নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে

অন্তরপুর

অন্তরপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতদিন কি বিতর নামাজ ভুল নিয়মে পড়েছি???????????????????

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৪

গতকাল দিগন্ত টিভি তে সরল পথ অনুষ্ঠানে দেশ বরেন্য আলেম প্রফেসর ইব্রাহিম (মুফতি) এবং মতিউর রহমান সাহেব এক প্রশ্নের উত্তরে বিতর নামাজের নিয়ম নিম্নরুপ ভাবে জানালেন



নবী করীম (সা) কখনও তিন রাকাত কখনও পাঁচ রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতেন।

তিন রাকাত আদায় করতেন দুই নিয়মে:

নিয়ম-১) দুই রাকাত শেষে বৈঠকে না বসে সরাসরি তিন রাকাতে চলে যেতেন সুরা ফাতিহার পর আর একটি সুরা মিলিয়ে কোন তাকবির না দিয়েই সিজদায় যেতেন এবং বৈঠকে বসতেন।

সালাম ফিরিয়ে মুনাজাতে দোয়া কুনুত পাঠ করতেন।

নিয়ম-২) দুই রাকাতের নিয়ত করে দুই রাকাত পড়তেন পরে আলাদা করে ১ রাকাতের নিয়ত করে মোট তিন রাকাত শেষ করতেন।



বি:দ্র: যখন মহানবী পাঁচ রাকাত আদায় করতেন তখনও দুই রাকাতে বসতেন না পাঁচ রাকাত শেষে নাকি বসতেন।

(উক্ত নিয়ম গুলো নাকি সহিহ্ হাদিস দ্বারা প্রমানিত)





প্রচলিত নিয়ম

আমি বা আমরা সাধারনত: নিম্ন নিয়মে বিতর সালাত আদায় করে থাকি:



তিন রাকাত বিতর নামাজের নিয়ত করে

১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সুরা মিলাই,

২য় রাকাতেও সুরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সুরা মিলাই

এরপর বৈঠকে বসি এবং তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পাঠ করে দাড়িয়ে যাই এবং

৩য় রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে অন্য একটি সুরা মিলিয়ে একবার অতিরিক্ত তাকবির দিয়ে পুনরায় হাত বেধে দোয়া কুনুত পাঠ করি অত:পর রুকুতে যাই।

এভাবে ৩য় রাকাতে আত্তাহিয়াতু, দরুদ, দোয়া মাছুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে শেষ করি।

(উপরোক্ত নিয়ম নাকি কোন সহিহ্ হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়)





গতকালের অনুষ্ঠান দেখার পর আজকে দ্বিধায় আছি কিভাবে আজকে বিতর সালাত আদায় করব ????? সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।

দয়া করে কারো সঠিক তথ্য জানা থাকলে হেল্প করেন।।।।।।।।( আমি বরেন্য দুই আলেমকে অবিশ্বাস করছি না)





মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৮

অদ্ভুত আগন্তূক বলেছেন: দয়া করে 3rd line এ আপনার smiley icon remove করুন

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৯

অন্তরপুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ঐটা আমার অসাবধানবশত ভুল।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৫

নীলতারা বলেছেন: ধুর!
দেশ বরেণ্য আলেম সে, আর চিনিই না! হাহা হা হা ... হাস্যকর!

প্রচলিত যে নিয়ম আপনি দেখিয়েছেন, এটাই সঠিক; যদি আপনি হানাফী মাজহাবের অনুসারী হয়ে থাকেন। আর অন্য মাজহাবের নিয়ম আমি জানিনা। তবে কথিত মুফতি এবঙ মতিউর রহমান সাহবে কোন মাজহাবেরটা বললেন, তা আপনি ক্লিয়ার করেননি..

আর আপনার লেখার শুরুতে তৃতীয় লাইনের পরে নবী করীম সা. এর এখানের ইমোটা সরান।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩১

অন্তরপুর বলেছেন: সরিয়ে ফেলেছি। ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৫

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: অদ্ভুত আগন্তূক @ এই পোষ্টের লেখক সম্ভবত নবী করীম (সাঃ) এর ঃ এর স্থলে : এই চিহ্ন দিয়েছেন তাই এটা স্মাইলি হয়ে গেছে। এটা উনার অনিচ্ছাকৃত ভুল।

লেখক কে বলছি > ওই লাইনে : এর স্থলে বিসর্গ চিহ্ন দিন।

পোষ্ট প্রসঙ্গে > আমি সহ আমার পরিচিত সবাই তো প্রচলিত নিয়মে এতদিন বিতর নামাজ আদায় করে আসছি। দেখি এই ব্লগের বিজ্ঞজনেরা কি বলেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৩

অন্তরপুর বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন। আমি বিস্বর্গ ব্যবহার না করে কোলন ব্যবহার করেছিলাম। যার কারনে ইমোটা এসেছিল। পরে কারেকশন করে দিয়েছি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৮

Neeljosona বলেছেন: মুফতি সাহেব কিন্তু প্রচলিত নিয়মকে ভুল বলেননি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

অন্তরপুর বলেছেন: প্রচলিত নিয়মকে ভুল বলেছেন। এবং যেহেতু কোন হাদিস দ্বারা প্রচলিত নিয়ম প্রমানিত নয় সেইহেতু সঠিক নিয়মে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা সহিহ্ হাদীস দ্বারা প্রমানিত।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৮

পরান বলেছেন: আর আপনার লেখার শুরুতে তৃতীয় লাইনের পরে নবী করীম সা. এর এখানের ইমোটা সরান।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

অন্তরপুর বলেছেন: সরিয়ে ফেলেছি। ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩০

