নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রাচের কর্নেল তাহের, মেজর জেনারেল জিয়া ও অন্যান্য বিষয়ে আলাপ

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫১

ক্রাচের কর্নেল পড়ছি। আমার পড়া শাহাদুজ্জামানের প্রথম বই। বইটা বিপ্লবী কর্নেল তাহেরের জীবন কাহিনী নিয়ে। সে সূত্রে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল, জাসদের কথা। আগে এত বিস্তারিত জানতাম না কর্ণেল তাহের সম্পর্কে। যা হোক এ সম্পর্কে যা মনে হইছে তা কিছু কই, ভুলত্রুটি ধরায়া দিবেন।

১) এ গল্পে মেজর জেনারেল জিয়া যদি ভিলেন হন, তাইলে কইতে হবে ভিলেন হিসেবে তারে পছন্দ হইছে আমার। লেখক যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে জিয়াউর রহমান অদ্ভুত রোল প্লে করছেন পুরো গল্পে। তাহের আর জিয়া যেন সম্পূর্ণ বিপরীত দুই চরিত্র। কর্নেল এর পুরা জীবন যেখানে নিবেদিত ছিল এক মিশনের জন্য সেখানে জিয়ারে মনে হইছে নিরাসক্ত এক দর্শকের মতো। স্রেফ দূর থেকে চেয়ে দেখছেন সব। ঘটনাচক্র যখন তাকে সামনে এনে দিয়েছে তখনও তিনি খেলেছেন ধীরে। ঠান্ডা মাথায়। নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য যেন ছিল না তার। তিনি স্রেফ সেরা চালটা চেলেছেন প্রতিবার।

২) কর্নেল তাহের ক্যান ৭ নভেম্বরের ঘটনায় তারে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন সেটা আমার মাথায় ধরে নাই। অবশ্য একটা কারণে বলা যায়, তিনি ও জাসদ হয়তো বিশ্বাস করছিল মুক্ত করার পরে কৃতজ্ঞ জিয়ারে তাদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করা যাবে। তিনি তা করতে দেন নাই। বিষয়টা আসলেই বিশ্বাস ভঙ্গের বিষয়।

৩)আর কর্নেল তাহেররে হত্যার বিষয়টা। ওটা হত্যাই, রাজনৈতিকভাবে খুন করেছেন তাকে মেজর জিয়া আর ক্ষমতাসীনরা। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের গদির নিশ্চয়তার জন্য (কিংবা দেশের স্থিতীশীলতার জন্য) বিপ্লবীদের মরতেই হয়। এটাই নিয়ম।

৪) একটা ব্যাপারে হতাশ হইলাম। খালেদ মোশাররফ। তার সম্পর্কে যে হিরোইক ইমেজ ছিল আমার মনে, ক্রাচের কর্নেল যেন কিছুটা ধাক্কা দিল তারে। তার অভ্যুথান ও পরবর্তী ভূমিকা ক্যামন হাবিজাবি মনে হইলো।

৫) অনেকটা জানলাম সিরাজ শিকদার, জাসদ ইনু এনাদের ব্যাপারে। এটা ভাল্লাগছে। একটা খটকা রয়ে গেল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বেশ প্রচলিত ঘটনা হল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ইনু, মতিয়াররা নাকি আনন্দ উল্লাস করেছেন! কিন্তু এখানে তো তার কোনো ক্লু দেখলাম না। এ বইয়ে জাসদরে তো ততটা উল্লাসিত মনে হইলো না, আর মস্কোপন্থি মতিয়ারা নাকি ততদিনে শেখ সাহেবের সাথে জয়েন করেছেন। (এ বিষয়ে জ্ঞান কম। অজ্ঞতা মাফ করিয়া কেউ জ্ঞান দান করলে খুশি হব।) তাহলে কোনটা ঝামেলা? শাহাদুজ্জামান কিছু গোপন করেছেন নাকি ভুল তথ্য প্রচলিত আছে?

৬) কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনি ও ক্রাচের কর্নেল পাশাপাশি পড়েন, একটা চক্র নজরে পড়তে পারে। পাকিস্তান হওয়ার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর যেই আক্ষেপ ছিল, শাহাদুজ্জামানের আক্ষেপ যেন একই রকম। অবশ্য শাহাদুজ্জামানের আক্ষেপ অনেক তীব্র, মুক্তিযুদ্ধের পরের এ অবস্থাও অনেক গুরুতর। কিন্তু সেই আক্ষেপগুলা একইরকম যেন, হতাশার বিষয় হলো এবার ক্ষমতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজে। জিন্নাহর পাকিস্তানে সোহরাওয়ার্দের থেকে জাতি বঞ্চিত হয়, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তাজউদ্দীনদের থেকে। ওখানেও সুবিধাভোগীরা ক্ষমতার স্বাদ পান যারা পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে ছিলেন নামমাত্র, এখানেও যারা মুক্তিযুদ্ধ রেখে পালিয়ে ছিলেন তারা এসে বসেন ক্ষমতায়। কষ্টের বিষয়।
৭) দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অধিকারসুলভ ভালোবাসারে শাহাদুজ্জামান ঠিকভাবে দেখাইতে পারছেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যাঁওপ্যাঁও নিয়ে ম্যাঁওপ্যাঁওদের জন্য ম্যাঁওপ্যাঁওয়ের লেখা

