![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিষয়টি তথাকথিত সুশীল মহলে বেশ আলোচিত বার্তা। অবশ্য সুশীলদের কাছে আড্ডার বিষয়বস্তু হিসাবে এর কদর থাকাটাই স্বাভাবিক। দু-চারটা বুলি আউড়ানোর মধ্য দিয়ে এক্ষেত্রে নিজের সুশীলত্ব প্রমাণের চেষ্টা করে যেতেই পারে। ইহা একজন চুষিলের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পরে।
সেদিন মহিউদ্দিন খান আলমগীর সাহেব সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনকারীদের কাপুরুষ বলে আখ্যা দিয়েছেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং তার দলের ভূমিকা আসলে অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। এখনও পর্যন্ত একজন আসামি ধরা পড়েছে বলে আমার জানা নেই। প্রতিমা ভাঙচুর, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, হিন্দু নারীদের ধর্ষণের মতো ব্যাপারগুলোকে কিছুদিনের মধ্যেই যে সরকার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেবে তা মোটামুটি ঠাওর করা যেতে পারে। জামাত-শিবিরের কর্মকাণ্ড প্রশ্রয়ের মধ্যমে তারা প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসবাদকে আসলে সাধারন মানুষের দৃষ্টি সীমায় আনার চেষ্টায় মত্ত। দুঃখজনকভাবে বিষয়টি থেকে তারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সরি ফায়দা লোটা তো আবার হালের রাজনৈতিক অধিকার। মারা খা তোরা হিন্দুর দল।
আমাদের দেশনেত্রী বেগম জিয়া নির্যাতন শুরুর ৪-৫ দিনের মাথায় এ বিষয়ে আনষ্ঠানিক বিবৃতি দেন। এসময় তিনি নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান। যাই হোক মশকরা করা ম্যাডামের রাজনতিক অধিকারের। শাহাবাগের আন্দোলনের পর থেকেই তার দলের নেতাকর্মীদের বিকারগ্রস্থ আচারণকে আকারগ্রস্থ করতেই হয়তো তার এই মশকরা। যাই হোক মারা খা তোরা হিন্দুর দল।
এরশাদ সাহেবও দেখলাম এই নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বয়স এবং হালে নারীসঙ্গের অভাব থেকেই বোধহয় তিনি বাবরি মসজিদ কে ইস্যু করে সে সময় তার নোংরা অবস্থান ভুলে গেছেন। সরি ভুলে যাওয়া বিষয়টাও আবার রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। আবারও মারা খা তোরা হিন্দুর দল।
ইদানিং জামাত-শিবিরের বিষয়ে যেকোনো কথা বলতে হিম্মত লাগে। না না শিবির সমর্থকগণ আপনারা পিছু হটবেন না। দেশের অনেক হিন্দুতো এখনও নির্যাতনের আওতাভুক্ত হয় নি। অনেক মন্দিরও তো এখনো আপনাদের হাতের স্পর্শ পায়নি। এগুলো নির্যাতনের আউতাভুক্ত করা তো আপনাদের মউদুদি দায়িত্ব।সাথে গনিমতের মাল হিসাবে হিন্দু নারী চেখে দেখা যেতে পারে। হিন্দুদের এদেশ থেকে বিলুপ্ত করার ইমানি দায়িত্ব যে এখন আপনাদের কাঁধে। এবার হিন্দুর দল মারা খাবেই। মউদুদিবাদ যে বৃথা যেতে পারে না।
আসলে মন্দিরের ভাঙা মূর্তিগুলোর মতোই আজ ভঙ্গুর নির্যাতিতের অনুভূতি। একজন হিন্দু সংখ্যালঘু হিসাবে আমিও এই অনুভূতির বাহক। স্বজন হারানোর পর অশ্রুসিক্ত নয়নে বলতে শোনা যায়,আর কেউ যেন আমার মতো সন্তান/ভাই/বোন/পিতা/মাতা হারা না হয়। আর এক্ষেত্রে জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী হিন্দুদের ভাষ্য হবে একটাই,"সংখ্যালঘু হয়ে কাউকে যেনো এদেশে জন্মাতে না হয়।"
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৮
অমিতাভ সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৯
রেফাত বিন শফিক বলেছেন: জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী হিন্দুদের ভাষ্য হবে একটাই,"সংখ্যালঘু হয়ে কাউকে যেনো এদেশে জন্মাতে না হয়।" (য়)
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১২
অসীম নীল বলেছেন: ভাল লিখিয়াছ সাহা সাহেব