নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহাম্মাদ কি মুসলিম নাম না অমুসলিম নাম???

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

You born in Muslim family & you said your family follow Muslim culture. So why your name is Hindu??
এই প্রশ্ন গুলো আমাকে হর হামেসাই শুনতে হয়। কি হিন্দু, কি মুসলিম, কি নাস্তিক, সবার কাছ থেকেই শুনতে হয়। মাঝে মাঝে অবাক হই জ্ঞানের ভারে নুজ্জ হয়ে যাওয়া কেউ যখন এই মূর্খ টাইপ প্রশ্ন করে। আইনে গোল্ড মেডেলিস্ট, যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক, বিজ্ঞানের ছাত্র, এরা যখন এই জাতীয় প্রশ্ন করে তখন মনে হয় জ্ঞান আসলে কি সেটা আবার ভেবে দেখা উচিৎ।
আমি বার বার বোঝাতে চেয়েছি যে নামের কোন জাত ধর্ম হয় না। নাম মূলত কালচারকে উপস্থাপন করে। অথবা কালচার থেকে প্রাপ্ত হয়। সেই নামকে ধর্মের চাচে বেঁধে ফেলাটা বোকামি। তাতে ভাবনা চিন্তার পথে অনেক বাঁধা তৈরি হয়। বাংলাদেশের সবার নাম ফুল/লতা/পাতা/গাছ হবে এটাই স্বাভাবিক। এর ব্যাত্তয় হলেই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কথা। কেন নামের শেষে শ্রী/ মোহাম্মাদ নেই এটা চিন্তিত হওয়ার বিষয় না।
আমরা যে নাম গুলোকে ইসলামিক নাম বলে ধরে নেই। সেগুলো কি ইসলামিক নাম?? নাকি আরব নাম?? আরব থেকে আসা মুনিঋষি, পীর আউলিয়ারা এগুলো আরব থেকে বয়ে এনে বঙ্গ দেশে প্রচার করেছিল। তাই লক্ষ্য করলে দেখবেন আরবদের সাথে আমাদের নামের বেশ মিল। এই মিলটা আসল কোথা থেকে??
আমার স্কুলের ইসলাম ধর্ম শিক্ষকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অনেক বেশি। কারণ তিনিই আমাকে ইসলামের ভুল গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন। যেটা বলা যায় পৃথিবীতে বিরল। নিজে দাঁড়ি টুপি পরে মসজিদের ইমামতি করছেন। কিন্তু তিনি তার ছাত্রদের সামনে ইসলামের অন্ধকার জায়গা গুলো তুলে ধরছেন যেন তারা সেগুলো নিয়ে নিজেদের মাঝে আলাপ চারিতা করতে পারে। তিনি বলেছিলেন কোরআনে আছে এমন শব্দ বেঁছে নিলেই যদি প্রবিত্র ইসলামিক নাম হয়, তবে তোমাদের সন্তানের নাম 'শুকর' বা 'দোযখের ফাঁসীর দড়ি' রাখতে পার। এই শব্দ গুলোও কিন্তু কোরআনে আছে।
এই কথা দ্বারাও খুব ভালো করে বোঝা যায় যে আমাদের মত অভাবী দেশে ধর্ম কিভাবে ভাংশন করে। যাক সে কথা।
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো, একুশে ফেব্রুয়ারি। আমি কি ভুলিতে পারি??" গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দাবী করেছেন যে, আল্লাহ্‌র নিরানব্বই যে নাম নিয়ে আমরা গর্বিত হই সেগুলো আসলে কাফেরদের নাম। এগুলো মুসলিম নাম না।
আমি যেহেতু এই বিষয় সম্পর্কে কিছু জানি না তাই কোন মন্তব্য করতে চাই না। শুধু তথ্যটা তুলে ধরলাম। এই বক্তব্যের দায় পুরোটাই আব্দুল গাফফার চৌধুরীর। কিন্তু আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগল।
হযরত মুহাম্মাদ সঃ জন্ম নিয়েছিলেন এক অমুসলিম পরিবারে। যে পরিবারের ইতিহাস খুব একটা সুবিধার না। অনুরুপ ভাবে সাহাবীরাও জন্ম নিয়েছিলেন বিভিন্ন অমুসলিম বংশে। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে পরে তারা মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে। হযরত মুহাম্মাদ ও ইসলাম ধর্মের ওহী পাওয়ার পর কিন্তু মুসলিম হন। তিনি নিজেও কিন্তু মুসলিম হয়ে জন্ম নেননি। অদ্ভুত হল ইসলামের নির্দেশ পাওয়ার পরেও কিন্তু তিনি তার নাম চেঞ্জ করেননি। সাহাবীরাও করেনি নাম চেঞ্জ। দুই একজন নাম চেঞ্জ করেছেন বলে শোনা যায়। সেটা খুব নগণ্য। এখন আমার প্রশ্ন হল- হযরত মুহামামদ/ আব্দুল্লাহ/ আবু লাহাব/ আবু হুরায়রা/ আবু বকর এগুলো কি মুসলিম নাম না অমুসলিম নাম??? সবাই তো অমুসলিম পরিবারেই জন্ম নিয়েছিল। নাম ও পেয়েছে অমুসলিম পিতা-মাতা দ্বারা। তা হলে???
যদি আমাদের নবীর নামই অমুসলিম হয়, তা হলে আমার নাম মুসলিম হওয়া কি খুব জরুরী???

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.