![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
যারা একদিন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আজ তারাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ, দোষারোপ আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। আন্দোলন আর বঞ্চনার নামে শুরু হওয়া যে প্ল্যাটফর্মগুলো একসময় জনতার আশা ছিল, আজ সেগুলোই হয়ে উঠেছে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ উমামা ফাতেমা সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে তার নিজের প্ল্যাটফর্মকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন: "জুলাই কেন মানি-মেকিং মেশিন হয়ে উঠল?" উমামার অভিযোগ স্পষ্ট: যাঁরা আগে ‘সমন্বয়ক পরিচয়’ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন, আজ তারাই নিজেদের নামে সেই পরিচয় কুক্ষিগত করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর দলীয় নিয়ন্ত্রণে মেতে উঠেছেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, এসব অপকর্ম চলছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় - নেতা নয়, নেতাদের ছায়া-সঙ্গীদের হাতেই চলছে টাকার খেলা। যদিও তিনি সরাসরি কারো নাম নেননি, তবে ইঙ্গিত ছিল পরিষ্কার: 'ছাত্র উপদেষ্টা'দের দিকেই আঙুল।
উমামার অভিযোগের সুরেই যেন আরও বিস্ফোরক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। প্রফেসর ইউনুসের ঘনিষ্ঠ ও জুলাই আন্দোলনের মূল মস্তিষ্ক হিসেবে পরিচিত এই নেতা সম্প্রতি ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা পরে সম্পাদনা করে কিছুটা নরম করার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মাহফুজ আলমের সেই স্ট্যাটাসে সরাসরি দুর্নীতি, তদবির ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে এমনভাবে যে রাষ্ট্র চাইলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পারে।
ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে যেন পুরো দেশ কাঁপিয়ে দিলেন। তাঁর বক্তব্য: "আজকাল অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। নতুন একটি দলের একাধিক মহারথী এর সঙ্গে যুক্ত। সবই প্রকাশ পাবে। একটি সার্কেলের প্রায় সবাই করাপ্টেড, কিন্তু একজন কোনো টাকা নেয়নি এটা কার সহ্য হবে?" পরে তিনি 'নতুন দল' শব্দের স্থলে বিভিন্ন দলের নাম উল্লেখ করে স্ট্যাটাসটি সম্পাদনা করেন, যা এক রকমের বালখিল্যতা বলেই ধরা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, যিনি নিজের বক্তব্যকে নিজেই ধারণ করতে পারছেন না, তিনি কিভাবে একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ?
স্ট্যাটাসটি পরে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এডিট করলেও, আগুন তখন ছড়িয়ে পড়েছে। নাম না বললেও ‘নতুন দল’ কারা, তা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, একজন উপদেষ্টা হয়ে মাহফুজ নিজেই স্বীকার করছেন যে, তিনি জানেন কে বা কোন দল কত টাকা নিচ্ছেন, কে দুর্নীতিতে জড়িত। তাহলে তিনি কী করছেন? রাষ্ট্র বা প্রশাসনই বা তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
এদিকে, গতকাল মাহফুজ আলমের সিডনিতে থাকা ভাইকে নিয়ে একটি অর্থ লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস হয়। অভিযোগ ওঠে, মাহফুজ আলম নিজেই ভাইকে টাকা পাঠিয়েছেন, যদিও তিনি পরে তা অস্বীকার করেন। তিনি নিজেই তা খণ্ডন করেছেন, কিন্তু আগুনের ধোঁয়া আর অস্বীকারের চাদর দিয়ে পুরোটা ঢাকা যায় না। সবার আগে দরকার স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত। তাঁর জানা তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে দুদকের উচিত অবিলম্বে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা । মাহফুজ আলম যদি সত্যিই দুর্নীতির চিত্র জানেন, তাহলে দুদক কেন এখনো চুপ ? নাকি দুদক এখনো সেই পুরনো কাঠামোয় মুখে তালা দিয়ে বসে আছে?
