নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে ফেইসবুকে, ব্লগে নিজেকে খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবে উপস্থাপন করবেন। (বিফলে পয়সা ফেরত)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩


আমি, আপনি মোটামুটি আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। সহজাতভাবেই দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু ইদানীং ফেইসবুকে, ব্লগে কিছু  "কড়া" দেশপ্রেমিকের সন্ধান পাওয়া যায়।  যাদেরকে আমাদের "চিন্তাশীল", "যুক্তিবাদী" তরুন প্রজন্ম দেশপ্রেমের আইকন মনে করে। আপনার কি ইচ্ছে হয় না এমন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যা পাইতে? তরুন প্রজন্মের আইকন হইতে? যদি ইচ্ছা করে তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।

আপনার যেসব যোগ্যতা থাকা লাগবেঃ
★ আপনাকে গালাগালিতে দক্ষ হইতে হবে।
★ ট্রল করার দক্ষতা থাকলে আরো ভাল। না থাকলেও সমস্যা নাই গালাগালির ডোজ বাড়ায়া দিলেই হপে।

আপনাকে যা করতে হবেঃ

১। এই যে এখন অতি সহজেই আপনি তরুনদের কাছে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যা পেয়ে যাবেন এই ফিল্ড কিন্তু একদিনে তৈরী হয়নি। এটি অনেক সাহিত্যিক, অনেক ইন্টারনেট সেলিব্রেটির বহু পরিশ্রমের ফসল। বিশেষ করে জনাব হুমায়ুন আজাদ সাহেবের অবদানতো কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।  তাই অতি অবশ্যই তার কিছু উক্তি আপনার প্রোফাইলে ঝুলিয়ে রাখবেন যেমনঃ " আমি শূকরের সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি " বা " পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও "।

২। যেহেতু বর্তমানে আমাদের দেশপ্রেমের একমাত্র বাহন হচ্ছে ক্রিকেট তাই প্রথমত ক্রিকেট সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখবেন।

২ (ক)। পাকিস্তানের সমর্থকরা রাখুক আর না রাখুক আপনি পাকিস্তানের খেলার খবর অবশ্যই রাখবেন। পুরো ম্যাচ গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করবেন।  লক্ষ্য  করবেন পাকিস্তানরে পঁচানো যায় এমন কি ঘটছে? যেমন আফ্রিদির শূন্য রানে আউট হওয়া, বা ওয়াহাব রিয়াজ কারো সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া এইসব। তারপর এ নিয়ে কইষা গালি দিয়া বা ট্রল কইরা  পোস্ট দিবেন। তবে খুব খেয়াল রাখবেন পাকিস্তানকে বা এর কোন প্লেয়ারকে বিকৃত নাম ছাড়া আসল নামে ডাকবেন না যেমনঃ পাকিস্তানকে ডাকবেন ফাকিস্তান, পাকিস্তানিদের পাইক্কা, আফ্রিদিকে ডাক্রিদি ইত্যাদি।

২ (খ)। এবং প্রতিটি পাকিস্তানের ম্যাচ শেষে বাংলাদেশি পাকিস্তান সমর্থকদের গালি দিবেন। আপনার সামনে এমন ঘটনা ঘটুক চাই না ঘটুক। বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন এই গালি কিন্তু ভীষণ কড়া হইতে হবে। নিচের কিছু নমুনা দেখুনঃ

"আইজকা পাকী বীর্যে জন্মানো এক জার*রে দেখলাম পাইক্কারা চার মারলে লাফাইতাছে।;; মনডা কইছে হ্লারে লাথাইয়া বিচি গালায়া দেই। খালি....."

আর মেয়েদের টেনে না আনলে গালাগালিটা ঠিক কড়া হয়না। তাই তাদেরও গালি দেবেন যেমনঃ "কিছু বাংলাদেশি বে*, মা* দের দেখি আফ্রিদি  আফ্রিদি কইরা লাফায়। মনচায় তাগরে....... "

২ (গ) পাকিস্তানি প্লেয়ারদের কেউ প্রশংসা করলে তারেও গাইলাইবেন; সে যেই করুক না কেনো। মুশফিক, মুস্তাফিজ এরা করলে একটু নরম সুরে বলবেন। তবুও বলবেন।

