![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিয়ে হয় ৮বছর আগে, দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম ঘরে এক ছেলে তার বয়স তখন ৮, আমার স্বামীর এটাই প্রথম বিয়ে তাও তার পরিবারকে না জানিয়ে। বিয়ের পর পর ঝমেলো বাড়দে থাকে সে তার বাসায় এবং তার পরিচিত মহলে বিয়ের কথা লুকানো নিয়ে। এটা ২বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। এরপর আমি তাকে আর সম্পর্ক রাখবোনা কনফার্ম করলে সে তারপরিবার এসে একটি নাম মাত্র অনুষ্ঠান করে আমাকে নিয়ে যায়। তার পরিবার আজো আমাকে মেনে নিতে পারে নি। থখন তার মাসে ইনকাম ছিল ২০হাজার। যা থেকে সে আমকে কিছু তেবার চেষ্টা করত যা আমার মাঝারি মাপের সহযোগিতা হতো। ধিরে ধিরে সেটা করোনা আসার পর বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের সম্পর্কের শুরু থেকে আমি তার ওসিডি নিয়ে সাফার করে আসছি । তাকে বার বার আমার নিজের উদ্বোগে মানসিক থেরাপিস্টের কাছে নিয়েগেলেও সে কিছুটা থিতু হয় সেটা ২০/৩০% মাত্র।
আমার ছেলের সাথে তার ব্যবহার ছিল বাজে। সে সুযোগ পেলেই কেন ছেলের খরচ ছেলের বাবা নিচ্ছে না সে ব্যাপারে কথা শুনাতো যদিও সে মার বা পরিবারের খরচ ২০%ও বহন করতো না। আমি অফিসের কাজ বাসার কাজ সাথে অফিসের বেতন ৩মাস না পাবার কারনে দিশেহারা অবস্থা পার করছি তখন আমার সাখে তার সম্পর্ক ছিল খাও শোও দিন পার কর।
বিয়ের ৫বছর পর আমার একজনের সাথ আলাপ হয়, আমার মনে হয় আমি এখনো এতটা ফেলনা হইনি যে আবার আমার জীবন সুন্দর করতে পারবো না। আমি তাকে জানাই যে আমি কাওকে পেয়েছি যার কারনে আমি তাকে ছাড়তে পারি। সে তখন ভাল সাজার ভান করে আমার ছেলেকে অনেক ভালবাসতে শুরু করে। এবং সংসারের দায়িত্যও নিতে ভরশা দেয়।
আমি পুরো অতিত ভুলে যাই তার সন্তানের মা হই। সন্তান পেটে আসার পর জানতে পারি সে আমাকে ৫ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবে না। আমার অসুস্থতার খরচ নিজে ম্যানেজ করি। আমার ছেলের সাথে তার দুরত্ত বাড়তে থাকে। শরীরের সীমাহীন কষ্ট নিয়েনিজে নিজের গালে জুতা মেরে রয়ে যাই।
কারন সে আমাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেছে, সাথে থাকার চেষ্টা করেছে। টয়লেটে ধরে ধরে নিয়েগেছে।
অবশেষে সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করে মেয়েকে জন্ম দেই। সে লোন করে কোনরকমে অপারেশনের খরচা টা দিয়ে দায় সারে। মেয়ের জন্য মিষ্টি আর সামাজিকতা আমি সামলে দেই।
তার মেজাজ খারাপের জন্য প্রতিদিন নতুন কারন আসে, নতুন অজুহাত আসে তার রোজগার না থাকার জন্যও। মেয়ের জন্মদিন গেল ১/২ হাজার টাকাও সে খরচ করতে পারে নি। মেয়ের নিত্য প্রয়োজনের যা লাগে তার ৫০ভাগের বেশি আমি দিতে হয়। সে যে এই বাসায় থাকে তার জির খরচাটা দেয়াও তার দায়িত্য মনে করে না কারন আমি রোজগার করি। আমি এসব বিশয় নিয়ে কথা বললে সে বলে সেও তো অনেকসহ্য করছে আমাকে বিয়ে করে , সমাজ মানছে না তার পরিবার মানছে না তবুও সে আমার সাথে আছে। সে মনে করে সে পাশে আছেটাই আমার জন্য সব। তার মেয়ের এক বছর হয়ে গেল সে আমাকে আজো এটা পোশাক কিনে দিতে পারেনি কারন তার রোজগার নাই।
সে আমাকে ঘরের কাজে ৮০% সহোযোগীতা করে। আমি মেয়েকে সামলে অফিসের কাজ করে দিশেহারা তার ভেতরে প্রতিদিন তার একটা না একটা কারন থাকে যার কারনে তার মেজাজ খারাপ থাকে।
তার এই মেজাজ খারাপ আমকে মুহুর্র ভেতর অপরাধবোধে ফেলে দেয়। আমার পুরো দিন বা রাত খারাপ যায়। সে আবার বেলা পার হলে ভুলে যায় তার মেজাজ খারাপ ছিল।
আমি তার এই দায়িত্বহিনাতার সাথে হালকা সেজাজ নিতে পারছিনা।
আমি অফিসের কাজ বাসায় থেকে করতে হয় মেয়েন কান্নাকাটি ম্যানেজ করে। আমার অফিসের বেতনে সংসার চলে না আমি সারাক্ষন খুজতে থাকা লাগে কোথায় কোন ছোট কাজ পাই বা কার কাছে ধার পাই । এভাবেই চলছে আমার সুখের সংসার যার বোঝা আমি আর নিতে পারছি না,
মার কি করা উচিত বলে একজন মানুষ হিসেবে আপনার মনে হয়
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:০৯
মাথা পাগলা বলেছেন: আপনার লেখা থেকে বোঝা যায় আপনি মানসিকভাবে এই বোঝা আর নিতে পারছেন না। অর্থনৈতিক এবং মানসিক চাপে আপনি ক্লান্ত। ছেলে ও মেয়ের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। নিজে এবং ছেলে-মেয়ের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন। স্বামীর সাথে বসে স্পষ্টভাবে বিষয়গুলো ক্লিয়ার করুন, না হলে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বুঝিয়ে বলুন। এখনকার স্বামীর সাথে আপনি থাকতে পারবেন কি না, সেটা আগে একদম স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঝুলে থাকা অবস্থায় নতুন সম্পর্কে যাওয়া মানসিকভাবে আপনার জন্যও ক্লান্তিকর আর সন্তানদের জন্যও বিভ্রান্তিকর হবে।
নতুন মানুষটির প্রতি আপনার অনুভূতি আলাদা করে বিচার করুন - সে কি সত্যি আপনাকে মূল্য দেয় নাকি আপনার দূর্বল সময়ে সুযোগ বুঝে এসেছে, নতুন মানুষের সাথে আপনার এবং আপনার ভবিষ্যত নিরাপদ কিনা। নতুন মানুষকে গ্রহণ করার আগে বর্তমান সম্পর্কের থাকা বা আলাদা হওয়া ফাইনাল করে ফেলুন। তারপর সময় নিয়ে দেখুন নতুন মানুষ দীর্ঘমেয়াদে আপনার এবং আপনার সন্তানের পাশে দাঁড়াতে পারবেন কি না।
তবে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে, অন্য কারো কথা শুনে নয়।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কারো কাছে কাউনসিলিং নেন। সামুতে কি সলুশন দেয়ার জায়গা ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:২২
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার সিধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।শুনে খারাপ লাগছে।