নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই লোকটি আজকের বাংলাদেশকে একাত্তরের লজ্জা বলে ডেকেছিলো

অনুপম দেবাশীষ রায়

আমি অনুপম

অনুপম দেবাশীষ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটির বুকে ছেলেটির চোখ

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৩

মেয়েটির বুকে ছেলেটির চোখ!

ইশ কি বাজে একটা কথা! ছি! ছেলেটা শেষ পর্যন্ত কি চটি লেখা শুরু করলো?

নাকি একাউন্ট হ্যাক হয়েছে?

না,কোনটিই না।আমি জেনে শুনে বুঝেই স্তনের কথা বলছি। আমি লজ্জার মাথাই খেয়েছি। আমি সবার সামনে স্তনেরকথাই বলবো আজকে।

জ্বী,আমি স্তনের কথা বলছি।

সেই অঙ্গটির কথা বলছি যেটির কারণে আমি আজকে বেঁচে আছি।সেই অর্থে সবচেয়ে আশীর্বাদময় অঙ্গ।

আবার সেই অঙ্গটির কথা বলছি যে অঙ্গটির কারণে একটি মেয়ে চৌদ্দ-পনের বছরের পর থেকে আর কোনদিন সাধারণ মানুষের মতন বাঁচতে পারেনা। সেই অর্থে সবচেয়ে অভিশাপময় অঙ্গ।



এই ভয়াবহ আশির্বাদ আর অভিশাপী অঙ্গ নিয়ে কথা বলার আগে আমার নিজের শরীরের একটি অঙ্গের কথা বলে নেই।



ভুঁড়ির কথা বলছি।

আমি একজন মোটা মানুষ।আমার উদর স্ফীত এবং থলথলে।

হাটতে গেলে আমার সামনে আমার পেট হাটে। বসতে গেলে ভুড়ি শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে,জামা ঠেলে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে। আমার ভুড়ি মোটামোটি তিন ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি অর্ধবৃত্তাকার নিরেট চর্বির গোলক।

গোলকটি খুবই অস্বাস্থ্যকর,অপ্রাকৃতিক এবং কদর্য। এবং খুব সম্ভবত সেই গোলকটির জন্য আমার গড় আয়ুস্কালের প্রায় দশ-বিশবছর আগে মৃত্যু হবে।

এরকম একটি মৃত্যুময় গোলা শরীরের মাঝে বয়ে বেড়ানো খুব ভয়ের ব্যাপার।তারচেয়ে বড় কথা,খুবই লজ্জার ব্যাপার। কারণ এই ভুড়ির অবস্থান আমার নিজের দোষ। আমি যদি একটু মন থেকে চাইতাম,তাহলেই এই ভুড়িটা থাকতো না। ভুড়িটি প্রমাণ করে যে আমি একজন অলস,অস্বাস্থ্যসচেতন এবং অকর্মণ্য মানুষ।



শুধু আমি নই,আমাদের সমাজে অনেকেই এই ভুঁড়ির অধিকারী।অবিশ্বাস্য হলেও সত্য-আমার চেয়েও ভয়াবহ ভুড়ি নিয়ে অনেকে চলাফেরা করে। আমাদের সমাজে এই ভুঁড়ি অনেকটুকুই গ্রহণযোগ্য আর স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।

কাউকে কোনদিন ভুঁড়ির কারণে মাথা নিচু করে হাঁটতে দেখিনি।



মাথা নিচু করে আমি হাঁটতে দেখেছি চৌদ্দ-পনের বছরের মেয়েদের। ভুল ক্রোমোসম নিয়ে জন্মানোর অভিশাপে জন্মানোর পর থেকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে আর দশটা মানবসন্তানের মতন হেসে খেলে বড় হতে হতে-হঠাৎই তার বুকটা একটু উঁচু হতে শুরু করে।

