![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
খামেনেইকে হত্যা করা ইজরায়েলের অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য : স্পষ্ট করলেন নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মৃত্যু দেশটির জন্য কেবলমাত্র একটি নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রশ্ন নয়—বরং এটি হতে পারে এমন এক ভূমিকম্প, যার কম্পন কেবল তেহরান নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিতে পারে। ইরান নামক রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড হিসেবে যে নামটি গত তিন দশক ধরে শাসনযন্ত্রের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় রাজত্ব করেছে, তার নাম আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ১৯৮৯ সালে খোমেইনির মৃত্যুর পর থেকে এই শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতা রাষ্ট্রক্ষমতার সব কক্ষপথে রাজত্ব করেছেন। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম, এমনকি ইরানের অর্থনৈতিক কাঠামোর গভীরতম স্তর পর্যন্ত তাঁর নজরদারির বাইরে কিছুই ছিল না।
তাঁর মৃত্যু মানে কেবল নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নয়—এটি ইরানের শাসনতান্ত্রিক দর্শনের প্রাণভোমরা “ওয়েলায়াতে ফকিহ” (আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের আধিপত্য) ব্যবস্থার অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম, যারা প্রায়ই পরস্পরবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে অস্থির শিয়াপন্থী আদর্শে বিতৃষ্ণ, তাদের চোখে এই দর্শন এখন শুধুই চাপিয়ে দেওয়া একটি নিপীড়ন কাঠামো। অথচ, এই নেতৃত্বহীন মুহূর্তে খামেনির উত্তরসূরি নির্বাচনের দায়িত্ব যাদের হাতে—তারা 'খবরগান-ই-রাহবারি' নামক ৮৮ জন আলেম, যারা সরাসরি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন, বরং রাজনৈতিকভাবে ছাঁকনিপদ্ধতিতে বাছাই করা। ফলে এই নির্বাচন ধর্মীয় আড়ালে একটি রাজনৈতিক খেলা মাত্র।
অন্যদিকে, ইরানের সবচেয়ে ভয়ংকর শক্তি সম্ভবত সে দেশের সশস্ত্র বাহিনী নয়, বরং Islamic Revolutionary Guard Corps বা IRGC—যাদের জন্ম ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব রক্ষার জন্য হলেও এখন তারাই এক সমান্তরাল রাষ্ট্রের রূপ নিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র, পারমাণবিক প্রযুক্তি, বিদেশে প্রক্সি মিলিশিয়া, কালোবাজার, মুদ্রা পাচার, এমনকি সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত তাদের হাতে। IRGC নিজেই এখন একটি "Deep State"—এমন এক বলয়, যা রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান।
যদি এই IRGC-র মধ্যে ফাটল ধরে—জাতীয়তাবাদী অংশ ও ধর্মীয় আনুগত্যবাদীদের মধ্যে বিভাজন হয়—তবে গোটা ইরানি নিরাপত্তা কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। নিয়মিত সেনাবাহিনী আর্টেশ এবং IRGC মুখোমুখি হতে পারে, যার ফলে দেশে ছড়িয়ে পড়বে গৃহযুদ্ধ। আর এটি ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের মতো হলেও, এবারে রক্তপাত ও ধ্বংস অনেকগুণ ভয়ঙ্কর হতে পারে।
এই সম্ভাব্য শূন্যতার প্রেক্ষাপটে সামনে চলে আসছে নানা গোষ্ঠী, যাদের প্রত্যেকেরই ক্ষমতা দখলের খিদে রয়েছে। একদিকে রয়েছে রক্ষণশীল ধর্মীয় আলেমগণ, যারা কোম ও মাশহাদের মাদ্রাসা-ভিত্তিক ক্ষমতাকাঠামো ধরে রাখতে চান। অন্যদিকে রয়েছে সংস্কারপন্থী ও উদারপন্থী রাজনীতিকেরা, যারা শহরভিত্তিক মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়। আর IRGC-এর ভেতরেই রয়েছে জাতীয়তাবাদী টেকনোক্র্যাটদের একটি অংশ, যারা সামরিক নেতৃত্ব ধরে রেখে বাস্তববাদী অর্থনীতি ও কৌশলগত বোঝাপড়ায় আগ্রহী।
