নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।
তুষার কন্যার গ্রীষ্মদেশে ফেরা....।
চিঠি লেখার প্যাডটা পরে আছে, খোলা। সাদা পাতাটায় পরে আছে লেখার ছাপ। আগের পাতাটায়, গতকাল সন্ধ্যায় চিঠি লেখার পর আর বন্ধ করা হয়নি।আনন্দ লক্ষ্যও করেনি, মনেও পরেনি। ব্যস্ততায় আর নতুন কোন বিচ্ছেদের আশংকায়,সুখের হাসি - হারাবার কষ্টে কিংবা প্রিয় বন্ধুর সাথে শেষবারের মতো দেখা হবার উত্তেজনায়, বোধ করেনি কোন কিছু।
আজ সব কিছুর শেষ, এ্যলেন চলে গেল সাতসমুদ্রের ওপারে। আনন্দের ভালো লাগা কেবল একজায়গায়, এ্যলেনের স্বপ্ন আজ পুরন হবার দোরগোড়ায়।
আনন্দের একা চলার পথের যেখান থেকে শুরু, এ্যলেন যেন সেখান থেকেই ছায়া হয়ে আছে। আজ যে আনন্দ আর ওর ছায়ার ছাড়াছাড়ি।তাই তো বোধ-বুদ্ধি-অনুভব কিংবা কোন অনুভুতি আনন্দকে ছুয়ে যাচ্ছেনা। কেবল একটাই চাওয়া, এ্যলেনের এই পথ চলা যেন শুভ হয়। প্রার্থণা কেবল, স্রাষ্টার কাছে- এ্যলেনকে যেন সর্বোত্তম উপায়ে জীবনযাপন করবার পথ দেখান, সাহায্যের হাত কোনদিন উঠিয়ে না নেন।
২১শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা, ২০১৩
***************************************************
আনন্দের নিজের শহরে ফেরা হলো, অনেক দিনের ব্যবধানে। প্রায় চোদ্দ বছর পর পরিবারের সাথে থাকা। মাঝে একবার কেবল দুবছর থাকা হয়েছিল, পড়াশোনা আর চাকুরীর সুবাদে। এবার এসেছে উদ্দেশ্যহীন ভাবে। কোন পরিকল্পনা নেই, কোন কারন নেই। কেবল মনে হলো, এবার ঘরে ফেরা যাক।
ফিরলো ঘরে। ঘরটা আছে, ঘরের মানুষগুলো বদলে গেছে। বদলে গেছে চারপাশ। কেবল আগের জায়গায় পরে আছে আনন্দের মনটা, তাই তো খুজে বেড়ায় পুরোনো কান্না-হাসির গল্পগুলো, পুরোনো জায়গায় হারিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলো আর পুরোনো ভালোবাসায় ঘেরা মানুষগুলো।
এই শহরটা ঘিরে আনন্দের অনেক গল্প। যদিও আনন্দের জন্ম অন্য শহরে, তবুও প্রথমস্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে ফিরবার পথ হারিয়ে কাদতে বসা, সবই এখানে। মায়ের বকা, বাবার শাষন, ছোটবেলার খেলার বন্ধুদের দুষ্টুমী, দুপুর বেলায় না ঘুমিয়ে কোরআন পড়বার মতো কঠিন কাজ। সবই আনন্দের এখানে।
একটু বড় হওয়া। চলে গেল দুরে। পরিবার আর আনন্দের চারপাশের ছোট ছোট ঘটনা-গল্প-জায়গা, সবই কেবল আনন্দকে ডাকতো। মনটা পরে থাকতো এই শহরের আনাচে-কানাচে আর অলি-গলির গোলক ধাঁধায়।
মনের মাঝের সেই একা পথচলার অবসান হলো। নতুন শহরটাকে করে নিলো আনন্দ তার চলার পথের গন্তব্য, সাথী পেলো নতুন । এল্যেন, বব আর আরো অনেক অচেনা মানুষকে। কেওবা হারিয়ে গেল, কেও থেকে গেল, কেওবা চলে গেল গতকাল সন্ধ্যায়।
শেষরাতের ঐ প্লেনটা উড়াল দেবার গমগম শব্দ যেন আনন্দের নতুন একাকী পৃথিবীটাকে জানান দিয়ে গেল, বন্ধুহীন পথের নিরব কান্নার বার্তা।
২২শে সেপ্টেম্বর ভোর, ২০১৩
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
আনন্দক্ষন বলেছেন: ধন্যবাদ....।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
বড়দাদা বলেছেন: হুম
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
আনন্দক্ষন বলেছেন: কি হলো, বড়দাদা ? একাকী চলার পথ কষ্টের হবে ভেবে , চিন্তিত?
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন লেখা তো....
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
আনন্দক্ষন বলেছেন: ধন্যবাদ...
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
রবিউল ৮১ বলেছেন: অনেক দিন পরে পুরো শহরে ফেরার মতো করে আমিও আজকে ফিরলাম আপনার লেখাতে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার!