নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

১২.৫ লিটার সিলিন্ডারে ৮লিটার গ্যাস, বাকিটা বাতাস আর পানি

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫১



একটা ম্যাজিক স্টিক দরকার। আমার তো নেই। তাই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে লিখতে বসলাম। টপিকস হল: দেশে কি আছে , কি পাচ্ছি, কতটা ফাঁকিবাজি।



দেশে শাসক বদলেছে, শাসন ব্যবস্থা বদলায়নি:
--- যে দেশে আইন স্বচ্ছ নয়, যেটুকু আছে তার প্রকৃত প্রয়োগ নেই, অপরাধীরা ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়, সে দেশ শতবার স্বাধীন হলেও লাভ নেই। আমার ধারনা ৩৬ জুলাই আন্দোলন খুব শীঘ্রই ভেস্তে যাবে। একটা সাদা কালো অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে জায়গা নেবে।


দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন নেই কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির উন্নয়ন ঘটছে:
--- একসময় ঢাবি নিয়ে গর্ব করতাম, ভর্তি হবার স্বপ্ন দেখতাম। এখন লজ্জা লাগে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের উপাচার্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টাকার নাস্তা পাওয়া যায় বলে গর্ব করেন। গ্লোবালি ১৫৯১ তম স্থান এখন। গর্বের বিষয় হত, যদি প্রথম ১০০টার তালিকায় থাকত। রবি ঠাকুর এমনি এমনি ঢাবি প্রতিষ্ঠাকালে বাঁধা দেননি। তিনি হয়ত অপাত্রে কন্যা দান ব্যাপারটা অনুমান করতে পেরেছিলেন। ঢাবির কথা বাদ দিলাম, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বর্তমানে খুবই নাজুক। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে, তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে হয়। লেখাপড়ার কন্টেন্ট নষ্ট করতে হয়। ১৬ বছরে হাসিনা সরকার সেটা খুব সূক্ষভাবে করে গেছে। যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে ইন্টারভিউ নিতে বসি, এত এত ভাল সিজিপি পাওয়া গর্ধবদের দেখলে মনে হয়, হাইস্কুলে আবার ভর্তি করিয়ে দেই। স্যাররা শুধু বেতন বাড়ানোর কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেন। তারা যে সময়টুকু পলিটিকস নিয়ে সময় নষ্ট করেন বা প্রাইভেট পড়িয়ে নষ্ট করেন, তার পরিবর্তে নিজের দায়িত্বটুকু যদি ঠিক ভাবে পালন করতেন, আর কিছু লাগে না। তাদেরকে দোষ দিয়েই বা কি লাভ। অনেকে ঢুকেছে তদবিরে। কিছু নষ্ট শিক্ষক দায়িত্বশীলদের মন মগজ নষ্ট করে দিয়েছে। আফসোস...

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কম করে হলেও আরও এক যুগ লাগবে।


দেশে চাঁদাবাজরা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি:
----আগে দেখতাম, লীগের ছেলেপুলে নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করত। পুলিশও পোশাকের ক্ষমতায় চাঁদা তুলতো। এখন পুলিশের এলাকা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু চলছে। লীগের চাঁদাবাজরা সরে গিয়ে বিএনপির ছেলেপুলেকে সুযোগ দিয়েছে। আসলে থেমে নেই চাঁদাবাজি । রক্তে মিশে গেছে। দেশের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। যাদের যন্ত্রনায় মানুষ অতিষ্ট ছিল বা কোণ ঠাসা ছিল, কোথাও কোথাও ধরে ধরে তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।


দেশে টাকা প্রাচার বন্ধ হয়নি, শুধু পদ্ধতি বদলেছে, বদলেছে এ্যাকাউন্ট নাম্বারগুলো:
--- গত ১৫ বছরে গড়ে ১৬বিলিওন ডলার ফিবছর পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে । গত ১০ মাসে পাচার হয়ে প্রায় ৩লাখ ডলার। বহুলাংশে কমেছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি। হবেও না যত দিন না সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী পুজিবাদীরা অপরাধের সাথে জড়িয়ে থাকবে। তবে ৩লাখ ডলার আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য কোন সংখ্যা না। হয়ত মিডিয়া এখনও জানায়নি , তাই আমরা জানি না।


দৌলতিয়ায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যেতে পারেন না, তাই সারা ঢাকা শহরকেই ওনারা দৌলতিয়া বানিয়ে দিয়েছে:
---- এক কাউয়া কাদের ৬টা ব্রোথেল চালাতো। আরও কত কাউয়া, কোকিলের কোলে ঘুমাতো তার হিসাব নাই। কেউ কেউ তো আবার বিশেষ অঙ্গ নাকি বড় করে এনেছিল নিশি কন্যাদের খুশি করার জন্যে। বিশেষ এক মন্ত্রীর কল লিস্ট থেকে ৬ মাসে ১০৫টা নিশিকন্যাকে কল করতে দেখা গেছে। রবি ঠাকুর তাও ভালই ছিল, ১৬ জনের সাথে প্রেম ছিল। আহা সোনার বাংলা... উত্তরা, ধানমন্ডি, বানানী কোথায় নেই দৌলতিয়ার নারী। বিগত সরকারের বিশিষ্ট জনদের বিশেষ অর্জন। সবাই বড় বড় ইনফ্রাস্টার্কচার দেখে লীগ সরকারের, এই অর্জনকে কেউ মুখে বলেনা।


খুন খারাপি বন্ধ হয়নি, আগে রাষ্ট্রীয় পোশাক পরা ব্যক্তিরা মানুষকে তুলে নিয়ে গুম করত বা ক্রস ফায়ার করত, এখন সন্ত্রাসীরা করছে মব কালচার বা কিশোর গ্রুপের মাধ্যমে:
----এক সন্ত্রাসী আর এক সন্ত্রাসী কে মারছে। মিডিয়া মারফতে আমরা দেখছি, কারও মাথা থেতলে দিচ্ছে, কারও হাত পা ভেঙ্গে দিচ্ছে, কারও মব জাস্টিস করছে। এগুলো আগেও ছিল। ৩টা চাক্ষুস ঘটনা বলি: তখন ১৯৯০ দশকের ঘটনা। মাধুসিনেমা হলের তখন মেটানি সো ভেঙ্গেছে। সাতমাথা এরিয়ায় তখন অনেক ভীড়। হঠাৎ এক ছেলে পিঠ বরাবর খুর দিয়ে একটা পোছ দিল তার সামনের ছেলেকে। দেখলাম রক্তে ভিজে গেল, চামড়া ফেড়ে পিঠের হাড় হাড্ডি দেখা যাচ্ছে। ছেলেটা রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে। পরে জানলাম চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আক্রমন। ২য় ঘটনা, রেললাইন পার হয়ে হকারস মার্কেটে যেতে হয়। দেখলাম হাত পায়ের রগ কেটে লাইনের উপর এক যুবককে ফেলে রাখা হয়েছে। ছেলেটা ছটফট করছে। শিবিরের কিছু ছেলে দূরে দা চাকু নিয়ে দেখছে। ট্রেন আসার অপেক্ষায় তারা দাড়িয়ে। ৩য় ঘটনা: সেউজগাড়িতে ধাবড়িয়ে দিনের আলোয় ক্যালা মাস্তান কে গলা কেটে শত শত মানুষের সামনে জবাই করে তার নিজের গ্রুপ। এটা অবশ্য চাক্ষুস বলা যায় না। লাশ দেখেছিলাম পুলিশ ভ্যানে। এসব খবর সেসময় টিভি তে আসতো না। বড় জোর লোকাল পত্রিকায় থাকত। এখন এসব ভাইরাল হয়। হায় হায় রব ওঠে ইন্টারনেটের কল্যানে। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীদের হাতেই মরে। রাজনীতি যতদিন সেবা না হয়ে পেশা হিসেবে থাকবে, ততদিন সন্ত্রাস নির্মূল হবে না।



বাল্য বিবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে, কিন্তু বাল্য দেহ দান বন্ধ হয়নি বা শিশু নির্যাতন বন্ধ হয়নি:
--- নারী পুরুষ সবারই তেঁতুল দেখলে জিভে জল আসে। পুরুষ টক খেতে পারে না, তাই খায় না। উঠতি বয়সের সুন্দরীর লকলকে বাড়ন্ত শরীর দেখলে ছেলে বুড়ো সব পুরুষের শরীরে রসায়ন ঘটে, এটা প্রাকৃতিক। আগে বাবা মা তার আদরের কন্যার উপর কুনজর লাগার আগেই বিয়ে দিয়ে দিত। এখন মেয়েরাই কোচিং, কলেজ বা টিউশনিতে বা মর্ডান হাল ফ্যাসনে গা ভাসাতে গিয়ে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে। কোন কোন পুরুষ বা নারী ভাল থাকে। কারন ব্যাপারটা হল, সুযোগ পায় না, তাই ভাল। এদিকে বাঙ্গালী বধুরা সতীনের ঘর করতে চায় না। নিজে মনোপজে চলে গেছে, তবু বিয়ে করতে দেয় না। যৌন ক্ষুধা তো আর হাতের রিমোট না। বাটন টিপলে টিভি অফ !!! তখন ঐ শ্রেনীর পুরুষরা যায় অন্যের সঙ্গ পেতে, নয়ত নাতি পুতি টাইপের শিশুদের নির্যাতন করতে। সমস্যাটা কোথায় ভাবুন একবার? বহু বিবাহ আসলে পুরুষের দরকার। যার একাধিক স্ত্রী থাকে এবং নিয়মিত সহবাস হয়, তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার কম হয়, কিডনি ভাল থাকে, বিপিএইচ হয় না, পুরুষ বেশি উৎপাদনমুখী হওয়ায় সুস্থ্য সবল থাকে।


