নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব শিশু এবং ঈগল ও বিড়াল

১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮



বিমানটি আমেরিকা থেকে জাপান যাচ্ছিলো।
বিমান ভরতি যাত্রী। পেছনের সিটে বসে আছে মা এবং একটি শিশু। শিশুটির নাম লিও। বয়স দেড় বছর। লম্বা জার্নিতে লিও'র মা ক্লান্ত। সে ঘুমাচ্ছে। বলা যায় গভীর ঘুমে। লিও'ও ঘুমাচ্ছিলো, তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। লিও জানে না, তার মা তার জন্মস্থান ছেড়ে চলে যাচ্ছে জাপান। কারন লিও'র বাবা তাদের ত্যাগ করেছে। এখন সে অন্য নারীতে আসক্ত। এটা লিও'র মা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। ফলাফল ডির্ভোস। লিও বাবা ছাড়া বড় হবে। বাবা না থাকলে আনন্দ নিয়ে বড় হওয়া যায়?

লিও, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।
বাইরে চমৎকার আবহাওয়া। স্বচ্ছ আকাশ। তার বড় ভালো লাগছে। তার হয়তো ইচ্ছা করছে আকাশে ভেসে থাকতে। লিও জানালা খুলতে চেষ্টা করছে। প্লেনের জানালা খোলা সহজ নয়। তাছাড়া একটা দেড় বছরের বাচ্চার পক্ষে প্লেনের জানালা খোলা কিছুতেই সম্ভব নয়। কিন্তু লিও অসাধ্য সাধণ করেছে। সে কি করে, কিভাবে যেন জানালা খুলতে সক্ষম হয়েছে। জগতে অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এবং লিও সত্যি সত্যি প্লেনের জানালা দিয়ে নেমে গেলো। তখনও তার মা ঘুমে। গভীর ঘুমে।

লিও নিচে পড়ে যাচ্ছে!
লিও'র মুখ হাসি হাসি। সে বুঝতে পারছে না, কিছুক্ষনের মধ্যে তার মৃত্যু হবে। কথায় আছে- রাখে আল্লাহ মারে কে''। একটা ঈগল স্পষ্ট দেখলো- এক মানব শিশু পড়ে যাচ্ছে। আকাশে এই শিশু এলো কি করে! শিশুটাকে দেখে ঈগল ভীষন খুশি হলো। তার ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে। সকাল থেকে সে না খেয়ে আছে। ঈগল মনে মনে ঠিক করলো, সে সবার আগে শিশুটির চোখ খাবে। মানুষের চোখের স্বাদ দারুন। ঈশ্বর আজ ঈগলটির দিকে তাকিয়েছেন। ঈগল ঈশ্বরের কাছে শুকরিয়া জানালো।

লিও মাটিতে পড়ার আগেই ঈগল শিশুটিকে ধরে ফেলে।
শিশুটিকে দেখে ঈগলের ভীষন মায়া হলো। না সে খাবে না। এই মানব শিশুকে সে খাবে না। ঈগল শিশুটিকে রেল লাইনে ছেড়ে দিলো। শিশুটি ক্লান্ত ও ক্ষুধার্থ। সেই ঘুমিয়ে গেলো রেল লাইনে। এদিকে হুইসেল বাজাতে বাজাতে ট্রেন আসছে। ঘুমের মধ্যে শিশুটির মৃত্যু হয়ে যাবে ট্রেনের চাকায়। তার মা কোনোদিন জানবে না লিও কোথায় আছে, কেমন আছে? বেঁচে আছে না মরে গেছে। ট্রেন ধাই ধাই করে এগিয়ে আসছে। এমন সময় একটা বিড়াল শিশুটিকে দেখতে পায়। এবং বিড়াল শিশুটিকে উদ্ধার করে।

লিও'র মার ঘুম ভেঙ্গেছে।
কিন্তু লিও নেই। জানালা খোলা। লিও'র মা বুঝতে পারে তার আদরের ছেলে জানালা দিয়ে নিচে পড়ে গেছে। লিও'র মা কাঁদতে শুরু করে। তার কান্না দেখে, প্লেনের সমস্ত যাত্রীর মন খারাপ। এক বিমানবালা তো অজ্ঞান হয়ে গেছে! এদিকে বিড়ালটি লিওকে রেল লাইন থেকে উদ্ধার করে তার বাসায় নিয়ে যায়। লিও কে গোছল করায়। তারপর পরিস্কার জামা কাপড় পড়িয়ে খেতে দেয়। দুধ মুহুর্তের মধ্যে খেয়ে নেয় লিও। তার ঘুম পাচ্ছে। সারাদিনে একবারও তার মায়ের কথা মনে পড়েনি। এখন মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: তারপর ?

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লম্বা গল্প। আর লিখব না।
তবে গল্পের শেষে কাকতালীয় ভাবে লিও তার মায়ের কাছে ফিরে যায়।

২| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম, গল্পের শেষটা এভাবেই হবে কারণ এটা কাল্পনিক শিক্ষনিও গল্প।

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: কাল্পনিক গল্প ঠিক আছে। তবে শিক্ষনীয় কিছু নাই।
ননসেন্স রাইম টাইপ গল্প।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: চমৎকার

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট চমৎকার হতেই পারে না।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



উহার আবার কী হয়েছে?

১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঝন্টু বল্টু নালিশ করেছে।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চমৎকার।

১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কুতুব।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ভালোই তো লাগছিল।
থামালেন কেন?

১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: কখনও কখনও থামতে হয়। উঁচু মাথাটা নিচু করতে হয়।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমেরিকা যেতে চাই।

৮| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

ড়জমঠ বলেছেন: Every victory in https://ragdollhitgame.org earns coins, which you can spend on new characters, weapons, and skins. Upgrading to characters with sturdier armor boosts your defense, while powerful weapons enhance your offensive capabilities.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.