![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সৌরভ , তেমন কেউ না , অতি সাধারণদের মাঝে শুধুই একজন অসাধারণ ..। আমাকে মেইল করতে পারেন '[email protected]' এ । ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন 'http://www.facebook.com/alauls' সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ব্লগে প্রকাশিত সকল লেখার কপিরাইট লেখকের । কোন লেখা বা মন্তব্য সম্পূর্ণ , আংশিক , বা কোন লাইন কোনরুপ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না । লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করার আগে লেখকের অনুমতি নিতে হবে এবং লেখকের নাম এবং ব্লগ লিঙ্ক উল্লেখ্য করতে হবে । আমার ব্লগ দেখার জন্য ধন্যবাদ । সাথেই থাকুন
বাংলার সকল আবালবৃদ্ধবনিতা যে প্রশ্নের উত্তর দিতে মাথা চুলকায় সেই প্রশ্নখান হইল , হু ইজ দ্যা উহুম , বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে ? ?
ইহা এমন এক প্রশ্ন যা কিনা ম্যান টু ম্যান , পারসন টু পারসন , দল টু দল , ইয়ার টু ইয়ার , এভ্রি ফাইভ ইয়ার ভ্যারি করে ।
এই প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি বার ধরা খায় প্রাইমারি আর সদ্য মাধ্যমিকের পুলাপান ,
কারণ এদের ই এই প্রশ্নের উত্তর বেশি দিতে হয় ।
উই ওল , আমরা সবাই ই একসময় প্রাইমারী স্টুডেন্ট ছিলাম , আমাদের হয়তো এই ধরণের ম্যান্টুম্যান ভেরি করা কুশ্চেন এর আন্সার দিতে হইসে ।
কে কুনটা দিছিলেন ?
যাই হোক , আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বুলতে এই লেখা লিখতেছি ।
তখন পড়ি কেলাস ফাইভে । সদ্য ফাইভ আর কি । সমাজ বিজ্ঞান কিলাস নিতেন এক ম্যাডাম । তো ম্যাডাম একদিন পড়াইতেছেন ,
'' ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র জনগণের উপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে । ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ''
এই বলিয়া ম্যাডাম স্টপ খাইলেন । আই থট হুয়াট হ্যাপেন ? ম্যাডাম একবার ডানে , একবার বামে মাথা নড়াইতেছেন , হুট করিয়া বললেন , এই সবাই কলম বের করো তো দেখি । দেয়ার ইজ ই হিউজ মিস্তেক ইন দিস ।
। কি মিস্তেক থাকিতে পারে তা দেখার জন্য পাতার ইতিউতি খুঁজেও বুঝলাম না ।
বানান তো ঠিক ই আছে দেহা যায় । জাউক , ম্যাডাম কইলেন , জিয়া হপে না , মুজিব হপে । লিখো 'বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান । তার নেতৃত্বে বাংলার জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধে নামে '
মহা উতসাহে জিয়াউর রহমানের নাম কলম দিয়া কেটে কুটে এক্কেরে কাগজ ই ছিড়ে ফেললাম । তার উপর দিয়া লিখলাম ''বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ''
।
দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার পর নতুন এক স্যার আসলেন ম্যাডামের পরিবর্তে । বার্ষিক পরীক্ষায় যেহেতু পুরো বই এ পরীক্ষা হতো । সুতরাং এই অধ্যায় ও ছিল ।
ক্লাসে ওই স্যার মুক্তিযুদ্ধ অধ্যায় পড়াতে গিয়ে এই জিনিস খানায় আটকালেন ।
উনি গাম্ভীর্য ভঙ্গিতে বললেন , ' বাচ্চাদের কি ভুলভাল শেখানো হচ্ছে । মুজিব না , এটা তো জিয়া হবে । মেজর জিয়া । প্রেসিডেণ্ট ! '
আমরা আবারো উপরে মুজিবর রহমানের নাম কেটে দিয়ে নিচে লিখলাম , প্রেসিডেণ্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।
বৃত্তি পরীক্ষার আগের দিন পড়তেছি । তখন আব্বারে জিগালুম , আব্বা , হুয়াই পিপল ইজ সো মাচ কনফিউজড ইন দিস ম্যাটার ?
আব্বা কইলেন , এই দ্যাশে পাঁচ বছর জিয়া বন্দনা , পাঁচ বছর মুজিব বন্দনা । নাথিং টু ডু ।
সাত পাঁচ আট দশ ভাবা বাদ দিয়া গেলুম পরীক্ষা দিতে । গিয়া দেহি পিল্যা প্রশ্ন ই ' বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষককে '
:-&
আমি উত্তর লিখলাম ,
আপনি যদি আওয়ামীলীগ হন - বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ।
আপনি যদি বিএনপি হন - বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন শহীদ প্রেসিডেণ্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।
হল থেকে বের হইয়া আপারে কইলাম এই কথা । আপা শুনে খালি হাসে । দ্যাট টাইম আই রেলি দুন্ত নু হুয়াই সি উয়াজ লাপিং :-& :-&
কিছুদিন আগে আমার এক স্টুডেন্ট আমারে সেম কুশ্চেন
সুধায়ছিল । অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন , কি দিয়ে দেবো সান্ত্বনা
আমি ওর দিকে তাকাইয়া কইলাম , সারাজীবন যা পইড়া আইছ তাই , কথা বাদ । জাস্ট রিড
।
ব্লগে ইন্টারনেটে আইসা নানান রকম তথ্য উপাত্ত দেখলাম । আমার বলগ থেকে জানতে পারলাম উইথ ভিডিও ইভিডেন্স , ইন ২৬ মার্চ ১৯৭১ , মেজর জিয়া ওয়াজ নট ইন চিটাগাং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র
হি ওয়াজ ইন চকরিয়া
।
পত্রিকা , টিভি , পাঠ্য বই এ তাহলে ক্যানু বুলা হয় যে ২৬ মার্চ জিয়া ওয়াজ ইন কালুরঘাট ?
যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান , ততদিন রবে ক্যাচাল কে দিয়েছিল স্বাধীনতার আহ্বান
--------------------------------------------------------------------
দুস্টুমি করে লেখা । সিরিয়াসলি নিতে চাইলে দূরে গিয়া মুড়ি খান । কারো কোন প্রকার অনুভূতিতে আঘাত লাগলে অফ যান । এখানে অনুভূতি স্টোর খুলে বসি নাই ।
এবার সিরিয়াস প্রশ্ন , - বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা কে , কবে কোথা থেকে দেন ?
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: দ্যান দ্যান । জ্ঞান বিতরণে বাড়ে বৈ কমে না
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৮
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: আসেন সব বাদ দিয়া একটা গান গাই-
এমন দেশটি কুতাও কুঁজে ফাবে নাকো তুমি
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: কনু দেশ ই কুতাও খুঁজে পাওয়া যায় না ।
অনলি ওয়ান
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। তবে তিনি বঙ্গবন্ধুর হয়ে ঘোষনা করেন। যদিও আম্লীগ তা মানতে চায়না। তাদের কথা ৭ই মার্চের ভাষনই স্বাধীনতার ঘোষনা।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: উত্তরের জন্য ধইন্যাবাদ । নাইস আন্সার
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: এই বিষয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম আপনিও ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন View this link তবে কোনটা সঠিক সেটা আল্লাহ ই ভালো জানেন।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: পড়লাম
ঠাঙ্কু
৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৪
মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: আপনি দারুণ লিখেছেন, আপনি দারুণ লিখতে জানলেও স্বাধীনতার আসল ঘোষক কে বা কেই এই ঘোষক বির্তকের সৃষ্টি তা সম্ভবত আপনার জানা নেই,
আমি যতটুকু জানি ও ইতিহাস ভিবিন্ন তথ্য উপাত্ত সংবাদ মাধ্যমের উদৃতি ও বড় বড় সাংবাদিক ও বুদ্ধি জীবির তথ্য অনুসারে।
জিয়াউর রহমান জিয়াউর রহমান ২৬ শে মার্চ নয়, ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন,
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠক মাত্র।
কিন্তু ঘোষক নয়।
পাঠক আর ঘোষক এক নয়।
কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর বি,এন,পি রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য হঠাৎ করে পাঠক কে ঘোষক বানিয়ে ফেললেন। কিন্তু জিয়া বেচে থাকা আবস্থায় জিয়া নিজে কোন দিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেন নি।
আমার বিশ্বাস এই ঘোষক আর পাঠক ভন্ডামী এক দিন দুর হবে।
আমি মনে করি ৭ ই মার্চ ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল চুড়ান্ত স্বাধীনতার ঘোষণা।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: সবাই সব কিছু জানে না । জানার আগ্রহ আছে বলেই প্রশ্ন টা করেছি ।
পাঠক ঠিক কিভাবে ? ঘোষণা পত্র তাহলে কে লিখেছিল ? কে পাঠ করতে করতে বলেছিল জিয়া কে ?