দেশে ভোট আছে কিন্তু সেখানে ধাপ্পাবাজি:
---- মধ্যরাতের ভোট বা নদীতে ভেসে আসা ব্যালট বাক্স এসব পুরান কথা। গানিতিক ধাপ্পাবাজি আমাদের ভোটিং সিস্টেমে লুকিয়ে আছে, সেটাও সবাই জানি। যদি সমতা(equality) এবং নায্যতা (equity) ভোট ব্যবস্থায় প্রতিফলিত না হয়, তবে সংসদে সাংসদদের জগাখিচুড়ি ভবিষ্যতেও থাকবে। ফলে আগের মতই দেশের মানুষের কথা সাংসদরা বলবেন না, সাংসদরা নিজেদের কথা বলবেন। সব কিছুর পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন চলবে সাংসদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে। যেমনটা হয়ে এসেছে।


দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আছে কিন্তু প্রতিভাগুলো কে কাজে লাগানো হয় না:
--- বিসিএস ক্যাডাররা যত না তথ্য উপাত্ত মুখস্ত করে, ফাজিল বা কামিল পাশ করা স্ট্যুডেন্টরা তার চেয়ে কোন অংশেই কম তথ্য উপাত্ত মুখস্ত করেন না। শুধু সেক্টর আলাদা। বিসিএস ক্যাডাররা যদি এক একটা রত্ন হয়, তাদের ব্রেনের যে ক্যাপাসিটি আছে, সেটা ফাজিল বা কামিল স্ট্যুডেন্টদেরও আছে। আমরা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন সময়োপযোগি সমন্বয় ঘটাই না। ঘটতে দেই না। তাদের কে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা পরিচালনা, জানাজা আর দোয়া খায়েরে আটকিয়ে রেখেছি। আমরা তাদেরকে সাংসদ বানাতে বা বিসিএস ক্যাডার বানাতে স্বপ্ন দেখাই না। নীতি নির্ধারকরাও চান না। এক দিক দিয়ে ভাল এজন্যে যে, টুপি বাহিনী রাষ্ট্র পরিচালনায় ঢুকে পড়লে, তথাকথিত সন্ত্রাসী দেশের তালিকায় দেশ জড়িয়ে পড়বে খুব সহজে পশ্চিমাদের গ্যারাকলে পড়ে। কাজেই টুপি বাহিনী আখেরাত নিয়ে থাক, আমরা সাধারন মানুষ পশ্চিমাদের গুলি খেতে চাই না।



দেশে উদ্যোক্তা আছে কিন্তু সহযোগিতা নেই:
--- কেউ একজন কিছু করতে চাচ্ছে, সমাজ তাকে সাপোর্ট করবে না। ব্যাংক তাকে ঋণ দেবে না। আত্মীয় স্বজনদের অলস টাকা পরে আছে, তাও ধার দেবে না। জেন্ডার ইস্যু, সার্টিফিকেট ইস্যু, ফিনানসিয়াল ইস্যু...আরও নানা ইস্যু। রাষ্ট্র তাকে পড়ার সুযোগ দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে কিন্তু ক্ষেত্র তৈরী করে দেয়নি। সেই ক্ষেত্র যদি নিজে তৈরী করে এগিয়ে যায়, তবে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পুলিশ, কমিশনার, চেয়ারম্যান ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার রকমের সমস্যা রাতের ঘুম হারাম করে দেয়। যাবে টা কই? বেকার আগেও ছিল, এখনও আছে। আগে বাবার হোটেলে খাওয়া সহজ ছিল, এখন দিন কে দিন কঠিন হচ্ছে। নতুনদের নতুন কিছু করতে পথ করে দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।


