![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যা নিয়ে অনলাইন গরম। কেউ মা'কে দোষারোপ করছে কেউ বউকে। আর কেউ অভাগা পলাশকে দোষ দিচ্ছে। অনেকটা শাবানা জসিমের বাংলা ছবির মতো, "মা বড় নাকি বউ বড়" টাইপের অবস্থা। তাহলে দোষী কে?
আমি বলবো আমরা সবাই দোষী। এ সমাজ, এ সংস্কৃতি, আমাদের মানসিকতা, আমাদের অশিক্ষা, আইন, রাস্ট্র, অধিকারবোধ...... অনেক অনেক কিছুই দায়ী পলাশের আত্মহননের পিছনে।
সংসারের এ ধরনের দড়ি টানাটানিতে সাধারনত ঘরের দূর্বল পার্টি মরে। আর আমাদের দেশে যেহেতু মেয়েদের দাম রাস্তার কুকুর বিড়ালের থেকেও কম তাই বউটাই মরে বা মেরে ফেলা হয় সাধারনত। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে প্রায় ৭০% মেয়ে ইন্টিমেট পার্টনার দ্বারা ডমিস্টিক ভায়োলেন্সের স্বীকার। কি আমি মিথ্যে বলছি?? নীচে ইউএন এর রিপোর্টটা পড়ে দেখুন তাহলে....
তাহলে এক্ষেত্রে পলাশ কেন মরতে গেল? সে কি দূর্বল পার্টি??
আমি বলবো, হাঁ। সেই সবচেয়ে দূর্বল ছিল তাঁর সংসারে। যতটুকু পড়েছি বাবাহারা ছেলেকে মা অনেক কষ্টেই বড় করেছে। যার কারনে ছেলের প্রতি মায়ের অধিকার ও প্রত্যাশা ছিঁল আকাশচুম্বী। ছেলে শুধুই আমার , কাউকেই ভাগ দিবো না.... এমন একটা মানসিকতা হয়তো ছিল সবসময়ই।
তারপর যখন অসামান্য সুন্দরী বউ ঘরে আসে এবং স্বাভাবিক ভাবেই ছেলে নতুন বউকে সময় ও ভালোবাসা দিতে শুরু করে তখনই মায়ের মনে ছেলে হারানোর ভয় কাজ করে। এই বুঝি ছেলেকে বউ কব্জা করে ফেললো, এ বুঝি ছেলে আর আমাকে সহ্য করতে পারবে না, এই বুঝি ছেলে আমার পর হয়ে গেল ........ এরকম অসংখ্য ভয় এর জন্য মা এই সুন্দরী বউকে ডাইনী ভাবতে শুরু করে। আর নিজের অজান্তেই ছেলের বউকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় তার সব কুটকৈাশল প্রয়োগ শুরু করে।
আমাদের দেশে অধিকাংশ পরিবারের এরকম জটিল সমীকরনে বউটাকে আগুনে নিক্ষেপ করে। হয় মেরে ফেলে অথবা আধা মরা অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখে। এর বিপরীতও আছে, যেখানে বউ থাকে শক্তিশালী। তখন সেখানে শাশুড়িরা হয় নির্বাসিত। কপাল ভালো থাকলে আশ্রয় হয় অন্য ছেলের বাড়িতে, নতুবা বৃদ্ধাশ্রমে। আর কপাল খারাপ থাকলে হয় স্টোররুমে কাজের মেয়েদের সাথে।
কেন আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা দেখা যায় ঘরে ঘরে? ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ.......... এগুলো আমাদের কাহিনী। তাহলে পশ্চিমা বিশ্বে কেন ঘটে না এমন কিছু? ইন্টিমেট পার্টনার দ্বারা ডমিস্টিক ভায়োলেন্স এখানে খুব কমন কিন্তু বউ শাশুড়ি/ননদ এর যুদ্ধ তেমন শুনিনি। কেন আমাদের দেশে কমন আর পশ্চিমা বিশ্বে আনকমন? কারনগুলো আমার মতে;
- এখানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বা individualism এ বিশ্বাসী। বাব-মা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী.... কেউ কারো ধার ধারে না। যার যার জীবন তার তার। নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব একান্তই নিজের। এরা "নিজে বাঁচলে বাপের নাম" এ বিশ্বাসী। যার কারনে ছেলের সংসারে এরা থাকেও না, নাক ও গলায় না। তাই তাদের মাঝে কোন কনফ্লিক্ট নেই।
