নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল-আমিন হাসনাত

আল-আমিন হাসনাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা

১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

রাত তখন ২টা। ফোনের
শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
স্ক্রীনে লক্ষ্য করলাম বাবার
ফোন।
-- একটু বাইরে যেতে পারবি?
- কেন আব্বু?
-- আমার মোবাইলে টাকা রিচার্জ
করা জরুরী।
পারলে ম্যানেজ কর।
প্রতিত্তরের অপেক্ষা না করেই
লাইনটা কেটে দিলেন।
অবাক হলাম। রাত দশটার পর
কখনো বাবা ফোন
করেন না।
বুঝলাম হয়তো অনেক বেশীই
দরকার।
কিন্তু
উনিতো জানেন
আমি কতটা ঘুম কাতুরে। এও জানেন
এত
রাতে রিচার্জের
যে দোকানটা খোলা থাকে তা আমার
বাসা থেকে দুই
কিলো দূরে।।
কানে হেডফোন
লাগিয়ে হাটা ধরলাম।
লক্ষ্য
রিচার্জের
দোকান। রিচার্জ করলাম।।
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।
মেইলটা চেক
করলাম ।
চোখে পড়লো বাবার চোট্ট
একটা মেইল।
""একদিন বলেছিলি কোন এক
বাবা দিবসে আমাকে সন্তুষ্ট
করবি।
সে সুযোগটা কখনো পাসনি। আজ
তোর
অজান্তেই
সুযোগটা পেয়ে গেলি। কারন আজ
আমি তৃপ্ত।
রাতে আমার
রিচার্জটা মোটেও দরকার
ছিলনা। শুধু
দেখলাম
আমার
ঘুমকাতুরে ছেলেটা আমার
প্রতি বিরক্ত
হয়
কিনা। পৃথিবীর
সমস্ত বাবার তৃপ্ততা কোথায়
জানিস?
বাবার
প্রতি অনুগত্যতা। শুভ কামনা""।
চারপাশটা ভালো করে দেখলাম ।
না কেউ নেই।
প্রান
ভরে কাঁদলাম। কারন তৃপ্ততার
কান্না বহুদিন
কাঁদিনি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

কপিল দেব বিশ্বাস বলেছেন: খুব ভালো লাগলো :#)

২| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

বিদগ্ধ বলেছেন: সুন্দর! তৃপ্ততা না বলে 'তৃপ্তি' বললে ভালো লাগবে।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০২

আল-আমিন হাসনাত বলেছেন: ধন্যবাদ কপিল ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১০

আল-আমিন হাসনাত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য #বিদগ্ধ

৫| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

জেকলেট বলেছেন: ঠিক কাছাকাছি একটা ঘটনা মাকে নিয়া আছে আমার। মনে করিয়ে দিলেন ভাই।

আমি প্রায় ই রাত করে ঘরে ফিরি এবং দেখি আম্মা খাবার হটপটে রেখে দিছেন। যত আস্তেই নড়াচড়া করে খাইনা কেন আম্মা ঠিক ই ঘুম থেকে উঠে জানতে চাইতেন খাবার গরম কি না?? বলতাম খাবার ত হটপটে রেখেছো ঠান্ডা হবে কেমনে?? কিছু বলতেন্‌না। আসলে আমাকে সরাদিন দেখেন্‌নি তাই এই বাহনা দিয়ে উঠে দেখা।

একদিন ঘরে হঠাৎ মেহমান আসায় যা ছিলো তাই দিয়ে খাওয়ানো হলো এবং আমার জন্য পর্যাপ্ত খাবার ছিলো না। ঐ রাতেই আমি আবার একটু আগে চলে আসলাম এবং বল্লাম ক্ষিদে লাগছে খাবার দাও। উনি অপরাধির মুখ করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। পাশ থেকে ছোট বোন বল্ল মেহমান আসছিলো খাবারে টান পড়েছে আম্মা রান্না করছেন। আমি আর কিছু চিন্তা না করে বল্লাম ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই তোমরা খাইছ?? ছোট বোন বল্ল সবার খাওয়া শেষ শুধু তুমি আর আম্মা বাকি।
আমি আম্মাকে বল্লাম ভালো লাগলে রান্না কর আর না হয় বাহির থকে কিছু নিয়ে আসি?? আম্মা বল্লেন ১০ মিনিট লাগবে একটু ধর্য্য ধরতে, বল্লাম সমস্যা নাই তুমি ধীরে সুস্থে কর।
কিছুদিন পরে শুনি পড়ার সবাইকে আত্বীয়-স্বজন যাদেরকেই পান সবাইকে নাকি আমার এই কথা খুব গর্ব করে বলেন উনার ছেলে কত ভালো!!! আমি মনে মনে বলি আর তুমি যে রাতের পর রাত আমার জন্য জেগে থাকো এইটা কি??

৬| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

আল-আমিন হাসনাত বলেছেন: অনেক ভাল লাগল ভাই #জেকলেট

৭| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

সুন্দরমন বলেছেন: আসলেই ভাল লাগল পড়ে

৮| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

আল-আমিন হাসনাত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য #সুন্দরমন B-)

৯| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

মামুনরাজন বলেছেন: আমি অনেক দিন এই ব্লগ পড়ি কিস্তু আমি কোন মন্তব্য করিনি আজ প্রথম মন্তব্য করতছি
অনেক ভাল লাগল ভাই

১০| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বাবার টেস্টিংয়ের পদ্ধতিটা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত, ভাল লেগেছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.