সাথে সাথে সে শিখে ফেলে কি ভয়াবহ লজ্জার একটা জিনিস এটা!কি ভয়াবহ গোপন।

নিচে একপরত কাপড় দিয়ে চেপে পিষে লুকিয়ে রাখতে হবে-তার উপরে আরো এক পরত কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে-তারও উপরে আরো এক টুকরো আলগা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।তারপরও একটু উঁচু হয়ে থাকবেই। ততটুকুর দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকবে রাস্তার সবাই। একশ পরত কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলেও হাটার সময় ঠিকই হাতের নিচ থেকে চোরা চোখে তাকিয়ে দেখে নেবে নিষ্পাপ মেয়েটির স্তনযুগল।

আর সেই দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিষ্পাপ মেয়েটি মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে হনহন করে হাঁটতে থাকবে।ভয়ে তার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে যাবে। শীষের শব্দ শুনে সে কান চেপে ধরার জন্য হাত তুলতে যাবে-তারপর আবার ভাববে-হাত তুলতে গেলে যদি ওড়না সরে যায়!

কি ভয়াবহ আতঙ্ক! কল্পনা করতে পারা যায়!

অথচ স্তন খুবই স্বাভাবিক একটি অঙ্গ। আমার মায়ের আছে এবং আপনার মায়ের আছে এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা-শীষ দেয়া ছেলেটার মায়েরও এবং আছে দেখেই আমরা আছি। সেই স্তনও যথেষ্ঠই স্ফীত-কারণ স্ফীত না হলে সেটি আমাদের শৈশবে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন করতে পারতো না।

সেই স্তন জননীর হবার আগে কোনদিন কোন কুমারীর ছিলো।আর সেই কুমারীরও তখন সেই স্তনের গলা টেপা শিখতে হয়েছে এইরকম শীষ দেয়া অন্য যুবকদের জন্য।

যুগ পেরিয়ে যায়-শীষ তবু থামেনা! ভয়ানক এক শীষ সময়ের পর্দা ছিড়ে কানে ঝনঝন করে যায়।

এই ছেলেগুলো শীষ কেনো দিচ্ছে? কে তাদের শীষ দিতে শিখিয়েছে?

স্তন উঁচু এবং হাটার সময় সামান্য দোলে-এজন্য শীষ দিচ্ছে?

স্তনের চেয়ে তো ভূড়ি অনেক উঁচু! হাটার সময় ভুঁড়ি অনেক বেশি দোলে-তাই দেখে ওরা শীষ দেয়না কেনো?

স্তনের চেয়ে বরং ভুঁড়ি দেখে শীষ দেয়াই বেশি যৌক্তিক। ভুঁড়ি একটা অস্বাভাবিক দৃশ্য-স্তন নয়!স্তন স্বাভাবিক!



তবু আমাদের সমাজের হাজার হাজার স্থূলকায় মানুষের অপ্রাকৃতিক,অপ্রয়োজনীয় এমনকি জীবনঘাতি ভুঁড়ির দৃশ্য আজ খুব স্বাভাবিক। কেউ সেটি আলগা একটা কাপড়ে ঢেকে দিতে আসেনা।

কিন্তু অতি প্রাকৃতিক, অতিপ্রয়োজনীয় এমনি জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য একটি অঙ্গকে যখন এতই অস্বাভাবিক যে সেইটাকে তিন পরত কাপড় দিয়ে চেপে পিষে লুকিয়ে রাখতে হয়।

এই চেপে পিষে লুকিয়ে রাখার থেকেই একটা বাচ্চা হঠাৎ করে মেয়ে হয়ে যায়। জীবনের অর্ধেক সময় সে কাটিয়ে দেয় তার বুক ঢাকতে ঢাকতে। দরজা খোলবার আগে তার দৌড়ে ওড়না খুঁজতে হয়, ছাদে যাবার আগে ওড়না খুঁজতে হয়, এমনকি বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাবার সময়ও ওড়না খুঁজতে হয়। নাহলে সেই শুভাখানকি বন্ধুটিই জ্ঞান দিয়ে বসবে-তোর তো এরকম কাপড় পরা উচিত না। ওরকম করে কাপড় পর! কাপড়ের উপর ওড়না পর।

পরেরদিন মেয়েটা ওড়না পরে বের হবে।তখন শুভাখানকি বলবে-দোস্ত তোর ওড়নাটা সরে গেছে।ঠিক কর।

মেয়েটি ততদিনে এতই মানসিকভাবে ভোঁতা হয়ে গেছে যে সে জিজ্ঞেসও করবে না-আমার ওড়না যে বুকে নেই,সেটা তুই দেখলি কি করে? তুই কি তাকিয়ে ছিলি?