২ (ঘ)। বাংলাদেশ ক্রিকেটের খোঁজ খবর রাখবেন। কিছুদিন পরপর মাশরাফিরে নিয়া ইমোশনাল পোস্ট দিবেন। আবেগে কাইন্দা ফালাইবেন। এবং প্লেয়ারদের বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিবেন।
যেমনঃ "মাশরাফি বাংলাদেশের আট নাম্বার বীরশ্রেষ্ঠ। তার হাতের বল যেন মুক্তিযোদ্ধার হাতের গ্রেনেড।......... "
একটা মানুষ লাখ লাখ টাকার বেতন খায়া  বল খেইলা কেমনে বীরশ্রেষ্ঠ হয়! বা এ তুলনা করায় বীরশ্রেষ্ঠদের অসন্মান হয় কিনা! আপনার এসব ভাবার কোন দরকারই নাই।

৩। পাকিস্তান নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাবেন। ওদের সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরবেন। দেখবেন কোথায় পাকিস্তান নিয়ে নেগেটিভ নিউজ আছে,  বা ট্রল আছে। ২(ক) এর মতো সেটা শেয়ার করবেন।

৪। আপনি মীর্জা গালিব থেকে শুরু করে আতিফ আসলাম যারই ফ্যান হোন না কেন! কিচ্ছু করার নাই। মাঝে মধ্যেই পাকিস্তান, উর্দুর সাথে সম্পর্কিত যারা আছে সবাইরে এবং এদের ভক্তদের গালিগালাজ করে পোস্ট দিতে হবে। তাদের অপরাধ বা দোষ কি এমন প্রশ্ন ভুলেও মনের মধ্যে ঠাঁই দেবেন না।

৫। বঙ্গবন্ধু, এবং বর্তমান সরকারের প্রশংসা করবেন সবসময়েই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে ওআইসির সম্মেলনে পাকিস্তান গিয়েছিল বা এ সরকার যে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বন্ধু হিসেবে পাকিস্তানি অনেককেও সন্মাননা দিয়েছে সেটা মাথার ধারেকাছেও রাখবেন না।

৬। জামাত-শিবিরকে নিয়ম করে গালিগালাজ করবেন, ট্রল করবেন, দেশদ্রোহী আখ্যা দিবেন। শুধু ওদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদেরই নয় বরং আন্ডা বাচ্চা সবাইকেই। অনেকে বলতে চাইবে "ওদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের তো ফাঁসি হয়ে গেছে। আর বাকীরাতো এদের দোষী হিসেবে বিশ্বাস করতোনা বলেই আন্দোলন করছে। এখন বাকীদের দেশদ্রোহী বলার লজিক কি?"
ভুলেও এইসব ছাগুদের কথায় কান দেবেন না। মনে রাখবেন ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড।

৭। এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনার দেশপ্রেম মানে কি হবে?
ঠিক ধরেছেন, বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম মানে হলোঃ "পাকিস্তানকে ঘৃনা করা"। উনিশশো একাত্তরের নয় মাস যুদ্ধ, লাখ লাখ প্রান দিয়ে আমরা একমাত্র এই শিক্ষাই পাইছি। এ কথা বুকে ধারন করে আপনি দুনিয়ার সব আকাম কুকাম করলেও আপনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। আমাদের কথা চিন্তা করেই শরৎচন্দ্র "বলেছিলেন":

"চরিত্রেই বল, ধর্মেই বল, সমাজেই বল, আর বিদ্যাতেই বল, শিক্ষা একেবারেই পুরা হইয়া আছে; এখন শুধু পাকিস্তানকে কষিয়া গালিগালাজ করিতে পারিলেই দেশটা উদ্ধার হইয়া যায়।"

৮। তবে একটু ঝামেলা আছে আপনার লিস্টে বিএনপি মনা কেউ থাকলে তাদের ম্যানেজ করার জন্য আপনাকে মাঝেমধ্যে ভারতকেও গালি দিতে হবে।

যাহোক আমি গ্যারান্টি দিতেছি এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে আপনি অচিরেই একজন দেশপ্রেমিক সেলিব্রেটি হতে যাচ্ছেন। কথা দিলাম বিফল হলে পয়সা ফেরত দিমু :D

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আহারে দেশপ্রেমিক হইতে মুন চাই

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: তাইলে কামে লাইগা যান। উপরের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন :D :P

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

বোরহাান বলেছেন: কিছু মনে করবেন না! গালাগাল দিয়ে কখনো দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না! এতে করে উগ্রতা প্রকাশ পায়! যদিও বর্তমান পরিস্থিতি গালাগাল দিয়েই চলছে!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: এই প্রক্রিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে কি চলছে তার উপর ভিত্তি করেই লিখা :P আর গালাগালি তো খারাপ কিছু না স্রেফ আবেগের বহিঃপ্রকাশ :P

