নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সেই এফ-১৬

১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৪





শর্ত ছিল, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্যই ব্যবহার করা যাবে। পাক বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলির উপর নিয়মিত নজরদারির বন্দোবস্তও ছিল চুক্তিতে। কিন্তু তা ফাঁকি দিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে পাক বিমানবাহিনী ওই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।

ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ ‘এন্ড ইউজ় মনিটরিং’ চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা তিন দশক আগে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নততর সংস্করণগুলি পাকিস্তানকে দিয়েছিল মূলত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্যবহারের জন্য। মূলত আফগানিস্তানের প্রেক্ষাপটে। অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছাড়া ওই বিমান ব্যবহারের অনুমোদন ইসলামাবাদের নেই। যদি পাকিস্তান এই শর্ত ভঙ্গ করে, তবে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি বাতিল হতে পারে। এমনকি, নিষেধাজ্ঞার খাঁড়াও নেমে আসতে পারে ইসলামাবাদের উপর।যদিও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ভারতীয় বিমান হামলার প্রেক্ষিতে অভিযোগ উঠেছিল, পাকিস্তান এফ-১৬ ব্যবহার করে ভারতে আঘাত হেনেছে। যদিও সে সময় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নীরব ছিল আমেরিকা। তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তা লঙ্ঘন করলেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করে পারবে না ওয়াশিংটন। প্রসঙ্গত, আশির দশকের মধ্যপর্বে প্রথম এফ-১৬ পাকিস্তানকে দিয়েছিল আমেরিকা। আফগানিস্তানে তখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সোভিয়েত ফৌজ। বন্ধুরাষ্ট্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল পেন্টাগন। তৎকালীন পাক সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউল হক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন।

এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ছিল মার্কিন সংস্থা জেনারেল ডায়নামিক্স। পরবর্তী সময়ে ওই যুদ্ধবিমানের উন্নততর সংস্করণ নির্মাণের দায়িত্ব পায় আর এক মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের জমানায় উন্নততর এফ-১৬ পাওয়ার লক্ষ্যে এবং হাতে থাকা যুদ্ধবিমানগুলির আধুনিকীকরণের জন্য ‘এন্ড ইউজ় মনিটরিং’ চুক্তি করেছিল ইসলামাবাদ। এর পরে বারাক ওবামার জমানায় পাকিস্তানকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ২০২২ সালে জো বাইডেনের সরকার সেই যুদ্ধবিমানগুলির দ্বিতীয় দফার আধুনিকীকরণের ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করেছিল। সে সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন কী? ওই এফ-১৬ কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান কিনছে, তা গোটা বিশ্ব জানে।’’ সেই আশঙ্কা সত্যি হল বুধবার।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

কাঁউটাল বলেছেন: পাকিস্তান এখন আর এফ-১৬ বিমানের উপর নির্ভরশীল নয়। তাদের আরও উন্নত বিকল্প আছে।

১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: এফ ১৬ যখন দেয় তখন শর্ত ছিল ব্যাবহার না করার । সময় পেরিয়ে গেছে কিন্তু শর্ত রয়ে গেছে ।

২| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

কথামৃত বলেছেন: যুদ্ধে সব কিছু ন্যায্য। IMF পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার নাকি ফ্রী তে দিচ্ছে?

১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এই খবরটা এখনো পাইনি ।

৩| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

কথামৃত বলেছেন: Click This Link

এইখানে দেখে নিতে পারেন।

১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: থ্যাংক ইউ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.