- সন্তানদেরকে সম্পদ ভাবা। যেহেতু আমরা জীবন দিয়ে বাচ্চাদেরকে মানুষ করি, তাদের জন্য পুরো জীবন সেক্রিফাইস করি তাই তাদেরকে আমাদের সম্পত্তি ভাবি। বা বলা যায় সন্তানদেরকে আমরা আমাদের ভবিষ্যত বিনিয়োগ ভাবি। আমরা ভেবে নেই ওদের জীবন গড়ে শেষ বয়সে পায়ের উপর পা তুলে ওদের সংসারে বাকি জীবন কাটিয়ে দিবো। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে সন্তানদের পিছনে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়ার নজির খুব কম। যার কারনে কনফ্লিক্টও নেই।
- ক্ষমতার দ্বন্দ: ছেলের সংসারে যখন বউ আসে তখন পুরো পরিবার তাকে প্রতিপক্ষ মনে করে। মা মনে করে ছেলের বউকে প্রথম থেকে টাইটে না রাখলে সে সংসারে কর্ত্রী হয়ে তাকেই লাথি দিবে। সারাক্ষনই ক্ষমতার হারানোর আশংকা থেকে যুদ্ধ শুরু করে। আবার ছেলের বউও ভাবে, বহুততো ছেলের উপর ছড়ি ঘুরাইছো, এবার ক্ষ্যামা দাও এখন আমার পালা। তাই শুরু হয় দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ।
- সন্তানদের সংসারে নাক গলানো: আমাদের বাবা-মা মনে করে সন্তানদের সংসারে নাক গলানো তাদের অধিকার। আমরাই তোর জন্ম দিয়েছি তাই তোর সবচেয়ে ভালো আমরাই চাই। এই ভালো চাওয়া চাওয়ি এর চাপ থেকে শুরু হয় সব বিষয়ে নাক গলানো আর বিভিন্ন মহলে দ্বন্দ। তারপর সে দ্বন্দে সামিল হয় ভাই বোন খালা বোনের বান্ধবী................। কেউই কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে অন্তত অন্যের সংসারে কেউ নাক গলায় না তাই কনফ্লিক্টও হয় না।
- ব্যালেন্সিং এ ব্যার্থতা: যেহেতু সংসারে ছেলেকে ঘিরেই মা আর বউ এর দ্বন্দ তাই ছেলের বা স্বামীর প্রত্যক্ষ ভূমিকাই মূখ্য। মায়ের স্থান মায়ের, বউ এর স্থান বউ এর, এ দুই সম্পর্কের সীমারেখা তাকেই টানতে হবে। এ দু'টো সম্পর্ককে কোনভাবেই এক পাল্লায় মাপা যাবে না। যত সুন্দরভাবে এ সম্পর্কের ব্যালেন্স সম্ভব তত সুন্দরভাবে জীবন কাটানো সম্ভব। অনেকে এরকম সম্পর্কের দ্বন্দ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু পালালে কি সমস্যার সমাধান হবে? না, কখনই হবে না। সমস্যার সমাধান করতেই হবে সেটা যতই তিক্ত হোক। নতুবা পলাশের মতোই নি:শেষ হতে হবে।
লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আর না বাড়াই। শুধু এতটুকু বলি, একটি মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে নতুন একটি পরিবারে বউ আসে। তাকে আপন করে নেয়ার দায়িত্ব সে পরিবারের। আমি এতটুকু অন্তত বুঝি, ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যায়। একটি পরিবারে মা যদি তার "মা" এর স্থান থেকে ছেলের বউকে পরিবারের একজন মনে করে কাছে টেনে নেয় সে বউটি কখনই সে মা'কে দূরে ঠেলে দিতে পারে না। কিছু ব্যাতিক্রম হয়তো আছে কিন্তু বেশীরভাগেই দেখেছি কনফ্লিক্টটা শুরু হয় যখন ছেলের বউকে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে শাশুড়ি।
ভালো থাকুক ওপারে পলাশ সাহা। ভালো থাকুক মা ও ছোট্ট বউটি।
সোহানী
কানাডা
মে ২০২৫
UN 2024 Repot
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
