নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভবঘুরে মানুষ । ভবের ঘরে প্রবেশের নেশায় ঘুরে ফিরি দিবানিশি।

আলী নওয়াজ খান

ভবঘুরে মানুষ আমি । ভবের ঘরে প্রবেশের নেশায় ছুটে মরি দিবানিশি। তবুও পাইনা খুজে তারে।

আলী নওয়াজ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নামায “জাফর তাইয়ার নামায”

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯



হযরত জাফর তাইয়ার ছিলন ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)এর ভাই ও মহানবী (স.)এর চাচা আবু তালিবের সন্তান । যে সকলব্যক্তি সর্বপ্রথম মহানবীর প্রতি ঈমান এনেছিলেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।
মহানবী (স.) হযরত জাফর তাইয়ারকে অত্যন্ত ভালবাসতেন । হযরত জাফর তাইয়ার সম্পর্কে মহানবী থেকে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো :
মহান প্রতিপালক চারজন শহীদকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন যার মধ্যে আছেন বীর হামজা ও জাফর তাইয়্যার।
রসুলুল্লাহ (স.) বলেন : কেয়ামতের দিন যারা মহানবী (স.)কে দর্শন করতে সক্ষম হবেন তাদের মধ্যে বীর হামজা ও জাফর তাইয়ার আছেন।
ইমাম বাকের (আ.) বলেন : মহানবী (স.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন আমি চারটি বৈশিষ্ট্যের জন্য জাফর তাইয়ারকে ভালবাসি। রাসুল্লাহ (স.) জাফর তাইয়ারকে ডেকে ঘটনাটি বললেন তখন জাফর তাইয়ার বলেন: আমি কখনোই আমার এই বিষয়গুলো কাউকে বলতে চাইনি।
অতপর মহনবী (স.) বললেন : জাফর তাইয়ার আজ পর্যন্ত কখনো মিথ্যা কথা বলেননি, এবং কোন মূর্তিপূজাও করেন নি .....। বিহারুল আনোয়ার ২২তম খন্ড ২৭৬ পৃ.।
নবুয়াত লাভের পঞ্চম বছরে যখন মক্কায় কাফেরদের চাপ বেড়ে যায় তখন মহানবীর (স.) অনুমতিক্রমে কিছু ব্যক্তি হাবাসিয়াতে হিজরত করেন হাবাসিয়ার বাদশা ছিলেন খৃষ্টান । তবে তিনি খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। আর এই হিজরতকারীদের দ্বিতীয় দলের দলনেতা ছিলেন জনাব জাফর তাইয়ার।
নবুয়াত লাভের সপ্তম বছরে হযরত জাফর তাইয়ার হাবাসিয়ার বাদশাকে মুসলমান করে মদীনাতে ফিরে আসেন। তিনি এমন এক সময় ফিরে আসেন যখন খায়বারের যুদ্ধের বিজয় সংঘটিত হয়েছিল।
মহানবী (স.) জাফর তাইয়ারকে দূর থেকে আসতে দেখে তাকে স্বাগত জানাতে বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেয়েছিলেন এবং তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন: হে জাফর তোমাকে পেয়ে খুশী হব ! না খাইবারের যুদ্ধে বিজয় লাভে খুশী হব !এরপর তিনি বললেন তুমি কি চাও , আমি তোমাকে কিছু দান করি ? তুমি কি চাও তোমাকে কিছু উপহার দেব ? তুমি কি চাও তোমাকে মহামুল্যবান কিছু দেব ?
তখন জাফর তাইয়ার বললেন: হে রাসুল্লাহ অবশ্যই , অবশ্যই ।
সবাই ভাবলেন খায়বারের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ থেকে কিছু গনিমত তিনি হযরত জাফর তাইয়ারকে কিছু দিবেন।
তখন মহানবী (স.) বললেন : আমি তোমাকে এমন কিছু দান করবো সেটা যদি প্রতিদিন আঞ্জাম দাও তাহলে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এবং পৃথিবীতে যাকিছু আছে তার চেয়েও বেশী মুল্যাবান কাজ হবে। এমন কি তুমি যদি যুদ্ধ থেকে পালায়ন করে থাক আর তার যে পাপ, বা পৃথিবীতে ভুপৃষ্ঠে যতমাটি আছে সে সমানও হয় ; তবুও মহান প্রতিপালক তাঁর বরকতে সব গোনা ক্ষমা করে দিবেন।
অতপর মহানবী নিম্নের নামাজটি বর্ণনা করলেন:
[মান লা ইয়াদারুল ফাকীহ্ , ১ খন্ড, ৫৫৩ পৃ.। ]