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

শায়মা বলেছেন: বুঝা গেলো তুমি এক্সপেরিয়েন্সড দেশপ্রেমী!!!!!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হা হা এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে কি এই প্রসেস লিখতে পারি :P

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

আবু ইশমাম বলেছেন: এ পোষ্টটা মনে হয় এডমিন বেশি ক্ষন রাখতে দিবে না। এটা আশংকা করছি তবে আমি চাই আমার আশংকা ভুল হোক

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বলেন কি! ক্যান! এ পোস্ট কি কোন নিয়ম ভঙ্গ করেছে? আর চাওয়ার জন্য ধণ্যবাদ :)

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:



পোস্ট পড়ে প্রথমেই ফেসবুকের বিখ্যাত সেলিব্রেটির চেহারা চোখে ভাসলো।

যেহেতু রম্য তাই মাশরাফির বিষয়টা নিয়ে কিছু বললাম না। :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমি একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা লেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিটা কথাই আমার চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ। তাই কোনটাতে আপনার দ্বিমত থাকলে জানাতে পারেন। আমি আগ্রহী :)

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ২ নং কমেন্টের প্রতিউত্তর ধরে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় দেই যদি। /:)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বহিঃপ্রকাশ কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার আবেগটা কোন ধরণের তার উপর। যদি আপনার আবেগ গালাগালি লেভেলের হয় তাইলে আর কি করবেন।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

নীলপরি বলেছেন: আমি শায়মাদির সাথে একমত ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: এর মানে আপনার কাছে এই প্রক্রিয়াকে কার্যকরী মনে হচ্ছে! :D

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আপনার সর্বশেষ পোস্ট দেখেতো মনে হল আপনি গালিবের ভক্ত ৪ নাম্বার পয়েন্ট সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

জেন রসি বলেছেন: আলোচনায় যাচ্ছি। তার আগে বলেন পাকিস্তান সম্পর্কে আপনার ধারনা কি?স্যাটায়ার যেহেতু করেছেন , একটা সমাধানের মডেলও আপনার কাছে থাকার কথা।

এবার আমার অবজারভেশনের কথা বলি। ফেবুতে ভারতকে মালুদের দেশ অথবা অশ্লীল ভাষায় ধর্মকে কেন্দ্র করে কিছু লিখলে লাইক কমেন্ট বরং বেশি পরে। তাদের অনেকের প্রফাইলেই আবার আফ্রিদিদের নামাযের ছবিও দেখা যায়। এরা কি স্বদেশ প্রেমের কারনে ভারত বিদ্বেষী নাকি পাকি প্রেমের কারনে? যারা পাকি প্রেমের জন্য ভারত বিদ্বেষি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে সেটা কোন প্রেম হবে! ;)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমি উগ্র জাতীয়তাবাদ বিরোধি। ওদের তখনকার রাষ্ট্রব্যাবস্থার কোন সিদ্ধান্তের জন্য আপনি যখন পাকিস্তানের সবার, সবকিছুর বিরুদ্ধে ঘৃনার বিষ ছড়ান তখন বিষয়টা আমার কাছে ভীষণ উদ্দেশ্যমূলক কূটচাল মনে হয় এবং তরুন প্রজন্মের মধ্যে এই ঘৃনার সংস্কৃতি গড়ে তোলাটা কোন সুস্থ বিষয় মনে হয়না আমার কাছে , এসব তত্ত্বকথার সম্পর্কে আমার যে খুব জ্ঞান আছে এমন না কিন্তু আমি এ বিষয়গুলো আমি ফিল করছি এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
আমি যাদের কথা বলছি তারা আমাদের সমাজের খুব উঁচুদরের মানুষ কবি, সাহিত্যক, মুক্তমনা, মানবিকতার ফেরিওয়ালা। তাদের যখন দেখি এইধরনের কাজ করেন তখন কিছু সাধারণ পাব্লিকের ওইসব কাজগুলো চোখে লাগে না

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুধু পাকিস্তান কেন, ভারতের বিষয়টাও আনতে পারতেন । তাহলে আপনার লেখাটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হতে পারতো । আপনি একজন সুশীল (আসিফ নজরুল গোছের) হতে পারতেন ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমি এখানে সুষ্ঠ, আন্তর্জাতিক মানের লেখা লিখতে বসিনি। আমি যাদের কথা বলছি তারা আমাদের সমাজের খুব উঁচুদরের মানুষ কবি, সাহিত্যক, মুক্তমনা, মানবিকতার ফেরিওয়ালা। এনারা বিশেষ করে পাকিস্তানের পেছনেই লাগেন। এনাদের এমন কাহিনী দেখে বেশি অবাক হয়ে পাকিস্তানকে নিয়েই বলছি বেশী