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:২০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: ‘ম্যাঁওপ্যাঁও’ কী জিনিশ দাদা? নয়া ব্লগীয় টার্ম নাকি! আমার মতো ব্লগের মাঝেসাঝের অতিথির লাইগা একটু তর্জমা কইরা যান।
তয় আন্দাজ করতেছি, আপনার পুরানা ‘ডামি’র নয়া সংস্করণ এইটা। সেইটা হইলেও ব্যাপার না। ম্যাঁওপ্যাঁও বহুত আছে তাগও আলাপ করা লাগে। আপনে একটু সাইডে চাপেন। ;)

২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


তথ্য ১. কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম দুটি সংগঠনের প্রধান ছিলেন, (১) বিপ্লবী গণবাহিনী এবং (২) বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। দুটি সংগঠনই বাংলাদেশ প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ।

তথ্য ২. কর্নেল তাহের জাসদের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন। রাজনৈতিক দলের সামরিক শাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। (লরেন্স লিফশুলজ, বাংলাদেশ দি আনফিনিশড রেভোলিউশন, পৃষ্ঠা ৪৩)

তথ্য ৩. কর্নেল তাহের সম্পাদিত বিপ্লবী সিপাহীদের ১২ দফা, প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৬

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আচ্ছা। আইনের দিক থেকে শাহাদুজ্জামান বিষয়গুলা ক্লিয়ার করেন নাই। তবে তার দলের লোকের দ্বারা কয়েকজন অফিসার হত্যার বিষয়টা বলেছেন। সে দায় তাহের এড়াতে পারেন না। আর বুঝেছি যে সময়ের প্রয়োজনে তাকে সরে যেতেই হতো।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:২৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: উপন্যাসটা আমি পড়েছি।যদিও এটাকে উপন্যাসের মত মনে হয়নি।বিশ্বাসঘাতক কেন বলেছেন সেটা বই থেকেই ধারণা পাওয়া যায়।আমি অন্তত পেয়েছি।কিন্তু এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।জিয়াউর রহমান মুক্তির পর ক্যান্টনমেন্টে অফিসারদের সাথে মিটিং ও পরবর্তী ঘটনায় তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীও আমি পড়েছি।আপনার ৬ নং মন্তব্যের সাথে আমি একমত।অন্য এক মন্তব্য মারফত জেনেছি চাঁদগাজি একজন সম্মাননিয় মুক্তিযোদ্ধা।উনি যদি এরকম ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য না করে একটু সহজ ভাষায় লিখতেন তাহলে আমরা ছোটরা ঘটনাগুলো বুঝতে পারতাম।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:০০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমি বিশ্বাসঘাতকতা পাইনি কারণ জিয়া তার আদর্শের সৈনিক ছিলেন না। তাকে সামনে রেখে তাহের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, তাহেরদের বিপ্লবে অংশ নেয়ার কোনো কারণ জিয়ার ছিল না। তিনি স্রেফ তাকে উদ্ধার করার বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাহেরকে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

@কল্পদ্রুম,

বাংলাদেশের সাধরণ মানুষ একটি পুরোপুরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন; বিনা খাবারে, বিনা বেতনে, সামান্য ট্রেনিং নিয়ে, প্রাণ দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন; এঁরা ছিলেন তাজুদ্দিন সাহেবের "সরকারের অংশ"; তাজুদ্দিন সাহেব এসব যোদ্ধাদের বাদ দেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই; উনার চাকুরী রয়ে গেলো, যোদ্ধাদের চাকুরী চলে গেলো! দেশ চালাবে কে, দেশ গঠন করবে কারা?

