নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্রোধে বিস্ফোরিত বিপ্লবী আগ্নেয়গিরি উর্ধ্বমুখী, ধ্বংস? সে নিজেও হতে জানে!

এনাম আহমেদ

ক্রোধে বিস্ফোরিত বিপ্লবী আগ্নেয়গিরি উর্ধ্বমুখী, ধ্বংস? সে নিজেও হতে জানে!

এনাম আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতদূর যাবো

১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৪০

এনাম আহমেদ


অচেনা পরিবেশ। একজন হন্যে হয়ে খুঁজছিল। আমি কাদামাখা পথে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সামনে একটা নদী ছিল নালার মতন। আর পেছনে লোকটি। কোথায় যাবো জানি না। নদীতে তখন কিছু মানুষ পাট ভেজাচ্ছিল। আবার কেউ কেউ (তারা নারী ছিল) বড় গোল বাঁশের ডালার মতো বস্তুতে চেপে পানিতে ভেসে যাচ্ছিল। পানির সামনে দাঁড়িয়েছিলাম জল তরঙ্গ কানে বাজছিল তখন। কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি কাউকে খুঁজছিলাম। পেছনের লোকটি আমাকে খুঁজছিল। লোকটি জানে সে আমাকে খুঁজছে, কিন্তু আমি জানি না কাকে খুঁজছি। তখন পানিতে একটা সাপ সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছিল মাথা উঁচু করে। নদীর পানি ঘোলা ছিল। ঘামে ভিজে গেছে এমন একটা মহিলার বাঁশের ডালার মতন ঐ বস্তুতে চেপে বসলাম। যেটাতে ভেসে ভেসে কোথায় যাবো জানি না। হয়তো পানির স্রোত যেখানে মিলিয়ে গেছে অথবা যেখানে সবুজ দুর্বাঘাসের আড়ালে সাপ কুন্ডুলি পাকিয়ে বসে আছে। আমি ভাসছি পানিতে। আমাকেও বৈঠার মতন একটা লাঠি দেয়া হয়েছে দ্রুত ভাসায় সহযোগিতার জন্য। এটা আমি চালাতে পারিনা ঠিকঠাক। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। খানেক দুরে যেতেই আমার নাম ধরে কেউ ডাকছিল। ভীষণ মিষ্টি কণ্ঠ। এ কণ্ঠ অনেক শুনেছি। আমার কানে এরকম ডেকে যাওয়া বাজতে থাকে সব সময়। বুঝতে পারছিলাম না কে ডাকছে। তার দিকে তাকিয়ে খুব চিনতে চেষ্টা করলাম, চিনতে পারিনি। আমার ক্ষীণ দৃষ্টি, ক্ষীণ স্মৃতি। একটা গন্ধ সেদিক থেকে ভেসে আসছিল। গন্ধটা আমার মনে পড়লো। আমি হয়তো একেই খুঁজছিলাম। ওর কাছে আমাকে নামিয়ে দেয়া হলো। ঘামে ভেজা মহিলাকে পয়সা দেবো জন্য পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেখি পকেট ফুটো। আমার তখন খুব পেশাব চেপেছিল। আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করেছিলাম। আমি ওর দিকে তাকালাম। যে আমাকে ডাকছিল। খুব কাছে গিয়ে তাকে দেখার চেষ্টা করতেই সে আমার কাধে হাত দিয়ে বসলো। আমি তার হাতে হাত ছোয়ালাম। হ্যাঁ! আমি একেই খুঁজছিলাম। এরপর তার হাত ধরে একটা কাঠের তক্তার মতোন বস্তুতে চেপে পানিতে ভাসতে থাকলাম। কতক্ষণ ভাসলাম তার ঠিক নেই। একটা শুকনো জায়গায় দিয়ে উঠে আমরা হাঁটতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছিলাম বার বার। ওর মুখটা ঝাপসা! তার চেহারা মনে করতে কষ্ট হচ্ছিল।
জায়গাটা বেশ শান্ত নিবিড় সবুজ। পাখি ডাকছিল অনেক। জঙ্গলের মতো এলাকা। খস খস শব্দ করে কি যেন একটা দৌড়ে পালালো। হয়তো শেয়াল হবে। একা একটি শেয়াল মানুষকে দেখলে এভাবেই পালিয়ে যেতে দেখেছি অনেকবার। আর কিছু দূর হাঁটার পর আমরা দু’জনে বুঝলাম আমাদের পায়ের নিচে, চারপাশে সারি সারি কবর। অনেকের কবরে তাদের জন্ম থেকে মৃত্যুর তারিখ লেখা ছিল। কেউ অল্প বয়সে মারা গেছেন। আবার কেউ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বেঁচে ছিলেন। চারপাশ ঘুরে বেড়ানোর পর আমাদের মনে হলো এখানে বসতি গড়া যাবে না। আমরা অন্যত্র যাবো জন্য এগোচ্ছিলাম। তখন গজ কতক দূরে একজন দাড়িয়ে তৃপ্তির হাসি হাসতে শুরু করলো। আমি ওকে চিনতে পারলাম। যমরাজ! যিনি আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিলেন। আমি চিৎকার করে তার উদ্দেশ্যে বললাম, আমি তখন থেকে পালাইনি। কাউকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলাম। যেমনভাবে আপনি আমায় খুঁজছিলেন। আপনি আমাকে এবং আমি তাকে পেয়ে গেছি। আমাদের মাঝে শুধু কয়েক গজ দুরত্ব। আমরা দৌড়াবো না। হেঁটে যাবো স্বাভাবিক গতিতে। পারলে ধরে ফেলুন। আমরা পুনরায় কাঠের তক্তাতে চেপে পানিতে ভাসতে লাগলাম। সরু নদীতে জলের স্রোতটা বেশি ছিল। আমরা কোন দিকে ভেসে যাচ্ছি জানি না। যমরাজ আমাদের পেছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারনত নদীতে পাঠ ভেজায় না। পাট খাল বিলে ভিজায় না। ঠিক ভেজার না। পাট পচতে দেয়।

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

এনাম আহমেদ বলেছেন: সঠিক ধরেছেন, বিপদে না পড়লে মানুষ পাট নদীতে কিংবা খালে বিলে ভেজায় না। তবে আজকাল কিন্তু পাটে জাগ দেওয়ার জায়গার অভাবে চাষীরা ট্রাক কিংবা নছিমনে করে ৩ থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত নদীতে নিয়ে গিয়ে পাট ভেজানোর নজির আছে। আর পাট আসলে পচানোর উদ্দেশ্যে ভেজানো হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য রাজিব নুর। ভাল থাকবেন।

২| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাট ভালো করে না ভিজলে পাট ভালো হয় না।

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০১

এনাম আহমেদ বলেছেন: হু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.