এসবের বাইরে রয়েছে বিস্ফোরণযোগ্য একটি শক্তি—ইরানের জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কুর্দি, বালুচ ও আরব সম্প্রদায় যারা বহুদিন ধরে ইরানি পার্সিয়ান আধিপত্যে নিপীড়িত বোধ করে। তাদের চাহিদা—ভাষাগত অধিকার, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য এবং স্বশাসন। আর এদেরই আশেপাশে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী প্রতিবাদী সিভিল সোসাইটি ও সাধারণ নাগরিক সমাজ, যারা ২০২২ সালের “মহসা আমিনি” আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে—তারা কেবল জীবনধারার স্বাধীনতা নয়, বরং নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষেও প্রস্তুত।
এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সুযোগ নেবে একাধিক বাহ্যিক শক্তি। ইসরায়েল সুযোগ খুঁজবে ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংস করতে। যুক্তরাষ্ট্র চাইবে “রেজিম চেঞ্জ” এবং নিজেদের ভেঙে পড়া প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। সৌদি আরব চাপে রাখবে শিয়া আধিপত্যকে প্রতিহত করতে। তুরস্ক কুর্দি আগুন থেকে নিজ সীমান্ত রক্ষায় আগ্রহী। পাকিস্তান একদিকে বালুচদের বিদ্রোহ দমাতে চাইলেও, অপরদিকে সীমান্ত সংকটে সুযোগ খুঁজবে।
এই বহিরাগত আগ্রাসনের মুখে ইরানের ভিতরেই জ্বলে উঠতে পারে সুপ্ত বিদ্রোহের আগ্নেয়গিরি। কুর্দিস্তানে PJAK, কোমালার মতো গ্রুপ, বালুচিস্তানে জাইশুল আদল, আর খুজেস্তানে ASMLA বা আহওয়াজিয়া বিদ্রোহীরা একযোগে কার্যকর হলে, রাজধানী তেহরানের নিয়ন্ত্রণ শুধু কঠিন নয়—অসম্ভব হয়ে উঠবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অর্থনীতি। IRGC ভেঙে পড়লে ইরানের সবচেয়ে বড় কালোবাজার, তেল পাচার নেটওয়ার্ক, বন্দর-ভিত্তিক দুর্নীতি—সব কিছু উন্মোচিত হবে। রিয়ালের মান ধসবে। ব্যাংকিং সিস্টেম হবে অচল। বাজারে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর বাড়বে চরম চাপ—এবং ইতিহাস বলে, বিপ্লবের পেছনে মধ্যবিত্তদের অসন্তোষই সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি।
এই সমস্ত সম্ভাবনার শেষ পরিণতি কী হতে পারে? বিশ্লেষকরা সম্ভাব্য তিনটি পথ দেখছেন। প্রথমত, একটি গণ-বিদ্রোহ যেটি আরব বসন্তের অনুকরণে শুরু হয়ে সামরিক বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, IRGC বা তাদের জাতীয়তাবাদী অংশ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শক্তি দখল করতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে অস্থায়ী শৃঙ্খলা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বৈরতন্ত্র। আর তৃতীয়ত, একটি ধর্মীয় আপস—নতুন সর্বোচ্চ নেতা ও মৃদু সংস্কারের মাধ্যমে রক্ষণশীল ব্যবস্থা রক্ষার প্রচেষ্টা।
খামেনির মৃত্যুর পরে ইরান কেবল একটি পরবর্তী নেতা নয়, বরং নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব ও রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের নতুন সংজ্ঞা খুঁজবে। এটি শুধু ইরানের আভ্যন্তরীণ বিষয় নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং বৈশ্বিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভারসাম্যের নির্ণায়ক হতে চলেছে।সত্যিকার প্রশ্ন হলো, একটি শিয়া-প্রধান, পার্সিয়ান-জাতীয়তাবাদী এবং বিপ্লবপন্থী রাষ্ট্র—যার অভ্যন্তরে রয়েছে হাজারো বিতর্ক ও বিদ্রোহ—সে কি নিজের অভ্যন্তরীণ জ্বালায় পুড়ে ছারখার হবে, নাকি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে ?
