নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাসপ্রথার নিগড় ভেঙে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে দ্বিগুণ উৎপাদন

১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২০

দাসপ্রথার নিগড় ভেঙে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে দ্বিগুণ উৎপাদন

এআই এর সহায়তায় তৈরি ইমেজ।

প্রায় ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার অপশাসনের সময়টা ছিল এক অলিখিত আধিপত্যবাদের ছায়া। সাধারণ নাগরিকদের এক কাপ চা পান করতেও গুণতে হতো বাড়তি টাকা। চিনির দাম দ্বিগুনেরও বেশিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ৬০/ ৭০ টাকার চিনি কিনতে হতো ১৪০/ ১৫০ টাকায়। দেশের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় প্রভূদেশের পরামর্শই ছিল তার একমাত্র পথনির্দেশ। এই 'প্রেসক্রিপশন নির্ভর' শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে চিনিকলগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। পরিকল্পিতভাবে লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় একের পর এক চিনিকল। আখচাষিদের ঋণ বন্ধ করে, উৎপাদন অব্যবস্থা সৃষ্টি করে এবং বাজার একচেটিয়া করে বেসরকারি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা ছিল দৃশ্যমান।

তবে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন-পলায়নের পর রাষ্ট্রীয় শিল্পখাতে বইতে শুরু করে পরিবর্তনের সুবাতাস। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৪–২৫ মাড়াই মৌসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) অধীনস্থ সাতটি চিনিকল মিলিতভাবে ৪৬,১৮৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫,০০০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১,১৮৭ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদন—a ঐতিহাসিক সাফল্য।

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ—আখচাষিদের ৩৫০ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ, ৪০০ কোটি টাকা পরিচালন ঋণ সহায়তা এবং আখের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ। ফলে কৃষকদের আস্থা ফিরেছে, উৎপাদনে এসেছে গতি। নাটোর, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহীসহ অধিকাংশ মিলই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চিনি আহরণের হারও বেড়ে হয়েছে ৫.৫০%।

পূর্ববর্তী সরকারের সময় চিনিকল আধুনিকায়নের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় অর্থপাচারে জড়িত বহুল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সঙ্গে করা অন্যায্য চুক্তি বাতিল করে বর্তমান সরকার সেই প্রক্রিয়ার অবসান ঘটিয়েছে।

বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের এই পুনর্জাগরণ দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:


ভুলক্রমে কিবোর্ডে চাপ লেগে ফারমার২ এর একটি কমেন্ট মুছে গেছে। দুঃখিত!

২| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ফারমার২ আমাদের গাজীসাব। ওনাকে আমি অনেকককককককককক অনেককককককক ভালোবাসি। :D

১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



হঠাৎ করেই অনিচ্ছাকৃতভাবে কিবোর্ডে চাপ লেগে কমেন্টটা মুছে গেছে। ব্যাপারটায় আমি আশ্চর্য্য হয়েছি। এমনটা সাধারণতঃ হয় না। যা হোক, তিনি হয়তো ভাববেন আমি ইচ্ছে করেই মুছে দিয়েছি। সেজন্য জানিয়ে রাখা।

আর আপনি যে উনাকে অনেক ভালোবাসেন, সে কি আর বলতে হয়!

পোস্টের বিষয়ে কিছুই বললেন না কিন্তু!

৩| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

ফারমার২ বলেছেন:



চিনির দাম কি ৬০/৭০ টাকা হয়েছে?
ইরানে এক্সপোর্ট করা যাবে?

১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



চিনি এখন ১১০/ ১১৫ টাকা যা ফ্যাসিস্টদের সময়ে ১৪০/১৫০ টাকা ছিল।

ইরানীদের এখন চা চিনির চেয়ে বেশি প্রয়োজন এটম বোম।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫

ফারমার২ বলেছেন:



ইরানের দরকার এটম বোমা, মিলাদ করে দেখেন; ৬০% পরিশোধিত ইউরেনিয়ামকে ফেরেশতারা ৯০% করে দিবে ও সৌদী থেকে ইমাম মাহদী উটে রওয়ানা দিবেন তেহরানের দিকে; সাথে আসবে আবাবিলের পাল।

১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মিলাদ আপনারও পড়া লাগতে পারে আপনার পেয়ারের ইসরায়েলের জানাজার আগে আগে। তৈরি থাকেন।

৫| ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:১২

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: গাজীভাই , ফারমার৩,ফারমার৪, ৫ এরকম আরো কিছু আইডি বানিয়ে রাখুন !

১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



উহার কথার যেমন লাগাম নেই, উহার ভোগান্তিরও শেষ নেই। উহাকে কেহ রক্ষা করার নেই।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: চিনিকলগুলো একের পর এক বন্ধ করে দিয়ে চিনির দাম করা হয়েছিল আকাশচুম্বী। সেই সাথে অনেক মানুষ জীবিকা হারিয়ে সর্ব সান্ত হয়েছিল। ইন্টারিম সরকারের সাফল্যগুলো ব্যপকভাবে প্রচারিত হবার দরকার ছিল মিডিয়ায়। কিন্তু মিডিয়াগুলো সব দল বেধে স্বৈরাচারের দোসররুপে বর্তমানে একটিভ!

