![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে প্রতিজ্ঞা করি আজ সুশীল হব। ঠিক যেভাবে সুশীলরা লেখে। ইনিয়ে বিনিয়ে কথার ফুলঝুড়ি টাইপ লেখা লিখব। কি দরকার এসব কন্ট্রোভ্রার্শিয়াল কথাবাত্রা লেখার?? বানাব ফিল্ম। লাগবে প্রয়োজকের সুনজর, সরকারের সুনজর, দর্শকের সুনজর। কি লাভ এসব লিখে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল দেওয়ার??
আমার আর সুশীল হওয়া হয়ে ওঠে না। দুইদিন পর পর একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যায় আমার ভেতরের বেয়াদপটা জেগে ওঠে। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে আই ফাঁক ইওর সুশীলতা।
একটার পর একটা খুন হবার পেছনে কার দায়?? আস্তিক, নাস্তিক, না সুশীলদের??? এই সুশীলদের সুশীলতাই একটার পর একটা খুন হতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয় আমার কোন ডাউট নাই। কিছুদিন আগে রাজনকে নিরপরাধে হত্যা করা হল। দেশ ব্যাপী মায়াকান্নার মাদল শুরু হয়ে গেল। আমি লিখেছিলাম “ভাগ্যিস তুই হিন্দু না, নাস্তিক না, লীগ/শিবির না, তুই ব্লগার না, তুই শাহাবাগি না। একারনেই এই সহানুভূতির মোড়কে মোড়া মায়া কান্না ভাগে পেলি।“
যে জাতি রাজনের হত্যাকারীকে ৪৮ ঘণ্টার মাঝে বাটি চালান দিয়ে সৌদি আরবের মত মুসলিম বর্বর দেশ থেকে খুঁজে বের করতে পারে, আপনি কি মনে করেন তারা পারে না অভিজিৎ বা আশিকুরের খুনিকে খুঁজে বের করতে??? এই হত্যাকারীরা তো এই দেশেরই পাসপোর্ট হোল্ডার। রাজনের হত্যার পরে অনেককেই বলতে শুনেছি আমি লজ্জিত আমি বাংলাদেশী। আজ কিন্তু কেউ বলবে না আমি লজ্জিত আমি মুসলিম। কারণ তাতে বেহেস্তি হুর হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
মানুন বা নামানুন দেশের ৯৫% মানুষই মনে করে এই খুন হায়েজ। কি হিন্দু কি মুসলিম। আজ কাল হিন্দুদেরকেও দেখছি ভ্রাতৃত্ব রক্ষার দোহায় দিয়ে ইসলামের সুফল গাইছে। কি চমৎকার। আপেল ভাই একবার লিখেছিলেন যে, “সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে বুদ্ধিজীবী ব্লগারদের পেছনে না দৌড়ে দেশের ইসলামিক চিন্তাবিদ ও মসজিদের ইমামদের কাছে যান। তারা বলুক ইসলাম এই হত্যাকে সমর্থন করে কি না?” হ্যা, সময় এসেছে মসজিদের হুজুরের বয়ান রেকর্ড করার। ইসলাম কি আদেও হত্যাকে সমর্থন করে কি না??