এ নামাজটি “সালাতে জাফর তাইয়্যার” নামে প্রশিদ্ধ

নামাজটি পড়ার পদ্ধতি [নামাজটি মোট চার রাকআত দুই রাকআত করে পড়তে হবে]

প্রথমে নিয়াত করতে হবে [ আমি জাফর তাইয়ারের দুই রাকআত নামায পড়ছি কুরবাতান ইলাল্লাহ ]

1. দাঁড়িয়ে সুরা হামদ+ সুরা জ্বিলজাল + ১৫ বার [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] পড়তে হবে। এরপর রুকুতে যাবেন
2. রুকুতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর পড়ার পর + ১০ বার [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] পড়তে হবে। এরপর রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ১০ বার [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
বলতে হবে ।
3. তারপর সিজদাতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] তারপর সিজদা থেকে উঠে বসে নিজেস্ব জিকীর শেষে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
4. পুণরায় সিজদাতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষে ১০ বার বলতে হবে [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] তারপর বসে ১০ বার বলতে হবে [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
5. অতপর সিজদা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সুরা হামদ + সুরা আল আদিয়াত পাঠ করে + ১৫ বার পড়তে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] এরপর রুকুতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
6. এরপর রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] অতএর সিজদাতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষ করে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
7. সিজদা থেকে উঠে বসে নিজেস্ব জিকীর শেষ করে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] পুণরায় সিজদাতে গিয়ে নিজেস্ব জিকীর শেষ করে ১০ বার বলতে হবে [ سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ] তারপর সিজদা থেকে উঠে বসে নিজেস্ব জিকীর শেষ করে ১০ বার বলতে হবে [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَکْبَرُ]
অতপর তাশাহুদ ও সালাম দিয়ে প্রথম দুই রাকআত নামাজ শেষ হবে।
ঠিক একই ভাবে প্রথম রকআতের ন্যায় দ্বিতীয় দুই রাকআত নামাজ পড়তে হবে । তবে দ্বিতীয় দুই রাকআতের প্রথম রাকআতে সুরা হামদ পাঠের পর + সুরা নাসর পড়তে হবে আর দ্বিতীয় রাকআতে সুরা হামদ পাঠের পর সুরা ইখলাস পড়তে হবে।
এরপর আপনি আপনার প্রার্থনা করবেন। ইনশাল্লাহ মহান আল্লাহর রুব্বুল আলামীন কবুল করবেন।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: এত কিছু লিখলেন কিন্তু সূত্র হিসেবে সহী কোন হাদিস গ্রন্থের নাম দিলেন না কেন?
কপি পেস্ট যে করেছেন সেটা বুঝাই যাচ্ছে। একই লেখা ২বার এসেছে।
যা যা লিখেছেন সেগুলির হাদিসের সনদ সহ সূত্র দিন।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি শিয়া মতালম্বী ধারার। শিয়া হওয়া খারাপ নয় কিন্তু নিজের পরিচয়
লুকিয়ে রাখাটা অপরাধ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৩

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: জনাব নীল আকাশ ! আপনার প্রাথমিক এ্যাপ্রোজই বলে দিচ্ছে আপনি একটি নেতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে লেখাটি পড়েছেন যা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে । কারণ একই লেখা দুই কে কোথায় দিয়েছেন ? কার পোষ্ট কে কপি করলো ?
দ্বিতীয়ত : সহি হাদসী বা সহি হাদীস গ্রন্থ বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন আরো স্পষ্ট করে বলুন ।
তৃতীয়ত : কে ওহাবী কে সালাফী আর কে শিয়া এটা নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন ?