জানালে ভালো হতো ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১
আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: আরে হারুন বাই নি !!!!
বালা আসুইন !! বহুদিন ফরে এই নিক দিয়া কমেন্ট করলেন। সারাক্ষনতো কাজী নিক ব্যাস্ত থাকেন।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: ব্যক্তিগত আলাপ ইনবক্সে
৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
গেমার বয় বলেছেন: ওয়াট ডা পাক ম্যান !!!
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: পাকে পাকে পাকাপাকি অবস্থা ম্যান
উত্তর দিয়া যান মিয়াহ
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হাহাহা ...
++++++++++++
ক্যাচাল থাইক্কা যত পারেন দূরে থাকেন , আমারে কেউ জিগাইলে আমি বঙ্গবন্ধুই বলি । স্বাধীনতা বলতে যা বুঝি আমার কাছে ৭ই মার্চের ভাষনই স্বাধীনতার ঘোষনা ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ইন হার্ট !
ক্যাচাল থেকে দুরেই থাকি । আই হেট ক্যাচাল ।
থাঙ্কু মতামতের জন্য ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: কুশ্চেনের এনচার ম্যালা কটিন। তয় আপনে পিচ্চিকালে ম্যালা মেধাবী আছিলেন দেইখ্যাই বুঝা যায়!!!
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: কটিন হলেও একটা দিয়া যান মূর্খ ভ্রাতা
আমি এখনো ম্যালা মেধাবী
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: teka den apnare kane kane koiya dimu,teka na dile komu na.
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪০
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: ট্যাকা পয়সার মামলায় আমি নাই
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
গেস্টাপো বলেছেন: জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক
২৫ এ মার্চ রাতেই তিনি পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র নিজের দখলে নিয়ে ২৬ শে মার্চ নিজেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।বঙ্গোপসাগরে একটি জাপানি জাহাজ এটা প্রথমে শোনে এবং তারা অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে খবরটা দিয়ে দেয়।কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় তখন ছিলো ২৭ এ মার্চ কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ ঘন্টা পিছিয়ে সেহেতু বাংলাদেশ ২৬ শে মার্চ কেই নিজেদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে
এখন কথা হচ্ছে ঘোষক আর পাঠককে নিয়ে
এখানে স্পষ্টই বলে নেওয়া উত্তম যে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক।কারন তিনি প্রথমে নিজেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।পরে স্থানীয় আওয়ামী নেতারা এতে আপত্তি করে বললে এতে জনসমর্থন পাবে না।তারপর জিয়া নিজের ভাষণ সংশোধন করে এবং বঙ্গবন্ধুর নেত্রিত্তে কথাটি যুক্ত করে নেয়
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪০
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা দারুণ লাগলো । কিছু নতুন নতুন ইনফো জানলাম ।
ধন্যবাদ গেস্টাপো ।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০০
রাসেল ভাই বলেছেন: স্বাধিনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান তাতে কোন সন্দেহ নাই । ৬০% মুক্তিযোদ্ধারা এখনও জীবিত তাদের কাছে জিগান ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪১
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: কয়েকজন রে জিগাইয়া অবশ্য তাইই বুঝলাম
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫
বিডি আমিনুর বলেছেন:
আপনি যদি আওয়ামীলীগ হন - বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ।
আপনি যদি বিএনপি হন - বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন শহীদ প্রেসিডেণ্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।
ইহা ই ছহি এন্সার ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪১
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: তাইলে ইকজামে পাস করছি , কি কন আমিনুর সাব
১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬
মুক্তিকামী বলেছেন: চমিত্কার কুশ্চেন । ইডা এইবার ৩৩তম বিচিএচ এর লাইগা ইম্পরটেন কইলাম