পিকে সিনেমাতে খুব চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল। ভয় আর লোভের কারনেই মানুষ ধর্মের দারস্থ হয়। বাংলাদেশের মুসলমানদের এই দোযখের ভয় আর সত্তর খানা হুরের সাথে সেক্স করার লোভ যতদিনে অবদমিত না হবে তারা এই খুন করেই যাবে। খুনকে সমর্থন জানিয়েই যাবে।
এই দেশে কখনো নির্ঝঞ্ঝাটে সফল ভাবে মুক্তচিন্তা তো দূরের কথা চিন্তার চর্চাই হয়নি। ইতিহাস সেই কথাই বলে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত যারাই মুক্তচিনা বা প্রগতিশীল চিন্তা করেছে তারাই খুন, গুম হয়েছেন। এর দায় রাষ্ট্রের কিন্তু কম না। যখন ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোন যুক্তি ছাড়াই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে যায় তখন যে রাষ্ট্রই প্রকাশ্যে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদকে সাপোর্ট করছে সেটা বলতে মুখে বাঁধার কথা না।
সেদিন এক বড় ভাই বলেছিলেন- “ইসলামের এই বাড়বাড়ন্ত তার ধ্বংসেরই আলামত। এই একই বাড়বাড়ন্ত একসময় খ্রিশ্চিয়ানিটিরও ছিল।“ হয়তবা তাই। কিন্তু ইসলাম যে ২০১৫ সালে এসে পচে গোলে পুঁজ হয়ে গেছে সেটা এই মূর্খ জাতিকে কে বোঝাবে?? বোঝানোর মত অবশিষ্ট তো আর কেউ থাকল না।
একদিন ব্লগার রাফি লিখেছিল- “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আজ কাল বিসিএস পরীক্ষার কোচিং সেন্টার মনে হয়” । কথাটার সত্যতা এখানেই মেলে যে দেশে বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার ফলে খুন হতে হয় ও পুরো জাতি চুপ তো থাকেই না বরং খুনের পক্ষে সাফাই গায় তখন বুঝতে কঠিন হওয়ার কথা না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রাষ্ট্রের একনাম্বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারা শিক্ষা দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয় ইকোনমির গ্রোথ, পররাষ্ট্রনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষার মান কোন কিছুরই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চোখে পড়ে না। সরকারের পক্ষ থেকে যে উন্নয়নের কথা বলা হয়, সেখানে সরকার স্থানীয় জাগায় গনেশের বউ কলাগাছকে বসিয়ে রাখলেও এই একই উন্নতি হত দেশের। এক্ষেত্রে বিশেষ কোন সরকারেরই ভূমিকা নাই। দেশের এই অবস্থা হবার পেছনে দায়ী আমাদের বুদ্ধিবিত্তিক চর্চার পথ নিরঝঞ্জাট না হওয়া।
কোন ইস্যু পেলেই রাজনিতিবিদেরা উল্টাপাল্টা স্টেটমেন্ট দিয়ে ভরিয়ে দেন। ভুলে গেলে চলবে না তারা সাধারণ জনগণেরই প্রতিনিধি। সাধারণ জনগণ যা শুনে সন্তুষ্ট হয় তারা তো সেটাই বলবেন। এ কারনেই প্রধান মন্ত্রী চোরের মত চুপিচুপি অভিজিতের বাবাকে ফোন করে সহানুভূতি জানায়। আর আমেরিকা সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে ছুটে আসে মৃত্যুর রহস্য উন্মচন করতে।
