![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গার্মেন্টস কারখানা হল বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বড় শিল্প সেক্টর। যেখানে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে এবং এই শিল্পের সাথে বিভিন্ন ভাবে কমপক্ষে দশ থেকে বার কোটি মানুষের জীবন জীবিকার সম্পর্ক। কিন্তু গভীর উদ্বেগএর বিষয় এই যে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার সাথে জড়িত এই শিল্প কারখানা সমূহে প্রতিনিয়তই লঙ্ঘিত হচ্ছে শ্রম অধিকার তথা মানবাধিকার।
যেই শ্রমিকদের রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমে ঘুরছে এই দেশের অর্থনীতির চাকা, যাদের পরিশ্রমের কল্যাণে নেতা-নেত্রীরা, মন্ত্রী-এম,পি'রা এবং কারখানার মালিকরা বিলাসবহুল গাড়িতে চলাচল করছে, সেই সব শ্রমিকরাই প্রায়শই শিকার হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে প্রাণনাশি দূর্ঘটনার।
এটা সত্যিই খুবই বেদনাদায়ক ও অগ্রহনযোগ্য।
এই সকল সুবিধাভোগীদের একবারও মনে হয় না যে, এই সকল শ্রমিকরা যদি একবার কর্ম বিরতি শুরু করে, তাহলে ওদের রিকন্ডিশন মারুতি তে চড়তে হবে, লেক্সাস-বি,এম,ডব্লিউ তে নয়।
ঘন ঘন আই সকল দূর্ঘটনার জন্য প্রায়শই দেখা দিচ্ছে শ্রমিক অসোন্তষ। যা কিনা এই অশনি সংকেত এই সেক্টরের জন্য।
আর যখনি এই ধরনের আন্দোলন জমে ওঠে তখনি মিডিয়ার সামনে দেখা যায় কিছু পরিচিত তথাকথিত শ্রমিক আধিকারে নিবিদিত প্রাণ সংগঠনের নেতা- নেত্রীদের মুখ।
যারা কিনা শ্রমিকদের এই মুহূর্তগুলিকে ব্যবহার করে যুগ যুগ ধরে নিজেদের আখের গুছিয়ে চলছে।
একটু চিন্তা করলেই তাদের এই ধান্দা পরিস্কার হয়ে যায়।
এই সেক্টরে এই যে হামেশাই দূর্ঘটনা ঘটছে উনারা কি সুবিধা
আদায় করে নিয়ে দিয়েছেন শ্রমকদের? কি শাস্তি বাবস্থা নেয়াতে সক্ষম হয়েছেন? কি আইন করতে সরকারকে বাধ্য করাতে পেরেছেন? কিছুই না।
কারন উনারা নিজেরা শ্রমিকদের এই আন্দোলন কে পুঁজি করে দরকষা কষি করেন মালিকদের সাথে আর নিজেদের হিস্যা পেয়ে গেলেই চুপ হয়ে জান।
একই অবস্থা ক্ষমতাসীনদের ও বিরোধীদের।
সরকার তো আর রাজনৈ্তিকদের ছাড়া নয়, আর রাজনীতি তো আর ব্যবসায়ি ছাড়া নয়......।।
সুতরাং সবে মিলে মিশে একাকার। চোরে ডাকাতে শখ্য আর কি।
এই আবস্থায় সকল শ্রমজীবি ভাই-বোনদের অনুরোধ করছি আই সকল সুবিধাভগিদের কপালে উষ্টা মারতে।
সবাই এক হোন নব উদ্যমে, খুঁজে নিন সত্যিকারেই নিবেদিত প্রান নেতাকে, যে কিনা বিকিয়ে দেবেনা নিজেকে, আপানাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে।
বাংলার সকল শ্রমজীবি, এক হও।।
©somewhere in net ltd.