কারণ মেয়েটি জানে,সবাই তাকিয়ে আছে।সবাই তাকিয়ে থাকে।কারো আর কোন কাজ নেই তাকিয়ে থাকা ছাড়া। তাকিয়ে থাকাই সবার কাজ,আর সবার থেকে লুকিয়ে রাখাই মেয়েটার কাজ।কারণ মেয়েটারই তো দোষ! মেয়েটারই তো ভুল। তার স্তন গজালো কেন?

মেয়েটির সহ্য করতে হবে। সহ্য করে বড় হতে হবে। এরপর বিয়ে করতে হবে। এরপর একদিন বাচ্চা হবে। তখন সেই বাচ্চার কান্না আর এই পিষ্ট,দলিত লুকায়িত স্তনযুগল ছাড়া আর কেউ থামাতে পারবে না।

ইশ! একদিন যদি পৃথিবীর সব মা রা একত্রে মিলে ঠিক করে যে তারা তাদের নবজাতককে দুধ খাওয়াবে না, না খাইয়ে স্বামীর হাতে দিয়ে বলবে-নাও-তোমরা না মহান পুরুষ জাতি! এবার থামাও দেখি পারলে কান্না! মাতৃদুগ্ধ বের করো পারলে তোমার মহান পৌরুষত্বের অহংকার টিপে টিপে।

কিন্তু এই কথাগুলো মায়েরা বলবে না।কারণ মায়েরা মেয়ে থাকতেই মেয়ে হওয়া শিখে গেছে। তারা বুদ্ধিমতী-বিচক্ষণ।সমাজে টিকে থাকতে শিখেছে। তারা সমাজে টিকে থাকে, টিকে থেকে সন্তান সন্ততীর জন্ম দেয়। সন্তান মেয়ে হলে সে আবার বুক পিষে মাথা নিচু করে হাটে,ছেলে হলে অচেনা অজানা একটা মেয়ের ওড়নার ফাঁকে তাকায়।

এভাবে হাজার হাজার বছর ধরে চলছে। কেউ প্রশ্ন করেনা। ছেলেরা তো করেইনা-তারা মহাসুখী! মেয়েরাও করেনা। কারণ তারা সবাই ঐ বোকা মেয়েটা হতে চায়না-



এক দেশে ছিল এক বোকা মেয়ে,



সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো।

কারণ,মেয়েটা খালি বোকা বোকা প্রশ্ন করতো,

প্রশ্নগুলো বাকি সবাইকে বোকা করে দিতো।

এমন প্রশ্ন করতে নেই,বোকা মেয়েটা জানতোনা

তাই বোকা মেয়েটা এতো বেশি বোকা ছিলো।



কিন্তু বোকা মেয়েটির মা ছিলো বুদ্ধিমতি

তিনিও একদিন বোকা ছিলেন;এখন বুদ্ধিমতি

তাই তিনি জানেন

কিভাবে বোকা মেয়েকে বুদ্ধিমান বানাতে হয়

তিনি অনেক খুজে খুজে

একটা বহুমূল্য ওড়না কিনলেন মেয়ের জন্য।

ভাবলেন,ওড়না দিয়ে কান,মাথা,বুক পেচিয়ে দিলে

বোকা মেয়েটার বোকা বোকা প্রশ্নগুলো

আর বাইরে বের হতে পারবেনা,

ভিতরেই রয়ে যাব।

তখন আর কেউ তাকে বোকা বলবে না।



বোকা মেয়েটা ওড়নাটা পেয়ে

সেটা গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে মরে গেল



তখন সবাই হাসতে হাসতে বললো,

দেখেছো,কি বোকা মেয়ে!

একটা ওড়নাও ঠিকমতো পরতে জানেনা!