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১১
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: উত্তর টা খিয়াল কইরা
১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১
মুক্তিকামী বলেছেন: গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর(অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকরেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তত্কালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়। ঘোষণাটি নিম্নরুপ:
অনুবাদ: "এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।"
২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ , আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে ২৬শে মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:
অনুবাদ: "আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেআমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বানজানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতিপাবার দাবিদার।"
ওইকিপিডিয়া থেকে নেয়া
ব্যাক্তিগত ভাবে মনেকরি ২৫ বা ২৬ বা ২৭ মার্চের ঘোষণায় যুদ্ধ শুরু হয় নাই । আসল ঘোষণা ত ৭ তারিখই দিয়া দিছে । ২৫ মার্চ রাতে যখন জগন্নাথ হলে আক্রমণ হয় শিক্ষার্থীরা কিন্তু থ্রি নট থ্রি দিয়া প্রতিরোধ করছিল । দ্যাট মিনস সচেতন সমাজ আগেথেকেই মেন্টালি প্রিপেয়ারড ছিল, খালি অফিশিয়াল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১২
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: দারুণ দারুণ । অনেক ধন্যবাদ মুক্তিকামী ভাই । ভাল লাগলো মন্তব্য টা । জেনে রাখলাম
ভালো থাকবেন ।
১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২২
গেস্টাপো বলেছেন: ভাইরে এইসব হইলো নোংরা রাজনীতি।যারে সবাই শেখ সাহেব বইল্লা চিনতো সে ৯৬ এর পরে হইয়া গেল বঙ্গবন্ধু
একটা সহজ নিজিসরে নিয়া কেন যে মানুষে এরকম করে বুঝি না
যেখানে ভারতীয় ওয়েবসাইটে পর্যন্ত জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়েছে বাংলানিউজে দেখেন
এখন কথা হইলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার নিজের জায়গায় এবং জিয়াও তার নিজের জায়গায়।মর্যাদায় অবশ্যই মুজিব এগিয়ে।এখন কথা হচ্ছে জর্জ ওয়াশিংটন এবং আব্রাহাম লিংকন তো আর একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না।বরঞ্চ সমার্থক
লিংকনের ছবি যেমন টাকায় ছাপাইছে
জর্জ ওয়াশিংটনের ছবিও তো তেমনি সে দেশের টাকায় আছে
এই নিয়ে তো দুই পক্ষের আর মারামারি লাগে না
এখন আপনার দেখতে হবে কে এই ভ্যাজালটা আগে স্টার্ট করেছে
যারা করেছে তারাই এই সব ভেজালের মুল।আমি কার নাম কমু না
আপনিই খোজ নিয়া দেখেন
আর বড়তি জ্ঞানের জন্য এই লেখাটা দেখতে পারেন [link|
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৩
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: আব্রাহাম লিঙ্কন আর ওয়াশিংটনের কথাটা ভাল্লাগলো ।
তবে বঙ্গবন্ধু আক্ষরিক অর্থেই বঙ্গবন্ধু
ধন্যবাদ গেস্টাপো । সুন্দর মন্তব্য ।
ভালো থাকবেন ।
১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: র্তক করে আপনিও ঘোষক হতে পারেন। অসুবিধা কি আপনি নিজে আথবা আপনার বাবা, দাদা এই রকম কাউকে নিজে নিজে র্তক ঘোষক বানিয়ে দেন,
এই রকম একটি আমি পোষ্ট লিখেছিলাম,
তার শিরোনাম ছিল ( খালেদা জিয়া বা বি,এন,পি চায়লে জিয়াকে কেন খালাদা জিয়ার চৌদ্দগোষ্টীকে ঘোষক বানাতে পারে তবে তা হবে শুধু বি,এন,পির জন্য )
যান আমিও জিয়াকে ঘোষক বানিয়ে দিলাম তবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নয় , আপনার মত অন্ধ বি,এন,পি প্রেমির জন্য।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: আমি এখানে তর্ক করতে নয় , জানতে এসেছি
আপনার মত অন্ধ বি,এন,পি প্রেমির জন্য। - আপনি কি ট্যাগিং মন্ত্রনালয় থেকে এসেছেন ?
আপনি কিসের বেসিসে আমাকে বিএনপির সমর্থক , তার উপর অন্ধ সমর্থক বললেন ?
লিসেন , হুদাই ট্যাগিং করা , যেনতেন দলের সমর্থক বানানো ছাড়েন । আপনি যে আম্লিগের দালালি করেন , সে দলেরই এক এম্পি আমার চাচা । আমার দুই মামা আপনার দলের ই জেলা সভাপতি ।
আমার ১৪
গুস্টির কেউ জীবনে বিম্পিরে ভুট দেয় নাই ।
গট দ্যাট ?