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি পয়সা খরচা কইরা সেলিব্রেটি হইতে চাই না...... ;)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সমস্যা নেই রবি দিচ্ছে আপনার জন্য ফ্রী ফেইসবুকিং অফার। সাবস্ক্রাইব করার জন্য এখনি ডায়াল করুন... :D

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

জেন রসি বলেছেন: ব্যাপারটা হচ্ছে যখন কোন দেশের বিরূদ্ধে কথা বলা হয় তখন আসলে দেখতে হবে কার বিরুদ্ধে কেন বলা হচ্ছে। সেটা না বুঝে জেনারালাইজ করে ফেললে ভুল হবে। যেমন ধরেন পাকিস্তানের যে মানুষ বোমায় নিহত হচ্ছে, কিংবা যে মালালা তালেবানদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিল তারা আমাদের শত্রু না। বর্বর পাক সেনাবাহিনী আর মাথামোটা রাজনীতিবিদদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। আবার ভারতের সাধারন মানুষও আমাদের শত্রুনা। শত্রু হচ্ছে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যারা একাত্তরের জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। শত্রু হচ্ছে পাকিস্তানের সেই সেনাবাহিনী যারা এখনো ঠিক আগের মতই বর্বর আছে। শত্রু হচ্ছে পাকিস্তানের সেসব মানুষ যারা আমাদের কাছে ক্ষমা না চেয়ে বরং অহংকার প্রকাশ করতে চায়। আবার ভারতের সেই শাসক গোষ্ঠি আমাদের শত্রু যারা সীমান্তে আমাদের ফেলানীদের হত্যা করছে। কে কোন যুক্তিতে কার বিরোধীতা করছে কিংবা পক্ষ নিচ্ছে সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

যখন সিপি গ্যাং মালালাকে গালি দেয়, যখন মাইলস রূপমকে গালি দেয় তখন সেটা জাতিবিদ্বেষ হয়। স্বদেশ প্রেমনা। কিন্তু অনেকেই যৌক্তিক কারনেই পাকিস্তানের বিরোধিতা করে থাকে। আমিও করি। ভারতেরও করি। ব্যালান্স রাখার জন্য না। সুনর্দিষ্ট কারনেই করি।

যাইহোক, ফান পোস্টে সিরিয়াস কথা বলে ফেললাম। কারন আপনার ফান পোস্টের বিষয়টা সিরিয়াস। শুভেচ্ছা। :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমি আপনার কথাগুলোই বলতে চাচ্ছি। একবার আমার এক বন্ধু পোস্ট দিছিল সে আতিফ আসলামের ভক্ত ছিলো। সে জানতো না যে আতিফ আসলাম পাকিস্তানি। যখন থেকে জানছে তখন থেকে সে তাকে ঘৃনা করে। সেও হুমায়ুন আজাদ, হালের সুপারকপ মাশরুফ; এদের ভক্ত। আমার কথাগুলো এদের জন্যই। আমি সিরিয়াস আলোচনার আশা করছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ

১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

দুরন্ত সাব্বির বলেছেন: Thinking about this...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: থিংক কইরা কি বুঝলেন?

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

মেহেদী রবিন বলেছেন: এগুলা ছাড়া নিজেরে দেশপ্রেমিক দেখানোর উপায় কি ! আমরা এতই ছোট যে আরেকজনকে নিচে না নামাইলে আমাদের বড় হওয়া হয় না। নিজেরাও যে বড় কিছু করা যায় সেটা যদি বুঝতাম তাহলে এই স্যাটায়ারটার জন্ম হত না বোধ হয়। যাই হোক, মজা পেয়েছি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বলা হয়ে থাকে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ রা সমাজের মাথা। কারণ এনারাই গনমানুষের চিন্তা নিয়ন্ত্রন করেন। এখন তাদের মাথাই যখন বিগড়ে গেছে বা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তারা মানুষের মাথা বিগড়ে দিচ্ছেন তখন আর কি করার। যাদেরও এখনো ফ্রেশ চিন্তা করার সক্ষমতা আছে এগিয়ে আসুন। ছাগু, জামাতী ট্যাগ খাওয়ার ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে তারাই রাজত্ব করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.