১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। শিল্প কারখানাগুলোকে অমানবিকভাবে বন্ধ করার কারণে অনেক মানুষ জীবিকা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছিল। ইন্টারিম সরকারের সাফল্যগুলো ব্যপকভাবে প্রচারিত হবার দরকার ছিল মিডিয়ায়। কিন্তু মিডিয়াগুলো সব দল বেধে স্বৈরাচারের দোসররুপে বর্তমানে একটিভ!

এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

ক্রেটোস বলেছেন: ইন্টারিম সরকারের সাফল্যগুলো ব্যপকভাবে প্রচারিত হবার দরকার ছিল মিডিয়ায়। কিন্তু মিডিয়াগুলো সব দল বেধে স্বৈরাচারের দোসররুপে বর্তমানে একটিভ!

@ঢাবিয়ান, বর্তমানে মিডিয়াতে ইন্টারিম সরকারের বিপক্ষে কোন নিউজ করা যায় না এটা তো দেখাই যাচ্ছে। ইন্টারিম সরকারের কোন দোষ এই মিডিয়া দেখা যায় না। তার চেয়ে বরং আগড়ম-বাগড়ম কিছু নিউজ করে যার মানে দাঁড়ায় ইন্টারিম সরকার এই দেশকে খাদ থেকে তুলে আনছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টো খাদের অতল তলেতে নিয়ে যাচ্ছে!

দেশে আখের উৎপাদন কমে গেছে ফ্যাসিনার কারণে। তো এই দশমাসে আচমকা আখের চাষ হলো কী করে রে ভাই? ইয়ে মানে যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন!

২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:


দেশে আখের উৎপাদন কমে গেছে ফ্যাসিনার কারণে। তো এই দশমাসে আচমকা আখের চাষ হলো কী করে রে ভাই? ইয়ে মানে যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন!

পরিবর্তনটা আচমকা হয়েছে, এটা কে বললো আপনাকে? এই প্রশ্নের উত্তর পোস্টেই দেওয়া আছে। তারপরও আপনার বুঝার সুবিধার্থে পোস্টের অংশ বিশেষ এখানে উত্তর হিসেবে তুলে দেওয়া হলোঃ

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ—আখচাষিদের ৩৫০ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ, ৪০০ কোটি টাকা পরিচালন ঋণ সহায়তা এবং আখের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ। ফলে কৃষকদের আস্থা ফিরেছে, উৎপাদনে এসেছে গতি। নাটোর, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহীসহ অধিকাংশ মিলই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চিনি আহরণের হারও বেড়ে হয়েছে ৫.৫০%।

পূর্ববর্তী সরকারের সময় চিনিকল আধুনিকায়নের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় অর্থপাচারে জড়িত বহুল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সঙ্গে করা অন্যায্য চুক্তি বাতিল করে বর্তমান সরকার সেই প্রক্রিয়ার অবসান ঘটিয়েছে।

৮| ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৬ বছর শুধু খারাপ কাজ করেছে??? ভালো কিছু করে নাই???

২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো কিছু করেছে। দিল্লীর দাসত্ব।

৯| ২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এই জাতীয় কিছু কি আপনি ব্যবহার করেন?

২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



হাসিনা এদেশের চিনি শিল্প ধ্বংস করেছে কি না, আপনি সেইটা বলেন, মহাশয়!

পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থে করা হয়েছে। কারও বাপের জমিদারির ফসল এগুলো নয়। দাদাদের দয়ার ফলও নয় এগুলো।

ফ্যাসিস্টরা দীর্ঘ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে না রাখলে এতটা বছরে এরচেয়ে কয়েক গুণ বেশি উন্নয়ন হতে পারতো।

১০| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

ক্রেটোস বলেছেন: আপনি আমার প্রশ্নটি বোঝেননি নতুন নকীব!

বর্তমান সরকার শাসনে এসেছে আগস্টে । আর কৃষকদের যত প্রণোদনা ও সাপোর্ট করেছে তা শাসনে আসবার পরে নিশ্চয়ই?

আখের রোপন শুরু হয় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। অর্থাৎ শীতকালে! তো শীতের পর বর্ষাতেই কী আখ চিনি উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হয়? আমার জানামতে চাষের পর বাজারজাত করতেই ১২-১৫ মাস সময় লাগে। এতটা সময় এখনও যায়নি কিন্তু দ্বিগুণ চিনি উৎপাদন কি করে সম্ভব? চিনির কাঁচামাল তো আখ, যে আখের এমন দ্বিগুণ উৎপাদন এখন হবার সম্ভাবনা নেই সেখানে চিনির দ্বিগুণ উৎপাদন কী করে হচ্ছে? আখ সংগ্রহ শুরু হবে শরতের সময়ে এখনও বর্ষার শুরু। আশা করি এবার বুঝেছেন !

