![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
সমকামীদের এক প্রকারের চুলকানি থাকে। পৃথিবীর সব দেশের সমকামীদের থাকে কি না জানি না। তবে বাংলাদেশী সমকামীদের আছে।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিক রেইনবো কালার করার কারনে ধর্ম প্রান বন্ধু গন তো ধরেই নিয়েছেন আমি সমকামী। তার পরে আবার এই বিষয় নিয়ে ফেসবুকিয় জীবনে মোটামুটি ৫/৬ টি স্ট্যাটাসও লিখে ফেলেছি। সুতরাং আনন্দ কুটুম সমকামী না হয়ে যায় না।
ওপর দিকে সমকামী বন্ধু গনও ধার্মিক বন্ধুদের মত আমার ফেসবুকিয় লেখা ও প্রোফাইল ছবি দেখে হিসাব করে নিয়েছে আমি তাদের দলভুক্ত। আর যাবি কোই??? সকাল বিকাল ইনবক্সে নানা ভঙ্গিমায় প্রেম নিবেদন সেতো চলতেই আছে। সে প্রেমের যে কি ভাষা!!!!! যদি আপনাদের দেখাতে পারতাম।
এই দুই শ্রেণীই আমার কাছে সমান সাইকো মনে হয়। এক শ্রেণী দুনিয়ার সকল প্রকার অকাম করবে, কালে ভদ্রে সমকামও করবে কিন্তু মুখে স্বীকার করে সেটাকে স্বীকৃতি দেবে না। আরেক দল আছে এরা ডান বাম বিচার না করে পিক দেখেই নিজেদের দলভুক্ত করে নেবে। আদেও মানুষটা এই গোছের কি না ভাবনার টাইম কোই??? বাংলাদেশী সমকামীরা মানসিক ভাবে একটু ইমব্যালেন্স হয়ে থাকে। সবাই না, অধিকাংশ। সেক্স যেহেতু এদের লুকিয়ে চুরিয়ে করতে হয় সুতরাং এরা আপন পরিচয় লুকিয়েই কজ করে। পাছে জানাজানি হয়ে গেলে ইজ্জত চলে যায়। এরা ইনবক্সে বাজে বাজে ছবি পাঠাবে। বার বার বিরক্ত করবে। উল্টাপাল্টা কথা বলবে। এদের কাছে স্রেফ সেক্স ছাড়া অন্য কিছুর মূল্য নাই। তাই পুরো টেন্ডেন্সিটা ঐ এক দিকেই। এটা অনেকটা এমন যে, যা অর্জন করতে বেশি সংগ্রাম ও মূল্য দিতে হয় তার মূল্য ততো বেশি। তাই তাদের জীবনেও সব থেকে বেশি মূল্যবান বিষয় বস্তু সেক্স। কেননা সভ্য সমাজে তা সহজে পাওয়া যায় না।
আমার মতাদর্শ সম্পর্কে এই দুই শ্রেণীর মূল্যায়নই সমান। সুতরাং একটা যদি সাইকো বলে প্রমানিত হয় তবে অনুরুপ ভাবে অপর গ্রুপও সাইকো বলে প্রমানিত হবে। কিছু কিছু সমকামীদের ধর্ম চুলকানিও আছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ছেলে ছিল আমার ফেসবুকে। নাটকের ছাত্র। টেলিভিশনে গান টান গায়। সেই গান আবার যেন তেন গান না। একেবারে হামদ ও নাত টাইপ ইসলামিক গান। এই ছেলে ইনবক্সে আমাকে যত প্রকার নোংরা প্রস্তাব দিয়েছে সেটা আমার নিকট ইতিহাস। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই বাক্য, সে আমাকে চায় । এমনিতেই আমার ধর্জ সহ্য একটু বেশি। অনেক দিন টলারেট করলাম। একদিন সে আমাকে ফেসবুকিয় ইসলামিক জ্ঞান বিলি করতে লেগে গেল।
-"আপনি বা*র মাথা ধর্মের কিছুই জানেন না। আপনি ধর্ম নিয়ে এতো কথা বলবেন কেন"
- আমি জানি না ভালো কথা। তুমি জান তো?
- জানব না কেন?? আমি মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি। আমার বাবা মা কি আমাকে কিছু শেখায়নি??
- তা ভাইয়া বল তো, কোরআনের কোন আয়াত দিয়ে তোমার সমকামিতাকে হালাল করবে??? ইসলাম কি তোমার এই কাজ সমর্থন করে?? বাবা মা এটা শিখিয়েছে?
আর যাবি কোই??? অমনি আমার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে লেগে গেল। এর পরে এই সাইকোকে আর ফ্রেন্ড লিস্টে রাখি কি করে?? দিলাম ব্লক করে। আসল বিষয় মানুষ রিজেকশন মেনে নিতে পারে না। স্বভাবতই ছেলেটিও পারেনি। এমন ক্যারেক্টার অসংখ্য পেয়েছি।
*
অতি ধার্মিকদের তো সরাসরি ব্লক করেই থাকি। এদের কথা আর বলছি না। কিন্তু আজকের পর থেকে আর কোন সমকামিকে যদি উল্টা পাল্টা জ্ঞান বিলি করা আর ইনবক্সে উল্টাপাল্টা কোন প্রস্তাব দিতে দেখি তা হলে সরাসরি শুধু ব্লকই না, সে পোস্ট পাবলিক করে তার পরিচয় সবাইকে জানিয়ে দেব। সুতরাং সাবধান। তোমার কাজকে সমর্থন করি, তার মানে এই না তুমি দুনিয়া ভর সবাইকে বিরক্ত করবে। তুমি তোমারটা নিয়ে থাক। অন্যদেরও শান্তিতে থাকতে দেও। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন।
©somewhere in net ltd.