নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক নজরে আলি দস্তির "নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর" (প্রথম অধ্যায়)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

আমার বিশ্বাস যাই হোক না কেন আমি সবসময়েই বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মতামত, বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।  ইরানি প্রগতিশীল সাংবাদিক আলি দস্তির লেখা এ বইটি আমার এক নাস্তিক বন্ধুর সাজেস্ট করা।

পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলাম সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মের একটি আর নবি মুহাম্মদ (সাঃ) ইতিহাসের অনন্য একজন ব্যক্তিত্ব। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে তার জীবনী কখনোই লেখা হয়নি বললেই চলে। একদিকে তাঁর অনুসারীরা বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার অবতারণা করে, অতিরঞ্জন করে তাঁকে মহাপুরুষ বানিয়ে তুলেছেন অন্যদিকে তাঁর বিদ্ধেষীরা অন্ধভাবে তাঁকে ভন্ড, প্রতারক আখ্যা দিয়ে গেছেন। তাই আশির দশকে আরব বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম এক ব্যক্তি আলি দস্তি এখানে চেষ্টা করেছেন একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইতিহাসের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির জীবনী রচনা করতে।

এ বইয়ের ক্ষেত্রে  লেখক কুরআনকেই তার আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ধরেছেন হাদীসকেও অনেক সময় অতিরঞ্জন, বা বানানো বলে এড়িয়ে গেছেন।

★ এ বইয়ে মুহাম্মদ সাঃ কে যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অভিষিক্ত করা হয়েছে তবে একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে ধরে নিয়ে, নবি হিসেবে নয়। এমন একজন ব্যক্তি যিনি কিনা একদম রিক্ত অবস্থা থেকে পরিণত হয়েছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী, অন্যতম সমাজ সংস্কারক একজন ব্যক্তিত্বে। লেখক এখানে তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতের অসাধারণ একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরেছেন।  ঈশ্বর প্রেরিত কোন দূত হিসেবে নয়।

★ তখনকার আরবে একেশ্বরবাদের ধারণা নতুন কিছু ছিলনা। ইয়াসরিবের ইহুদী, হেজাজের খ্রিষ্টানদের মধ্যে আগে থেকেই একেশ্বরবাদ প্রচলিত ছিল। এছাড়াও তখন মক্কায় পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে একধরণের আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। অনেক কবি "ওকাজ" এর মেলায় একেশ্বরবাদ এর পক্ষে প্রচার চালান। এছাড়া কয়েকজন "হানিফ" মতাবলম্বী ছিলেন যারা ইব্রাহীম (আঃ) এর শিক্ষা অনুসরণ করতেন। মক্কার কাফেররাও অনেকটা  এসবের অসারতা জানতেন কিন্তু কাবায় বেদুইনদের তীর্থযাত্রা তাদের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম ছিল বলে তারা এসব স্বীকার করতেন না।

★ এ বইয়ে কুরআনকে মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিজস্ব চিন্তা দর্শনের প্রকাশ হিসেবে ধরা হয়েছে। লেখকের মতে তরুণ বয়সের বঞ্চনা, একাকীত্ব মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রচলিত সমাজের প্রতি বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল, তাঁকে গড়ে তুলেছিল একজন অন্তর্মুখী, ভাবুক ব্যক্তি হিসেবে এবং আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে তিনি অনেকের সাথে কথা বলে, ভেবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে মক্কার তখনকার সমাজ ছিল আসলে ভীষণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং পশ্চাৎপদ। এবং তিনি তার মনের দুর্ণিবার যাতনার ফলস্বরূপ কল্পনার জগতে এক দেবদূতের স্বাক্ষাৎ পান। যে তার কাছে কোরআন অবতীর্ণ করে। এটি  আসলে তারই ভাবনাগুলোর সমষ্টি ছিল

★ প্রথমবার অহী আসার পর কিছুদিন অহী আসা বন্ধ থাকা, এরপর "তোমার রব তোমাকে ছেড়ে যাননি" এ ধরণের সান্ত্বনা বাক্য নাযিল হওয়া লেখক এসবের মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এবং তার মতে একসময় সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীন দেখে মুহাম্মদ (সাঃ) এর মনে এক সময় কিছুটা আপোষের চিন্তাও চলে আসে এর বহিঃপ্রকাশ ছিল সূরা নজমের একটি আয়াত যা পরবর্তীতে কোরআন থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে এটি শয়তান তাঁকে দেখিয়েছে। (সূরা হজের আয়াত ৫১)।

★ মক্কার কাফেররা মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুয়তী মেনে নিতে পারেনি। তারা একে দেখছিলো গোত্রগত প্রাধান্য বিস্তারের প্রচেষ্টা হিসেবে। মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাইশদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানের হয়েও নবি দাবি করছিলেন এটি ছিল তাদের মর্মজ্বালার অন্যতম কারণ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১

জে আর সিকদার বলেছেন: বইটি আমার সংগ্রহে থাকা সত্যেও পড়া হয় নাই, প্রথম অধ্যায় রিভিউ ভালোই লাগলো । বেশ সমালোচনা ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: কোন বিষয়ে নিরপেক্ষ, উদার বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা আজকাল দেখাই যায়না। অধিকাংশ সমালোচনার জন্ম হয় ঘৃনা বা বিদ্ধেষ থেকে। এ বইটিতে ভিন্ন স্বাদ পাবেন আশা করি। সময় করে পড়ে নিন

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: এ বইয়ে মুহাম্মদ সাঃ কে যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অভিষিক্ত করা হয়েছে তবে একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে ধরে নিয়ে, নবি হিসেবে নয়!!!!!!!!!!! B:-) :-P B:-/

That is the reason of ur friend's request.

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হ্যাঁ তা ঠিক। এখানে লেখক বাস্তবতার আলোকে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। অলৌকিক কোন শক্তির সাহায্য না নিয়ে। লেখকের মতে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সাঃ) এর অসাধারণত্ব, নবি মুহাম্মদ (সাঃ) এর আড়ালে চাপা পড়ে গেছে

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বইটিতো বাজারে নেই, কোথাও নেই।
বইটি পড়া দরকার। কোথায় পাব?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো সম্ভবত। এ লিংক থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। Click This Link

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে ভাল করেছেন। ডাউনলোড করে ফেললাম। এমন বই না পড়ার কোন মানেই হয় না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সেটাই! পড়ে দেখেন ওনার মতামত, বিশ্লেষণ। কতটুকু মানবেন তা আপনার বিষয়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.