হেডস্যার বলেছেন:
ওই অনুষ্ঠানে আমি আগে ও কয়েকবার একই উত্তর পেয়েছি। কিন্তু কনফিউজড ছিলাম।
প্রচলিত নিয়ম ছাড়া অন্য কোন নিয়মে আমি এর আগে কেউকে বিতর নামায পড়তে দেখি নাই।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

নিমপাতা১২ বলেছেন: সঠিক হাদীসের নিয়মে আলেম প্রফেসর ইব্রাহিম এর কথাই ঠিক , তিন বছর আগে আমরাও প্রচলিত নিয়মে বেতর পড়তাম, কিন্তু মদিনা র্ভাসিটি থেকে পাস করা এক বাংঙ্গালী আলেম বললেন প্রফেসর ইব্রাহিম এর নিয়মে বিতর নামাজ পড়তে, সেদিন থেকে সবাই সেই নিয়মে নামায পড়ে

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৯

মন্জুরুল আলম বলেছেন: উনারা যেভাবে বলেছে....আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন ইমামকেও দেখেছি একইভাবে বিতর নামাজ পড়তে....বিতর ১রাকাত পড়ারও বিধান আছে.....নির্দিধায় ফলো করতে পারেন....

উনারা প্রচলিত পদ্ধতিকে ভুল বলেননি....

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪১

রাজামশাই বলেছেন: হতাশ হইবার কিছু নাই ..... ভুল কইরা পড়লে কোন সমস্যা নাই মাফ....


এখন বাইছ্যা নেও কোন নিয়মে পড়বা

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

উদাসপথিক বলেছেন: জেনে অনেকেই আশ্চর্য হতে পারেন তবে সত্য কথা হল বিতর নামায ১ রাকাতও পড়া যায়।

"রিয়াদুস সালেহীন" হাদীস গ্রন্থের নামায অংশ পড়ে দেখতে পারেন। অনেকটা ক্লিয়ার হবেন।


"যখনই তোমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য হয়, তখনই আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরে চাও। "

আধুনিক যুগে ইসলাম সম্পর্কে জানা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাই কেউ কিছু একটা বলে ফেললেই আমাদের বিশ্বাস করা ঠিক হবে না, যাচাই বাছাই করে নেয়াই উচিত। ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক সাইট আছে।

ইসলামের উপর যদি আমাদের অধ্যয়ন কম থাকে তবে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যেমন:
১. অনেকেই জানেনই না যে আসর ও ইশার নামাযের আগের ৪ রাকাত সুন্নাত নামায না পড়লে কোনো গুণাহ হয় না।
২. নামাযের নিয়তের ক্ষেত্রে আরবীতে নিয়ত করা জরুরী না,
৩. ফরজ নামায শেষে ইচ্ছা করলে দোয়া না পড়েই সুন্নাত নামায শুরু করা যায়।
এই রকম আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে যা আমাদের মুসলিম সমাজ জানে না। কারণ জন্মের পর থেকে একটা নিয়মই জেনে এসেছে।
আবার এগুলোর জন্য আমাদের আলেম সমাজেরও অনেকটা দায়ী। তাঁরা সাধারণ মানুষকে এগুলো জানাতে দ্বিধা বোধ করেন।

আল্লাহ আমিসহ সবাইকে সত্য ও সঠিক বিষয় জানার ও বোঝার তাওফিক দিন। আমীন।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

জাগারণ বলেছেন: রাসুল্লাহ্ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছেন মোট ১১ রাকআত, ২ রাকআত করে চার বার অর্থাৎ ৮ রাকআত তাহাজ্জুতের নামাজ + ২ রাকআত শাফআ-এর নাম আর ১ রাকআত বিতরের নামাজ । সর্বমোট ১১ রাকআত নামাজ ।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৯

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমরা আমাদের বনানী জামে মসজিদ এ রমজান মাসে তারাবীহ নামাজের পর জামাতে যতবার বিতর নামাজ পড়েছি ততবারই প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরন করা হয়। যেহেতু জামাতে এই ধরনের পদ্ধতি অনুসরন করা হয় সুতরাং আমি ত এটাই মেনে চলব।

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৪

নীলতারা বলেছেন: অনেকেই ভুল বলছেন। আবার অনেকে ঠিকই বলছেন, তবে হানাফী মাজহাব অনুযায়ী ভুল। আর ভুলে যাবেন না, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই হানাফী মাজহাবের অনুসারী।

মদীনা বা সৌদি আরবের মানুষ বেশীর ভাগই শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী। সুতরাং মাদীনা ভার্সিটির একজন ছাত্র তো তাদের অনুসরণের কথা বলবেই। তাই বলেই হানাফী মাজহাবের আমি কি তাকে অনুসরণ করা শুরু করবো? নাহ...

কেউ আবার সুবিধাজনকটা বেছে নিতে বলছেন। হাস্যকর... যে মাজহাবের যেটা সহজ, সেটা নিয়ে আমরা কি ইচ্ছা করলেই নতুন একটা মাজহাব খুলে বসতে পারি! নাহ...

আর উদাসপথিক দারুণ কিছু কথা বলেছেন। তাকে স্পষ্ট করি কিছু বিষয়। আসর ও ইশার ফরজ নামাজের আগের সুন্নাত গুলো সুন্নতে কিফয়া, যা রাসূল সা. মাঝে মাঝে পড়তেন। সুতরাং আমরাও মাঝে মাঝে পড়তে পারি। না পড়লে সমস্যা নাই। আর নিয়ত; আমরা অজু করি কেনো? নামাজের উদ্দেশ্য। সুতরাং অজু করতে যাবার সময়-ই নিয়ত শেষ! আর দোয়া বা মোনাজাত তো নামাজের কোনো অংশ না; সুতরাং ফরজের সালাম ফিরিয়েই সুন্নাত শুরু করতে কোনো প্রবলেম নেই।

কারো কিছু জানার থাকলে বলতে পারেন। জানলে জানাবো...