সমর্থক হন ভাই , দালাল হইয়েন না । বঙ্গবন্ধুর আদর্শটা বুকে রাখেন । মেনে চলেন ।
নেক্সট টাইম ট্যাগিং করতে এলে ভালো হবে না ।
ছাগু আর আম্লিগ বিম্পির দালাল , সব গুলারে গদাম ।
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫
একা পথিক ০৭ বলেছেন: যতটুকু জানি ঘোষনা (আসলে পাঠক) দিছে জিয়াউর রহমান কিন্তু বঙ্গবন্ধু এর পক্ষে। আমি কখনই বিশ্বাস করি না যে জিয়াউর রহমান এর ডাকে মানুষ মুক্তি্যুদ্ধে নামছে। যা বলার বঙ্গবন্ধু ৭ ই মার্চ বলে দিছে। যুদ্ধের নেতা একজনই হয়।
তবে, জিয়াউর রহমান ইতিহাসের একজন সাক্ষী হয়ে থাকবেন আজীবন। তার প্রাপ্য শ্রদ্ধাটুকু আমাদের দিতেই হবে একজন স্বাধীনতার পাঠক ও মুক্তি্যোদ্ধা হিসেবে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪০
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: আমারও এক ই মত । ধন্যবাদ পথিক ।
১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হা হা হা
মজা পেলাম। এই পোস্টটি দেখে নিতে পার। Click This Link অনেক স্টাডি করেই তখন লিখেছিলাম।
জাস্ট একটা কথাই বলি, সেদিন কে কার আগে ঘোষণা দেবেন, কোন ধর্মের লোক, কি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়, কিংবা পরবর্তীতে কে কেমন সুবিধা পাবেন—এসব যদি তাঁরা চিন্তা করতেন, বোধ করি দেশটি স্বাধীন হত না। তখন ব্যক্তিগত স্বার্থ, রেষারেষি সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিল, দেশপ্রেম! সম্মিলিত একটা ঐক্য ছিল বিধায়, ঘরে-বাইরে সব শত্রুকে পরাস্ত করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: ''তখন ব্যক্তিগত স্বার্থ, রেষারেষি সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিল, দেশপ্রেম! ''
সেটাই । দেশপ্রেমটা মূল ফ্যাক্ট । কে করছে , কোন দলের করছে সেটা নিয়া কাপঝাপ করার কোন মানেই হয় না ।
পোস্টটা পড়ছি এখন ।
ঠাঙ্কু
২০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান , ততদিন রবে ক্যাচাল কে দিয়েছিল স্বাধীনতার আহ্বান
ইয়ে মানে এইবার ২৫শে মার্চ রাতে কালুর ঘাটে আমি থাকবো
(অফিস ট্যুরে চাঁটগা আছি, আমাদের রিজিওনাল অফিস কালুরঘাটের কাছেই, চাঁন্দগাওয়ে)
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: লইয়া যাইতেন
২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১
গেস্টাপো বলেছেন: পোস্ট লেখক ভাই আপনার মত আমার ফ্যামিলিও সবাই আওয়ামী লীগ করে এবং আমিও ২০০৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর নির্বাচনে সে দলকে ভোট দিয়েছি।আমার সম্মানের স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ই সবার আগে থাকবে সব সময়।তবে উপরের মুক্তিকামির কমেন্ট এর জবাবে আমি কিছু বলতে চাই।সাহায্য নেওয়া হয়েছে দাসত্তের এই পোস্ট থেকে এখানে
প্রথমেই দেখা যাক ধানমন্ডী ৩২ নং এ মার্চ ২৫ কি ঘটেছিলো:
সন্ধ্যা ৬:০০ :
সুপরিচিত পাকিস্তানী সাংবাদিক তারিক আলীর পিতা মাজহার আলী এবং রেহমান সোবহান শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেন এবং তাকে জানান মিলিটারী ক্র্যাকডাউন আসন্ন।
[ সূত্র: বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং একজন প্রতক্ষ্যদর্শীর ভাষ্য , রেহমান সোবহান , ভোরের কাগজ প্রকাশনী , ১৯৯৪ ]
সন্ধ্যা ৭:০০:
সিডনী শনবার্গের রিপোর্ট [ ২৯ মার্চ , নিউইয়র্ক টাইমস ] থেকে যেটা জানা যায় দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বাঙালী বিহারীর সংঘর্ষ হয় এবং শেখ মুজিব ১টি বিবৃতিতে এর নিন্দা জানান।
রাত ৮:০০ - ৮:৩০:
এরকম একটা অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে এইচ এম কামরুজ্জামান , ক্যাপ্টেন মনসুর আলী , তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে চলে যান।
শেখ ফজলুল হক মনি ২৫ শে মার্চ সন্ধ্যায়ই টুংগীপাড়া চলে যায় এবং শেখ কামাল রাত ৯টায় ধানমন্ডী ৩২নং ছেড়ে যান।
[ সূত্র : শেখ মুজিব , এস.এ. করিম, ইউপিএল, ২০০৫, পৃষ্ঠা ১৯৫ ]
রাত ৮:৩০ - ৯:০০:
শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে ধানমন্ডী ৩২ নাম্বার থেকে বেরিয়ে আসেন ঢাকা ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার সৈয়দ শাহজাহান।
মঈনুল আলমের কলাম , ২৫ মার্চ ২০১০ , ইত্তেফাক
রাত ৯:০০- ৯:৩০:
ডঃ কামাল হোসেন এবং ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম ৩২নং থেকে বিদায় নেন।
রাত ৯:১০:
ঠিক এই সময়েই প্রথমবারের মত গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন জানান রেহমান সোবহান।
[ সূত্র : প্রাগুক্ত ]
রাত ১০:০০ - ১০:৩০:
ঠিক এই সময়টাতেই শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেন নঈম গহর।
কেননা শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে তিনি এম.আর. সিদ্দীকীর সাথে ফোনে কথা বলেন এবং কথা বলা শেষ হলে দেখেন রাত প্রায় ১১: ০০
নঈম গহরের কলাম , ২৫ মার্চ , ২০১০ , দৈনিক সমকাল
রাত ১১:০০:
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রধান আব্দুর রাজ্জাক শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে আত্মগোপন করার অনুরোধ জানালে, শেখ মুজিব তাকে জানান তিনি বাসা ছেড়ে যাবেননা , মরতে হলে সেখানেই মরবেন।
[ সূত্র : আর্চার ব্লাড, দ্য ক্রুয়েল বার্থ অব বাংলাদেশ, ইউপিএল, ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৯৮]
রাত ১১:০০ - ১১:৩০:
সিরাজুল আলম খান , আ.স.ম আব্দুর রব , শাহজাহান সিরাজের শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে ধানমন্ডী ৩২নং ত্যাগ করেন।
ওয়াজেদ মিয়ার বক্তব্য অনুসারে এটাই ছিলো শেখ মুজিবের সাথে কারো ঐ রাতে শেষ বৈঠক।
এই সময়টাতে শেখ মুজিবের বাসায় একটি ফোন কল আসে যেটির বর্ণনা দিয়েছেন হাজী গোলাম মোরশেদ :
"রাত ১১ টায় বলধা গার্ডেন থেকে ১টা ফোন এলো। বললো : রেডিও মেসেজ প্রচার হয়ে গেছে ।"
[ সূত্র : হাজী গোলাম মোর্শেদের বক্তব্য , দৈনিক পূর্বদেশ , স্বাধীনতা সংখ্যা , ১৯৯০]
১১:৩০:
ওয়াজেদ মিয়ার বক্তব্য অনুসারে ঝন্টু (জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা জাকারিয়া চৌধুরীরা ভাই) ধানমন্ডী ৩২নং এ আসেন। শেখ মুজিব কে ঝন্টু অপারেশন সার্চলাইট এবং নির্বিচার গোলাগুলির খবর জানান।
ঝন্টুর মাধ্যমে পরিস্থিতি অবগত হয়ে শেখ মুজিব হাসিনা , রেহানা এবং জেলীকে ১টি ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেন আত্নগোপন করার জন্য।
শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের আত্নগোপনের জন্য ঐ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়া হয়েছিলো।
ওয়াজেদ মিয়া নিজেও ১১:৩০ এর পর ধানমন্ডী ৩২নং ত্যাগ করেন।
[ সূত্র: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ, ইউপিএল, ২০০০, পৃ ৮৪ ]
রাত ১:০০:
রাত ১ টায় অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মত পাক আর্মির ১ম দলটি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে ফার্মগেটের নিকট ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয়।
রাত ৯:৩০ তেই সেনাবাহিনীর বহর কে বাধা দেয়ার জন্য রাস্তায় গাছ ফেলে অসংখ্য মানুষের জমায়েত হয় সেখানে। প্রতিরোধ তখনই শুরু হয়ে যায় পাক আর্মির বিরুদ্ধে।