দেশে ব্যাংক আছে কিন্তু টাকা নেই:
--- দেশের ৬ ব্যাংক দেউলিয়া, ৩টা লিস্টেড। সম্বনয় ঘটানো হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ধার দিচ্ছে। তবুও হচ্ছে না। পায়খানা কষা ছিল, এখন রক্ত যায় অবস্থা। ১২.৫ লিটার সিলিন্ডারে ৮লিটার গ্যাস, বাকিটা বাতাস আর পানি। ব্যাংকে আমার টাকা গেল কৈ? আমাকে কেন চেক নিয়ে ঘুরতে হবে। আমার টাকা আমার। ব্যাংক খেয়ে ফেলার কে? ১৯৯৬ সালেও কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছিল। হাসিনার আমলের মত ঠোসা/ফাঁকা হয়নি কখনও।



দেশে পরিশ্রমী মানুষ আছে, কাজে লাগানোর সুযোগ নেই:
--- বিদেশে কিন্তু বাংলাদেশী শ্রমিকের কদর আছে। কারন এরা যথেষ্ট পরিশ্রমী এবং বেশির ভাগ সৎ। তাহলে দেশে কেন তারা ছিন্তায় করবে? তারা কেন হতাশাগ্রস্থ হবে? রাষ্ট্র কেন ওদের জন্য শ্রমবাজার নিশ্চিত করবে না? এখানকার যুবকরা কেন সমূদ্র পথে ইতালী যাবে, ইউরুপের রিফিউজি ক্যম্পে দিন কাটাবে? শিক্ষিত প্রশিক্ষিত জনসম্পদ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ওদের কাজে না লাগালে, সমাজের বিশৃঙ্খলা কখনই কমবে না। মাদক কখনই বন্ধ হবে না। হতাশাগ্রস্থরা বেশি মাদক সেবন করে। যেখানে চাহিদা থাকে সেখানে যোদান দাতাও থাকে। আইন করে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। কাজের ক্ষেত্র তৈরী হলে মাদক চোরাচালান অটোমেটিক ৮০% কমে যাবে।



দেশে পাসপোর্ট আছে, ভ্যালু নেই:
---- পাসপোর্ট এবং এনআইডি হল আমার নাগরিক অধিকার। সেটা না হয় বাদ দিলাম। সেই দুটো জিনিস সংগ্রহ করতে টায়ারের অক্ষয় সেন্ডেলও ক্ষয় হয়ে যায়। আমি আমার এনআইডি, গাড়ির স্মার্টকার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স হারনোর পর ঘুষ সমেত ২৮হাজার টাকা খরচ করেছি নতুন কপির জন্যে। তাও সব মিলিয়ে ১৩ মাস সময় লেগেছে? কিন্তু কেন এত জটিলতা? কেন এত মন্থর গতি? মালএশিয়া কি করে ৪৫মিনিটে করে দেয়, সিঙ্গাপুর কি করে ৩০ মিনিটে দেয়? আমার দেশ কনে পারে না?
পাসপোর্টের মান বাড়াতে কি করতে হবে সেটা রাষ্ট্রের ব্যাপার। এমন একটা অবস্থা যে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলে এমবাসিতে গুরত্ব দেয় না, কথা শুনতে চায় না, ভাবেই না আমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী। বিভিন্ন দেশের এমবাসিতে পাসপোর্ট দেখে ভেবেই নেয় এরা সবাই লেবার, ঘামের ঘন্ধ ভুরভুর করে, থার্ড ওয়ার্ল্ডের OC(অনিয়ন কাটার) DC (ডিস ক্লিনার)। এই ইমেজ সঙ্কটের জন্যে দায়ী কে? আমার দেশের ভাই বোনেরা কি মাইক্রোসফটে নেই? নাসাতে নেই? ইউনেস্কোতে নেই? আমেরিকান আর্মফোর্সে নেই? অক্সফোর্ডে কেউ নেই? গুগলে জব করে না? তাহলে সমস্যাটা কার? অবশ্যই সরকারের...