পাকিস্তানী সিনেমা “খোঁদাকে লিয়ে” দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। যারা জ্বিহাদকে ধর্মের অংশ মনে করে, বুঝে না বুঝে পেছন থেকে নিরস্ত্র মানুষকে চাপাতি দিয়ে কোপানোকে জ্বিহাদ মনে করে তাদের জন্য এটা চরম একটা শিক্ষা মূলক সিনেমা। জ্বিহাদ আসলে যতোটানা ধর্মীয় কারণ তার থেকে বেশি ক্ষমতা বিস্তারের উপলক্ষ মাত্র। আর সাধারণ মানুষ এটাকে ধর্মের অংশ মনে করে বেমালুম চেপে যায়।
এইযে আরেকজন ব্লগার খুন হল, আজ কিন্তু আরিফ আর রহমান বা তার মত লাইক কামানো অনলাইন এক্টিভিস্টরা এই খুন নিয়ে কিছু লিখবেন না। তাতে তাদের লাইকে কম পড়ে যাবে। এই ধরনের সুশীলদের জন্যই একটার পর একটা হত্যা হওয়ার পরেও খুনিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। সব থেকে ভয়ংকর হল এই সকল জনগণ যারা একটি মানুষের জীবনকে মূল্য দেয় না তাদের কাছে মূল্য হল ইনিয়ে বিনিয়ে এটা প্রমান করা ইসলাম খুন করে না।
দেশের বাইরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট হোল্ডার কোন মেয়েকে রেপ করলে মানুষ কি বলে??? রহিম/ করীম/ ছলিম রেপিস্ট?? নাকি বাংলাদেশীরা রেপিস্ট?? যদি এমনই হয় যে ইসলাম এই খুন সমর্থন করে না তবে আপনি হাজী ঘরে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন কেন?? প্রতীবাদের ঝড় তো আগে আপনার মসজিদ থেকেই আসার কথা। একটা খুনি যতটানা ভয়ংকর ও হিংস্র তার থেকে বেশি ভয়ংকর হল এই সকল মানুষরা যারা বলে ইসলাম খুন সমর্থন করে না। কারণ এগুলো বলেই এই খুনের অপরাধকে আরও হালকা করা হয়। তাই এরা বন্ধু বা আত্মীয় যেই হোক না কেন এদের ঝেটিয়ে জীবন থেকে দূর করা উচিৎ। কারণ দিন শেষে ঐ খুনি যতটানা আপনার বন্ধু/ আত্মীয় তার থেকে বেশি সে মুসলিম। মুসলিম সত্ত্বায় টান পড়লে সে আপনার উপরে চাপাতি চালাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না।
একটার পর একটা খুন হয়ে যাচ্ছে এটা কিন্তু র্যাব বা পুলিশের অপারগতা না। এটা হল সরকার স্থানীয় ব্যাক্তিদের স্বদিচ্ছার অভাব। কারণ দিন শেষে ভোটের থালা হাঁতে করে তো ঐ টুপি পড়া আবালের কাছেই যেতে হবে। তাই তার সন্তুষ্টি আগে কাম্য। হায়রে ভোটের রাজনীতি।
যে সকল আবালরা জীবনে কখনো হুমায়ুন আজাদের বই চোখে দেখেনি তারাও হুমায়ুন আজাদকে গালি দেয়। যারা কখনো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনি তারাও হুমায়ুন আজাদকে গালি দেয়। কি সভ্য দেশে আমাদের বসবাস। এই যে ব্লগারদের মানুষ নাস্তিক (গালি অর্থে) হিসেবে জানে এই দায় কিন্তু ব্লগারদেরও কম না। আমরা চাই বা না চাই আমরা রাজনীতির অংশ। অন্তত আমাদেরও রাজনীতিটা মেনে চলা উচিৎ। আমাদেরও উচিৎ সাধারণ জনগণের কাছে ম্যাসেজটা সেভাবেই পউছান।
ব্লগার হত্যার পরেই প্রশ্ন আসে কেন ইসলাম নিয়ে লিখতে হবে?? লিখতে হবে কারণ ইসলাম একটি বিজাতীয় মধ্য যুগীয় সিস্টেম। আজকের দিনে সেটা অচল। এই পচে গোলে যাওয়া সিস্টেম সকল প্রকারের আবিষ্কারের অন্তরায়। ব্লগাররা শুধু ইসলাম নিয়ে লেখে না। তারা সাহিত্য, রাজনীতি, শিল্পকলা, বিজ্ঞান, অরথনিতি, খেলা ধুলা সব কিছু নিয়ে লিখে। কয়জন ব্লগারের লেখা আপনি পড়েছেন যে ব্লগার বলতেই বোঝেন কেবল নাস্তিক?? কই যে সকল ইসলামিক ব্লগাররা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যায় ভরা লেখা লিখে পরতিদিন হিট কামাচ্ছে তাদের নিয়ে তো আপনাদের কিছু বলতে দেখিনা। তারাও তো ইসলাম নিয়েই লেখে। তারাও তো ব্লগার। তাদের তো গালি দেন না। তারা তো খুন হয় না। কেন?? সহজ ভাষায় বললেই হয় যে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না। ইসলাম হল ননীর পুতুল। ধরলেই ভেঙ্গে যাবে।