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পশ্চিমা শক্তি যেসব দেশে জোর করে সরকার পরিবর্তন করেছে, সেই দেশগুলোর ভাগ্য বিপর্যয় হয়েছে। তারা ইরানকে সিরিয়ার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চায়। এরপর সেই দেশের সব প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করে পশ্চিমে পাচার করে দেবে।"
২| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
ফারমার২ বলেছেন:
আমেরিকা ইরান দখল করলে, ইরান নতুন এক ইরাক কিংবা আফগানিস্তান হবে। ইসরায়েল এটাই চাচ্ছে।
তবে, ইরান অনেক উন্নতও হয়ে যেতে পারে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইরানের উন্নতি হবে না। গৃহযুদ্ধ হবে। পরিস্থিতি এখনকার চেয়েও খারাপ হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ নয়। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক জ্ঞান ও নেতৃত্ব নেই। উলামারা হাতে অস্ত্র তুলে নেবে।
৩| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আফগানিস্তানে তালেবানদের সরিয়ে যে পশ্চিম-সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেই সরকারের সেনাবাহিনীতে অনেক সদস্য আদর্শগতভাবে তালেবানদের ঘনিষ্ঠ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে গড়ে ওঠা এই বাহিনীর একটি অংশ পরে তালেবানদের সঙ্গেই যুক্ত হয়।
অনুরূপভাবে, ইরানেও খোমেনির বিপ্লব-পরবর্তী আদর্শিক বলয়ের একটি সুসংগঠিত ও গভীর প্রভাব রয়েছে, যা শুধু শাসকগোষ্ঠীতে নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে আছে। সরকার বদলানো গেলেও এই আদর্শের ভিত্তিকে সরানো কঠিন হবে। এর ফলে পশ্চিমা শক্তিগুলো যদি আবার একটি আমদানি-কৃত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে না।
উপরন্তু, ইরান যদি সিরিয়া, লিবিয়া বা ইরাকের মতো নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তাহলে হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে—যা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ এবং অর্থনীতির ওপর বিপর্যয় ডেকে আনবে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারা ইরানকে সিরিয়ার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চায়। এরপর সেই দেশের সব প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করে পশ্চিমে পাচার করে দেবে।"
৪| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
ফারমার২ বলেছেন:
উলামাদের অস্ত্র আছে, মগজ নেই। তবে, মোল্লা সৈনিকেরা তালেবানদের মতো টিকে যাবার সম্ভাবনা আছে
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নানা রকম শঙ্কা।
৫| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
ফারমার২ বলেছেন:
ট্রাম্প সাপোর্ট পাচ্ছে না; আমেরিকানরা ইরান দখলের বিপক্ষে; ওরা চায় যে, বোমা যেন ইরানের হাতে না যায়, এর বাহিরে, ওরা ওদের মতো থাকুক।
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো কথা। আইআরজিসি-কে আমার কাছে রক্ষী বাহিনীর মতো মনে হয়। সেনাবাহিনীকে পাশ কাটিয়ে করা হয়েছে? ইরানের সেনাবাহিনী কি রাজতন্ত্র সমর্থন করতো নাকি ?
৬| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ইরানের সরকার জোরপূর্বক বদলালে দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে—বেলুচ, কুর্দ, আজারবাইজানের মতো অঞ্চলগুলো ভিন্নমত পোষণ করবে। কাগজে এক রাষ্ট্র থাকলেও বাস্তবে বিভক্তি ও অরাজকতা ছড়িয়ে পড়বে, যার প্রভাব পড়বে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চীন ও রাশিয়ার তেল/গ্যাস সরবরাহ বিপদে পড়বে। অংক কষে এগুচ্ছে।"
৭| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসরাইল কখনোই খামেনিকে হত্যা করবে না, হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে হয়তো চাপে রাখতে চাইছে।
তাছাড়া, খামেনিকে হত্যা করলে পুরো বিশ্বের সেন্টিমেন্ট ইসরাইলের বিরুদ্ধ চলে যাবে, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের যে পরিণতি হয়েছিলো, ইসরাইলেরও ঠিক একই পরিণতি হতে পারে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হঠাৎ করে খামেনির জন্য চিন্তা কেন হচ্ছে? বুঝতে পারছেন যে, পশ্চিমার মাধ্যমে রেজিম চেঞ্জ হলে ইরানের ভালো হবে না।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কি জায়োনবাদীদের সমর্থন করেন নাকি?
৮| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
কাঁউটাল বলেছেন:
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সে খুশিতে মেজবানি খাওয়ান।
৯| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কাঁউটাল বলেছেন:
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইরান সব জানিয়ে মুভ করে । তাই ঝামেলায় পড়ে।
১০| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হঠাৎ করে খামেনির জন্য চিন্তা কেন হচ্ছে? বুঝতে পারছেন যে, পশ্চিমার মাধ্যমে রেজিম চেঞ্জ হলে ইরানের ভালো হবে না।
- উনি মাত্র দুদিন আগেও ইসরায়েলের উগ্র আগ্রাসনকে অকপটে সমর্থন দিয়েছেন, দাবি করে যে ইরানের অধিকাংশ মানুষের ‘ভালোর জন্য’ ইসরায়েলই ইরানের সরকার পরিবর্তন করতে চাইছে। অর্থাৎ, উনি স্পষ্টভাবেই ইসরায়েলের নৃশংস হামলাকে ‘সঠিক’ ও ‘ন্যায্য’ বলছেন!