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৮

েসাহা৬৬৬ বলেছেন: বিতের নামাজ বোখারী শরীফে এক রাকাতের কথাও সঠিক বলা হয়েছে ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

অন্তরপুর বলেছেন: আমি আসলে তিন রাকাত বিতর নামাজ কিভাবে আদায় করব সেটা জানতে চাচ্ছি।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২২

নভোচারী বলেছেন: মুফতি সাহেবের কথা মিথ্যা বলছি না। কিন্তু যেহেতু এই বিষয়গুলো স্পর্শকাতর তাই নিজে যাচাই না করে আমল করার পক্ষপাতি আমি না। আপনি নিজে ব্যাপারটা হাদীস যাচাই করে দেখুন আর যতক্ষণ না নিশ্চিত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচলিত নিয়মে আমল করুন। আমার মনে হয় এমন করাটাই উত্তম হবে।

নিশ্চিত হয়ে পোস্ট দেবেন। তাহলে সবাই জেনে যাবে।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪১

নোটার্হম বলেছেন: আল্লাহর ফজলে,এতদিন যেভাবে পড়ছেন ত ঠিকই আছে। একটি বিষয় অনুধাবন করার চেষ্টা করুন:-

আমরা সাধারণ মুসুলমানেরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে তা শিখি আমাদেরই আশেপাশের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ( চলতি কথায় মোল্লা-মৌলভী ) থেকে। বিগত ৩০/৪০ বছর ধরে এ বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা সাধারণ ওয়াজ মাহফিলে যেসব ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা ( চলতি কথায় মোল্লা-মৌলভী ) প্রভাব বিস্তার করে রেখেছেন বা দাপটে আছেন,তাদের অধিকাংশই একটি বিশেষ মুসলিম দেশের দ্বারা প্রবর্তিত অতি-নীচুস্তরের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত ।তাদের গলার আওয়াজ এর শব্দই পূঁতি-দুর্গন্ধযুক্ত। তারা যে সে দেশের দালালী করে এটা তাদের কথাতেই পরিষ্কার বুঝা যায়। এদের কারনেই আপনাকে শুনতে হচ্ছে আপনার বিতিরের নামাজ ঠিক হচ্ছেনা। আপনার নামাজের নিয়ত বান্ধা ঠিক হচ্ছেনা ( নাভীর উপর হাত না রেখে বুকের উপর রাখতে হবে ), ইত্যাদি, ইত্যাদি। এরা প্রথমেই এ হাদীসটি শুনাবে "রাসূল করীম (দ:) বলেছেন, ' তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখ,সেভাবে নামাজ পড়, "।তারপর তারা বলতে থাকবে তারা যা বলছে, তাই সঠিক হাদীস, এবং অন্যেরা ( বিশেষত: হানাফী মযহাবের লোকেরা )যা মানছে তা সবই জাল হাদীস বা দুর্বল হাদীস।
আশার কথা এই যে তাদের পালের গোদাগুলি বর্তমানে দৌড়ের মধ্যে আছে । আর নিজেদের গদি ( রাজতন্ত্র) ঠিক রাখার জন্য সে বিশেষ দেশ, চামচাগুলির নেতাগুলিকে পোষে যাতে তাদের স্বপক্ষে মুসলিম উম্মাহর সাপোর্ট থাকে। তাদের ( রাজাদের )স্বপক্ষে মুসলিম উম্মাহর সাপোর্ট থাকলে, তাদের নিজেদের দেশের লোকদেরও তাদের বশে রাখা সহজ হবে ,এ নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে তারা সারা বিশ্বে তাদের বশংবদ পোষে। ।আর চামচাগুলির ভেড়ার পালের মত তাদের নেতাগুলিকে অনুকরন করে চলে, মনে করে তারা ইসলামের কি যেন খেদমাত করে যাচ্ছে। আফসোস তারা যে অন্যের হাতের ক্রীড়নক, এটা তারা বুঝতেও পারেনা।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

তুহিণ বলেছেন: Mufti is right. Brother, why don't you read Sahi Hadith. You can read and you can understand then why don't you check yourself. If this is in Bukhari or Muslim then we should follow it. Regarding Madhab, I don't care this because this is not mandatory to follow (see Zakir Naik's lecture on this).

Giving you an example, people follow Sob-e-Barat and I can explain easily why this is Bedat. So, should we follow this ?

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮

ব্লগার ইমরান বলেছেন: সমস্যা নাই, যেভাবে পড়ছেন সেভাবেই পড়ুন। সবগুলোই ঠিক। কারন রাসুল সা: কয়েকভাবেই পড়েছেন।

১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮

নোটার্হম বলেছেন: দু:;খিত , সাল্লাল্লাহু আলাইচ্ছালামের এর সংক্ষিপ্ত রূপ লেখতে কিভাবে যেন " স্মাইলি " এসে গেল বুঝলামনা ।এর আগেও এটা অন্য এক পোষ্টে দেখেছি। কেউ কি বলবেন এ " স্মাইলি " কিভাবে এড়ানো যায় ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

অন্তরপুর বলেছেন: হ্যা ভাই এই সমস্যা আমারও হয়েছিল। পরে এক ভাই ভুলটি ধরিয়ে দেন।
যদি আপনি কোলন চিহ্ন ব্যবহার করেন তাহলে স্মাইলি ইমো টি আসবে আর যদি আপনি বিস্বর্গ ব্যবহার করেন তবে আসবে না।

২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

তুহিণ বলেছেন: Some people would try to misguided you by referring Madhab. But I am asking them-

1. did u ever read this book?