আসল কথা হল ইসলাম চ্যালেঞ্জ ভয় পায়। এই ভয় পায় বলেই কোন সর্ত ছাড়া ইমান আনার কথা বলা হয়েছে কোরআনে। কোন যুক্তি তর্ক সন্দেহ ছাড়া বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। বাড়াবাড়ি করতে না করা হয়েছে কারণ তাতে ইসলামের ভুল গুলোই উঠে আসবে। ইসলাম একটি দুর্বল সিস্টেম বলেই সে সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করাটা সহ্য করতে পারে না। সেটা বারবার চাপাতির কারিশমায় ফুটে উঠেছে।
বিষয়টা নিয়ে আগেও বলেছি। এগুলো কোন তুলনামূলক আলোচনা না। যে তুলনা করে বিচার করা হবে উত্তম ধর্ম আসলে কোনটি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো এই তুলনামূলক আলোচনায়ই পড়ে আছে।
গতকাল থেকে প্রচুর পজেটিভ ও নেগেটিভ সমালোচনার স্বীকার হয়েছি। প্রত্যেকেই প্রমান হিসাবে দাখিল করছে হিন্দু, খ্রিষ্টান বা ইহুদী ধর্মের অপরাধ গুলো। এর মাঝে একজন মুসলিম অভিনেতা পাঠিয়েছেন অক্সফোর্ড ডিকশোনারীতে মৌলবাদের সংজ্ঞা কি দেওয়া আছে সেটা।
একটু লক্ষ্য করি!!! কেউ হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করা মানেই এই না যে ইহুদী ধর্ম শ্রেষ্ঠ। আবার কেই ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করা মানেই এটা না যে খ্রিষ্টান ধর্ম ভালো। সম্ভবত আমাদের মস্তিষ্কে এই এই তুলনা করার মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে ধর্মান্তরিত হওয়ার সময় থেকে। নৃতাত্ত্বিক বিচারে বাংলাদেশের মুসলমানরা সুন্নি মুসলিম। তারা সরাসরি আরবের ব্লাড না। আরব জাহান থেকে পীর আউলিয়া বা ধর্ম প্রচারকরা যখন বঙ্গদেশে ইসলাম প্রচার করতে আসে তখন ইহুদী, হিন্দু, খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে তুলনা করে প্রমান করে ইসলাম আসলে কতোটা সহি পন্থা। অনেকটা ঐ পণ্য বিক্রির মত অবস্থা। ফেয়্যার এন্ড লাভলি বেশি ফর্সা করে মুখকে?? নাকি পন্ডস ক্রিম বেশি পর্সা করে??
অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে মৌলবাদের উদাহরণ হিসেবে Protestantদের কথা বলা হয়েছে। কারণ কি????
কারণ-১ঃ এটা খ্রিষ্টানদের দ্বারা রচিত ডিকশোনারী। সুতরাং উধাহরনের উপাদান গুলো তারা তাদের সমাজ থেকেই নেবে। যেমন বাংলাদেশে ছোট কোন বাচ্চাকে আপনি যুদ্ধের উদাহরণ দিতে গেলে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ বা ট্রয় নগরীর যুদ্ধের কথা বলবেন না। প্রথমেই বলবেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধের উদাহরণ।
কারণ- ২ঃ মৌলবাদের জন্ম প্রশ্নে Protestant রা দায়ী। কিন্তু যদি মৌলবাদের চর্চার ক্ষেত্রে প্রশ্ন করি তবে কি ইসলামের নাম উঠে আসবে না???
