন সময় কোন জঙ্গি বাহিনী ক্যামেরার সামনেই তার ঘাড় বরাবর মেরে দিবে চাপাতি, হয়ত তখনো তিনি বলবেন এটাও জামায়াতের কাজ............
শুরুতেই বলেছি ,কত কিছুই তো হতে পারো জানো .........
©somewhere in net ltd.