2. Do you have any copy of this book at your home ?

২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪

মাইন রানা বলেছেন: প্রচলিত নিয়ম ছাড়া অন্য কোন নিয়মে আমি এর আগে পড়ি নাই

রমাজানে তারাবী নামাজের পর জামাতের সাথে হুজুর তারাবী পড়ায় সেখানেওতো প্রচলিত নিয়মে পড়া হয়।

২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৪

ঢাকা থেকে বলেছেন: বিতরের নামাজ অবশ্যই তিন রাকায়াত।
এই নিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই।
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে ১১ রাকায়াত নামাজ পড়েছেন।
৮ রাকায়াত তাহাজ্জুদ আর তিন রাকায়াত বিতরের নামাজ।

বিতরের নামাজ এশার নামাজের সাথেও পড়া যায়, তাবে তাহাজ্জুদ নামাজের পরে পড়া খাছ সুন্নত।
যে সকল মাওলানা বিভ্রান্তি ছড়ায় এরা আসলেই বিভ্রান্ত।
মাযহাব মানেনা, ইমামগণকে মানেনা নিজেই কুরআন হাদীছ শরীফের মনগড়া ব্যাখ্যা করে।
এদের কে অনুসরন থেকে বিরত থাকা সকলের কর্তব্য।

২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৫

প্রমিথিউস22 বলেছেন: এই ব্লগেই বিতর নামাজ সম্পর্কিত একটি পোস্ট পেয়েছিলাম যাতে এ সম্পর্কিত হাদীসের বিস্তারিত আলোচনা আছে এবং আমাদের প্রচলিত নিয়মও যে সঠিক তা প্রমাণ করা হয়েছে। পোস্টটির লিংক আমি খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করব।

দ্বিধায় না পড়ে আমাদেরকে খুঁজে দেখা দরকার। কেউ কি বোখারী শরীফের কোন অধ্যায়ে এটি আছে তা বলতে পারবেন? এটি খুঁজে বের করা সবার জন্য অবশ্য কর্তব্য। কারণ, দ্বীন পালনের জন্য ন্যুনতম জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের জন্য ফরজ। ভাল থাকবেন।

২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৭

মদন বলেছেন: একমত @ প্রমিথিউস22

আমিও পোষ্টটি অনেকক্ষন থেকে খুজছি। পোষ্টটি প্রিয়তে থাকার কথা, কিন্তু খুজে পেলাম না। কয়েকটি পর্বে সুন্দর করে লেখা ছিলো। তথ্যবহুল একটি পোষ্ট ছিলো।

২৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৮

মদন বলেছেন: অবশেষে পেলাম
Click This Link

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩২

অন্তরপুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক বিষয় পরিস্কার হলাম।

২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৯

মদন বলেছেন:
Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

অন্তরপুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য।

২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আমি ভাই বিভিন্নভাবেই পড়ি। ৩ রাকাত একবারেও পড়ি আবার ১ রাকাত আলাদাও পড়ি। তবে নবিজী পড়তেন ১ থেকে ১১ রাকাত পর্যন্ত। আপনি ৫ রাকাতের কথা বলেছেন। বেতর বলতে যেটি বোঝায় সেটি আসলে এক রাকাত। আগে বাকী ২ রাকাত করে নামাজগুলো নফল।
আমার মতে কোনটিই আসলে ভুল নয়। মিশরে বা মিডিল ইস্টে অনেক জায়গায় (আমার মনে হয় বেশিরভাগ) ১ রকাত আলাদা পড়ে, তবে আমাদের দেশে ৩ রাকাত একবারেই পড়ি। ঈমাম হানাফীর অনুসারীরা এভাবেই পড়ে। এজন্য এটিকে আপনি প্রচলিত বলেছেন। আসলে প্রচলিত ২ ধরনেরই।

২৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: @ নোটার্হম

রসুল সাঃ অথবা রসুল (সাঃ) এভাবে লিখবেন, বিসর্গ চিহ্ন ব্যবহার করবেন। অথবা যদি কোলন দিতে চান তবে (সা: ) এভাবে লিখবেন। : এবং ) এর মাঝে একটি স্পেস দিতে হবে। অন্যথায় স্মাইল চলে আসবে :)

২৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৯

বিডিআর বলেছেন: আরবীয়দের ২য় নিয়মে বিতর নামাজ পড়তে দেখেছি।

৩০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: তিন রাকাতে ২য় রাকাতে বসবেন না। সর্বশেষ রাকাতে বসবেন। আসলেই এটা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আমরা যেটা করি সেটা ভূল।

৩১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

সোহানের রোজনামচা বলেছেন: প্রচলিত নিয়মটা সহীহ হাদিস এর মাধ্যমে প্রমাণিত নয়। বরং টিভিতে যেটা বলেছে তাই হাদীস এ প্রমাণিত।

৩২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫১

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: অপেক্ষা থাকলাম এই পোষ্ট কোনো রেজাল্ট বের হয় কিনা দেখার জন্য

৩৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭

বটতলার টারজান বলেছেন: হারাম শরিফে যখন তারাবির পরে বিতর আদায় করা হয়, তখন প্রথমে সাধারণভাবে ২ রাকাত নামায শেষ করা হয়, এরপর নতুন নিয়ত করে নামায শুরু করা হয় , রুকু থেকে ওঠার পর দাঁড়িয়ে মোনাজাত করা হয় ( শুধু দোয়া কুনুত নয় ), এরপর সিজদা করে সাধারণভাবেই শেষ ১ রাকাত নামায পড়া হয়।
আমি নিজেও সেভাবেই পড়েছি।

একবার এরকমই এক টিভির আলেমের কাছে শুনেছিলাম যে উপরোক্ত নিয়ম রাসুল (সা) অনুসরণ করতেন, আর আমাদের দেশের নিয়ম নাকি হজরত আলি ( রা) এর অনুসরণে।