ডাক্তার জাকির নায়েক এই বাতুলতাগুলো প্রচার করেছেন। মুসলিমদের অত্যাচারকে হালকা করে দেখাতে গিয়ে তিনি অন্য ধর্মের দোষ গুলোকে সামনে তুলে তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেছেন। আমার বক্তব্য খুব স্পষ্ট যদি ১০০ টি অন্যায় হয়ে থাকে, তার মাঝে যদি মাত্র একটি অন্যায়ও ইসলাম করে থাকে তবুও ইসলাম অপরাধী। হয়তো অপরাধের নামের তালিকায় ইসলামের নাম সব থেকে নিচে থাকবে। কিন্তু অপরাধী তো।
আমরা সকল প্রকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেটা ইসলাম করুক বা হিন্দু। অন্যায় অন্যায়ই। যারা ধার্মিক তাদের জাত বাঁচাতে অন্যের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করতে হয়। কিন্তু আমরা বলতে চাই অন্যায় হয় বা হওয়ার সুযোগ আছে আমরা এসকল পন্থাকে হয় বর্জন করব।
যারা ধর্ম আর ধার্মিকে আলাদা করে দেখতে চান আমি তাদের দলে না। ধার্মিকই ধর্মের স্বরূপ। ধর্মের দোহায় দিয়ে রানিতি হচ্ছে, ধর্মের কথা বলে খুন হচ্ছে, ধর্মের কারনে নারী লাঞ্চনা হচ্ছে, ধর্মের কারনে রাষ্ট্র অচল করার কৌশল চলছে, ধর্মের উপর ভিত্তি করে ব্যাবসা হচ্ছে। জবনের সব কিছুই যখন ধর্মের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তখন ধার্মিক থেকে ধর্ম আলাদা হয় কি করে???
যারা বলেন ধর্ম না আপনি ধার্মিকের সমালোচনা করেন তা হলে আমিও বলতে চাই আমার এই সমালোচনাকে ধার্মিকের সমালোচনাই ভাবুন। ধর্মের না। ধর্ম নিয়ে কেন লিখতে হবে তার ব্যাখ্যা আমি আগেই দিয়েছি। আমি এই সমাজে বিলং করি। ধর্ম এই সমাজকে আস্টে পিস্টে বেঁধে রেখেছে। রাস্তায় আমার বোন হেটে গেলে বলা হয় সে ধর্মীয় রিতি মানে নাই তাকে ধর্ষণ করা জায়েজ। ধর্ম যেখানে ২৪ টি ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ করছে সেখানে আপনি ধর্মকে আলাদা করে দেখেনই বা কি করে??
বাংলাদেশে কিছু সুশীল আছে যারা বলতে পছন্দ করে ধর্ম আর রাজনিতিকে এক করে দিবেন না। এখানেই হল আমাদের সব থেকে বড় ব্যার্থতা। ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা কিছু না। দুটোই ক্ষমতা বিস্তারের হাতিয়ার মাত্র। সাধারণ জোনগণকে যদি এটা সঠিক ভাবে বোঝানো যেত যে ধর্ম আর দশটা রাজনৈতিক দলের মতই বিষয় তা হলে আজ আমাদের এই অবস্থা হত না। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, কংগ্রেস বা জামাত এগুলো আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এগুলো হল বৈশ্বিক রাজনৈতিক দল। সোজা হিসাব। যদি বিষয়টাকে রাজনৈতিক দল হিসাবে ধরে নিতাম তা হলে এর অন্যায় গুলোও প্রমান করা সহজ হত।
আপনারা যারা বলেন ধর্ম গ্রন্থ গুলো পড়তে তাদের কাছে বলতে চাই যে, সংবিধানে অনেক ভালো ভালো কথা লেখা আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। সেই রাষ্ট্রকে কিন্তু কেউ সভ্য রাষ্ট্র বলে না। সুতরাং কোরআন বাইবেলে কি লেখা আছে সেটা বড় না। বড় হল যা লেখা আছে তার জন্য আমার জীবনে কি প্রতিক্রিয়া ঘটছে।