২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ক্রেটোস,

আপনার প্রশ্ন যথাযথ, কিন্তু আপনি "দ্বিগুণ উৎপাদন" কথাটিকে শুধুমাত্র আখ উৎপাদনের বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি গুলিয়ে ফেলেছেন, যেটা পুরো চিত্র নয়।

১. দ্বিগুণ উৎপাদন মানে শুধু আখের পরিমাণ বৃদ্ধি নয়—বরং কারখানার সক্ষমতা, যন্ত্রপাতির সচলতা, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, এবং কাঁচামাল সংগ্রহ ও মজুত ব্যবস্থার উন্নতি—এই সমস্ত উপাদান মিলিয়ে পরিমাপ করা হয়।

২. বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বহু বন্ধ বা অচল চিনিকল চালু হয়েছে, যেগুলো আগে সীমিত উৎপাদনে ছিল বা একেবারেই বন্ধ ছিল। সেই পুনরায় চালুকরণে উৎপাদন বেড়েছে—আখ আগেই রোপিত হয়েছিল, কিন্তু তা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছিল না।

৩. অনেক ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী মৌসুমের আখ সংরক্ষিত ছিল, যেগুলো উৎপাদন ব্যবস্থার দুর্বলতায় কাজে লাগছিল না। এখন সেগুলো প্রক্রিয়াকরণে এসেছে—যার ফলে হঠাৎ উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

৪. আপনি ঠিক বলেছেন—আখ সাধারণত ১২–১৫ মাসে পরিপক্ব হয়। কিন্তু এখন যে উৎপাদন হয়েছে তা পুরনো আখ ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার মিলিত ফল—নতুন আখ এখনও মাঠেই আছে! :)

সুতরাং, এটা প্রকৃত চাষ না বাড়িয়ে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলগত অর্জন—যার কৃতিত্ব ব্যবস্থাপনাকে দেওয়া যায়, কৃষককে নয়।

আশা করি এবার আপনি পুরো প্রেক্ষাপটটি ধরতে পেরেছেন। B-)

শুভকামনা আপনার জন্য।

১১| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

ক্রেটোস বলেছেন: যদি পর্যাপ্ত আখ না থাকে তো কী করে দ্বিগুণ উৎপাদন হবে? আপনি যেসবের বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো উৎপাদনের সহায়ক উপাদান। কাঁচামাল কম থাকা সত্ত্বেও যদি এইসব উপাদান যথার্থ থাকে তবুও দ্বিগুণ উৎপাদন সম্ভব নয়। এটা এক প্রকার অলীক দাবি যা আপনি করছেন !


বন্ধ চিনিকল চালু হলেও আখের উৎপাদন বাড়েনি। যখন কাঁচামালে অপ্রতুলতা বিদ্যমান তখন বন্ধ চিনিকল চালু হলেও কোন লাভ হবে কী?


ফ্যাসিনার কারণে আখের উৎপাদন কমে গিয়েছিল। আপনি বলেছেন এই দ্বিগুণ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে সরকারি প্রণোদনার কারণে আমাকে বলুন নকীব যদি দেশে ধান চাষ নাই হয় আপনি কী করে চাল পাবেন যতই প্রণোদনা দেয়া হোক না কেন ?

আপনি দেখছি এখানেও Inconsistency ফ্যালাসি করেই যাচ্ছেন ! হাহাহাহাহাহ তবুও মনে করি আপনি এখানে মূল বিষয়টি ধরতে পেরেছেন।

২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ক্রেটোস,

আপনার বক্তব্যে আবারও সেই আগের ভুল অনুমান রয়েছে—দ্বিগুণ উৎপাদন মানেই দ্বিগুণ আখ উৎপাদন। এটা আসলে সঠিক নয়। বিষয়টি আপনি বুঝেও হয়তো না বুঝার ভান করছেন। যা হোক, আবারও বলছি-

১. চিনি উৎপাদন বেড়েছে কারণ:

পূর্বের মৌসুমে সংগৃহীত ও অব্যবহৃত আখ প্রক্রিয়াজাত হয়েছে।

বন্ধ মিল চালু হওয়ায় আগে যে আখ নষ্ট হচ্ছিল, তা এবার কাজে লেগেছে।

প্রক্রিয়াজাত দক্ষতা বেড়েছে—উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হয়েছে একই আখ থেকে।

২. এটা যেমন “ধান কমেও চাল মেলে” না, ঠিক তেমনই নয়—বরং আগের জমে থাকা ধান এবার মিলে এনে চাল করা হয়েছে।

তাই, এটি অলীক দাবি নয়—সুব্যবস্থাপনার বাস্তব ফল।

আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এই সংক্রান্ত সংবাদগুলোতে চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। অথবা, এইসব সংবাদ যারা সংগ্রহ করে অনলাইনে নিউজ আকারে প্রকাশ করেছেন, প্রয়োজনে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিশদাকারে জেনে নিতে পারেন-

ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল, উৎপাদন দ্বিগুণ

রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি চিনিকলে শুরু হতে যাচ্ছে উৎপাদন

রাষ্ট্রায়ত্ত কল বন্ধ রেখে ডেকে আনা চিনিসংকট

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.