![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
Mufassil Islam এই লোকটা আসলে কে?? কি তার প্রফেশন? সাংবাদিক না আইনজীবী?? আমি জানি না। কিন্তু গত ৫ মাসে ফেসবুকের দৌলতে তার চরিত্রের কিছু নমুনা পেয়েছি। সে গুলো পরে বলি!!!
একটি গ্লাসের ১/২ জল থাকলে আপনি কি বলবেন?? আপনার উত্তরের উপরেই নির্ভর করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই বলে দেবে আপনার জীবন যাপনের মান, আপনার চরিত্র, আপনার শিক্ষা। এখানে জীবন যাপনের মান বলতে আবার ব্রান্ডিং প্রডাক্ট ব্যবহার করাকে বুঝবেন না।
এই লোকের লেখা দেখলে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে আমি পড়ি না। কারন একটাই। আফগানিস্থানের সাথে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতার পরে, আফগানিদের জন্য অর্থহীন মায়া কান্না কাঁদতে গিয়ে জাতীকে বিভক্ত করার নোংরা মানুশিকতা দেখে এই লোকটার উপরে আমার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে।
এই লোকটা ধর্মীয় ভাবে এবং একই সাথে রাজনৈতিক ভাবে বায়াজড। তার সকল লেখাতেই কৌশলে নেগেটিভ বিষয়কে প্রোমোট করা হয়। একটি বিষয়ের হয়তো ৯৫% ভালো আর ৫% খারাপ। তার কাজ হল ঐ খারাপ ৫% কে চটকিয়ে প্রমান করা যে ১০০% ই খারাপ। সে যে কোন বিষয় হোক। প্রমান পেতে তার ওয়াল ঘুরে আসতে পারেন। এই জনাবের ইতিহাস জ্ঞান ভয়ংকর মাত্রায়। তার ইতিহাস জ্ঞান দেখলে আমার সত্যিই ওনাকে থাপড়াতে মনে চায়। সরি, আবার বলছি থাপড়াতে মনে চায়। কিন্তু যেহেতু প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান করি তাই হয়ত থাপ্পড়টা দিতে পারব না। লোকটা খুব কৌশলে তরুণদের মাঝে জাতি বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। যাদের দূর দৃষ্টি আছে তাদের এটা আর ব্যাখ্যা করা লাগবে না। কিন্তু আফসোস হল তার অধিকাংশ পাঠক তারই লেভেলের ছাগল। তাই তারা হয়ত কখনোই বুঝতে পারে না এটা আমাদের কি ক্ষতি করছে।
-
গত ৩ বছরে সব থেকে বড় দুটি জাতীয় ছাত্র আন্দোলনের একটি "মেডিকেল মুভমেন্ট (২০১২)" আরেকটি "নো ভ্যাট ফর এডুকেশন (২০১৫)"। মেডিকেল আন্দোলনের সময় জাতীয় নেতৃস্থানীয় অবস্থা থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি সরকারের নোংরামি গুলো। প্রথম দিন আন্দোলনের পরেই যখন মাথামোটা স্বাস্থ্য মন্ত্রী আন্দোলনের মাঝে বিরিয়ানির গন্ধ পেতে শুরু করলেন তখনই বুঝে গিয়েছিলাম যে সরকারের শুধু চোখে না নাকেও সমস্যা আছে। তাই খুব কঠোর ভাবে আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রেখেছি এবং সেটা আমি নিজেই প্রকাশ্যে মিডিয়াকে জানিয়েছি আমার বক্তিতায়। কেননা মেডিকেলের প্রায় সব কোচিং গুলো শিবির নিয়ন্ত্রিত। কোন ভাবে যদি সরকার একবার প্রমান করতে পারে যে এই আন্দোলনের পেছনে শিবিরের হাত আছে তবে আন্দোলন সফল করাটা কঠিন হয়ে যাবে। সরকার অবশ্য এটা প্রমানের জন্য কোন পথই বাদ দেন নাই। রাষ্ট্রীয় নাটক কাকে বলে সেটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। দেশের বুদ্ধি জীবীদের সাথে যখন কথা বলতে গিয়েছি তারা বলেছেন- "তোমাদের আন্দোলন তো ফেয়ার না। এখানে শিবির- জামাত- বিএনপির হাত আছে। ওরা তোমাদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। আমারা যেতে পারব না।"। সুতরাং বুঝতেই পারছেন!!!!!
