![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
জন্মগত ভাবে আমি দায়বদ্ধ আমার মাতৃভূমির কাছে... আরো দশবার জন্ম নিলেও এই দেশের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা শেষ হবে না...
.
কিন্তু একটা প্রশ্ন আমার মনে খুব উকি দিয়ে যাচ্ছে.. বলছি না যে খুব সস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে. কিন্তু খুব অল্প সময়েই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম.. এ কারণেই আজ অব্ধি সেই স্বাধীনতার মূল্যায়ন আমরা করতে শিখিনি...
যদি এবার আমরা বিশ্বকাপটা জিতেই যাই.. তবে কি দাঁড়াবে আমাদের টিমের পরিস্থিতি? আমরা আজও গৌরব আর অহংকারের পার্থক্য শিখিনি.. এমনিতেই অহংকারে আমাদের পা মাটিতে পড়ছে না. এরে গালি দেওয়া, ওর গুষ্টি উদ্ধার করা, এর সমালোচনা, তার নিন্দা করে আমরা পুরো অস্থির... বিশ্বকাপে যেখানে ভাতৃত্বের বাণী ছড়ানোর কথা সেখানে আমরা ছড়াছি রেসিজম... এই জাতি একবার বিশ্বকাপ জিতে গেলে কি হবে?
.
একটা প্রশ্ন: এই সময়টা কি বিশ্বকাপ ঘরে নেওয়ার মত যোগ্য সময় আমাদের? না কি আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করা উচিত?
.
আচ্ছা যদি ভারতের কাছে হেরেই যাই আমরা, তা হলে সেই হারটাকে কি ভাবে নিব আমরা?
-খেলায় নিশ্চই ফিক্সিং হয়েছে? সুক্ষ কারচুপী হয়েছে না-কি স্থুল কারচুপী হয়েছে? কি বলব আমরা?
বাড়াবাড়ি কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না.. সেটা বার বারই পৃথিবীতে প্রমান হয়েছে.. আমাদের বড্ড বার বেড়েছে... এর পরিণতিও খারাপ হবে...
উচ্ছাস আর রেসিজম এক না ভাইয়া... নিজের টিম নিয়ে স্বপ্ন দেখা, উচ্চার করা মানুষের সহজাত প্রব্বৃত্তি. কিন্তু তার জন্য যে অন্য দলকে অপমান করে নানা কর্মকান্ড করছ সেটা কি তোমার দেশপ্রেমেরই অংশ?
ভারত করেছে, পাকিস্তান করেছে.... একারণে তুমিও করবে? তা হলে তোমার আর তার মাঝে ফারাকটা কি ভাইয়া?
একটা ভিডিও নিয়ে তোমরা যা শুরু করেছ.. তোমাদের এমপি- মন্ত্রী পর্যন্ত তা নিয়ে অস্থির... কিন্তু অদ্ভুত হল আমার কলেজের প্রায় ১০০ জনের সাথেই এটা নিয়ে আমার কথা হয়েছে.. তাদের কেউই এ ব্যাপারে কিছু জানে না... তাদের সবার বাক্যই এক- জব লেস পিপুল কি করলো না করলো এ দিয়ে কি আর আমাদের দুই দেশের ভাতৃত্ব নষ্ট হয়? আমি তো শুনে থ.....
অল্পতে কিছু অর্জিত হলে মানুষ তার মুল্য দিতে জানে না... আজ বিশ্বকাপ হাতে আসা মানেই হল বিশ্ব মাঝারে নিজেদের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়া.. কিন্তু একটা অহংকারের বিষাক্ত কিট আমাদের মস্তিস্কে ঢুকে যাওয়া.. যার পরিনাম আরো খারাপ....
প্রার্থনা সেই সৈনিকদের জন্য যারা ১৬ কোটি জনতাকে সম্মানিত করতে এত পরিশ্রম করছে... কিন্তু আফসোস এই ১৬ কোটি জনতার জন্য. যারা সব সময়ই ঐ সৈনিকদের অপমান করে যাচ্ছে...
ফলবতী গাছের মাথা সব সময় নিচু হয়... প্লিজ ভাই... একটু বৈশ্বিক দৃষ্টি দিয়ে দেখুন... পৃথিবীটা শুধু বাংলদেশ না... এর থেকেও বড় কিছু... বিশ্বকাপ জেতার পরেও যদি অন্তত আমরা প্রমান করি আমরা উশৃঙ্খল না.. সেটাই হবে আমাদের অর্জনের স্বার্থকতা...... (আপনার অনুভুতিতে আঘাত লাগলে মাফ করবেন)
©somewhere in net ltd.