নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যান্ত্রিক সব খোলা চিঠি

অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে যাই, কিন্তু বলা হয়না আরো অনেক বেশী কথা- অনেক আপন মানুষদেরকে। তাইতো, এই খোলা চিঠি। হয়তো কারোর চোখে পরবে কোনদিন, যখন আমি থাকবোনা.....

আনন্দক্ষন

মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।

আনন্দক্ষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবাদের প্রতি অনুরোধ

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৪০

কিছুদিন আগে, এক বন্ধুর পারিবারিক সমস্যা সমাধানের সময় , আমি মেয়ের বাবা- ছেলের বাবা দুজনকেই অনুরোধ করেছিলাম- বিচ্ছেদের জন্য। মেয়ের বাবা আমাকে তাই অনেক কথা শোনালেন, বর্তমান সমাজে ডিভোর্সী মেয়ের কি অবস্থা, তার বোনদের বিয়ের কি সমস্যা ইত্যাদি অনেক বক্তৃতা দিলেন। মনে নিলাম কিন্তু মেনে নিলাম না। বললাম- আংকেল, আজকে আপনার মেয়ে আর ওনার ছেলে যা করছে, তা যদি চলতে থাকে তাহলে খুব বেশিদিন বাকি নেই , আপনারা দুইজনেই সন্তান হারাবেন। হ্যা, তবে সেই দিন- আপনার গলায় থাকবে প্রতিবাদ আর উনার লজ্জা মাখা ভয়।পুলিশের !



তবে আনন্দের যে, আপনাদের সমাজ -আপনাদেরই থাকবে।



হাজারো নাম বলা যাবে- যে মেয়েগুলো কেবল মুখবুজে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে করতে একদিন হ্য় নিজে আত্নহত্যা করে - নতুবা স্বামীর বাড় বাড়তে বাড়তে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় জীবনটাকে। দুঃখটা কেবল একজায়গায়। ওরা সবাই ওদের বাবার কাছে আশ্রয় চায় । সব বাবারই অবগত থাকেন, সকল বিষয়ে, তবু বলেন - সহ্য করে যেতে। কিন্তু বাবা নামক মানুষগুলো যে কেবল জন্মদাতা - সমাজের দাস ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৫৬

আরিয়ানা বলেছেন: যে মেয়েগুলো কেবল মুখবুজে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে করতে একদিন হ্য় নিজে আত্নহত্যা করে - নতুবা স্বামীর বাড় বাড়তে বাড়তে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় জীবনটাকে। দুঃখটা কেবল একজায়গায়। ওরা সবাই ওদের বাবার কাছে আশ্রয় চায়।

এরা নিজেরা কেন ডিসিশন নিতে পারেন না বুঝিনা। নিজের কেন স্বাবলম্বি হতে চান না। আপনি যা বলেছেন খুবই সত্যি।

২৫ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:০৭

আনন্দক্ষন বলেছেন: নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারতো , যদিনা পেছন থেকে - সমাজ তাকে "তাড়া" না করতো। সমাজের ভয়ই হয়তো, কেবল কারোর সহযগিতা চায়।

২| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:০০

আজবছেলে বলেছেন: আমাদের গোড়াতে প্রব্লেম আছে, হয় মেয়দের খুব নরম করে বানানো হয় নয় শক্ত করে(খুবই কম )

২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৮

আনন্দক্ষন বলেছেন: নরম, সুশীল, ব্যক্তিত্ববান, শিক্ষিত মেয়ে..... যত যাই বলুন, সমাজ একটা ছেলেকে যতটা উদার ভাবে প্রশ্রয় দেয়- একটা মেয়ের প্রতি ততটাই কঠোর।তাই তো, মেয়েটা যদি তার পরিবারের সহযোগিতা পাবে , এতোটুকু অন্তত নিশ্চয়তা পেত, তবে যেকটা দিন বাচতো- মাথা উচু করে বাচতো। হয়তো সেই সাহসেই অনেক কিছু জয় করতে পারতো। আর কিছু না হোক, স্বামী দেবতাটি তার আসন সম্পর্কে একটু সচেতন হতো।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৫৯

অসামাজিক লোক বলেছেন: সকাল থেকে আপনার সবগুলো পোস্ট পড়লাম , যাই হোক এইখানে আমার মতামত অনেকের কাছেই আর যাওয়ার কোন জায়গা থাকেনা, যেমন আমি নিজের চোখেই এমন অনেক মহিলাকে দেখেছি যারা চোখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেছে, আশেপাশে কোন অন্য পথ খোলা না দেখে আর অধুনা মেয়েদের বেলায় এটা অনেকটা সত্য না কারণ তাদের কাছে সবসময় অন্য কোন না কোন পথ খোলা থাকে।

২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৯

আনন্দক্ষন বলেছেন: পথ কারো সামনেই কি থাকে? আমরাই কি কারো বানানো পথে হাটি? পথ বানাতে হয়। অন্তত যার বানাবার ইছা থাকে -তাকে বিধাতা হাত বাড়িয়ে দেন।

হ্যা, সত্যই দুঃখ হয় যদিবা সে, গ্রামের অশিক্ষিত- গরীব বাবার মেয়ে হয়- যাকে খাওয়াবার সামর্থও তার বাবার ছিলনা বলেই, তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে ছিল- কিন্তু আজকালের হাল ফ্যাশনের কাপড়ে মোড়া- ইংরেজি বলা মেয়েদের কেন এতটুকু আত্ননির্ভরতা নেই , তাই বোধগম্য নয়।

ধন্যবাদ ! আমার লেখা পড়ার জন্য।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৯

অসামাজিক লোক বলেছেন: আপু সবসময় যুক্তিতর্ক দিয়ে বাস্তবকে অনুভব করা যায়না, অবশ্যই কাছে গেলে দেখা যাবে অবশ্যই কোন না কোন কারণ রয়েছে, তবে আমিতো দেখি আধুনিক মেয়েরা যাদের ভার্সিটি ও অন্যান্যখানে দেখেছি তারাতো অনেক অনেক ক্যারিয়ার সচেতন, আমাদের চেয়ে হাজার গুণে বেশি, তারা আত্মনির্ভরশীল হবেনা এইটা আমার বিশ্বাস হয়না আসলেই ।

২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৯

আনন্দক্ষন বলেছেন: সমস্যা এই জায়গায়। আমরা (একটা মেয়ের অথবা ছেলের ) বাহিরের এই কপট সচেতনতায় সচেতন হই, কিন্তু ভ্রান্ত হই যখন দেখি সে স্বর্নিভর না। পরিবারে আমরা বোন- মেয়েদের এইসব ব্যপার গুলো লক্ষ্য করিনা। কিন্তু বাহিরের একটা ছেলে/মেয়ে নিজের অজান্তেই এই সুযোগটা নেয়, নিজের অজান্তেই সে হারায় তার জীবনসংগীর প্রতি শ্রোদ্ধা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.