৩৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩০

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: সব লিন্কগুলি পড়ি তারপর আবার কমেন্ট করব..এখন পুরাপুরি কনফিউজড।

লেখককে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

শিপন_সাহাব বলেছেন: শাইখ সুদাইসের বিতরের নামাজ । http://www.youtube.com/watch?v=3nmgmDCxYLI

৩৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২

মোঃ আসাদ হোসেন বলেছেন:
বিতর নামায আদায়ের পদ্ধতিঃ একটি প্রশ্নের উত্তর

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ইবনে আক্তার ধানমণ্ডি, ঢাকা প্রশ্ন : আরামবাগ এলাকার এক মসজিদের খতীবকে অনেকবার এ কথা বলতে শুনেছি যে, বিতর নামাযের একাধিক পদ্ধতি হাদীসের কিতাবে রয়েছে, তবে হানাফীরা যেভাবে বিতর পড়ে, অর্থাৎ দুই বৈঠক ও এক সালামে তিন রাকাত-এই পদ্ধতি হাদীস শরীফে নেই। তার বক্তব্য হল, বিতর যদি তিন রাকাতই পড়তে হয় তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে বসা যাবে না। অন্যথায় তা মাগরিবের নামাযের সাদৃশ্য হয়ে যাবে। আর হাদীস শরীফে বিতরকে মাগরিবের সাদৃশ্য বানাতে নিষেধ করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, দুই বৈঠক ও এক সালামে কি বিতর পড়া হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়? যদি না থাকে তাহলে আমরা কোন ভিত্তিতে এভাবে বিতর নামায আদায় করছি?

উত্তর : আলহামদুলিল্লাহ, ওয়া সালামুন আলা ইবাদিহিল্লা লাযিনাস তাফা, আম্মা বাদ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত তাহাজ্জুদের পর বিতর নামায পড়তেন। এটি ছিল নবীজীর সাধারণ অভ্যাস। বয়স ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন অবস্থার কারণে তাহাজ্জুদের রাকাতসংখ্যা কম-বেশি হত। কিন্তু বিতর সর্বদা তিন রাকাতই পড়তেন। এক রাকাত বিতর পড়া নবীজী থেকে প্রমাণিত নয়। যে সব রেওয়ায়াতে পাঁচ, সাত বা নয় রাকাতের কথা এসেছে, তাতেও বিতর তিন রাকাতই। বর্ণনাকারী আগে-পরের রাকাত মিলিয়ে সমষ্টিকে ‘বিতর’ শব্দে ব্যক্ত করেছেন। হাদীসের রেওয়ায়াতসমূহে ব্যাপকভাবে বিতর ও তাহাজ্জুদের সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলা হয়েছে। এটি একটি উপস্থাপনাগত বিষয়।

নবীজী বিতর তিন রাকাত পড়তেন। এটিই তাঁর অনুসৃত পন্থা। নিম্নের হাদীসসমূহ থেকে বিষয়টি সুপ্রমাণিত।

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে নবীজীর নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে এবং রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।-সহীহ বুখারী ১/১৫৪, হাদীস ১১৪৭; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদীস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮, হাদীস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদীস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদীস ২৪০৭৩

সা‘দ ইবনে হিশাম রাহ. বলেন, হযরত আয়েশা রা. তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। -সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; হাদীস ১৬৯৮; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ১৫১ (বাবুস সালাম ফিল বিতর) মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৪, হাদীস ৬৯১২; সুনানে দারাকুতনী ২/৩২, হাদীস ১৫৬৫; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১

এই হাদীসটি ইমাম হাকেম আবু আব্দুল্লাহ রাহ.ও ‘মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন’ কিতাবে বর্ণনা করেছেন। তার আরবী পাঠ এই- كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يسلم في الركعتين الأوليين من الوتر অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। ইমাম হাকেম (রহ.) তা বর্ণনা করার পর বলেন- هذا حديث صحيح على شرط الشيخين অর্থাৎ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ। ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রাহ. ‘তালখীসুল মুস্তাদরাক’-এ হাকেম রাহ.-এর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০

এই হাদীস দ্বারা একদিকে যেমন প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাধারণ নিয়মে তিন রাকাত বিতর আদায় করতেন তেমনি একথাও প্রমাণিত হয় যে, তিন রাকাতের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্য বসতেন, কিন্তু সালাম ফেরাতেন না। সালাম ফেরাতেন সবশেষে তৃতীয় রাকাতে। যদি দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক করার নিয়ম না থাকত তাহলে সালাম করার বা না করার প্রসঙ্গতই আসত না। কেননা সালাম তো ফেরানো হয়ে থাকে।

ইমাম ইবনে হাযম যাহেরী রাহ. ‘মুহাল্লা’ কিতাবে বিতরের বিভিন্ন পদ্ধতির মাঝে আলোচিত পদ্ধতিটিও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিতর তিন রাকাত পড়া হবে। দ্বিতীয় রাকাতে বসবে এবং (তাশাহহুদ পড়ে) সালাম ফেরানো ছাড়াই দাঁড়িয়ে যাবে। তৃতীয় রাকাত পড়ে বসবে, তাশাহহুদ পড়বে এবং সালাম ফেরাবে, যেভাবে মাগরিবের নামায পড়া হয়। এটিই ইমান আবু হানীফা রাহ.-এর মত। এর দলিল হচ্ছে, সাদ ইবনে হিশাম রাহ.-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস, যাতে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। -মুহাল্লা ইবনে হাযম ২/৮৯

