![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
অনেকেই দন্দ্ববাদে বিশ্বাসী. আমিও ঠিক তাই. জীবন নদীতে জোয়ার ভাটা না থাকলে সভ্যতা এগোবে না. পরিচালক গৌতম ঘোষের একটা ইন্টারভিউ পড়লাম. মৌলবাদ/ জঙ্গীবাদের ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন- "মৌলবাদ হল নয়া ধনবাদের এন্টি থিসিস". কথাটায় এক ধরনের গভীরতা আছে..
নাস্তিকরা যা লেখে তা কি ধনবাদকে সমর্থন করে? কিভাবে করে? কতটুকু করে? কেন করে? কোন অবস্থায় করে? এটা মাথার মধ্যে ঘুরছে....
এইযে বিশ্ব ব্যাপী মৌলবাদের উত্থান, তা কি কেবলই অস্তিস্ব রক্ষার জন্য? নিজের জাতিসত্বা, পরিচয় রক্ষার ঢাল হিসেবেই কি ইসলাম রক্ষা বা নবীর ইজ্জত রক্ষার এই যুদ্ধ? একটা বিষয় খুব স্পষ্ট আমার কাছে. তা হল হজরতের জীবনের কালো অধ্যায় গুলো উন্মোচিত হলেই ইসলাম ভেঙ্গে পড়বে. কারণ সব কিছু দাঁড়িয়ে আছে তার মতাদর্শের উপরেই...
আমি প্রায় প্রায় একটা কথা বলি, তা হল ইসলামিক ফিলোসফিতে গলদ আছে. এটা গলদ থাকাটা খুব স্বাভাবিক. অন্য মাটিতে জন্ম নেওয়া, অন্য সম্প্রদায়ের দ্বারা জন্ম নেওয়া ফিলোসফি বা জীবন ব্যবস্থা ওপর একটি জাতির জন্য তো গলদ হবেই. যেমন গ্রীক ফিলোসফিও ভারতীয় মাটিতে শতভাগ গ্রহণযোগ্য নয়.
আবার লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মৌলবাদের সাথে কমুইনিজমের দ্বন্দ আছে. কমুইনিজমের সাথে ধনবাদেরও দ্বন্দ আছে.. তা হলে দাঁড়ায় ট্রায়েঙ্গেল দ্বন্দ...
অস্তিত্ব রক্ষার এই যুদ্ধে খুন খারাপি তো থাকবেই.. বিবর্তনবাদ কিন্তু সে কথাই বলে. খাদ্য সৃঙ্খলটাও সেরকমই. একজনকে বেঁচে থাকতে হলে অন্য জনকে মরতে হবে.... এটা চলতেই থাকবে...
গত রাতে কিছু নাস্তিক সম্প্রদায়ের (আদতে বাচ্চা কাচ্চা) কথোপকথন পড়লাম. তারা মৌলবাদীর মত সশস্র সংগ্রামে নামতে চায়. স্লোগানটা এমন- "রক্তের বদলে রক্ত চাই". কাল যদি শুনি যে বায়তুল মোকাররম এলাকায় একজন টুপি পড়া শিবির খুন হয়েছে. তাতেও হয়তো বিচলিত হব না.... কারণ মানবতা ভুলন্ঠিত হয় বলেই, মানবতার প্রশ্ন জাগে....
অভিজিত রায়ের জন্য আমার উপলব্ধির কষ্ট গুলো বড় অর্থহীন...... দিন দিন আমার মৃত্যুভয় কিন্তু শুন্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে...
©somewhere in net ltd.