আমাদের মেয়েরা বোকা নয়।তারা ঠিকঠাক ওড়নায় বুক ঢেকে রাখছে।

আমাদের ছেলেরাও বোকা নয়।তারাও ঠিকঠাক ওড়নার ফাঁকে তাকাচ্ছে।

শুধু পৃথিবীটা বোকা,আর জীবনটা বোকা। বাকি সবাই মস্ত চালাক!

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: একটি সুসংগঠিত লেখার আশা পুরন হলনা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৮

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। উপদেশ অনুযাইয়ী কিছুটা পরিমার্জন করলাম।এবার ভালো লাগবে আশা করি

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

কাঠ পাতা বলেছেন: প্রত্যেক ছেলে মেয়ের তাদের লজ্জা স্থান অথবা সংবেদনশীল অন্গ ঢেকে রাখা উচিত। আমার অথবা আপনার পুরুষাঙ্গ আছে বলেই কি সেইটা সাধারন মানুশকে দেখিয়ে দেখিয়ে হাটবো ? এতে আশেপাশের মানুশগুলোও বিব্রত বোধ করবে এবং সবাই তখন আপনার অথবা আমার দিকে কারনে অকারনে তাকিয়ে থাকবে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: আপনি প্যান্ট দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার পরে আবার উপরে ওড়না পরেন?
পরেন না তো?
তাহলে মেয়েটা কেন সালোয়ার দিয়ে লজ্জাস্থা ঢাকার পরে আবার ওড়না পরবে?

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২১

কাঠ পাতা বলেছেন: আপনি অথবা আমি প্যান্ট পরার পর জাংগিয়া তো পরতে হয় অন্তত অফিসে অথবা কোনো অনুষ্ঠানে। যে যাই বলুক একটা মেয়ে আর ছেলে কখনোই সমান না তাদের শারিরীক গঠনও আলাদা তাই তাদের কাপর পরিধানও এক হতে পারে না । একটা ছেলে কখনোই একটা মেয়ের মত শাড়ি অথবা ব্রা পরবে না তেমনি একটা মেয়েরও ছেলেদের মত পোষাক পরার কোনো মানে হ্য় না। তবে আমি আপনার কিছু কিছু কথার সাথে একমত মেয়েরা এই স্তন নিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে এবং অনেক মানুশ লোভাতুর চোখে তাদের স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকে। এর জন্য দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি এমনি এমনি বদলাবে না এর জন্য ছেলে ও মেয়ের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: আহা! আমি তো আর মেয়েদেরকে ছেলেদের কাপড় পরতে বলছি না।
আমরা কয় পরত কাপড় পরি? জাংগিয়া আর প্যান্ট-তাইতো? ২পরত।
মেয়েরাও তো ব্রা পরছে আর জামা পরছে,অতটুকুই থাক ২পরত।
তৃতীয় পরত কেন? ফুলে আছে বলে?
সেই হিসেবে তো যাদের প্যান্ট পরার পরেও প্যান্ট ফুলে থাকে তাদেরও ওড়না পরা উচিত।
ছেলে আর মেয়েদের আলাদা মানদন্ডে মাপাটাই আমাদের সমাজের প্রধান ভুল।মেয়েদের এক পরত কাপড় বেশি পরাই মেয়েদের অধিকার এক পরত নিচু হবার কারণ

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
পোষ্ট ভাল্লাগছে। অদিও কমেন্টের উত্তর ভাল্লাগেনাই।

আপনার মত কইরাই বলি। ধরেন, সালোয়ারও বুক ঢাকার কাজ করে, ব্রাও তাই করে। তাইলে তো আপনার কথামত ব্রা পইড়া ঘুরলেও অসুবিধা নাই। অসুবিধা আসলেই নাই অনেক দেশে, অনেক ধর্মে। কিন্তু ব্যাপারটা আমাদের এই উপমহাদেশের ধর্মীয় আর সামাজিক প্রেক্ষাপটে দৃস্টিকটু, শালীনতা বিবর্জিত।

ওড়নাটা ফাস দেয়ার জন্য না, ফাসের কারন যাতে না হইতে হয় সেইজন্য। আরেকটু শালীনতা এনে দেয়। যেহেতু এই অঙ্গটা মেয়েদের উত্তেজনার কারন না হইলেও আপনার উত্তেজনার কারন হইতে পারে।