সাদ ইবনে হিশাম রাহ.-এর রেওয়ায়াতটি আরও একটি সনদে বর্ণিত হয়েছে, যার আরবী পাঠ নিম্নরূপ- كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث لا يسلم إلا في آخرهن অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতর পড়তেন এবং শুধু সর্বশেষ রাকাতে সালাম ফেরাতেন। হাকেম রাহ. এই রেওয়ায়াতের পর লেখেন, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.ও এভাবে বিতর পড়তেন এবং তাঁর সূত্রে মদীনাবাসীগণ তা গ্রহণ করেছেন। -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮১

(৩) আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন- قلت لعائشة : بكم كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر؟ قالت: كان يوتر بأربع وثلاث, وست وثلاث, وثمان وثلاث, وعشر وثلاث, ولم يكن يوتر بأنقص من سبع, ولا بأكثر من ثلاث عشرة. অর্থাৎ আমি হযরত আয়েশা রা.-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না। -সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদীস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদীস ২৫১৫৯

চিন্তা করে দেখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামায কখনো চার রাকাত, কখনো ছয় রাকাত, কখনো আট রাকাত, কখনো দশ রাকাত পড়তেন; কিন্তু মূল বিতর সর্বদা তিন রাকাতই হত।

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ফাতহুল বারী ৩/২৬ باب كيف صلاة الليل, كتاب التهجد)- এ লেখেন- هذا أصح ما وقفت عليه من ذلك, وبه يجمع بين ما اختلف عن عائشة في ذلك. والله أعلم আমার জানামতে এটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বাধিক সহীহ রেওয়ায়াত। এ বিষয়ে হযরত আয়েশা রা. বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের মাঝে যে বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় এর দ্বারা সে সবের মাঝে সমন্বয় করা সম্ভব।

(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তাহাজ্জুদ ও বিতর প্রত্যক্ষ করার জন্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এক রাতে তাঁর খালা উম্মুল মুমিনীন হযরত মাইমূনা রা.-এর ঘরে অবস্থান করেন। তিনি যা যা প্রত্যক্ষ করেছেন বর্ণনা করেছেন। তাঁর শাগরেদরা সে বিবরণ বিভিন্ন শব্দে বর্ণনা করেছেন। আমি এখানে সুনানে নাসায়ী ও অন্যান্য হাদীসের কিতাব থেকে একটি রেওয়ায়াত উদ্ধৃত করছি- ‘মুহাম্মাদ ইবনে আলী তার পিতা থেকে, তিনি তার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে শযা্য থেকে উঠলেন, এরপর মেসওয়াক করলেন, এরপর দুই রাকাত পড়লেন, এরপর শুয়ে গেলেন। তারপর পুনরায় শয্যা ত্যাগ করলেন, মেসওয়াক করলেন, অযু করলেন এবং দুই রাকাত পড়লেন; এভাবে ছয় রাকাত পূর্ণ করলেন। এরপর তিন রাকাত বিতর পড়লেন। এরপর দুই রাকাত পড়েন। حتى صلى ستا ثم أوتر بثلاث وصلى ركعتين -সুনানে নাসায়ী ১/২৪৯, হাদীস ১৭০৪; মুসনাদে আহমাদ ১/৩৫০, হাদীস ৩২৭১; তহাবী শরীফ ১/২০১-২০২

(৫) প্রসিদ্ধ তাবেয়ী ইমাম সাঈদ ইবনে জুবাইর, যিনি ইবনে আব্বাস রা.-এর বিশিষ্ট শাগরেদ, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন- كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث ويقرأ في الأولى سبح اسم ربك الأعلى, وفي الثانية قل يا أيها الكفرون, وفي الثالثة قل هو الله أحد. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতর পড়তেন, প্রথম রাকাতে ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা’, দ্বিতীয় রাকাতে ‘কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন’ এবং তৃতীয় রাকাতে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন। -সুনানে দারেমী ১/৩১১, হাদীস ১৫৯৭; জামে তিরমিযী ১/৬১, হাদীস ৪৬২; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৯; হাদীস ১৭০২; তহাবী শরীফ ১/২০১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৫১২, হাদীস ৬৯৫১ ইমাম নববী রাহ. ‘আলখুলাসা’ কিতাবে উক্ত হাদীসের সনদকে সহীহ বলেছেন। -নাসবুর রায়াহ, জামালুদ্দীন যাইলায়ী ২/১১৯ বিতরের তিন রাকাতে উপরোক্ত তিন সূরা, এক এক রাকাতে এক এক সূরা, পড়া সম্পর্কে একাধিক সাহাবী থেকে রেওয়ায়াত বিদ্যমান রয়েছে। প্রতিটি রেওয়ায়াত প্রমাণ করে যে, বিতরের নামায তিন রাকাত। মোটকথা, বিতরের নামায তিন রাকাত হওয়ার বিষয়ে হাদীস ও সুন্নাহর বহু প্রমাণা রয়েছে এবং অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমলও তাই ছিল। এখানে আরেকটি হাদীস উল্লেখ করছি- عن ثابت قال: قال أنس: يا أبا محمد خذ عني فإني أخذت عن رسول الله صلى الله عليه وسلم, وأخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الله, ولن تأخذ عن أحد أوثق مني, قال: ثم صلى بي العشاء, ثم صلى سب ركعات يسلم بين الركعتين, ثم أوتر بثلاث يسلم في آخرهن (الروياني وابن عساكر, ورجاله ثقات, كما في كنز العمال) প্রসিদ্ধ তাবেয়ী সাবেত বুনানী রাহ., বলেন, আমাকে হযরত আনাস ইবনে মালেক রাহ. বলেছেন, হে আবু মুহাম্মাদ! (সাবেত রা.-এর কুনিয়াত-উপনাম) আমার কাছ থেকে শিখে নাও। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে গ্রহণ করেছি। আর তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন থেকে নিয়েছেন। তুমি শেখার জন্য আমার চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য কাউকে পাবে না। একথা বলে তিনি আমাকে নিয়ে ইশার নামায আদায় করেন। এরপর ছয় রাকাত পড়েন, তা এভাবে যে, প্রতি দুই রাকাতে সালাম ফেরান। এরপর তিন রাকাত বিতর পড়েন এবং সবশেষে সালাম ফেরান। -মুসনাদে রুয়ানী, তারীখে ইবনে আসাকির; ইমাম সুয়ূতী রাহ. বলেন, এই হাদীসের রাবীগণ নির্ভরযোগ্য (কানযুল উম্মাল ৮/৬৬-৬৭, হাদীস ২১৯০২ ‘আলবিতরু মিন কিতাবিস সালাত, কিসমুল আফআল)

