নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সদগুন বহু মূল্য পাথরের মতো। যার সৌন্দর্য সর্বাপেক্ষা পরিষ্ফুটিত হয় তখন, যখন সহজ ো অনাভরণ রেখে অপর কোন কিছুতে বসানো হয়। যে দেহ চারূ অথচ বলিষ্ঠ সেই দেহের অধীকারী মানুষ সদগুনের অধিকারী হলে তাকে সর্বাপেক্ষা সুন্দর বলা চলে। সেখানে সদগুনের বর্তমান তা সম্ভ্রম পূর্ণ, শুধু মাত্র একটি চারিত্রীক বৈশিষ্ট্য নয়। দৈহিক সৌন্দর্য এবং সদগুন এ দুইয়ের পাশাপাশি অবস্থান কদাচিত দেখা যায়। যদি তা না হতো তাহলে বোধ হয় বলা যেত যে প্রকৃতি উৎকর্ষ সৃষ্টির কাজে শ্রম স্বিকার করার চে সৃষ্টিতে যেন ভুল না হয় সেই দিকে বেশি নজর দিয়েছেন। সে জন্যেই বোধ হয় দেখা যায় যে সুন্দর এবং সুপুরুষ হলেই মানুষ উন্নত মনের অধিকারী হয়না। বরং তারা অপরের সদগুনাবলির বিচার না করে নিজের কাজের বিচার করে থাকেন। কিন্তু এ কথাও আবার সর্বক্ষেত্রে সমান প্রযোজ্য নয়। কারন অগাস্টাস সিজার, টাইটাস ভেসপাসিয়ান, ফ্রান্সের ফিলিপ লে বেল, ইংল্যান্ডের চতুর্থ এডওয়ার্ড, এথেন্সের এলসিবিয়াডিস, পারস্যের সূফী ইসমাইল এরা সবাই মহৎ এবং উন্নত মনের ছিলেন পাশাপাশি তাদের সমকালীন দের মাঝে সর্বাপেক্ষা সুন্দর ছিলেন।
সৌন্দর্যের বিচারে বর্ণের আগে আসে অংগ সৌন্দর্যের কথা এবং অংগ সৌন্দর্যের আগে আসে বাচন ভংগীর কথা। এ সৌন্দর্য হলো সকল সৌন্দর্যের সেরা সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য প্রকৃতিতে ধরা পরেনা এবং প্রথমে নজরেও আসেনা।
সত্যিকার অর্থে সৌন্দর্য মাত্রেই বিভিন্ন গুনের অসম প্রকাশের সাক্ষাত মিলে। প্রসংগক্রমে এপলস ও এলবারট ডিওরারের কথা মনে পরে। এদের মধ্যে কে বেশি সূক্ষ্মতা সন্ধানী ছিলেন বলা কঠিন। একজন জ্যামিতিক পরিমাপে তার সৌন্দর্যের আদর্শকে প্রাণ দিতে চেষ্টা করেছেন, অপর জন বিভিন্ন সুন্দর মুখের পর্যবেক্ষণ থেকে অনন্য সুন্দর একটু মুখাবয়ব অংকনের চেষ্টা করেছেন। এইসব চিত্র চিত্রকর ব্যাতিত আর কারো মনঃপুত হবে বলে মনে হয়না। অবশ্য আমি বলবোনা যে, যে শিল্পি এমন সুন্দর মুখচ্ছবি সৃষ্টি করতে পারবেন না যা বাস্তবে কখন ও দেখা যায় নাই। তবে শুধু শিল্পির শ্রম সাধনার ফলে বা ভালো অংকন ক্ষমতার ফলে তা হয় নাই। অদৃষ্ট ও লাগে। ঠিক যেমন গায়কের সুর সৌন্দর্য সৃষ্টি কোন নিয়মের অধীন নয়। বিশেষ কোন শিল্পি অনেক মুখ পরীক্ষা করতে গিয়ে কোনটাই হয়তো সম্পূর্ণ মনোমত গাইবেন না কিন্তু সব কয়টির সুন্দর অংশ গুলোতে অবশ্যই একটি গ্রহন যোগ্য মুখচ্ছবি তার শিল্পি চোখে ধরা পরবে।
সুন্দর আচার ব্যাবহার যদি সৌন্দর্যের প্রধান অংগ হয় তাহলে তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বয়স হলে মানুষ সুন্দরতর হয়। কথায় বলে সুন্দর জিনিস তার শরতেও সুন্দর দেখায়। যৌবনকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে তার সৌন্দর্য সহজে গ্রহন যোগ্য হবে। তা না হলে তার বয়স এগিয়ে চলার সাথে যৌবন সুলভ অতিশয় ভাব ফলে তার উপর ম্লানতার ছাপ পড়বেই। যৌবনের সৌন্দর্য গ্রিষ্মকালের ফলের ন্যায়। সল্প কালেই নষ্ট হতে শুরু করে এবং স্তায়ী হয়না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সৌন্দর্য যৌবনে ইন্দ্রিয়াসক্তির কারন এবং পরিনত বয়সে লজ্জার কারন। কিন্তু এই সাধারন নিয়মের ব্যাতিক্রম গুনবান মানুষের গুনকে উজ্জলতর করে এবং অসংগত আচরণকারী দের লজ্জার কারন হয়ে থাকে।
# অগাস্টাস সিজার, টাইটাস ভেসপাসিয়ান, ফ্রান্সের ফিলিপ লে বেল, ইংল্যান্ডের চতুর্থ এডওয়ার্ড, এথেন্সের এলসিবিয়াডিস, পারস্যের সূফী ইসমাইল উনারা সবাই যার যার কালে ও দেশে রাজা ছিলেন।
# সমালোচকদের মতে বেকন এখানে গ্রীক শিল্পি Zeuxis এর কথা বলতে নাম ভুল করেছেন। Zeuxis তার দেশের পাচটি সেরা সুন্দরীকে এনে যার যে অংগ সবচেয়ে বেশি সুন্দর সে অংগের অনুকরণে এক অপরূপ নারী অবয়ব সৃষ্টি করেছিলেন।
©somewhere in net ltd.