যেই সুত্রে কাঠ পাতার কথায়ই আসি। আন্ডার ওয়্যার পড়েন কেন? শুধু প্যান্ট পড়লেই তো হয়। পড়েন এই কারনে যে, যদি হুট কইরা উন্মুক্ত বক্ষ অথবা আকর্ষনীয় নিতম্ব দেইখা আপনার নিজের পুরুসাঙ্গ অস্থির হইয়া যায়, সেইটা যেন প্যান্টের ভেতর থাইকা মাথাচাড়া দিয়া না ওঠে। মাথাচাড়া দিয়া উইঠা যদি দাড়াইয়াই থাকে ওইটা কি আপনাকে বিব্রত করবেনা?হিসাবটা খুব সিম্পল।

শুভকামনা রইলো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: আরে আজীব! এতো ভুল যায়গায় ধরেন কেন?
মেয়েটা শুধু ব্রা পইরা ঘোরা তো আপনি শুধু জাঙ্গিয়া পরে ঘোরার মতন।
আমি কি আপনারে শুধু জাঙ্গিয়া পরতে কইসি নাকি?
কইসি আপনি জাঙ্গিয়া পরেন আর প্যান্ট পরেন-দুই লেয়ার
মেয়েটা তাইলে ব্রা আর সালোয়ার পরুক-দুই লেয়ার হিসাব সিম্পল

ভাই,মেয়েটার ফাঁস কেনো দিতে হয়? মেয়ে হয়ে জন্মাননাই তাই বুঝতেসেন না মেয়ে হওয়া কত কষ্ট।
হইলে বুঝতেন

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২

গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: এত দেখি আরেক চটি লেখক, প্রথম আলোর মতিচুর কইরে, এরে একখান সাহিত্য পুরষ্কার দিয়া যা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৮

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ভাই,আপনি এই লেখা পড়ে উত্তেজিত হয়েছেন?এটাকেও আপনার চটি মনে হচ্ছে?
কেন ভাই?পঞ্চদশী বালিকাদের কথা বলেছি বলে?
আপনি ডাক্তার দেখান।আপনার তো বাতাসেও উত্তেজনা সৃষ্টী হয়।
বেশি উত্তেজনা কি ভালো?

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: আবার সেই অঙ্গটির কথা বলছি যে অঙ্গটির কারণে একটি মেয়ে চৌদ্দ-পনের বছরের পর থেকে আর কোনদিন সাধারণ মানুষের মতন বাঁচতে পারেনা। সেই অর্থে সবচেয়ে অভিশাপময় অঙ্গ।
--- লাইকড

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: সাথে দাড়াবার জন্য ধন্যবাদ।সবাই বিরুদ্ধে কেন দাড়াচ্ছে সেটাই বুঝে পাচ্ছি না।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এত ত্যানা প্যাচায়া মনের গোপন খাহেশ পূরণের চেষ্টা কইরা কি লাভ? আর আপনি তো দেখতেছেনই, বাংলাদেশে এখন অনেক মেয়েই বুকে ওড়না দেয় না, তাতেও পোষাচ্ছে না? সবাইরে দেখতে চান??

আর পোস্টের ব্যাপারে একটা সিম্পল কথা বলি, ভুড়ি আর স্তনের তুলনা করলেন ! বোঝেন না, যে স্তনের একটা যৌন গুরুত্ব আছে, কিন্তু ভুড়ির সেইটা নাই?? ফিডার খান নাকি এখনো??

আরেকটা কথা, পুরুষাংগ দিয়া তো শুধু যৌন সংগমই করেন না, প্রস্রাব ও করেন। প্রস্রাব করাটাতো কোন খারাপ কাজ না, শারীরবৃত্তিওভাবে চিন্তা করলে, এইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ! সময়মত না করলে কিডনির সমস্যা হইতে পারে। তাইলে ঐটারে আর জাইঙ্গা দিয়া চাইপা রাখার কি দরকার, খুইলা রাখেন, এতে প্রস্রাব আসার সাথে সাথে বিলম্ব না কইরা কাজ সারতে পারবেন। বুঝে আসছে??

