নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান নিজের কাছে না রেখে সবাইকে জানানো উচিত

আনাস হাসান

শখের বসে লিখি। অল্প জানি সেটাই সবাইকে জানাই

আনাস হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ১০টি কারণে বই পড়া আপনাকে সুখী করবে

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫



ছোট থেকেই আমরা বই পড়া নিয়ে ভালো ভালো কথা শুনে এসেছি। এতো ভালো উপদেশ হলেই সারা পৃথিবীতে একজন মানুষ গড়ে বই পড়েছেন একটিরও কম। আবার অনেকে বই পড়ে করে ফেলেছেন রেকর্ড। আমরা কম বেশী সবাই কমবেশি বই পড়েছি। কিন্তু দৈনিক বই পড়া খুব বেশী মানুষ পাওয়া যায় না। আবার হতে পারে আপনার আশে পাশে সবাই অনেক বেশী পড়ে কিন্তু মোটের উপর চিত্রটা এমন নাও হতে পারে।
যাহোক আজ আমি নিজের বই পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে ১০টি কারণ বলবো যেগুলো আমার অহেতুক দুঃখ কমিয়েছে।
আমি এবছর মোট ৫২ টি বই পড়েছি। আরও পড়ে যাবো। আপনিও কারণগুলো দেখুন যদি ভালো লাগে শুরু করতে পারেন আজ থেকেই।

১। চিন্তার জগতকে বড় করা: বলা হয়ে থাকে একটি বই পড়া মানেই সেই বইয়ের লেখকের চিন্তাকে বুঝতে পারা বা জানা। তাহলে আপনি যতো বেশী বই পড়বেন তাতে বেশী লেখকের চিন্তা ভাবনাগুলো জানতে পারবেন এতে দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুর প্রতি আপনি ভিন্ন চিন্তা করতে পারবেন।

২। খারাপ মুডকে ভালো করা: আজ কাল আমাদের কারণ ছাড়াই অনেক বেশী মন খারাপ হয়। আমার নিজের হয়। বই পড়া শুরু করলে আপনি সেই বইয়ের মাঝে ডুবে যাবেন এতে করে ভুলেই যাবেন মন খারাপের কথা। অনেকটা সময় কেটে গেলে আপনার মনে সেই বই নিয়ে চিন্তা শুরু হবে যা মন খারাপকে দূরে রাখা।

৩। নিজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: বেশী বেশী বই পড়লে আপনার কল্পনার জগত বড় হবে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। এতে করে সৃজনশীল সব কাজে আপনি আরও বেশী ভালো করতে পারবেন। হতে পারে ছবি তোলা, ছবি আকা, বিজ্ঞাপনের কাজ বা গল্প লিখা। আপনি ৫ টি বই পড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন এই পরিবর্তন।

৪। জানার জগতের পরিধি বৃদ্ধি: ঐতিহাসিক বই পড়লে স্বাভাবিকভাবেই আপনি আরেও বেশী জানবেন। এতে করে বর্তমান কালের অনেক ঘটনা বুঝতে এবং ফলাফল অনুমান করতে অনেক বেশী সুবিধা হবে। তারপরও আপনার পেশা সম্পর্কিত বা শিক্ষা সহায়ক বই পড়লে সেই বিষয়েও আপনার জ্ঞান অন্যদের চেয়ে বেশী হবে।

৫। খারাপ অভ্যাস দূর করা: আমরা আজকের যুগে ফেসবুক বা অন্য সামাজিক মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেই। নিজেও জানি খারাপ তাও অভ্যাস। তাছাড়াও আমাদের আরও অনেক সময় নষ্ট-কারী অভ্যাস থাকতে পারে যা জীবনকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। সেসব থেকে দূর থাকার জন্য বই অনেক বেশী উপকারী। বইয়ের মাঝে দুবে থেকে যেমন আপনি নিজের জ্ঞান বাড়াচ্ছেন তেমনিভাবে আপনি সেই খারাপ অভ্যাসকে দূরে রাখছেন।

৬। মানসিক প্রশান্তি হয়তো আপনি একা থাকেন। সব কাজের পড়েও অনেক সময় হাতে। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। নষ্ট করছেন অনেক মূল্যবান সময়। অথচ সহজেই আপনি বই পড়ে নিজেকে কিছু ভালো সময় উপহার দিতে পারেন। এতে করে নিজেও ভালো অনুভব করবেন। হতাশাও আপনাকে গ্রাস করবে না।