[ সূ্ত্র : উইটনেস টু সারেন্ডার , সিদ্দিক সালিক , ইউপিএল , ১৯৭৭ , পৃষ্ঠা ৭৩]
রাত ১:১০ - ১: ৩০:
ঠিক এই সময়টাতেই শেখ মুজিব অস্বাভাবিক কাপুরোষিত ভাবে আত্নসমর্পন করেন।
এ বিষয়ে অপারেশন বিগবার্ডের ইনচার্জ জহিরুল আলম খান নিজেই বই লিখেছেন : দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ।
সেখানে যা লেখা রয়েছে:
এবার আসুনদেখি অপারেশন বিগবার্ড বিষয়ে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) জহিরুল আলম খানের বক্তব্য কি :
___________________________
" তল্লাশী চালানোর জন্য এরপর একটি দল ঢুকলো। প্রহরীদের একজনকে বলা হলো রাস্তা দেখাতে। কিছুদূর যাওয়ার পর তার পাশে থাকা সৈন্যকে দা দিয়ে আক্রমণ করতে গিয়েছিলো সে, কিন্তু জানতো না তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। তাকে গুলি করে আহত করা হয়। এরপর সিড়ি বেয়ে ওপরে উঠলো সার্চপার্টি। একের পর এক দরজা খুলে কাউকে পাওয়া গেলো না। একটা রুম ভেতর থেকে আটকানো ছিলো। ওপরে ওঠার পর কে যেন আমাকে বললো বদ্ধ ঘর থেকে কেমন অদ্ভুত শব্দ আসছে। মেজর বিল্লালকে বললাম দরজা ভাঙতে। আর আমি নীচে নামলাম ক্যাপ্টেন সাঈদের দল এলো কিনা দেখতে।
সাঈদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটা গুলির শব্দ হলো। এরপর গ্রেনেড বিস্ফোরন ও তার সাথে সাব-মেশিনগানের ব্রাশ। ভাবলাম কেউ হয়তো শেখ মুজিবকে মেরে ফেলেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি সেই বদ্ধ রুমের দরজায় দাড়িয়ে মুজিব। রীতিমতো সন্ত্রস্ত।
পরে জানতে পারলাম মেজর বিল্লালের লোকেরা যখন দরজা ভাঙার চেষ্টা করছিলো তখন কেউ একজন সেদিকে পিস্তলের গুলি ছোড়ে। ভাগ্যক্রমে কারো গায়ে তা লাগেনি। বাধা দেয়ার আগেই বারান্দার যেদিক থেকে গুলি এসেছিলো সেদিকে গ্রেনেড ছোড়ে একজন সৈনিক। এরপর সাবমেশিনগান চালায়। গ্রেনেডের প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলির আওয়াজে বদ্ধ সে রুমের ভেতর থেকেচিৎকার করে সাড়া দেন শেখ মুজিব এবং বলেন তাকে না মারার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি বেরিয়ে আসবেন। নিশ্চয়তা পেয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। বেরুনোর পর হাবিলদার মেজর খান ওয়াজির (পরে সুবেদার) তাকে শারীরিকভাবে অপদস্থ করেন।
শেখ মুজিবকে বললাম আমার সঙ্গে আসতে। উনি জানতে চাইলেন পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিতে পারবেন কিনা। আমি তাকে তা জলদি সারতে বললাম। এরপর গাড়ির দিকে হাটা ধরলাম। এরমধ্যে সদরে রেডিও বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি যে আমরা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করেছি। (বিগবার্ড ইন কেইজ)।
মুজিব এবার বললেন ভুলে পাইপ ফেলে এসেছেন তিনি। আমাকে নিয়ে পাইপ আনতে গেলেন আবার। এরমধ্যে মুজিব আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। টের পেয়ে গেছেন তার কোনো ক্ষতি করা হবে না।বললেন, তাকে ফোন করে বললে তিনি নিজেই চলে আসতেন।"
-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জহিরুল আলম , ইনচার্জ - অপারেশন বিগবার্ড
রাত ১:৩০ পর্যন্ত ধানমন্ডী ৩২ নাম্বারে যা যা ঘটেছে সম্ভাব্য সব সোর্স থেকে সব তথ্যগুলোকে অ্যাকুমুলেট করা হলো।
জানিয়ে রাখা ভালো : কিছু চমকে দেয়া তথ্য আমি স্কিপ করে গেছি আলোচনার ক্রম বিচার করে। সেগুলো একটু পরেই পাবেন।পড়তে থাকুন
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: ভালো একটা মন্তব্য ।