জরুরি জ্ঞাতব্য

বিতর নামাযের ব্যাপারে আজকাল এক ব্যাপক অবহেলা এই পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, একে এমন এক নামায মনে করা হয় যার আগে কোন নফল নামায নেই, যেমন মাগরিবের নামায; এর আগে নফল নামায মাসনূন নয়; অথচ বিতরের ব্যাপারে শরীয়তের কাম্য এই যে, তা কিছু নফল নামায পড়ার পর আদায় করা। সবচেয়ে ভাল এই যে, যার শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য জাগার নিশ্চয়তা রয়েছে, সে তাহাজ্জুদের পরে বিতর পড়বে। যদি বিতর রাতের শুরু ভাগে ইশার পর পড়া হয় তবুও উত্তম এই যে, দুই-চার রাকাত নফল নামায পড়ার পর বিতর আদায় করবে। মাগরিবের মত আগে কোন নফল ছাড়া শুধু তিন রাকাত বিতর পড়া পছন্দনীয় নয়। হাদীস শরীফে আছে- لا توتروا بثلاث تشبهوا بصلاة المغرب, ولكن أوتروا بخمس, أو بسبع, أو بتسع, أو بإحدى عشرة ركعة, أو أكثر من ذلك. তোমরা শুধু তিন রাকাত বিতর পড়ো না, এতে মাগরিবের সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলবে; বরং পাঁচ, সাত, নয়, এগার বা এরও অধিক রাকাতে বিতর পড়ো। -মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩০৪, হাদীস ১১৭৮; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১, ৩২

মোটকথা, বিতরের আগে কিছু নফল অবশ্যই পড়-দুই, চার, ছয়, আট-যত রাকাত সম্ভব হয় পড়ে নাও। ৩ নং-এর অধীনে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা.-এর হাদীস উল্লিখিত হয়েছে, যাতে তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন-বিভিন্ন সংখ্যায় রাতের নামায আদায় করতেন। উল্লিখিত হাদীসে ওই নির্দেশনাই এসেছে যে, শুধু তিন রাকাত বিতর পড়ো না, আগে কিছু নফল অবশ্যই পড়। তবে বিতর সর্বাবস্থায় তিন রাকাতই।

উক্ত হাদীসের সাথে একথার কোন সম্পর্ক নেই যে, তিন রাকাত এক বৈঠকেই পড়তে হবে, তাহলেই শুধু তা মাগরিবের সাদৃশ্য থেকে বেঁচে যাবে। তাই তিন রাকাত পড়তে হলে তা এক বৈঠকেই পড়তে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, মাগরিবের সাদৃশ্য থেকে বাঁচার পদ্ধতি হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে যে, তিন রাকাত বিতরের আগে নফল পড়ে নাও। হাদীসের ব্যাখ্যা ছেড়ে নিজের পক্ষ থেকে বিতরের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা বিভ্রানি- ছাড়া আর কিছুই নয়।

শরীয়তে সকল নামাযের মূলকথা এই যে, প্রতি দুই রাকাতে বৈঠক হবে এবং তাশাহহুদ পড়া হবে। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে সহীহ মুসলিম ১/১৯৪, হাদীস ৪৯৮-এ একটি দীর্ঘ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক ব্যাপক বাণী উদ্ধৃত রয়েছে। তাতে তিনি ইরশাদ করেন- وفي كل ركعتين التحية ‘প্রতি দুই রাকাতে তাশাহহুদ রয়েছে।’ একই হুকুম একাধিক সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত রয়েছে। শরীয়তের ব্যাপক শিক্ষা পরিহার করে কোন রেওয়ায়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে একথা বলা যে, তিন রাকাত বিতর পড়লে শুধু এক বৈঠকেই পড়া-এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এটা من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد -এর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা উম্মতকে উক্ত অনিষ্ট থেকে হেফাযত করুন। আমীন।

এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার উপরই লেখাটি সমাপ্ত করছি। তবে বিষয়টি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই আগামী কোনো সংখ্যায় হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ লুধিয়ানবী (রহ.)এর একটি বিস্তারিত আলোচনা প্রকাশ করা হবে, যা তাঁর ‘ইখতেলাফে উম্মত আওর সিরাতে মুস্তাকীম’ কিতাবে প্রকাশিত হয়েছে। هذا, وصلى الله تعالى وسلم على سيدنا ومولانا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين, وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

আহমাদুল কবির বলেছেন: বিতরের নামায পড়ার নিয়ম দুটি

১২) তিনি বিতরের নামায যখন ৩ রাকাত পড়তেন, তখন প্রথমে ২ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিতেন।তারপর ১ রাকাত পড়ে ,সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করতেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্নিত, তিনি বিতরের ২ রাকাত এবং ১ রাকাতের মধ্যে (সালাম ফিরিয়ে) পৃথক করে নিতেন এবং তিনি বলেছেন, নবী(স:) এরুপই করতেন। ইবনে হিব্বান-২৪৩০