অবশেষে আমরা জিতেছিলাম। সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্ত আমরা আইন গত ভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলাম। বলতে দ্বিধা নাই এর জন্য ব্যক্তিগত ভাবে অনেক মেধাবী স্টুডেন্টরা ক্ষতির শিকার হলেও শিবিরের মেডিকেল কোচিং ব্যাবসাটা বেঁচে গিয়েছিল। সেটা এখনো চলছে।
এই একই বিরিয়ানির গন্ধ আর টাকা পয়সার গন্ধ দিয়ে সরকার গণজাগরণ মঞ্চের মত আরও একটি জাতীয় আন্দোলনকে ভাগাড়ে ছুঁড়ে ফেলেছে। পরিণামে মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা শব্দগুলো হয়েছে অশ্রাব্য বচন।
আজ বাংলাদেশে সরকারের অন্যায় ভ্যাট আদায়ের বিরুদ্ধে আরেকটি আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলনকারী ও সরকারের মাঝে এখানেও হাইফেন/ ফায়দা গ্রহন কারী হল প্রায়ভেট ভার্সিটিগুলো। কিন্তু সে যাই হোক আন্দোলনটা জাতীয়। ইতোমধ্যেই বুঝে গিয়েছি এই জাতীয় আন্দোলনের মাঝে কাল সাপ (শিবির) ঢুঁকে পড়েছে। সরকার শিবিরের এই ছানা পোণা গুলোকে আইডেন্টিফাই করে পুরো আন্দোলনটাকে ভাগাড়ে ফেলে দেবে। মাঝ দিয়ে শিবিরের বাড়বে জনপ্রিয়তা, সরকারের বাড়বে দুর্নীতির সুযোগ। ক্ষতি যা হবার তা হবে দেশের সাধারণের। শিবির এখানে ঢুকেছে স্রেফ সরকার বিরোধী কিছু কাজ/ কথা বলতে। ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা না বুঝেই এদেরকে টেনে নিচ্ছে নিজেদের মানুষ বলে। পরিণামে শিবিরের উপরে শিক্ষার্থীদের ভক্তি বাড়ছে।
এর প্রমান পাওয়া যায় মুফাসসিল ইসলামের ভিডিও বার্তায়। ব্যাটা ভ্যাট নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে পুরো জগা খিচুড়ি পাকিয়ে দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলছে। শিক্ষার্থীরা বুঝে না বুঝে এই গাধার বক্তব্য সেয়ারের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। ও যে রাজনৈতিক ভাবে বায়াজড ও নষ্ট মাথার মানুষ তা কেরো হিসাবে নাই।
শিক্ষার্থী ভাই বোনদের বলতে চাই, সরকারের একটি সিদ্ধান্তের বীরুধে প্রতিবাদ আর সরকারের বীরুধে প্রতিবাদ কিন্তু এক বিষয় না। জামাত শিবির নিজেদের ফায়দা নিতে আমাদের ব্যাবহার করা শুরু করে দিয়েছে। সুতরাং ধান থেকে কিট *(শিবির/জামাত) বেঁছে ছুঁড়ে ফেলতে না পারলে এই কিট কিন্তু পুরো ধানকেই খেয়ে ফেলবে। সময় থাকতে সতর্ক হওয়া দরকার।
[ লেখাটা সেয়ার করে অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিলে কৃতজ্ঞ হব। যদি আপনি মনে করেন লেখাটা অন্যদেরও পড়া উচিত।]
©somewhere in net ltd.