![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আনন্দধারা। লিখতে ভালবাসি। ভালবাসি অনলাইনে ঘুরে বেড়াতে।
আমাদের বর্তমান প্রজন্ম তিনটা বিশেষ ধরনের রোগে তীব্র ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে !
প্রথম রোগের আক্রান্তদের বেশিরভাগ হচ্ছে মেয়েরা, রোগের নাম - পুৎ-ফেস সেলফী, সিনড্রোমঃ নিঃশ্বাস বন্ধ করে মুখ দিয়ে পুৎ শব্দ করার মুহূর্তে সেলফী তুলে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে দিনে ৪০-৫০টা ছবি আপ্লোডায় এই রোগে আক্রান্ত রোগী। এই কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, পাত্র পক্ষ এদের দেখতে আসলে ওই সময় যদি তারা এই পুৎ-ফেস করে পোজ দেয় তবে পাত্র সমেত বাকিরাও খিঁচে দৌড় দিবে। (যাহারা বিবাহ সম্বন্ধ ভেঙ্গে দিতে চান তারা এই পদ্দতি এপ্লাই করতে পারেন)
দ্বিতীয় রোগে বেশি আক্রান্ত হয় ছেলেরা, এরা যেমনে পারে একটা ক্যামেরা আর কয়েকটা ল্যান্স কিনে ফেসবুকে অমুক ফুটোগ্রাফি নাম দিয়ে একখানা পেজ খুজে সমানে যারে সামনে পায় তারে, সামনে কাওরে না পাইলে ইনভাইট কইরা এনে ফটু খিঁচা শুরু করে।
তৃতীয় ধরনের রোগ হচ্ছে হ্যাকিং রোগ। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় রোগাক্রান্তরা ১৯৭১ সালের সেই বিখ্যাত ভাষণের "তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়" নির্দেশ শুনে ক্যামেরা, লেন্স, ল্যাম্পটপ নিয়া ঝাপায়া পড়সে এদিক ওইদিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা বিখ্যাত হতে চায় আমজনতার কাছে, যাদের বিহাইন্ড দা সীন আসলে কি হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারনা নাই। কোন ভালো ফটোগ্রাফার বা লীট হ্যাকারেরা খুব সহজেই এদের জারিজুরি ধরে ফেলে।
আমি উপরের দুইটার কোনোটাই না, তবে আশেপাশের কয়েকজনকে দেখে এইটুক অন্তত বলতে পারি যে যদি ফটোগ্রাফার হইতে চাও তবে চেস্টা কর বড় বড় ফটোগ্রাফাররা যাতে তোমাকে কেয়ার করে, তুমি বিখ্যাত হলে তাদের কাছে বিখ্যাত হও, আমজনতার কাছে বিখ্যাত হয়ে লাভ নাই, আমজনতা স্কিল বুঝবেনা, একই কথা হ্যাকারদের ক্ষেত্রেও, যদি বিখ্যাত হতে চাও তবে লীটদের কাছেই বিখ্যাত হও, আমজনতার কাছে না, তবেই বুঝা যাবে তুমি স্কীল্ড।
আর পুত-ফেস সেলফী-আক্রান্তদের বলার কিছুই নাই, ওই রোগের ওষুধ নাই। মোবাইলটা আছাড় দিয়া ভাইঙ্গা হাত দুইটা পিছ-মোড়া দিয়া টানা এক সপ্তাহ বেধে রাখলে এই রোগের প্রকোপ কিছুটা কমে আসতে পারে.....
©somewhere in net ltd.