এর মাঝে হাউকাউ ডোডো বিপ্লবী কর্ণেল তাহের, মানসিক রোগী সিরাজ শিকদার, গণবাহিনী, এসব ইডিয়টরা শেখ সাহবের চড়ুই পাখীর মগজে দুনিয়ার সমস্যা চাপিয়ে দিয়েছে। তারা সবাই মিলে শেখের কবর রচনা করেছে, তারাও সেই পথে গেছে; দরকার ছিলো ইনুকেও কর্ণেলের সাথে বিপ্লবী ফাঁসী দেয়ার।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:০৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: ৫ নাম্বার পয়েন্ট লইয়া আপনার জানা থাকলে একটু কন কিছু। দেশের রাজনৈতিক পাড়ায় তো এইটা বেশ প্রচলিত যে, ইনু মতিয়ারা শেখ সাহেবের মৃত্যুতে আন উল্লাস করছে। অনেকেই কয়। আসল কাহিনী কী?

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

খনাই বলেছেন: @ চাঁদগাজী, আপনি যে বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী/সরকার থেকে বাদ দেওয়া ছিল বঙ্গবন্ধুর ভুল, এটা কি সব মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রেই বলা যাবে ? কৃষক, তাঁতি, জেলে, চাষি, কামার, কুমার, যুবক, বৃদ্ধ সবাই মিলেইতো যুদ্ধ করেছিল Iতাদের যোগ্যতাতো থাকতে হবে দেশ চালাবার I নইলে এখন যেমন অযোগ্য অপদার্থ লোকগুলোকে গুরুত্বপূণ জায়গায় নিয়োগ দিয়ে দেশের বারোটা বাজানো হয়েছে সেটা স্বাধীনতার পরের দিন থেকেই শুরু হত (বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই অবশ্য সেটা শুরু হয়েছিল তার বিষবৃক্ষ এখন মহীরুহ হয়ে আকাশ ছুঁয়েছে )I নতুন স্বাধীনতা পাওয়া একটা দেশ কি চলতো সেই মাৎসন্ন্যায়ে ? উধাহরন দেই, এই যে মায়া নামের একটা ক্রিমিনাল এখন মন্ত্রী, তার কি যোগ্যতা আছে মুক্তিযোদ্ধা বলেই সরকারের কোনো পদে থাকার? সে কি করছে ? সাত খুনের আসামিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে Iতার নিজের ছেলেরা চুরি চামারি,চাঁদাবাজির সাথে জড়িত আজীবন I এই লোকগুলোকে সরকারে রাখলেতো হবে না I তাই আপনার মুক্তি যোদ্ধাদের শাসন থেকে বাদ দেওয়া ভুল ছিল সেই জেনারেলাইজেশন করা বন্ধ করুন I বঙ্গবন্ধুর ভুলটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের শাসন থেকে বাদ দেওয়া না বরং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাদের যোগ্যতা ছিল তাদেরও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারা যেমন তাজউদ্দিনকে সরকার থেকে বাদ দেওয়া I

পাঁচ নাম্বার, পয়েন্ট নিয়ে একটা কথা | ইনু, মতিয়াদের নিয়ে যা বলা হচ্ছে সেটা সত্যি না হলে এরাতো বাদ্য বাজিয়ে সেই ঘটনা বলতে থাকতো I আর তার মধ্যে এখন তারা ক্ষমতায় !রাতকে দিন বলার মতো মিথ্যে বলার ক্ষমতাএদের এখন কিন্তু তাদের সেদিনের নাঁচা নাঁচি আর বঙ্গবন্ধুকে গালিগালাজ অস্বীকার করে কিন্তু এরা নিজ মুখে কিন্তু কিছু বলছে না ! এরা জানে, সেদিনের ভূমিকা অস্বীকার করে বেশি বলতে গেলে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যেতে পারে I নইলে মতিয়া আর ইনু চুপ করে থাকার মতো হোমোসেপিয়ানসই না !

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@খনাই,

আপনি বলেছেন, "বলেছেন: @ চাঁদগাজী, আপনি যে বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী/সরকার থেকে বাদ দেওয়া ছিল বঙ্গবন্ধুর ভুল, এটা কি সব মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রেই বলা যাবে ? কৃষক, তাঁতি, জেলে, চাষি, কামার, কুমার, যুবক, বৃদ্ধ সবাই মিলেইতো যুদ্ধ করেছিল Iতাদের যোগ্যতাতো থাকতে হবে দেশ চালাবার I নইলে এখন যেমন অযোগ্য অপদার্থ লোকগুলোকে গুরুত্বপূণ জায়গায় নিয়োগ দিয়ে দেশের বারোটা বাজানো হয়েছে ।"

-কৃষক, তাঁতি, জেলে, চাষি, কামার, কুমার, যুবক, বৃদ্ধ সবাই মিলেইতো যুদ্ধ করেছিলেন; কারণ, এঁদেরই যোগ্যতা ছিলো জাতিকে মুক্ত করার, স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার; এঁরাই দেশ চালানোর জন্য যোগ্য ছিলেন; এরা ততকালীন ইডিয়ট সেক্রেটারীগণ, ঢাকা ইউনিভার্সিটির লিলিপুটিয়ান নন্দলাল পিএইচডি থেকে এঁরা বেশী বুঝতেন বলেই যু্দ্ধ করতে গিয়েছিলেন।

