নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ মুখ উঁচিয়ে বলবে, কেউ নীরবে গোপনে শুকর আর গরু মিশিয়ে খাবে। এটাই সত্য।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২১

কে কিভাবে নিবেন জানি না। কিন্তু ঘটনাটা সেয়ার করছি। ঘটনাটা ঘটিয়ে আমি নিজেই সকড...
মনে আছে কি ১৯৪৭ সালে কিসের ভিত্তিতে ভারতকে ভেঙ্গে তিন টুকরা করা হয়েছিল? ধর্মের উপরে ভিত্তি করে। এই ধর্মীয় বিভেদ বা ধর্মীয় দাঙ্গা কিন্তু ইংরেজদের আবিস্কার না। এটা আমাদেরই আবিস্কার। ইংরেজদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বপ্রথম সংগঠিত সংগ্রামের নাম হল সিফাহী বিদ্রোহ। শুরু হয়েছিল ব্যারাকপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে। আমাদের মধ্য থেকেই কে বা কারা যেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছিল যে, ইংরেজরা আমাদের ধর্ম নষ্ট করছে। কিভাবে?
- এই যে বন্দুকের নলে দাঁত দিয়ে কেটে যে কার্তুজ ব্যাবহার করা হয় সেটাতে শুকরের মাংস/ গরুর মাংস আছে।
আর যাবে কোথায়!!!! অমনি মুসলিম হিন্দু উভয় সৈন্যরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বসল।
ইংরেজরা কিন্তু সেবারই বুঝে গেল যে এই জাতীর কাছে ধর্ম কি জিনিস। এর পরের ইতিহাস তো সবারই জানা। ইংরেজরা এই ধর্মকে পুজি করেই ২০০ বছর শাসন-শোষণ করল। অবশেষে এই ধর্মকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে মুসলিম ও হিন্দুদের দুই ভাগ করে দিয়ে মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেল। যাবার সময় তারা এমন খেলাটাই খেলল যে আজীবনে আর যেন এই দুইটি সম্প্রদায় এক হতে না পারে। জীবনে যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। আমরা আবাল ধার্মিকরা কিছু না বুঝেই জমি ভাগ করে ব্যাড়া দিয়ে একজন আরেকজনের শত্রু হয়ে গেলাম। কি মজা তাই না?
এবার আসি আসল কথায়...
সেদিন আমরা কিছু বন্ধু মিলে একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে বসেছি। চাইনিজরা যে সেকুলার হয় সেটার স্পষ্ট প্রমান হল ঐ রেস্টুরেন্ট। মোটামুটি ভেজ, ননভেজ, গরু, শুকর, ব্যাং, কুচে সব কিছুই পাওয়া যায়।
আমরা পাঁচ বাংলাদেশী বন্ধু এক সাথে খেতে বসেছি। একজন পাহাড়ি, বাকি চারটা বাঙ্গালী। এর মাঝে একজন বোদ্ধ, তিনজন হিন্দু, জন্ম সূত্রে আমি মুসলিম। পাহাড়িটা হোস্ট, বাঙ্গালী গুলো গেস্ট।
পাহাড়ি বন্ধুর পছন্দ, পর্ক (শুকরের মাংস)। হিন্দুগুলো আজ গরু খেতে চায়। জীবনে কখনো গরু খায়নি। কিন্তু আজ খাবে। আমি কি খাব?
বললাম- আমি দুটোই খাব। গরুও খাব, শুকরও খাব। গরুর মাংস আমার খুব পছন্দের খাবার। শুকরের শুধু গুন কীর্তনই শুনলাম। খেয়ে দেখা হল না।
এর পরে অর্ডার অনুযায়ী গরুর মাংস এল, শুকরের মাংস এল, মুরগীর মাংসও এল। এর পরে যা হবার তাই হল। একই টেবিলে বসে হিন্দু, মুসলিম, বোদ্ধ মিলে তাদের ধর্ম বিনাস করলাম। পাঁচ জনই মিলে একই প্লেটে গরু, শুকর, মুরগী একসাথে ঘেঁটে খেলাম। খেতে খেতেই হটাত মাথায় আসল। এই শুকর আর গরুর জন্যই ভারতটা ভেঙ্গে খান খান হল, আজ এতবছর পরে এসে আমরাই আবার সেই শুকর আর গরু মিশিয়ে একাকার করে দিলাম।
এটা আমার কাছে এক প্রকারের প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ সেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে, যারা ধর্মের রেখা একে দিয়ে গেছে। এই প্রতিবাদ সেই আবাল হিন্দু আর মুসলিমদের বিরুদ্ধেও। যারা মানবতার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে শুকর আর গরুর মাংসকে।
সময় বদলাবেই। কেউ না কেউ তাঁর নিজের মত করে প্রতিবাদ করবেই। মানুষ বুঝবেই ধর্মের ভন্ডামী গুলো। কেউ মুখ উঁচিয়ে বলবে, কেউ নীরবে গোপনে শুকর আর গরু মিশিয়ে খাবে। এটাই সত্য।
একটু আগে জানলাম যে, ইসলামিক স্ট্রেট নামের জঙ্গি গ্রুপ দুই ট্রাক আমেরিকান মুরগী এনে পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের বিচারে নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা মুরগীও নাস্তিক। এই হল এদের কাজ। এরা নিরীহ প্রাণীর মাঝেও আস্তিক, নাস্তিক, ধর্ম খোঁজে। আহ আল্লাহ...।। কোন যুগে জন্মাইছি।
আমার বিচারে তো নাস্তিকের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠা বড় প্রাণীটির নাম হল সৌদির বাদশাহ। আর সৌদির বাদশাহর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠা প্রাণী হল কাবার ইমাম ও আমাদের দেশের সাইদিরা। আচ্ছা এই ইসলামিক ষ্টেট নামের ইমানি সংঘটন গুলো কবে এই নাস্তিক দের পুড়িয়ে মারবে। সেই অপেক্ষায় আছি। যারা ইসলামের লেবাজ লাগিয়ে নাস্তিকদের পায়ে তেল দেয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০২

সুখাভিলাষ বলেছেন: জন্মসুত্রে মুসলিম বলে কিছু নেই। মুসলিম বিশ্বাস আর কর্ম মিলিয়ে হতে হয়। আপনি তা হতে পারেননি। সেটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.