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি মোল্লাতন্ত্র পছন্দ করে না। কিন্তু ভুলে গেছেন যে পশ্চিমা শক্তি কখনও অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে টেনশন করে না। তারা শুধু অজুহাত খোঁজে, যাতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢুকে বসতে পারে। পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে তারা শরণার্থীতে পরিণত করতে চায় ।
১১| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩২
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিনি মোল্লাতন্ত্র পছন্দ করে না।
- উনি ‘মোল্লাতন্ত্র’ পছন্দ করেন না — কিন্তু বাস্তবতা বলছে, তার অপছন্দ শুধু ইসলামিক মোল্লাতন্ত্রের দিকেই সীমাবদ্ধ। কারণ ইসরায়েলের ‘ইহুদি মোল্লাতন্ত্র’ নিয়ে তার কলমে কখনো একটি শব্দও উচ্চারিত হয় না। বরং তিনি চুপচাপ ভালোবাসা বিলিয়ে দেন ঐসব ধর্মীয় চরমপন্থীদের, যাদের হাত ধরে আজকের ইসরায়েল সরকার গঠিত — একটি তথাকথিত 'যুক্তফ্রন্ট', যেখানে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো নেতানিয়াহুর ছাতার নিচে ধর্মীয় রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলেছে।
ইরান আক্রমণের প্রেক্ষাপটে এই ‘ইহুদি মোল্লাদের’ ভূমিকাও কিন্তু কম ভয়ংকর নয়। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, উনি সেই অধ্যায়টুকু বরাবরই পাতার আড়ালে রাখেন! আর কিছু ইসরায়েল-ভক্ত ব্লগার যেন আগেই ঠিক করে রেখেছেন — ইসরায়েল যা-ই করুক, দোষ সব ইরানের মোল্লাদের! মোল্লাতন্ত্রের বিরোধিতা যদি সত্যিই নীতিগত হয়, তবে তা সব ধর্মের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
উনি কেবল ইরানের মোল্লাদের দেখেন, কিন্তু ইসরায়েলের ধর্মীয় চরমপন্থীদের দেখেন না — তার চোখ আছে, কিন্তু ন্যায়ের দৃষ্টি নেই।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উনি কি জায়োনবাদীদের সমর্থন করেন নাকি? তাহলে তো খারাপ।
১২| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫০
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনি কি জায়োনবাদীদের সমর্থন করেন নাকি? তাহলে তো খারাপ।
- তার সাম্প্রতিক পোস্ট আর মন্তব্যগুলো একটু ভালো করে দেখুন—উনি আসলে ক্ষমতাবান যেকোনো ব্যক্তির দলেই থাকেন, আর যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, তারা যতই অন্যায় করুক, উনি তাদের সাফাই গাইবেন। ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে ও পরে তার মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করুন—ক্ষমতার গুণগান শুনতে অবাক হবেন না!
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ওঁনাকে প্রশ্ন করেছি, দেখি কী উত্তর দেয়?"
১৩| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৫
কাঁউটাল বলেছেন:
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো।
১৪| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৬
দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: সঠিক
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সময় করে পড়েছেন শুকরিয়া ।
১৫| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খামোনিকে হত্যা করা হলে শুধু গৃহযুদ্ধে নয়, এটা বিশ্বযুদ্ধে টার্ণ করবে। তাবে খামোনি সরকারের অপসারণ হউক তা আমি চাই কিন্তু তা হত্যার মাধ্যমে নয়।
না, আমি কোন জায়নবাদী মোল্লাতন্ত্র সাপোর্ট করি না, নেতানিয়াহুর ধর্মান্ধতার বিষয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় কমেন্ট করেছি, বিষয়টা নিয়ে আমার আলাদা একটি পোস্ট লিখার ইচ্ছে আছে, তবে আপাদত না, এখন ব্লগের পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত বলে আমার মনে হচ্ছে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন—এই আশাই করি।"
১৬| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা দেশের জনগন সেই দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।তবেই দেশ আস্তে আস্তে ইন্নত হবে।অন্যদেশ নাক গলালে দেশের অবস্থা খারাপ হবে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পশ্চিমা গোষ্ঠী ইরানে সরকার পরিবর্তন চায়, যাতে নতুন নেতৃত্ব তেল-গ্যাস খাতে পশ্চিমা বিনিয়োগের দরজা খুলে দেয়। সিরিয়া/ইরাক মডেল: ইরাক যুদ্ধের পর সেই দেশের তেলক্ষেত্রগুলো BP, এক্সনমবিল-এর মতো কোম্পানির দখলে চলে যায়। ইরানেও এমন পরিকল্পনা থাকতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ফারমার২ বলেছেন:
ইসরায়েল যা করছে, ইহার মুল্য দিবে ইহুদী জাতি দীর্ঘ সময় ধরে, তাদের বিশ্ব ছোট হয়ে গেছে। তবে, খামেনী ও ইসলামিক রেবুলেশনারী গার্ড ইরানকে এখানে এনেছে।
IRGC'এর জেনারেলরা ও সৈন্যরা উটের রাখার চেয়েও কম দক্ষ।