আপনার ভাবনাশক্তি ডোডো পাখীর থেকেও কম।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

খনাই বলেছেন: @ চাঁদ সাহেব ধীরে !
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে ? সঞ্জীবচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের এই কথার ভাবসম্প্রসারণ করেছেন কখনো স্কুলে থাকতে (আপনার ব্লগীয় ভাষা প্রয়োগে সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে) ? ভালো মার্ক্স্ পেতেন তো বাংলায় ? শুদ্ধ আর সহজ বাংলাতেইতো লিখলাম তাজউদ্দিনকে সরানো বঙ্গবন্ধুর ভুল হয়েছিল I যোগ্যতা সম্পন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের শাসন থেকে দূরে রাখা ভুল হয়েছিল I

মায়াতো বীর মুক্তিযোদ্ধা তাতে কি ঘন্টা হচ্ছে তাকে মন্ত্রী করে ? সেটাই বলেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা হলেই শাসনে আনতে হবে তাতো ঠিক না I যাদের যোগ্যতা আছে তাদেরই আনতে হবে I চার্চিলের নেতৃত্বেই ব্রিটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছিল কিন্তু যুদ্ধের পরের নির্বাচনেই ইংলিশরা তার পরিবর্তে রিচার্ড এটলি কে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিল I যুদ্ধ বিজয়ের নায়ক চার্চিলের পরিবর্তে রিচার্ড এটলিকেই তারা দেশ গড়ার জন্য বেশি যোগ্য মনে করেছিল Iদেশ চালানো আর মুক্তিযুদ্ধ করাতো এক জিনিস না I দুটোর জন্য দুই ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন I একটু বুঝতে চেষ্টা করুন ব্যাপারটা |খুবতো জটিল না বিষয়টা | জটিল করেতো বলিওনি |

ও আর একটা কথা, আপনার পারিবারিক বাক্য বিন্যাসগুলো পরিবারের ভেতরেই রাখুন |ব্লগের সিভিলিটি ঠিক রাখার চেষ্টা করুন একটু Iহাজার হোক বয়স্ক মানুষ হিসেবে আপনাকে যখন ব্লগে এতো ছাড় দেয়া হয় I

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মহিউদ্দিন আহমদ তার বইয়ে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নঈম জাহাঙ্গীর একাত্তরে ১১ নম্বর সেক্টরে তাহেরের সহযোদ্ধা ছিলেন। ১৫ আগস্টের দুদিন পর নঈম নারায়ণগঞ্জে তাহেরের বাসায় যান। এ সময় তাহের নঈমকে বলেন, ‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবের কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া’।”
( সংসদের উত্থান-পতন অস্থির সময়ের রাজনীতি; মহিউদ্দিন আহমদ, পৃষ্ঠা-১৭৯)

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

জাতির বোঝা বলেছেন: বাংলাদেশের মাটিতে অদ্ভুত সব চরিত্রের জন্ম। এরা দেশকে কি দিয়েছে। রক্তারক্তি আর কামড়াকামড়ি ছাড়া কি দিল তারা। এই সব মানুষ কেন যে বাংলাদেশে পয়দা হয়েছিল?

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবের কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া’।”

এইটা পড়ে আমি অবাক হয়েছি। মুসলমানের লাশ কবর দেবার কোন বিকল্প নেই। তাহের মনে হয় নাস্তিক ছিলেন এবং সে কারনেই এইটা বলতে পেরেছিলেন।

১১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সামরিক আদালতে বিচারের সময় আবু তাহের যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, সেখানে অবশ্য তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘When I reached Banga Bhavan at mid-day, the swearing in ceremony was over. In the evening I sat down with the officers who were involved in the killing. They were headed by Major Rashid. I once again put forward to them the suggestings. I had made to Mushtaque that morning. ...During the latter part of our discussion, I called General Zia to join in... (আমি বঙ্গভবনে যখন পৌঁছালাম, তখন দুপুর। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে। সন্ধ্যায় আমি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অফিসারদের সঙ্গে বসলাম। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর রশিদ। সকালে আমি মোশতাককে যে পরামর্শগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলো আবার উল্লেখ করলাম। আলোচনার শেষ পর্যায়ে আমি জেনারেল জিয়াকে আলোচনায় যোগ দিতে ডাকলাম)।
সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় কেন?

১২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বইটি আমি পড়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.