৭। নেতিবাচক বিষয় থেকে দূরে থাকা: আমরা সামাজিক মাধ্যম হোক বা নিজের আশেপাশের মানুষের হোক আগের চেয়ে অনেক বেশী নেতিবাচক বিষয়ে আবর্তিত। হতে পারে অহেতুক কোনও বিতর্ক বা ট্রল এবং তার জবার দেয়া, হতে পারে কারো নেতিবাচক কোন আচরণ বা অন্য কোনও নেতিবাচক বিষয়। যেগুলোতে আমরা জড়িয়ে পড়ে অনেক মানসিক অশান্তির মধ্যে থাকি। বইপড়া আপনাকে সহজেই এসব বিষয় থেকে দূরে রাখবে।

৮। লেখার অভ্যাস ও মান বৃদ্ধি: যদি আপনার লিখালিখির অভ্যাস থেকে থাকে তবে পড়তে হবে বেশী বেশী বই। এতে করে শব্দ, তথ্য, সৃজনশীলতা সবকিছুই বৃদ্ধি পাবে আপনার লিখায়।

৯। নতুন নতুন বিষয়ে জানা: বই পড়ার সাথে সাথে আপনি অনেক বিষয় জানবেন। সেগুলো যদি আপনাকে আকৃষ্ট করে তাহলে সহজেই আপনি গুগল করে ঐ বিষয়ে আরও অনেক নতুন তথ্য জানতে পারবেন।

১০। নতুন বন্ধু তৈরি: বই পড়ার বিভিন্ন গ্রুপে যোগ হয়ে বই প্রেমী অনেক বন্ধু পাবেন যারা আপনাকে আরেও নতুন বই পড়তে সাহায্য করবে। তাদের সাথে আলোচনা করতে পারবেন বই নিয়ে সব কিছু।

আমি লিখেছি আমার নিজের অভিজ্ঞতায়। এটি বই পড়ার উপকারীতা নিয়ে লিখা নয়। বই পড়া কিভাবে আপনার জীবনকে আরও একটু ভালো রাখতে পারে সেটা নিয়েই লিখা। বই পড়া বিষয়ে যেকোনো সাহায্য চাইলে কমেন্টে বা ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন। যতটুকু পারবো সাহায্য করবো।

এবছরে আমার পড়া বইয়ের লিস্ট: Click This Link
ামার ফেসবুক : https://www.facebook.com/Anas.Hasan.Tonmoy

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

সিগন্যাস বলেছেন: বই পড়া নিয়ে এতো সুন্দর পোষ্টেত জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।এদেশে এক সময়ে অনেক লোক প্রচুর বই পড়তো।দুপুর হলে শরৎচন্দ্রের,বঙ্কিমচন্দ্রের বই নিয়ে বসে যেতো।এখন আধুনিকতার স্রোতে সবাই ভেসে যাচ্ছে।এখন বইয়ের এক পৃষ্ঠা পড়ার চেয়ে ফেসবুকের লাইক পাওয়া বেশি জরুরি।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০২

আনাস হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ । খুবই সত্যি কথা বলেছেন।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০১

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: বই পড়া নিয়ে লেখা, অনেক ভাল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৮

আনাস হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১২

পবন সরকার বলেছেন: লেখাটি অনেক ভালো লাগল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৮

আনাস হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই মোবাইলের কারনে মানুষ আর আগের মতো বই পড়ে না।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

আনাস হাসান বলেছেন: মোবাইল,ফেসবুক আরও সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি আমাদের অনেক সমস্যার কারণ।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: প্রত্যেকটি কথা সত্যি। বই মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, মানুষের চিন্তা চেতনার দ্বার উন্মোচিত করে, নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে শেখায়। বই পড়ার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সুন্দর একটি পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আহারে কতদিন একটু নিশ্চিন্ত হয়ে, রিলাক্স হয়ে বসে বই পড়তে পড়তে বই এর গল্পের দুনিয়ার হারিয়ে যাওয়া হয়না :(

খুব সুন্দর লেখা । প্রতিটা মানুষেরই উচিত শত কাজের ফাঁকে ও একটু সময় বের করে বই পড়া। তবে ইদানিং তো আমরা আমাদের অবসর সময়গুলো ফেসবুক, আর ইউটিউব কে দিয়ে রেখেছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.