আপনি মুসলিম, আপনি যদি প্রকাশ্যে আজান দিয়ে সবাইকে নামাজের দাওয়াত দিতে পারেন। যদি একজন হিন্দু ঘণ্টা বাজিয়ে পূজার দাওয়াত দিতে পারে। তবে আমি কেন লিখে মানুষকে বলতে পারবো না যে ওদিকে যাবেন না। ওটা সহি পথ না। আপনার যেমন আস্তিক হবার অধিকার আছে অন্যদেরও নাস্তিক হবার অধিকার আছে। আপনি যেমন ধর্মের ঢাক পেটাতে পারেন, আমিও তেমন অধর্মের ঢাক পেটাতে পারি। সমতা আসলে এমনই হয়। সকাল বিকাল বলেন ইসলাম মানুষের জীবনে সমতা দিয়েছে। ধনী দরিদ্রর মাঝে সমতা দিয়েছে। তা হলে কেন হিন্দু মুসলিমের সমতা দেয়নি?? আপনি যখন বলেন ইসলামই শ্রেষ্ঠ। এর মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন অন্য গুলো শ্রেষ্ঠ না। আপনি যদি অন্য ধর্মকে ভুল বা শ্রেষ্ঠ না বলতে পারেন। তবে আমি কেন আপনার ধর্মকে শ্রেষ্ঠ না বলতে পারব না??? সমতা সেখানেই হয়। ইসলাম কখনই সমতা আনেনি। বরং অন্যদের মাঝে সে শ্রেষ্ঠ সেই ঢাকই পিটিয়েছে।
শুনুন আপনি হিন্দু মানে, আপনি ইসলামের দৃষ্টিতে নাস্তিক। আপনি মুসলিম মানে আপনি হিন্দুদের দৃষ্টিতে নাস্তিক। একজন হিন্দু, মুসলিম, বদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাইই নাস্তিক। আস্তিক বলে পৃথিবীতে কিছু নাই।
মনে রাখবেন একই সাথে সকল ধর্ম সত্য হতে পারে না। কিন্তু একই সাথে সকল ধর্ম মিথ্যা হতে পারে। কারণ এর বাইরের মতটিও অধিকতর সত্য হতে পারে। সুতরাং ইসলামের বিরুদ্ধে গেলেই তার গলা কাটতে হবে এই বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসুন। না হলে মুসলিম হওয়ার জন্য আপনি নিজেও জবাই হবেন। কারণ হিন্দু ধর্ম অনুসারে প্রতিটা মুসলিম নাস্তিক।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Thanks ফোয়ারা
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৬
ফোয়ারা বলেছেন: 'দুইদিন পর পর একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যায় আমার ভেতরের বেয়াদপটা জেগে ওঠে।'
আপনারা জন্ম থেকেই বেয়াদপ, এর জন্য কোনো ঘটনা ঘটা লাগে না। বরং আপনাদের বেয়াদপির জন্যই ঘটনা ঘটে।
'সত্তর খানা হুরের সাথে সেক্স করার লোভ, টুপি পড়া আবাল'
এই ভাষা ব্যবহার করলে চলবে দাদাভাই? এই যদি হয় বাকস্বাধীনতা আর মুক্তচিন্তা তাহলে তো বলতেই হয়, কুকুর যেমন মুগুর তেমনই পড়েছে।
'ইসলাম নিয়ে লিখতে হবে কারণ ইসলাম একটি বিজাতীয় মধ্য যুগীয় সিস্টেম। আজকের দিনে সেটা অচল।' তা এই অচল জিনিস নিয়া এত প্যাচাল কেনো? সচল জিনিস কোনটা সেইটা নিয়া একটু নাড়াচারা দিলেওতো উপকারে আসে। যে জিনিসটা আপনারা নিজেরাই বিশ্বাস করেন না সেই জিনিসটা নিয়াই দিন রাত এত কাঁদাকাটি কেনো?
'আপনি মুসলিম, আপনি যদি প্রকাশ্যে আজান দিয়ে সবাইকে নামাজের দাওয়াত দিতে পারেন। যদি একজন হিন্দু ঘণ্টা বাজিয়ে পূজার দাওয়াত দিতে পারে। তবে আমি কেন লিখে মানুষকে বলতে পারবো না যে ওদিকে যাবেন না' কারন সেটা বলার অধিকার আপনার নেই। আপনি বরং বলতে পারেন কেনো মানুষ আপনার ধর্মের দিকে যাবে।সত্তর খানা হুর, টুপি পড়া আবাল এই ভাষা ব্যবহার না করে গঠনমূলক সমালোচনা করতে শিখুন।কারন আপনি নিজেও একটি ধর্মের অনুসারি.....হ্যা আপনি নাস্তিক ধর্মের অনুসারি।তো কেনো নাস্তিকতা যুগোপযোগী তা আপনি ব্যাখ্যা করতেই পারেন....তাই বলে অন্যেরা যেই ধর্ম পালন করে সে সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করার অধিকার আপনার নেই।