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুবানাল্লাহ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: মহান আল্লাহর রব্বুল আলামীন অতীশয় পবিত্র । মারহাবা

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

ঢাকার লোক বলেছেন: একই লেখা ২বার এসেছে। উপরের অর্ধেক বা নিচের অর্ধেক মুছে দিলে পড়া সহজ হবে ! এ নামাজ সম্বন্ধে কিছুই আগে শুনিনি, বিশ্বস্থ সূত্র আবশ্যক। কোনো সাহাবার নামে নামাজের নামকরণ কেমন কেমন মনে হচ্ছে! ভালো আলেমকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি কিনা দেখি ।


৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: উনি কি কপি পেস্ট করেছে সেটাও জানে না। কোন জায়গায় ২ বার এসেছে সেটাও চোখে পড়েনি।
কপি পেস্ট করার সময় মনে হয় চোখ বন্ধ করে রেখেছিল!
এটা যে আপনার লেখা নয় সেটা এবার পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম।
সারা জীবনে এত কিছু শুনলাম আর এত মযার্দার নামাজ টার নাম শুনলাম না?
আপ্নি ঝেড়ে কাসুন! আবারও বলিছি এই নামাজের সাথে আমি শিয়া মতালম্বিদের যোগ সূত্র দেখতে পাচ্ছি।
সিহা সিত্তার নাম জানেন? আপনি সহী বুখারী কিংবা সহী মুসলিম থেকে একটা সহী সনদ বের করে আমাকে দিন।
তারপর বুঝব আপনার দৌড় কোন পর্যন্ত!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: জনাব নীল আকাশ @ আপনি সম্ভবত সালাফী বা ওহাবী মতার্দশের মানুষ হবেন । যাই হন কেন আপনি কিন্তু কপি পেষ্ট করার কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি ! অহেতুক মিথ্যা তর্ক করে যাচ্ছেন । ইনশাল্লাহ আশা রাখি মহান আল্লাহর রব্বুল আলামীন আপনাকে ইচ্ছা করলে হেদায়েত দান করবেন । পাঠকদের সুবিধার্থে কিছু উদ্ধৃতি এখানে তুলে ধরছি।
'নামাজে জাফরে তাইয়ার' নামক নামাজটি সালাতুল তাসবিহ নামেও আমাদের রেওয়ায়েত সমূহে বর্ণিত হয়েছে ।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّاهُ، ” أَلَا أُعْطِيكَ، أَلَا أَمْنَحُكَ، أَلَا أَحْبُوكَ، أَلَا أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ، غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ، وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ، وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ، وَسِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ، عَشْرُ خِصَالٍ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً، ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ، إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً“

অর্থাৎ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন?

আর সে দশটি সৎ গুন হলো: আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাআত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:

سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ {উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার}

এরপর রুকুতে যাবেন এবঃ রুকু অবস্থায় (উক্ত দুআটি) ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার।

আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জুমাআয় একবার। যদি প্রতি জুমআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার।

{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৯৭,

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৭,

সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১২১৬,

সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৬৯৫}

হাদীসটি সহীহ। উক্ত হাদীসকে যারা সহীহ বলেছেন!

১ ইমাম আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৯৭, [ইমাম আবু দাউদ হাদীস বললে, চুপ থাকলে সেটি তার কাছে সহীহ।

২ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, এর সনদটি হাসান। [আলখিছাল-১/৪১]

৩ আল্লামা ওয়াদেয়ী বলেন, হাসান। [সহীহুল মুসনাদ, হাদীস নং-৫৮২]

৪ ইবনুল মুলাক্কিন বলেন, এর সনদ উত্তম। [আবদরুল মুনীর-৪/২৩৫]

৫ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, হাসান। [তাখরীজুল মিশকাতুল মাসাবীহ-২/৭৮]

৬ শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। [সহীহুল জামে, হাদীস নং-৭৯৩৭]

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: জাফর সাহেব তো আপনাদের ১২ ইমামের একজন তাইনা?
ভালো বেশ ভালো! এর মধ্য উনার নামে নামাজও তৈরি করে ফেলেছেন?

