নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।
দুর্জনের হাত থেকে নিজের অধিকার বুঝে নেয়াটা কত ব্যায় বহুল তা বাঙালি জাতি জানে। এই ব্যায়টাই এবার পরিশোধ করলো মূলত: তরুন সমাজ। আমি-আপনি মুখে, ফেবুতে সক্রিয় হয়তো ছিলাম, কিন্তু আনাসের মতো চিঠি লিখে বাবা-মায়ের অগোচরে রাস্তায় নামতে পারিনি। দায়িত্বের অজুহাতে। ছোট করতে চাইনা, কেওকে। তাই তো, নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছি- পারতাম কি আমি সেই ১১ বছরের সাফকাত সামীরের মায়ের জায়গাটা নিতে, যার সন্তান হেলিকপ্টার থেকে ছুটে আসা বুলেটের কারনে তার কোলে আর কোন দিন মাথা রেখে আদর নেবেনা। না। পারিনি নিজে রাস্তায় নামতে, পারিনি বুলেটে মাথার খুলি ফুটো হওয়া কারো সন্তানের জায়গায় আমার সন্তানকে কল্পনায় আনতে। হ্যা, আমরা পারিনা। আমরা পারিনা "সংকটের কল্পনাতে হয়োনা মৃয়মান"- বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে। কারন আমারা "তরুন" না। তোমরা তরুন। তোমরা পারো অনেক কিছুকে এড়িয়ে যেতে, ক্ষুদ্র স্বার্থ উপেক্ষা করে বিশাল দায়িত্ব নিতে। তাইতো তোমাদের মানায়না এই তুচ্ছ স্বার্থনেষী দাবী নিয়ে রাস্তায় নামতে। তোমরা কি নিজেদের ক্ষমতাকে খাটো করছো না? সাবধান। তোমরা বোধ করি তুচ্ছ অপরাধের চুনপুটিদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাঘোব বোয়ালেরা পার পেয়ে যাচ্ছে। "দিনে নাটক - রাতে আটকের" নাট্যকার পালালেও, শিল্পীরা যে আজো নিরাপদে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করতে ব্যস্ত। থামাও তাদের।
মনে রেখো একা আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধ যতো সাহসীকতাই দেখাক না কেনো এতো বড় অপশক্তিকে সরাতে পারতোনা। যেমনি ভাবে বৃথা গেছে "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলনের শহীদদের প্রাণ বিসর্জন। এইবার ২০২৪ এ রাফি, শান্তদের মিছিলের বিরাট সংখ্যাটা কিন্তু নাড়িয়ে দিয়েছে সেই শক্ত ভীতটাকে জুলাই মাসে। তবে আবার আবু সাঈদ যদি সেদিন বুক পেতে না দিতো, জিল্লুররা তবে মরিয়া হয়ে ব্র্যাক এর সামনে আবু সাঈদ হত্যার জবাব চাইতোনা। নির্বিচারে গুলিতে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তোমরাই দাঁড়িয়ে ছিলে সেদিন ঢাকার রাস্তায়, সাথে ছিলো সমাজের সকল স্তরের মানুষ, ধর্মের বিভেদ ভূলে , নিজের অবস্থানকে বিবেচনায় না নিয়ে। কেবল দাঁড়িয়ে ছিল অন্যায়ের প্রতিবাদে- তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে।
তোমাদের ডাকের জোর কতো সেটা বোধ করি তোমরা নিজেরাও জানোনা। বিশ্ববরণ্য ব্যক্তিত্ব তোমাদের শক্তিকে নেতৃত্ব দিতে এসেছেন কেবল দেশকে ভালোবেসে। নতুন করে গড়ে তোলা এই দেশটাকে যে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব পরবর্তীতে তোমাদের, নেতার মতো অহিংস, দৃঢ় আর জ্ঞানের আলোয় দীপ্ত হয়ে দেশের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বন্যা দূর্গত এলাকা রক্ষা করবার মতো পুরো দেশটাকেও যে সামলাতে হবে..পারবেনা?
কোন একদিন লজ্জার রঙ কি- জানতে চেয়েছিলাম। আজ তাই ভাবলাম আমায় লজ্জার হাত থেকে উদ্ধার করা মানুষগুলোকে কৃতজ্ঞতার রঙে না রাঙিয়ে, জীবনের ব্যস্ততায় জড়ানো কি মানায় ?
