![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
ঘুমাতে গিয়েছি- ৬২ বছরের বয়সের একজন মুক্তিযোদ্ধার বিষপানে আত্মহত্যার খবর পড়ে। কতোটা অসহায় তবে আমরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর পরে এসেও আমাদের এমন সংবাদ পড়তে হয়েছে।
অনেক চেষ্টা করেও নাম মনে করতে পারছি না আওয়ামীলীগের আগের মেয়াদে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে কে ছিল। সেই অভদ্র লোকের সাথে চ্যানেল আইতে একটা ছোট মিটিং করার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। আমরা সবাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে, দেশের মুক্তি যোদ্ধারা ভালো নেই। এবং রাষ্ট্র যদি এদের দায় না নেয় তবে জাতী কখনোই শক্ত মেরুদণ্ডী হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। সেই স্টুপিড কি বলেছিল জানেন- "তা হলে কাল অফিসে গিয়ে আমি আশা করব, প্রথম ফোনটা সেই মুক্তিযোদ্ধা করবেন জিনি রাস্তায় ভিক্কা করছেন বা রিক্সা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে কোন মুক্তি যোদ্ধা না খেয়ে নাই। বরং বিএনপি/ জামাত আমলের থেকে অনেক ভালো আছে" যে মুক্তিযোদ্ধা দিন আনে দিন খায় ছাপোষা জীবন চালাচ্ছে, তিনি এই অসভ্যকে ফোন করে বলবে??? দারুণ আইডিয়া।
গতকাল একজন ৬২ বছরের বৃদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানের গলা ধাক্কার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। বাহহ দারুণ... স্যালুট তোমায় সচিব।
এটা বাংলাদেশ। এখানেই এমনই হবে। এটাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য। ইতিহাসের গল্পটা বোধে হয় এমনই হয় যে, উপকারীকে বাঘে খায়।
আমি জানি না কি স্বপ্ন নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করেছিল?? কিসের লোভে, কিসের ডানায় ভর করে তারা ৪৪ বছর কাটিয়ে দিল?? বেঁচে থাকার শক্তি এরা কোথায় পায়?? এদের তো আরও বহু আগেই লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা করার কথা ছিল। সচিবের গলা ধাক্কা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল কেন???
*
মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ব্যবসাকারি আওয়ামীলীগ কি বলবেন?? কি বলবেন শান্তির রাজকন্যা?? এই গলা ধাক্কাও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাইন নাকি?? নাকি মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা এই মুর্দাও রাজাকার ছিল??
মুক্তিযোদ্ধার আবেগ বিক্রি করা ওয়ালা ফুলে ফেপে আজ অজগর হয়েছে। এই দায় কাদের? মুক্তি যোদ্ধারা তো এদেশে স্রেফ শো-পিচ হিসেবে ব্যবহার হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ই ডিসেম্বার, ১৫ আগস্ট, ১০ জানুয়ারি এদের প্রয়োজন হয় ধান্মন্ডি ৩২ নাম্বারে সমাবেশের চেয়ার পূর্ণ করতে। এদের দরকার হয় কিছু গালভরা আবেগি ডায়লগ পূর্ণ সমাবেশে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আরও আছে। এদের প্রয়োজন হয়, পরিচয়ের ট্যাগ সিল বাড়াতে, চাকুরীর বাজারে নিজেদের দাম বাড়াতে। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা, আমার দাদা মুক্তি যোদ্ধা বলে গলাবাজি করতে। আমি অনেকটা নিশ্চিত যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বলে অফিস আদালত, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোটা না থাকত। তা হলে ৯০% সন্তানই ভুলে যেত তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। যুগটাই যে এমন!!!
আর কিছু বলতে চাই না। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক। শুধু অর্থ দিয়ে জাতীর ভাগ্য নির্ধারণ হয় না। তার সাথে মেধা, মনন, শিল্প চর্চা, পারস্পরিক সম্মান বোধ এগুলোও লাগে। শুধু দেখতে চাই মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে, গলাধাক্কা দিয়ে, নির্যাতন করে এই জাতী কতদিন টিকে থাকতে পারে। দেখতে চাই দেশ ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা কি প্রতীবাদ করে। দেখতে চাই মুক্তিযুদ্ধ বিক্রি করা সেই জাতীর কন্যা কি ব্যবস্থা নেয়। দেখতে চাই মুক্তিযুদ্ধের সন্তান বলে ফায়দা লোটা সেই সন্তানদের মঞ্চ/মোর্চা/ সংসদ/গ্রুপ গুলো কি ব্যবস্থা নেয়।
আজকের পর থেকে যদি ঐ কুত্তার বাচ্চা সচিব এম এ হান্নান সরকারী চাকুরীতে বহাল থাকে তা হলে প্রত্যেকের উচিৎ জুতা হাঁতে সচিবালয়ের দিকে ধাবিত হওয়া। জাতী যদি এই কাজ না পারে, তবে আমি কথা দিলাম জীবনে আমার সাথে এই কুত্তার বাচ্চার যেদিন দেখা হবে আমি সেদিনই তার মুখে আমার জুতার বাড়ি বসাব। তাতে আমার জেল জরিমান ফাঁসি যাই হোক না কেন।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
আনন্দ কুটুম বলেছেন: ক্লু বেরিয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
বেকুপ ছেলে বলেছেন: জাতির কন্যা এটা ডাকার জন্য অন্য একটা ক্লু বের করবে।