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৫

ঢাকার লোক বলেছেন: সৌদি আরবের শেইখ অসীম আল হাকিম (যিনি সারা বিশ্ব থেকে করা ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন) কে ইমেইল করেছিলাম এ নামাজ সম্পর্কে এবং উনি এ নামাজের অস্তিত্ব ও সত্যতা অস্বীকার করেছেন! তাঁর ওয়েবসাইট ,
https://www.assimalhakeem.net/

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০০

নীল আকাশ বলেছেন: এর আগে যথেষ্ঠ ভদ্র ভাবে বলেছি। এবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। আপনি একজন ভন্ড এবং কপি পেস্ট ব্লগার। কোন লেখা ২বার এসেছে সেটাও যে বুঝে না, সেটা তার লেখা হতেই পারে না।। নীচে দেখুনঃ



নির্লজ্জের মতো আর তর্ক করবেন না। আপনি যে মিথ্যুক সেটা সেটারও প্রমান দিলেন হূট করে নামাযের নাম চেঞ্জ করে দিলেন।
একটু অপেক্ষা করুন আপনি যে জাহানিয়া শিয়া তরীকার লোক সেটা প্রমাণ দিচ্ছিঃ-
জানাহিয়া শিয়া: হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ভাই শহীদ জাফর তাইয়ারের পুত্র আবদুল্লাহর নাতী - আবদুল্লাহ ইবনে মুয়াবিয়ার অনুসারী এই দল। জাফর তাইয়ার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর উপাধী ছিল ”জুল জাহানাঈন”। তারা এজন্য তাদের পরিচিতি হিসেবে জানাহিয়া শিয়া বলে প্রচার করে। তারা বলে ...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: নীল আকাশ @ বাহ ! বাহ ! ভদ্র মানুষের ভাষা দেখা বড়ই হাসি পাচ্ছে ! জনাব সৌদিয়ানদের মতো আচারণ করলেন !!
ভন্ড/কপি পেষ্ট ব্লগার/ র্নিলজ্জ/ মিথ্যুক/ জাহানিয়া শিয়া !!!!
এই যদি মুসলমানের পরিচয় হয় তাহলে ইসলাম ধর্মকে খুজতে ভাঁগাড়ে যেতে হবে ।
মানুষের সাথে মানুষের মতো আচারণ করুণ ! আল্লাহর রাসুল ((স।)এর আচারণ কেমন ছিল । নি:সন্দেহে আল কায়েদা ও আই এস-এর মতো ছিলো না । এখনই সবধান হয়ে যান নিজের পরকালকে স্মরণ করুন ।
মিথ্যা ও ভ্রান্ত্র চিন্তার জাল থেকে নিজেকে বের করে আনুন।।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১১

নীল আকাশ বলেছেন: @ ঢাকার লোকঃ ভাই এ শিয়া মতালম্বি। এদের জাহানিয়া শিয়া বলা হয়। শিয়া দের সব চেয়ে বড় গুন হলো সত্য গোপন করা।
শিয়া আকিদা কি দেখুনঃ
১। শিয়াদের অধিকাংশ মুহাদ্দিস বিশ্বাস করে যে, কুরআন শরীফে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। নুরী আত্-তাবারাসী ‘ফাসলুল খেতাব ফী তাহরীফে কিতাবি রাব্বিল আরবাব’ কিতাবে তা স্বীকার করেছেন। {আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:১/২৮৪}

মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল-কুলাইনী ‘উসূলুল কাফী’ গ্রন্থে ‘ইমামগণ ব্যতীত পূর্ণ কুরআন কেউ একত্র করেনি’ অনুচ্ছেদে জাবের হতে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার বলেছেন, যে ব্যক্তি দাবী করে যে, আল্লাহ পূর্ণ কুরআন যেভাবে নাযিল করেছেন, অনুরূপ সে তা একত্র করেছে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ যেভাবে কুরআন নাযিল করেছেন, আলী ইবনে আবী তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ছাড়া কেউ তা হুবহু একত্র ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়নি।”{আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী: ১/২৮৫}

২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাদের গাল-মন্দ করা ও তাদের কাফের বলাই তাদের ধর্মীয় মূলনীতি। যেমন আল-কুলাইনী ফুরু‘ আল-কাফী’ কিতাবে জা‘ফারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর তিন ব্যক্তি ব্যতীত সমস্ত মানুষ মুরতাদ ছিল, আমি বললাম, ঐ তিনজন কারা? জবাবে বলেন, মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ, আবু যর গিফারী ও সালমান ফারেসী।”
আল-মাজলেসী বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, আলী ইবনে হুসাইনের গোলাম বলেন, আমি একদা একাকি অবস্থায় তার সাথে ছিলাম, অতঃপর আমি তাকে বললাম, নিশ্চয় আপনার প্রতি আমার অধিকার রয়েছে, আপনি কি আমাকে দুই ব্যক্তি তথা আবু বকর ও ওমর সম্পর্কে বলবেন ? তিনি বলেন, তারা দুজনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের।”{ আল মাজলেসী: বেহারুল আনওয়ার-২৯/১৩৭-১৩৮}
আবু হামযাহ্ আল-সেমালী হতে বর্ণিত যে, আলী ইবনে হুসাইনকে দু’জন অর্থাৎ আবু বকর ও ওমার রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, তারা দু’জনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ওলী হিসেবে গ্রহণ করবে তারাও কাফের।”
আল-মাজলেসী ‘বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে বলেন, আবু বকর ও ওমরের কুফরী, তাদেরকে লা‘নত করা ও তাদের থেকে সম্পর্কছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া সম্পর্কিত অসংখ্য দলীল রয়েছে, যা উল্লেখ করার জন্য একাধিক ভলিউমের প্রয়োজন। তবে এখানে যা উল্লেখ করলাম সরল পথ অন্বেষণকারীর জন্য তাই যথেষ্ট।
আল-কুম্মী উক্ত গ্রন্থের অপর স্থানে বলেন, আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্ সকলেই জাহান্নামের জ্বালানী কাষ্ঠ। নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।
‘এহ্কাকুল হক’ কিতাবে বর্ণিত, “হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের বংশধরের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো আর কুরাইশের দুই তাগুত ও মূর্তি এবং তাদের দুই কন্যার উপর লা‘নত বর্ষণ করো… । তাগুত ও মূর্তি দ্বারা তারা আবু বকর ও ওমর রা. এবং তাদের দুই কন্যা দ্বারা আয়েশা ও হাফছাকে বুঝায়।
আল-মাজলেসী তার ‘আল-আকায়েদ’ পুস্তিকায় উল্লেখ করেন, ইমামিয়াহ্ দীনের জন্য যে সব বিষয় জরুরী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেয়াদী বিবাহ ও তামাত্তু হজ হালাল জানা এবং তিনজন তথা আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্, ইয়াযিদ ইবনে মু‘আবিয়াহ্ এবং যারা আমীরুল মু‘মিনীন আলী রা.-র সাথে লড়াই করে, তাদের থেকে মুক্ত থাকা।