আমার ফ্যামিলি বলতে আমি মামা-চাচাদের বলেছি । আমার বাপ আওয়ামীলীগ করে না । তবে গতবার আওামিলিগে ভুট দিয়েছিল চাচা ইলেকশন করায়
স্কিপ করা গুলো দিন । জানতে চাই সব ধরনের মতবাদ । জানার কোন শেষ নাই
২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪১
গেস্টাপো বলেছেন: আগেই বলেছি ধানমন্ডী ৩২ এর ২৫ মার্চের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে দুটো সারপ্রাইজিং তথ্য স্কিপ করেছি।
এই তথ্যগুলোই শেখ মুজিবের টেলিফোন বা অন্যযেকোন ভাবে হোক , DOI মেসেজের দাবী কে রীতিমত নকআউট করে।
দেখুন সেগুলো :
১. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিব কে টেলিফোন , সময় রাত ১২:২০ :
সিডনী শনবার্গের [২৭ মার্চ নিউদিল্লী থেকে] রিপোর্টক্লিপটি দেখুন :
২৮ মার্চ , ১৯৭১ ,নিউইয়র্ক টাইমস :
সেখানে পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে রাত ১২:২০ মিনিটে শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোন করা হয় ! এবং ফোনটি রিসিভ করেন আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পরিচয়দানকারী কেউ একজন (হাজী গোলাম মোরশেদ অথবা তবিবুর রহমান)।
ফোন রিসিভারের বক্তব্য অনুযায়ী শেখ মুজিব তখন শোবার ঘরে ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবেই ফোনটি বিজি ছিলো পরবর্তী কিছু সময় এই কথোপকথনে।
যদি ১২:০০ - ১২:২০ এর মধ্যেও DOI মেসেজ শেখ মুজিব পাঠিয়ে থাকেন তাহলে সুবর্ন সুযোগ পেয়েও শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের কাছে তার DOI মেসেজ এর তথ্যটি জানাননি , ঐ আওয়ামী অফিসিয়ালের কাছ থেকেও স্বাধীনতা ঘোষনা বিষয়ে ঐ ফোনে কিছু জানানো হয়নি!
রাত ১২:২০ মিনিটে টেলিফোনে DOI মেসেজের তো প্রশ্নই আসেনা।
২. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বিদেশী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিব কে টেলিফোন , সময় রাত ১:০০ টা
দ্য এজ রিপোর্ট , অস্ট্রেলিয়া , ২৯ মার্চ , ১৯৭১:
এই একই তথ্যটি সায়মন ড্রিং এর রিপোর্টেপাওয়া যায়:
৩০ মার্চ , ১৯৭১ , ডেইলী টেলিগ্রাফ :
এখানে যেটা বলা হয়েছে রাত ১:০০ টার সামান্য আগে শেখ মুজিবের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং স্বয়ং শেখ মুজিব ফোন রিসিভ করেন।সেখানে শেখ মুজিব বলেছেন যে তিনি যেকোন মূহুর্তে আক্রমণ আশা করছেন এবং একজন ভৃত্য আর দেহরক্ষী ছাড়া বাকি সবাইকে নিরাপদস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সেই চূড়ান্ত মূহুর্তে যখন শেখ মুজিব জেনে গেছেন কি ঘটতে যাচ্ছে নিশ্চিত ভাবে এবং এর সমাধান একটাই স্বাধীনতা - তখনো শেখ মুজিব DOI মেসেজ টি যারা এর সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম "আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মী " তাদের কে জানাননি।
রাত ১২:২০- রাত ১:০০ টার মত ক্লাইম্যাক্স সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগের চরম সুযোগ পেয়েও তাদের কাছে মুজিবের কোন DOI মেসেজ পৌছায়নি!
এখন ভাই আমি নিজেও কোন ইতিহাসবিদ নই।আপনার মত আমরা সবাই সত্য জানতে চাই।সবার আগে দেশ,তারপর দল
ভাল থাকবেন সব সময় ভাই
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মোঃ আলাউল হক সৌরভ বলেছেন: সবার আগে দেশ । তারপর দল
সেটাই ।
আপনার মন্তব্য গুলা ইনফরমেটিভ । এই বিষয়টা ক্লিয়ার হওয়া দরকার ।
ভালো থাকবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৭
িশক্ষানবীশ বলেছেন: আমি জানি, কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দিমু না