সোহানী বলেছেন: এক্সাক্টলি। আমরা আমাদের অবস্থান ভুলে যাই। তাই সবখানেই নিজের নাকটা গলানোর চেস্টা করি, নিজের গুড়ুত্ব জাহির করার চেস্টা করি। বুঝতে চাই না আমাদের গুড়ুত্ব আদৈা সেখানে আছে কিনা। যেমন এখানে, নতুন সংসারে একটি ছেলে মেয়ে তাদের প্রাইভেসি চাইবেই, সময় কাটাতে চাইবে, একসাথে ভালোবাসতে চাইবে। সেখানে শাশুড়ি যদি সারাক্ষন মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে এটা কিভাবে একটা মেয়ে সহ্য করবে? মেয়েটার ধৈর্যের শেষ সীমানা পর্যন্ত এ মহিলা টেনে নিয়ে গেছে। যার কারনে ছেলেটাই মেনে নিতে পারেনি। নিরবে চলে গেছে। হযতো ছেলেটি মেয়েটিকে অনেক ভালোবাসতো, তাকে হারাতে চায়নি।
২| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: কে দোষী মা না বউ? এটা খোজ করা এখন বোকামি।
কেউ শখ করে আত্মহত্যা করে না। প্রতিটা আত্মহত্যাই আসলে হত্যা।
অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
দায়ী যদি কাউকে করতে হয়, তাহলে দায়ী করতে হবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
সোহানী বলেছেন: সেটা বলেছি তবে সবারই সংযত হওয়া উচিত। মা, বউ বা ছেলে।
৩| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সমাজ-টমাজ কিছু না, সমস্যা ছেলেটার। প্রথমত, আত্মহত্যা করে সে সম্পর্কের জটিলতা না কাটিয়ে সহজ সমাধান হিসেবে নিজের প্রস্থানকেই বেছে নিয়েছে, সেই সাথে নিজের পরাজয়ও। দ্বিতীয়ত, সম্পর্কগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ছেলেটা মা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আলাদা করে সীমারেখা দাঁড় করাতে পারে নি বা ব্যর্থ হয়েছে। আমি মনে করি এ ব্যর্থতার দায়ও তারই। মা এবং স্ত্রী আমারও আছে তাদেরকে নিজ নিজ আসন আর স্থান বুঝিয়ে দিলে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কোন কারণ নেই। তবে তেমনটা করতে না পারার দায়বদ্ধতা নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকেই নিতে হবে। ধন্যবাদ।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০০
সোহানী বলেছেন: সহমত।
তবে কি জানেন অনেক ছেলেই তা পারে না। মা-বাবার সামনে চোখ রেখে কথা বরতে পারে না। কারন আমরা সবসময়ই চাই ছেলে থাকবে আমার অধীনস্থ, যা বলবো তাই শুনবে এর বাইরে এক পাও ফেলতে পারবে না। হয়তো পলাশ তাই ছিল। মায়ের উপর কথা বলার মতো সাহস তার ছিল না কখনই। আবার বউকে ছাড়তে পারছিল না মায়ের কথা মতো। সে মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়েছিল ও এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
৪| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
শায়মা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় দোষী অবশ্যই শ্বাশুড়িটা। তার কথা বার্তা অন্যান্যদের থেকে জানা কর্মকান্ড সব কিছুই মনে সন্দেহ জাগায় সে কত বড় অন্যায় করেছে বৌটার সাথে এবং একই সাথে ছেলের সাথেও নিজের অজান্তে হলেও। ছেলের মৃত্যুর পর মনে হয় শান্তি পেয়েছে বৌকে তার হাসব্যান্ডকে হারাতে হলো এটা ভেবেই।
কষ্ট লাগছে বৌটার কথা ভেবে। এত টুকু মেয়ের আর কত বুদ্ধি হবে? ভুল করলেও সেটার হয়ত সমাধান ছিলো কিন্তু এই তিন চার গুন বয়সী শ্বাশুড়িআম্মা কেমনে এমন সব শয়তানী করে এদের সাথে!