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আর শতদ্রুর মন্তব্যে অসংখ্য ঝাঝা !! :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৮

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ভাই,আপনারা বোধহয় আমার কথাগুলো একটু ভুল যায়গায় ধরেছেন বলে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আসলে আমি কাউকে ওড়না পরতে মানা করছিনা। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু এবং ধর্মভীরু মানুষরা অবশ্যই ধর্মীয় আচরণ মেনে জামা কাপড় পরবে।কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি যখন সবকিছু মেনে জামা কাপড় পরার পরও লোকে বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায়।
যারা বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায় তারা নিশ্চিতভাবেই ধর্ম মানে না।
আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছিলাম
আমার লেখাটি আবারও পড়লে এটিই বুঝবেন।আমি মেয়েদের ওড়না খুলে রাখতে বলিনি।ছেলেরা যাতে ওড়নার ফাঁকা দিয়ে না তাকায় সেটার কথা বলেছি।
স্তন একটা সুন্দর স্বাভাবিক অঙ্গ,তার কথা বলেছি।আমাদের মায়ের শরীরেও রয়েছে।তাই বলেছি।বলেছি যে এই অঙ্গটিকে মেয়েদের অত্যাচারের হাতিয়ারর না বানাতে।
আমি কমেন্টে একটু দুষ্টামি করতে চাচ্ছিলাম।আমার লজিকের ধরণ দেখলেই বুঝবেন যে সেগুলো হালকা চালের ফাচুকি কথাবার্তা।আপনারা সেগুলোকে সিরিয়াস ধরে নিচ্ছেন বলে স্যরি আমারই ভুল।
তবে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি সেটি পরিস্কার করে দিলাম

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এতো ত্যাড়া জবাব দ্যাস ক্যান শালা পুরুষাঙ্গহীন বেজন্মা। তুই যে কত ঘিলুওলা ওইটা তোর মায়ানমার আক্রমনের খায়েস দেখলেই বুঝা যায়।

লেয়ার বুঝাইতে আসছিস আমারে? শালা তোর এক লেয়ারের যৌনাগ, মাইয়াগোর তো এক লেয়ারের না, পুরুষের সাথে সাম্যতা বজায় রাখতে কি তাইলে স্তন্য কাইটা ফেলা উচিত? ওড়না নিয়া এতো গায়ে জালা ক্যান? উন্মুক্ত বক্ষ না দেখলে চুলকায়? ভুড়ি তো ফুলছে কইলি, বুকের মধ্যেও চর্বি জইমা ফুলছে নাকি কে জানে। নিজেও একটা ব্রা পড়িস, আর শার্টের বদলে সালোয়ার। তোর অনুন্নত বক্ষের জন্য ওড়নার দরকার নাই। হিজড়াগুলার বক্ষ পাহাড় সমান হইলেও কেউ তাকায় না, নিশ্চিন্তে খালিগায়েও থাকতে পারিস। আর আন্ডার ওয়ারেরও দরকার আছে বইলা মনে হয়না, পায়জামায়ই কাম সারিস। শালা হিজড়া নামের কলঙ্ক। হিজড়াদেরও মাথায় ঘিলু থাকে, লজিক থাকে, তুই তো আবাল।

আগে কথা ক্যামনে বলতে হয় শিখা আসিস, আর যদি জন্মই হয় কোঠিতে, তাইলে কি আর করবি, বাল ছিড় বইসা বইসা। যদিও তোর বাল আছে নাকি তাও সন্দেহ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪০

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ত্যাড়া জবাব দিতে চাইনি ভাই। আপনার সাথে সাধারণভাবে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আপনি অসাধারণ শব্দ ব্যবহার করছেন দেখে খারাপ লাগলো।
যাই হোক। আমি আসলে যা বলতে চাচ্ছিলাম তা হয়তো বোঝাতে পারিনি বলে আপনারা রাগ করছেন।আমি নবীন ব্লগার,বুঝাতে না পারার ক্ষমতা মার্জনা করবেন।এরপরের থেকে আরো ভালোমতো বোঝাবার চেষ্টা করবো।

৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৯

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ভাই,আপনারা বোধহয় আমার কথাগুলো একটু ভুল যায়গায় ধরেছেন বলে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আসলে আমি কাউকে ওড়না পরতে মানা করছিনা। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু এবং ধর্মভীরু মানুষরা অবশ্যই ধর্মীয় আচরণ মেনে জামা কাপড় পরবে।কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি যখন সবকিছু মেনে জামা কাপড় পরার পরও লোকে বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায়।
যারা বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায় তারা নিশ্চিতভাবেই ধর্ম মানে না।
আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছিলাম
আমার লেখাটি আবারও পড়লে এটিই বুঝবেন।আমি মেয়েদের ওড়না খুলে রাখতে বলিনি।ছেলেরা যাতে ওড়নার ফাঁকা দিয়ে না তাকায় সেটার কথা বলেছি।
স্তন একটা সুন্দর স্বাভাবিক অঙ্গ,তার কথা বলেছি।আমাদের মায়ের শরীরেও রয়েছে।তাই বলেছি।বলেছি যে এই অঙ্গটিকে মেয়েদের অত্যাচারের হাতিয়ারর না বানাতে।
আমি কমেন্টে একটু দুষ্টামি করতে চাচ্ছিলাম।আমার লজিকের ধরণ দেখলেই বুঝবেন যে সেগুলো হালকা চালের ফাচুকি কথাবার্তা।আপনারা সেগুলোকে সিরিয়াস ধরে নিচ্ছেন বলে স্যরি আমারই ভুল।
তবে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি সেটি পরিস্কার করে দিলাম

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ভাই,আপনারা বোধহয় আমার কথাগুলো একটু ভুল যায়গায় ধরেছেন বলে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আসলে আমি কাউকে ওড়না পরতে মানা করছিনা। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু এবং ধর্মভীরু মানুষরা অবশ্যই ধর্মীয় আচরণ মেনে জামা কাপড় পরবে।কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি যখন সবকিছু মেনে জামা কাপড় পরার পরও লোকে বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায়।
যারা বাঁকা চোখে স্তনের দিকে তাকায় তারা নিশ্চিতভাবেই ধর্ম মানে না।
আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছিলাম
আমার লেখাটি আবারও পড়লে এটিই বুঝবেন।আমি মেয়েদের ওড়না খুলে রাখতে বলিনি।ছেলেরা যাতে ওড়নার ফাঁকা দিয়ে না তাকায় সেটার কথা বলেছি।
স্তন একটা সুন্দর স্বাভাবিক অঙ্গ,তার কথা বলেছি।আমাদের মায়ের শরীরেও রয়েছে।তাই বলেছি।বলেছি যে এই অঙ্গটিকে মেয়েদের অত্যাচারের হাতিয়ারর না বানাতে।
আমি কমেন্টে একটু দুষ্টামি করতে চাচ্ছিলাম।আমার লজিকের ধরণ দেখলেই বুঝবেন যে সেগুলো হালকা চালের ফাচুকি কথাবার্তা।আপনারা সেগুলোকে সিরিয়াস ধরে নিচ্ছেন বলে স্যরি আমারই ভুল।
তবে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি সেটি পরিস্কার করে দিলাম

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

ইলুসন বলেছেন: ভাই, এভাবে প্রতিক্রিয়া আসাতে কিছু মনে করবেন না। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই এমন। আপনার লেখার অর্থ একটা মেয়ের যখন পিউবার্টি আসে তখন থেকে সে আলাদা হয়ে যায়। সে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে না। আশেপাশে সবাই তাকে পদে পদে মনে করিয়ে দেয় যে সে মেয়ে, যেন মেয়ে হয়ে জন্মেছে এটা তার পাপ! এমনকি যেসব মেয়ে বোরকা পরে বের হয় তাদেরকেও অনেক হেনস্থা হতে হয়। এই সহজ কথাটা এরা বুঝবে না। এদের সেই জ্ঞান নেই। এরা কেউ মন্তব্য করলে এড়িয়ে যান। যাদের মাথায় কিঞ্চিত বুদ্ধি আছে তারা ঠিকই বুঝবে আপনি কী বুঝাতে চেয়েছেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনারা আছেন বলেই লেখার সাহস পাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.