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৪
আনন্দক্ষন বলেছেন: হ্যা। সময়টা বডড জরুরি বিষয়।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১০
ক্লোন রাফা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে আমি খুব বেশি আশাবাদী হোতে পারছিনা। আন্দোলনের পুর্বে বা পরে কিংব পুরো আন্দোলনটাই আমার কাছে স্বচ্ছ মনে হয়নি। কোথাও থেকে অন্যপক্ষ বা বহুপক্ষের অদৃশ্য ছায়া দেখা দিয়েই পর্দার আঁড়ালে আশ্রয় নিচ্ছে! কিছু দিনের ব্যাবধানে হয়’তো প্রকাশ হোতে শুরু করবে। নিজেদের জে এন জি দাবী করা প্রজন্মের মুল কাজ কি⁉️ আমার মনে হোচ্ছে তারা পথ হারিয়ে ফেলছে। এটাকেই না আবার কালচার বানিয়ে ফেলে ! আমার আশংকা মিথ্যা প্রমাণিত হোলে খুব খুশি হবো।
আমি প্রকৃত জে এন জি’দের খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং এখনও দেখছি। তারা প্রতি নিয়ত নিঃস্বার্থ লড়াই করছে তাদের জন্য যারা তাদের কেউ না। এমনকি ভাষা, ধর্ম্ম বর্নেরও মিল নেই!
কিন্তু আমার দেশের ওদের’কে লক্ষচ্যুত মনে হোচ্ছে / সাম্য থেকে কোটায় ফিরছে তারা।
ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০০
আলামিন১০৪ বলেছেন: আমি কি বলব এ আন্দোলনের পিভোটাল মুহুর্ত যা হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী করে? তা হলো, আর্মিকে জনগণের বিরুদ্ধে নামানো আর এতে হাসিনা মিলিটারীর সাপোর্ট হারায় এবং তাঁরা উল্টা জনগণের পক্ষে গোপনে কাজ শুরু করে হাসিনাকে পলায়নে বাধ্য করে।
আর বাটারফ্লাই এফেক্ট এ প্রজাপতির পাখা হলো আবু সাইদকে গুলি করে ভিডিও ভাইরাল করা।
বিদেশী শক্তির ভূমিকা এখানে নগণ্য যদিও আমেরিকা অনেক আগে থেকেই হাসিনাকে নামাতে তৎপর ছিল।
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা চমৎকার ভাবে লিখেছেন!
দেখলাম দশ বছর পর আপনি ব্লগে পোস্ট দিয়েছেন। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত আপনার লেখা দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করবেন।
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্ররা অসাধ্য সাধন করেছে। কামনা করি তারা যেন সঠিক পথে থাকে, লোভে না পড়ে এবং নিজেদের মধ্যে বিরোধে না জড়ায়। ওদের সাথে আছি।
শেখ হাসিনা এবারের আন্দোলন দমাতে কয়েকটা ভুল করেছে। যেমন শুরুতেই এই আন্দোলনকে পাত্তা না দেয়া, পরবর্তীতে কারফিউ জারি করা এবং সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো, ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র দিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা, ১ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা হত্যা, লাশ গুম, ১০ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে অন্ধ, পঙ্গু এবং আহত করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় মেয়েদের উপরে শারীরিক আক্রমণ, পুলিশ দিয়ে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ, প্রকাশ্য দিবালোকে আবু সাইদ, মুগ্ধ এবং আরও কয়েকটি নির্মম হত্যাকাণ্ড যার মধ্যে অল্প বয়সী বাচ্চাও আছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো, দাবি মেনে নেয়ার পরেও ব্লক রেইড দিয়ে রাতের গভীরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের মোবাইল চেক ক'রে গ্রেফতার এবং নির্যাতন করা, হাজারে হাজারে ভুয়া মামলা দেয়া, শুরুতেই সমঝোতার চেষ্টা না করে দেরীতে আলোচনায় ডাকা, আদালতের সাহায্যে চালাকি করার চেষ্টা, ছাত্রদের রাজাকার আখ্যায়িত করা, নিহতদের জন্য না কেঁদে মেট্রো রেল স্টেশনে গিয়ে মায়া কান্না করা, কাউয়া কাদেরের মত ক্লাউনকে দিয়ে উলটাপালটা কথা বলিয়ে ছাত্রদের খেপিয়ে তোলা ইত্যাদি।
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ছাত্ররা না, দেশের সর্বস্তরের মানুষ মিলে সরকারকে হাটিয়েছে।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:০৫
আনন্দক্ষন বলেছেন: হ্যা, তবে তার ভুলগুলো আমাদের জন্য "সাপে বর" হয়েছে। নতুবা ৩/৪ বছর পর দেশটা দেউলিয়া করে চলে যেত ।
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:০৬
আনন্দক্ষন বলেছেন: সহমত।
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:০৮
আনন্দক্ষন বলেছেন: @করুণাধারা - জী, আনন্দটা এখানেই।
১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক দিন পরে এসে অনেক সুন্দর গোছানো কথা গুলো বলে গেলেন। নিয়মিত হউন। আমাদের কোমলমতিরা যে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। তাদের সাথে আমাদের থাকা চাই। দেশটাকে গড়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি চাই। যেমন করে হায়েনাদের তাড়ানো হয়েছে ঠিক সে শক্তি সর্বদায় পুশে সামনে সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৪
আনন্দক্ষন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই উপলব্ধি জন্য; আর এই সাধুবাদ জ্ঞাপনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। .
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: ‘এখন যৌবন যার ,যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ কবি হেলাল হাফিজ