যাইহোক মায়ের এই রকম কুটিল মনোবৃত্তির শিকার হলো ছেলেটা।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০৩
সোহানী বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়েছে। এ মহিলার যে সব ভিডিও দেখেছি তাতে ছেলের প্রতি কোন শোক দেখিনি শুধু বউ এর প্রতি বিষোধকার দেখেছি। এ মহিলারই সমস্যা। এতটুকু একটা মেয়ে তাকে মহিলা কি যন্ত্রনা দিয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে্
এরকম কষ্টের জীবন আমাদের দেশের একটা বড় অংশ মেয়েদের। আইন রাস্ট্র ঠিক না হলে এর থেকে কোনভাবেই পরিত্রাণ নেই।
৫| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
নতুন বলেছেন: আত্নহত্যা অবশ্যই কাপুরুষের কাজ। পালিয়ে যাওয়া বিপদ থেকে।
মা এবং স্ত্রী দুজনকেই মেনেজ করতে হবে। তার জন্য যেটা করা দরকার সেটা করতে হবে।
তার উচিত ছিলো ভালো কারুর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া নতুবা প্রফেসনালদের কাছ থেকে কাউন্সিলিং করা।
বিয়ের পরে এই সমস্যায় সবাই কম বেশি পরে। সেটা সামলেনিতে হয়।
আত্নহত্যা সমাধান না। যাস্ট সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া্ ।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০৫
সোহানী বলেছেন: আত্নহত্যা সমাধান না। যাস্ট সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া্ ।
ঠিক এটাই কথা। তবে আমরা কোনভাবেই ছাড় দিতে রাজি নই, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা রাজি নই, ব্যালেন্স করতে রাজি নই। বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার। তাইতো শেষ পর্যন্ত তালগাছটাই কেটে ফেলতে হয়।
৬| ১০ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গাধা ছেলে!
আত্ন হত্যা কোন সমাধান হতে পারে না।
বোকা ছেলে।
নিজে মরলি।
কিছুই থেমে থাকবে না।
সবই ঠিক মতো চলবে।
কেবল তুই থাকবি না।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০৬
সোহানী বলেছেন: এক্সাক্টলি। গাধা বলেই মরছে। আরে গাধা আমি মরলে কার কি। দুনিয়া দুনিয়ার মতই চলবে, কোথাও থেমে থাকবে না। মাধখান থেকে তুই মরলি।
৭| ১০ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি মনে করি আমাদের উপমহাদেশের নারীদের মানসিক গঠনের বিরাট ত্রুটির কারণেই এরকম পরিস্থিতি তৈরী হয়। আমার খুব কাছ থেকে দেখা দুটি ঘটনা এরকম: (১) যৌথ ফ্যামিলির বউ গোসল করতে যায় তার ঘর তালা মেরে, (২) ছেলের ঘরের এসি নষ্ট ছিলো, সে নতুন এসি কিনলে মা কান্না করে বুক ভাসালো, অথচ মায়ের ঘরে কিন্তু সচল এসি ঠিকই রয়েছে। এসব কারণেই আমাদের এসব অঞ্চলে বলা হয়, মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু। স্ত্রী-মা-বোন এদের মানসিক যন্ত্রণায় পিষ্ট হয়ে অনেকেই মানসিক সে চাপ নিতে পারে না। মানুষ হিসেবে আমাদের সবার মানসিক গঠনও এক রকম নয়। আর এই কারণেই পলাশের ঘটনার মত ঘটনা ঘটে। যে পর্যন্ত আমাদের সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন না আসবে, সে পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বউ শাশুড়ি'র মনস্তাত্ত্বিক বিষয়কে উপজীব্য করে নির্মিত "মুখার্জি দা'র বউ" সিনেমাটা সময় পেলে দেখার অনুরোধ রইলো।
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২২
সোহানী বলেছেন: তবে আমি সমাজ, রাস্ট্র, আইনকেও পাশাপাশি দায়ী করবো।
যেমন ধরো কানাডার কথা,
১) একটা ১৮ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
২) মেয়েটা নিজের ইচ্ছেই বিয়ে করবে, তার পছন্দে। সেখানে বাবা-মায়ের ভূমিকা নেই।
৩) মা-বাবা বিয়ের পর ছেলের সাথে থাকে না। কারন সে শিক্ষিত, তার নিজস্ব জীবন আছে। এখানে শাশুড়ি যদি আবার বিয়ে করে নিজের সংসার গড়তো তাহলে ছেলের উপর স্টিমরোলার চালাতো না।
৪) আইন রাস্ট্র বরাবরেই মেয়েদের পক্ষে তাই শাশুড়ি বা স্বামীর অত্যাচারের সুযোগ নেই।
যাহোক, পুরো বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এরকম পলাশ অসংখ্য আছে। তারা বেঁচে থাকুক সুখে।
বাংলা মুভি কম দেখা হয় কারন ভিন্ন লাইন এড করতে হয়। তারউপর ব্যাস্ততা। নেটফ্লিক্সই দেখার সময় পাই না। তারপরও দেখবো।
৮| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২২
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাবা যায় এই যুগে পলাশ সাহার মতো কোন পুরুষ সুইসাইড করে ? যেখানে প্রায় দেখা যায় বেশিভাগ পুরুষ পরকীয়ায় আসক্ত ।
আমি ভাবছি কতটা সহজ সরল ভদ্র এবং বোকা হলে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ।
বউয়ের তো সংসার করার মতো বয়সই হয়নি কিন্তু শাশুড়ি যিনি হচ্ছেন ভয়ংকর
টাইপের মানুষ । উনার ইচ্ছে ছিলো , ছেলেকে ডিভোর্স করিয়ে আরেকটা বিয়ে করাবেন । ঘটনাটা উল্টে গেছে পলাশ চরিত্রহীন পুরুষ নয় বলে মায়ের কথা মতো বউকে ত্যাগ করতে পারেনি নিজেকেই শেষ করে দিলো
১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৭
সোহানী বলেছেন: সাধারনত মেয়েরাই মরে বা ভুগে কিন্তু এক্ষেত্রে ছেলেটা মরেছে।
যাহোক, নতুন কিছু যোগ হয়েছে এ মৃত্যুতে। পলাশ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছিল এবং তাতে সে নাকি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। সে নাকি 'র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল। কতটুকু সত্য মিথ্যে জানি না। ফ্রি অনলাইনের যুগে যার যা খুশী পোস্ট করে। সত্য মিথ্যা বের করা দূরহ।
৯| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৫৯
ইয়া আমিন বলেছেন: তোমার লেখাটি একেবারেই হৃদয়ছোঁয়া, সংবেদনশীল এবং বাস্তবধর্মী।
"একটি সম্পর্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয় সম্পর্কের সীমারেখা ঠিক রাখা—তুমি সেটা অত্যন্ত সহজভাবে কিন্তু গভীর উপলব্ধির সঙ্গে তুলে ধরেছো। মা-বউ সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝখানে ছেলের দায়, দায়িত্ব আর ভূমিকা নিয়ে তুমি যা বলেছো, তা সত্যি চিন্তার খোরাক। ভালোবাসা, গ্রহণযোগ্যতা আর সম্মান—এই তিনটি যদি একত্রে থাকে, তবে পরিবারও থাকে একত্রে। পলাশ সাহার গল্পটি অনেকেরই মনের গভীরে দাগ কাটছে।"
১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমরা সম্পর্কের সীমারেখা বুঝতে পারিনা। আর তাই আমাদের সব সম্পর্ক এক সময় দূ:সহ সম্পর্কে পরনিত হয়।
১০| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানার জন্য।
১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৯
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, আপা, আপনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু, বাস্তবতা হলো ভারতীয় উপমহাদেশে আমরা প্রায় সবাই একই। একজন নারী তিনি মহীয়সী মা, স্ত্রী, শাশুড়ী, দাদী, নানী, চাচী, খালা, ফুফু, মামী, কণ্যা, ননদ, ঝাঁ, বান্দবী, কুটনি প্রতিবেশি সব রুপেই রয়েছেন। যদি তাঁরা তাদের সকল রুপ এবং তাদের অবস্থা বুঝতে পারে তাহলে এতোসব ঘটনা ঘটতো না। এই একজন মা যখন শাশুড়ী হয়ে যান তিনি তার মায়ের চরিত্র ভুলে যান। ওই একই মেয়ে যখন কারো পুত্রবধু হয়ে যান তখন তিনিও ভুলে যান তিনি অন্য কোন ছেলের মায়ের সাথে কীভাবে ডিল করতে হবে। এভাবেই নানা জঠিলতার আবর্তে সব গুলিয়ে যায়। তৈরি হয় নানা অন্তর্ঘাত! যার পরিণতি অপঘাত, অপমৃত্যু!