নতুন দলটি হয়তো সরাসরি কিছু বলবে না, কারণ তাদের নাম সরাসরি টানা হয়নি। প্রফেসর ইউনুসের জন্য এখনো সময় আছে, কোনো বড় বিপর্যয় আসার আগেই একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা। নচেত, ইতিহাস মাফ করবে না।
জনমত দিন দিন নেতিবাচক হচ্ছে। আজকে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল দিয়ে নতুন দলটির মিছিল ও সমাবেশ করা জনগণের চোখে ভালোভাবে দেখা হচ্ছে না। আজ টাঙ্গাইলে নতুন দলটি যে সমাবেশ করছে, সেখানে ৯০০ পুলিশ সদস্য তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। সারাদেশের এমন অবস্থায় এভাবে পুলিশের ব্যবহার একটি খারাপ নজির তৈরি করছে। এর চেয়েও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী স্কুলের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে ডেকে এনে সেই সমাবেশে যোগদান করানো হয়েছে। এটা কি রাজনীতি, না শিশু অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন ? এইসব ঘটনায় জনগণ ভয়ানক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জনরোষের মুখে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভবিষ্যৎ কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরা যে এতো কিছু করছে তলে তলে ইউনুস সাহেব কি জানেন না ? যেদিন পাওয়ার চলে যাবে সমন্বয়কদের কি হাল হয় সেটা ভেবে ভয় লাগছে।
এখন কিছুই হবে না ।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: স্বৈরাচার পতন মানেইতো আর সিস্টেম বদলে যায় নাই। সেই সিস্টেমের অংশ হয়ে কিছু তদ্বির বানিজ্য যে একাবারে হয়নি তা অবস্যই না। তবে মাফিয়া সাম্রাজ্যের দুই পরিবারের লুটপাঠের সাথে কারো তুলনাই চলে না।
মাহফুজুল আলম ও উমামা ফাতেমা সম্পর্কে কিছু বলার আছে। মাহফুজকে মাস্টারমাইন্ড হিসাবে ডঃ ইউনুসের কাছে পরিচয় করে দিয়েছে মাহফুজের ডিপার্টমেন্টের স্যার আসিফ নজরুল। যদিও জুলাই বিপ্লবে মাহফুজ সমন্বয়ক বা সহ সম্ন্বয়ক ছিল না , ছাত্র শক্তির অংশও ছিল না। এমনকি নেপথ্যের সেরকম কোন উল্লেখযোগ্য কেউও ছিল না। মাহফুজের বাবা বিএনপি নেতা । বিএনপি পন্থী আসিফ স্যারের কথানুযায়ী একবার ছাত্র শিবিরের পিছে লাগে আবার এখন এনসিপির পেছনে লেগেছে। এবার আসি উমামা ফাতেমা প্রসঙ্গে । সারাদেশের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে জুলাই ৮ তারিখে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয় যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। উমামা সমন্বয়ক বা সহ সমন্বয়ক কোনটাই ছিল না। আন্দোলন জোড়ালো হবার পর ৬৫ জনের মধ্যের মধ্যেও অনেকেই পরবর্তীতে ভয়ে সরে যায়। সেই সময়ে কাউকে হাত পা ধরেও সমন্বয়ক বানানো যাচ্ছিল না। অথচ এখন এই সমন্বয়ক শব্দেই বড় এলার্জি উমামার। অনলাইনে সেই সময় আমরা যারা বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনকে নির্ঘুম ফলো করেছি তখন কি কোনদিন উমামাকে দেখেছিলেন? দলে বলে হয়ত ছিলেন, কিন্তু প্রমিনেন্ট কেউ ছিল না। উমামাকে আমি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পরই মূলত দেখেছি। ঊমামা জাতীয় নাগরিক কমিটিতেও ছিল না , যারাই মুলত এনসিপি গঠন করেছে। কিন্তু উমামা আশা করেছিল তাকে ডাকাডাকি করে এনসিপিতে নেয়া হবে। যাই হোক সামনে ডাকসু ইলেকশন। উমামার জনপ্রিয়তা তখনই বোঝা যাবে। তবে সে যেই ধুর্ত দেখা যাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবে। আরেকটা কথা উমামাও কিন্তু তদ্বির বানিজ্য করতে গিয়ে সচিবালয়ে ধরা খেয়েছিল।
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আর কি কি ফাস হয় সেটা দেখতে হবে সামনে ।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: সবথেকে বড় দুর্নীতি করেছে ইউনুস।তাকে ধারা হবে ক্ষমতা ছাড়ার পর।
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইউনুস সাহেবের কিছুই হবে না ।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৫
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
উমামা যা বলছে, উহা চিনির প্রলেপ; সে ডলারে বিক্রয় হয়েছে।
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটা জানি না । তবে এরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: নতুন একটা দল.....এখনো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়নি। অথচ অপকর্মের ষোলকলা পূর্ণ করেছে!
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুরাদনগর নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে আসিফ।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
ইপিআর সৈনিক বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন লিগ থেকে জাসদ কে আলাদা করা হয়েছে কারণ এরা রেডিকাল ছিলো । কারা আলাদা করলো ? আমেরিকা ?
-জাসদের পেছেন কোন বিদেশী শক্তি ছিলো না; একামত্র শেখ মনির প্রভাবকে খর্ব করার জন্য ছাত্রলীগের পান্ডারা আলাদা হয়েছিলো। তারা জনতো যে, দেশের ৩০ ভাগের মতো মানুষ তাদের দলে আসবে।
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুঝলাম ঘটনাটা এবার ।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৫:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কবি বলেছেন- চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩
ক্লোন রাফা বলেছেন: যে দলের বয়স ছয় মাস তার দুর্নীতির ফিরিস্তি ইতিমধ্যে একটি নিয়মিত সরকারের পাঁচ বছরের দুর্নীতিকে অতিক্রম করেছে‼️
সৈ.কুতুবের উপসংহার - সব দোষ শেখ হাসিনার।
বিঃদ্রঃ-ঢাবিয়ানের মত চাটুকাররাও কিছু উচ্ছিষ্ট পেয়ে সাফাই করে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বনি আমিন প্রথম সারির সকল সমন্বয়কদের নিজের এবং পরিবার নিকট আত্মীয় সবার ব্যাংক হিসাব নিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। কি মনে হয় এমন কিছু হবে নাকি?