১৩) তিনি বিতরের নামাজ যখন ৩ রাকাত পড়তেন, তখন দুই রাকাত পড়ে বসতেন না কিংবা তাশাহহুদও পড়তেন না। বরং একসাথে ৩ রাকাত শেষেই বসতেন।হযরত আয়েশা(রা:) থেকে বর্নিত, ‘নবী(স:) ৩ রাকাত বিতর পড়তেন, যার শেষ রাকাত ছাড়া তিনি কোথাও বসতেন না’। বায়হাকী,হাকেম

১৪) হযরত আয়েশা(রা:) থেকে বর্নিত,’রাসুলুল্লাহ(স:) রাতের বেলা তের রাকাত নামায পড়তেন। এর মধ্যে ৫ রাকাত পড়তেন বিতর এবং তাতে একবারে শেষে ছাড়া আর কোন বৈঠক করতেন না’। মুসলিম- ১৫৯৭, নাসায়ী-১৭১৮

১৫) উম্মে সালমা(রা:) থেকে বর্নিত,’ রাসুলুল্লাহ(স:) ৭ কিংবা ৫ রাকাত বিতরের নামায পড়তেন এবং মাঝখানে সালামও ফিরাতেন না এবং কোন কথাও বলতেন না’।

ইবনে মাজাহ- ১১৯২

১৬) রাসুলুল্লাহ(স:) বলতেন,’তোমরা বিতরের ৩ রাকাত নামাজকে, মাগরিবের নামাযের সদৃশ করো না’।

হযরত আবু হুরায়রা(রা:) থেকে বর্নিত,’ রাসুলুল্লাহ(স:) বলতেন,’তোমরা মাগরিবের মত করে ৩ রাকাত বিতরের নামায পড়ো না। বরং ৫ রাকাত, ৭ রাকাত, ৯ রাকাত কিংবা ১১ রাকাত দ্বারা বিতর পড়ো’।

ত্বাহাবী,দারু কুত্বনী,ইবনে হিব্বান,হাকেম

১৭) নবী রাসুলুল্লাহ (স:) বিতরের নামায ৯,১১ কিংবা ১৩ রাকাত পড়তেন।তবে এ সব বর্ননায় সাধারনত: রাতের নফল নামায পড়ার সময় ৮ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর, ১০ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর কিংবা ১২ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর পড়তেন।

১৮) ‘রাসুলুল্লাহ(স:) রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তেন।তারপর ১ রাকাত বিতির পড়তেন। এরপর বসে বসে ২ রাকাত (শাফিউল বিতরের) নামায পড়তেন’।

আহমদ,মুসলিম-১৬০১

১৯) হযরত কায়েস ইবনে তুলক(রা:) বলেন, ‘রমযান মাসে আমার পিতা তুলক ইবনে আলী(রা:) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। তিনি আমাদের সাথে রাতে থাকেন। তিনি ঐ রাতে আমাদের নিয়ে তারাবীর নামায ও বিতরের নামায পড়েন’।

তারপর তিনি এক মসজিদে যেয়ে তার সাথীদের সাথে নামায পড়েন। শেষে বিতরের নামায বাকী থাকলো। তিনি এক ব্যাক্তিকে সামনে ঠেলে দিয়ে বলেন,তুমি তাদেরকে নিয়ে বিতিরের নামায পড়ো।নিশ্চয় আমি রাসুল্লাহকে(রা:) বলতে শুনেছি, এক রাতে ২ বার বিতিরের নামায পড়তে নাই’। নাসায়ী-১৬৮০

২০) হাদিসে রাসুল(স:) –এ বিতরের নামাযের চিত্র দেখলে বুঝা যায়, বিতরের নামায ১ রাকাতই ভাল। তবে একাধিক রাকাত পড়লে বে-জোড় ভাবে পড়তে হবে।হাদিসে বর্নিত উপায়ে বিতর পড়তে হবে। নাহলে, বিতর নামায শুদ্ধ হবে না।

৩৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০১

মোঃ মঈনুল হাসান বলেছেন: মোঃ আসাদ হোসেন ভাই, আপনার লেখা...
"এই হাদীসটি ইমাম হাকেম আবু আব্দুল্লাহ রাহ.ও ‘মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন’ কিতাবে বর্ণনা করেছেন। তার আরবী পাঠ এই- كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يسلم في الركعتين الأوليين من الوتر অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। ইমাম হাকেম (রহ.) তা বর্ণনা করার পর বলেন- هذا حديث صحيح على شرط الشيخين অর্থাৎ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ। ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রাহ. ‘তালখীসুল মুস্তাদরাক’-এ হাকেম রাহ.-এর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০

এই হাদীস দ্বারা একদিকে যেমন প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাধারণ নিয়মে তিন রাকাত বিতর আদায় করতেন তেমনি একথাও প্রমাণিত হয় যে, তিন রাকাতের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্য বসতেন, কিন্তু সালাম ফেরাতেন না।"

আপনি শুধু নবীজি দ্বিতীয় রাকাতে সালাম ফিরতেন না। এই হাদিসের উপর ভিত্তি করেই বলে দিচ্ছেন যে নবীজি বিতিরের দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠকে বসতেন। কিন্তু একটি হাদিসেও দেখলাম না যে বিতিরের দ্বিতীয় রাকাতে তিনি তাশাহুদ পাঠ করেছেন বা বৈঠকে বসেছিলেন।
তবে আহমাদুল কবির ভাই আপনার মত মন গড়া যুক্তি দেননি। বরং হাদিস দ্বারা স্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন
তাহলে আমরা কোনটা ফলো করবো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.