লাখ লাখ টিকটকার আছে, কিন্তু ক্ষুদে বিজ্ঞানী নেই:
---- দেশে এখন এমন অবস্থা যে, এমন একটা উপজেলা পাওয়া যাবে না, যেখানে একজন টিকটকার, ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ইমোতে কাজ করা বা ইউটিবার নেই। ১০% হয়ত ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট বানাচ্ছে, বাকি সব দেহ পদর্শনী, বকবকানি বা রংঢং করে দেশের ইন্টারনেট এনগেজ করে রাখছে, যতক্ষন জেগে আছে মোবাইল হাতে, মানে বিদ্যুৎ অপচয় করছে। একটা মোবাইল যদি সারাদিনে ১০টাকার বিদ্যুৎ খায়, তাহলে ১০ লাখ পাখিরা ১ কোটি টাকার অপচয় করে। মাসে কত, বছরে কত? বাঙ্গালির মনে এত সুখ যে, পাড়ার টুনি ভাবি বা উগান্ডার চান্দু, সবার মনে শুধু বিনোদন আর বিনোদন !!! কেন রে বাবা, তোরা চাইনিজ জাপানিজ বাচ্চাদের মত কিছু মাথা খাটানোর কন্টেন্ট বানা। আর কিছু না পারলে ওদেরটা কপি পেস্ট কর... গাইতে গাইতে একদিন তো গায়েন হবি।



আগে দেশের রাজনীতিবিদরা নিজের সম্পদ হারিয়ে দেশ গড়ত, এখন দেশ বেঁচে সম্পদ গড়ে:
--- এটার ব্যাপারে আর কি বলব? হাজার হাজার উদাহরন এই লেখা যারা পড়বেন, কম বেশি তাদের সবার জানা আছে। প্রকৃত দেশ প্রেমিকরা এখন আর ভাত পায় না। তাই বলে পিৎজা খায় তা না। কেউ কেউ আফসোস নিয়ে মরে, কেউ কেউ এক বুক যন্ত্রনা নিয়ে চুপ মেরে থাকে। আমরা তাদের কথা বলতে দেই না। তাদেরকে সামনের কাতারে দাঁড়াতে দেই না। আগে এক কাপ চা আর একটা বন রুটিতে ভোট বিক্রি হত, এখন ৫০০টাকায় হয়। হাজার টাকায় হয়। আগে যোগ্য লোককে যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ দেয়া হত, এখন অযোগ্য লোককে অযোগ্য আসনে বসানো হয়। তেল মারা আর প্রফিট শেয়ার করাই এখনকার যোগ্যতা।


লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে গেলাম... মনের কথা গুলো কথাকলি হয়ে বেঁচে থাক আমার ব্লগে।

অগ্রিম ধন্যবাদ সবাইকে।



মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:০৫

বিপুল শেখ বলেছেন: কবি নিশ্চুপ

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

অপলক বলেছেন: কখনও কখনও নিশ্চুপ নিরবতা তীব্র প্রতিবাদের চেয়েও তীব্র। কবিরা বীজ বোনে মনে, প্রকাশ করে ছোট্ট শব্দে।




ধন্যবাদ বিপুল।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে সমস্যা আছে। সমস্যা লেখার মানুষও আছে। কিন্তু সমাধান করার কেউ নেই।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সব বুঝলাম , কিন্তু ম্যাজিক স্টিক দিয়ে কিভাবে গ্যাসের মাপ নিধারন করবো সেটা তো বললেন না ?

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮

অপলক বলেছেন: ছবিতে যে ম্যাজিক স্টিক দেখিয়েছি সেটা একটা গাছের ডাল, একে সন্জিবানী কাঠি বলে। বৈশিষ্ট্য হল স্রোতের বিপরীতে সোজা পথে চলে তার সর্পিলাকার গঠনের জন্যে। বিজ্ঞানের একটা খেলা। ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে।

আমার যদি এমন কোন ম্যাজিক স্টিক থাকতো যেটা দিয়ে স্রোতের বিপরীতেও হলেও দেশকে নতুন করে সাজাতাম, সব দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি, অন্যায়, অসমতা, দৈনতা ইত্যাদির মূল উটপাটন করে, তবে ইতিহাস গড়তাম।

যে দেশে সব কিছু স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার ভেতরে চলবে, এইটাই সে দেশের ম্যাজিক কাঠি হয়ে গ্যাসের সিলিন্ডারের ১২.৫ লিটার মানে ১২.৫লিটারিই ঘোষনা দেবে। কষ্ট করে আমাকে আপনাকে আর মাপতে হবে না।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৩

Sulaiman hossain বলেছেন: এসবকিছু দেশের ক্ষমতায় যারা থাকে,তাদের হাতে।তারা ভালো হলে সবকিছু ভালো হয়ে যাবে।কোনোকিছু করতে হলে দেশের ক্ষমতাবানরাই করতে পারে।

