নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলি আশরাফ

আলি আশরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাণী

২৬ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদপত্রে প্রদত্ত বাণী

বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম [আরবীতে]



[মনোগ্রাফ]

প্রধানমন্ত্রী



প্রধানমন্ত্রী

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার



বাণী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে এবং প্রবাসী সকল বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত দিন। এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দু'লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।



আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা।



শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন, তাঁদের আমি আজ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। পাশাপাশি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে যেসব বিদেশী রাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা দিয়েছেন তাঁদের প্রতি।



১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী যখন অতর্কিতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, তখন ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি জেলা ও মহকুমায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই ঘোষণা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রিক্সায় মাইক লাগিয়ে তা প্রচার করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই প্রচারিত হয়। তাঁরই নির্দেশে পরিচালিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।



অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে দিনবদলের লক্ষ্যে, দুর্নীতি, সন্ত্রাসমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।



বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গত তিন বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে।



সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার রায় কার্যকর করার পর সরকার যখন যুদ্ধোপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে, ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও চিহ্নিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি গণতন্ত্র ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এই দিনে আমি আমি দেশবাসীকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী যেকোনো অপতৎপরতা নস্যাৎ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।



মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ রূপে গড়ে তুলতে "রূপকল্প-২০২১' বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি, প্রতিটি বাঙালি ত্যাগ ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সামিল হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত করবেন।



আমরা সকলে মিলে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবই ইনশাআল্লাহ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।



[স্বাক্ষর]

শেখ হাসিনা



*****************

[খালেদা জিয়ার বাণী]

চেয়ারপার্সনের বাণী

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। তাঁর এই তেজদৃপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে জাতি উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামে হানাদার পাকবাহিনীকে পরাভূত করে অর্জন করেছিল বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ এবং লাল-সবুজ পতাকা। তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অগণিত মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষায় অর্জিত এই মহামূল্যবান স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্যবাদের ক্রীড়নক আওয়ামী মহাজোট সরকার দেশের স্বাধীন-সার্বভৌম অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। তাদের দু:শাসনে দেশবাসীর জীবন আজ ওষ্ঠাগত। ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর প্রদান, টিপাইমুখ বাঁধসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ নিয়ে হাহাকার, সীমান্তে ফেলানীদের লাশ ঝুলে থাকা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ছাত্র লীগ যুব লীগের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সন্ত্রাস, শেয়ারবাজারে কারসাজি করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি লুটপাট, নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানির উদ্বেগজনক বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের সহ্যের সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। জনজীবন দু:সহ হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদে জনগণ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের প্রিয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকেও ঘুরে দাঁড় করিয়েছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসমূহে জনগণ ক্ষমতাসীন সরকারের বাকশালী ফ্যাসিস্ট চেহারাই জনগণের সামনে পুনরায় ফুটে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। আর এই আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকেই। "দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও" স্লোগা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী আওয়ামী অপশক্তিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

শহীদ জিয়া অমর হোক।

[দৈনিক দিনকাল : ২৬ মার্চ ২০১২]



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদপত্রে প্রদত্ত বাণী

বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম [আরবীতে]



[মনোগ্রাফ]

প্রধানমন্ত্রী



প্রধানমন্ত্রী

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার



বাণী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে এবং প্রবাসী সকল বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত দিন। এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দু'লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।



আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা।



শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন, তাঁদের আমি আজ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। পাশাপাশি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে যেসব বিদেশী রাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা দিয়েছেন তাঁদের প্রতি।



১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী যখন অতর্কিতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, তখন ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি জেলা ও মহকুমায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই ঘোষণা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রিক্সায় মাইক লাগিয়ে তা প্রচার করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই প্রচারিত হয়। তাঁরই নির্দেশে পরিচালিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।



অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে দিনবদলের লক্ষ্যে, দুর্নীতি, সন্ত্রাসমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।



বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গত তিন বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে।



সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার রায় কার্যকর করার পর সরকার যখন যুদ্ধোপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে, ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও চিহ্নিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি গণতন্ত্র ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এই দিনে আমি আমি দেশবাসীকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী যেকোনো অপতৎপরতা নস্যাৎ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।



মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ রূপে গড়ে তুলতে "রূপকল্প-২০২১' বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি, প্রতিটি বাঙালি ত্যাগ ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সামিল হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত করবেন।



আমরা সকলে মিলে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবই ইনশাআল্লাহ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।



[স্বাক্ষর]

শেখ হাসিনা





*****************

[খালেদা জিয়ার বাণী]

চেয়ারপার্সনের বাণী

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। তাঁর এই তেজদৃপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে জাতি উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামে হানাদার পাকবাহিনীকে পরাভূত করে অর্জন করেছিল বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ এবং লাল-সবুজ পতাকা। তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অগণিত মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষায় অর্জিত এই মহামূল্যবান স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্যবাদের ক্রীড়নক আওয়ামী মহাজোট সরকার দেশের স্বাধীন-সার্বভৌম অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। তাদের দু:শাসনে দেশবাসীর জীবন আজ ওষ্ঠাগত। ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর প্রদান, টিপাইমুখ বাঁধসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ নিয়ে হাহাকার, সীমান্তে ফেলানীদের লাশ ঝুলে থাকা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ছাত্র লীগ যুব লীগের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সন্ত্রাস, শেয়ারবাজারে কারসাজি করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি লুটপাট, নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানির উদ্বেগজনক বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের সহ্যের সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। জনজীবন দু:সহ হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদে জনগণ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের প্রিয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকেও ঘুরে দাঁড় করিয়েছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসমূহে জনগণ ক্ষমতাসীন সরকারের বাকশালী ফ্যাসিস্ট চেহারাই জনগণের সামনে পুনরায় ফুটে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। আর এই আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকেই। "দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও" স্লোগা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী আওয়ামী অপশক্তিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

শহীদ জিয়া অমর হোক।

[দৈনিক দিনকাল : ২৬ মার্চ ২০১২]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.