আশুরার দিন তারা একটি কুকুর নিয়ে আসে এবং কুকুরের নামকরণ করে ওমর অতঃপর তারা কুকুরটির উপর লাঠির আঘাত ও কংকর নিক্ষেপ করতে থাকে যতক্ষণ না মরে। কুকুরটি মারা যাওয়ার পর একটি বকরি ছানা নিয়ে আসে এবং তার নাম রাখে আয়েশা অতঃপর ঐ বকরি ছানার লোম উপড়াতে ও জুতা দ্বারা আঘাত করতে থাকে, বকরি ছানাটি না মরা পর্যন্ত এরূপ আঘাত করতেই থাকে।
অনুরূপভাবে ওমর রা.-র শাহাদাত দিবসে তারা আনন্দ অনুষ্ঠান পালন করে এবং তাঁর হত্যাকারীকে ‘বাবা শুজাউদ্দীন’ বা ‘বাবা ধর্মীয় বীর’ নামে খেতাব দেয়। আল্লাহ্ তা‘আলা সকল সাহাবা ও উম্মাহাতুল মু‘মিনীনদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন।

আরও পড়তে চাইলে এটা দেখে আসতে পারেন। ধন্যবাদ।
শিয়াদের কুফরী বিশ্বাস সমূহ। যা শুনলে যে কোন মুসলমানদের আত্মা কেঁপে উঠবে-২

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: @ অপবাদ আর মিথ্যার জোয়ারে কে ভাসছেন সেটা তার আচার-ব্যবহারে স্পষ্ট হয়ে ঊঠেছে।
এই সমস্ত অলীক গুজব দিয়ে সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করা সম্ভব নয়।
আপনি যে বিষয়গুলো লিখেছেন সবই মিথ্যা এবং প্রেট্রডলার খরচ করে এগুলো সৌদি ওহাবীরা বিশ্বে প্রচার করছেন । আজ বিশ্বের বুকে একমাত্র দেশ যারা প্রকাশ্যে মুসলিম উম্মাহের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং মুসলিম উম্মাহর শত্রু আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে । অতএব এ সমস্ত গুজব রটানোর মাধ্যমে সত্যকে ঢেকে রাখা সম্ভব নয় ।
জনাব অসুন বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি নিজের ছোট ছোট্ বিরোধকে চুলকায়ে ঘা না করি । বরং মুসলিম উম্মাহ বোসনিয়াতে অসংখ্য জীবন দিয়েছে, জীবন দিচ্ছে ফিলিস্তিন, ইয়ামেন, ইরাক, সিরিয়া ও ভারতে তাদের উদ্ধারে কাজ করে যান । নি:সন্দেহে এটা মুসলিম উম্মাহর শত্রুদের পরিকল্পনা যে মুসলমান মুসলমানে হানাহানিতে মশগুল থাকুক আর তারা আমাদের এই সুযোগে নীরবে শোষন করে যাক !!! হায় হতভাগা মুসলমান !!! এখনো বুঝতে শেখেনি তাদের স্বার্থের কথা ।

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমরা তো ইহাকে 'সালাতুত তাসবীহ' নামে জানি ! সম্ভবত আপনি শিয়া মতালম্বী হওয়ার কারণে এই নামাজকে জাফর রা. এর সাথে সম্পৃক্ত করিয়াছেন, এবং নিয়তের মধ্যেও ইহা লইয়া আসিয়াছেন । নিয়তের মধ্যেই তো গলদ হইয়া গেল !

যতদূর জানি, অন্য সাহাবী রা. হইতেও এই নামাজের বর্ণনা আছে। ওলামায়ে হক ভালো বলিতে পারিবেন।

যাহারা এই নামাজকে অস্বীকার করিতেছেন তাহারা হয়ত জানেন না, বা লা মাজহাবী হইবেন। যতদূর জানি, শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা জাকারিয়া র. তাহার ফাজায়েলে নামাজ কিতাবে উহা বর্ণনা করিয়াছেন। ওই কিতাবের শেষের হাদিসে এই নামাজের বর্ণনা আছে।

শিয়াদের অনেক অপকর্ম আছে সত্যি, উহা ভয়ানকও বটে , তবে এইখানে যে নামাজের কথা বলা হইতেছে , সালাতুত তাসবীহ , তাহার বর্ণনা আছে। তবে তাহা শিয়া মহলে এই নামে পরিচিত হইতে পারে !

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.