ইসরাইল যখন ইরানে হামলা করল,একজন ব্লগার লিখেছিল,২০০০ কিমি দূর থেকে কিভাবে নির্ভুল টার্গেটে হামলা করে ইরানের পরমানু বিজ্ঞানিদেরকে মরে ফেলল,আর আমাদের হুজুররা আছে চা পা ন চিবানো আর মসজিদে বয়ান করা নিয়ে ফতুয়া নিয়ে ব্যাস্ত।
বুজতে পারলাম তার ক্ষোভ সুধু হুজুরদের প্রতি।সুধু উক্ত ব্লগার নন,যেকোনো ব্লগার যারা হুজুরদেরকে সুধু দোষ দেয়,তাদের নিকট আমার একটি প্রশ্ন রয়েছে, আপনারা হুজুরদেরকে কয়বার দেশের ক্ষমতায় বসিয়েছেন????বড় কোনো বিপ্লব ঘটাতে হলে আগে দেশের ক্ষমতা হাতে নিতে হয়।বিগত সময়ে যারাই দেশর ক্ষমতায় এসেছে, যুদ্ধের পর থেকে তারাই সুধু বাটপারি ছিটারি করেছে,আর দেশের কিছু কাঠামোগত উন্নতি করেছে,দেশের দারিদ্র্যতা এখনো দূর করতে পারেনাই।দেশের ভিতরেই যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এমনকিছু করতে পারেনাই।সুতরাং হুজুরদের কোনো দোষ দেওয়ার আগে সাতবার ভাবা উচিত আমরা হুজুরদেরকে কয়বার দেশের ক্ষমতায় বসিয়েছি,যে তারা কিছু করার সুযোগ পাবে।হুজুররা ক্ষমতার প্রতি কোনো লোভীও নয়,দু একজন ব্যাতিক্রম হতে পারে,কিন্তু দুএকজনের জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া যায়না।

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

অপলক বলেছেন: অনেক ভারী এবং বাস্তব সম্মত কথা বলেছেন।

উপরে একটা পয়েন্টে হুজুরদের নিয়ে লিখেছি। বস্তুত হুজুরদের কর্মঘন্টা আমরা উৎপাদন মুখী করতে পাচ্ছি না। আরও বিশদ লেখা হয়ত লিখব সময় করে।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯

নাহল তরকারি বলেছেন: কি আর কমু!! মরে যেতে ইচ্ছে করে। আমার দক্ষতা আছে। শ্রম দেবার জায়গা নাই।

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

অপলক বলেছেন: হুমম বাস্তবতা এটাই...

প্রায় সাড়ে ৮০০কোটি মানুষের ভেতরে ১৮ কোটি মানুষ একটা সিগনিফিকেন্ট নাম্বার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে ৪.৬% বেকার বাস্তবে ১০% হবে, যারা কম বেশি সবাই অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন, চার হাত পা কর্মক্ষম। ৫জনের পরিবারে ১ জনের ইনকামে বাকিরা চলে। আমাদের চাহিদা কত কম ! তবুও প্রতিদিনের খাবার বা প্রয়োজন মিটানো নিয়ে দু:চিন্তায় থাকি।

বেকারত্ম নিয়ে উপরে একটা পয়েন্ট লিখেছি, পরিস্থিতি গুলো বেকারদের সবার ঘরে ঘরে। কত সুযোগ ছিল এই মানুষগুলোকে কাজে লাগানোর। দেশের নেত্রীস্থানীয় চোর বাটপারদের জন্যে সম্ভব হয়নি, হয়ত হবেও না।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: ২০ টাকায় এক প্যাকেট চিপস কিনে কতটুকু বাতাস কেনেন ?

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

অপলক বলেছেন: হা হা হা... দারুন বলছেন... ম্যানকা চিপায় থেকেও আপনার কথায় হেসে ফেললাম ভাই।


মনে হয় বাতাসের দাম কমেছে। ২০ বছর আগে সবুজ প্যাকেটের পটেটো চিপস কিনতাম ১০ টাকায়, এখনও ১০ টাকা।

কম দু:খে বলি নাই, ১২.৫লিটারে ৮লিটার গ্যাস। চিপসের প্যাকেটের সাইজ একই আছে, ভেতরের মাল কমেছে। আগে ছিল ২৫গ্রাম আর এখন প্যাকেট সহ ১৫গ্রাম, ১০টা চিপস থাকে কিনা সন্দেহ। এখন বোঝেন কতটুকু বাতাস কিনি !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.