![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতীব সাধারন পোলা...বর্ণচোরা আম স্বভাব বিশিষ্ট..।
মানুষটা আমার কাছে খরগোশের গল্প বলত! একটা খরগোশ পোষার খুব শখ ছিলো বেচারির। আমার কিনে দেয়ার উপায় ছিলোনা। তখন বিকাশও ঠিকমতন উত্তরবঙে চালু হয়নি। তিন তলার ছাদে দাড়িয়ে চুল দিয়ে মোবাইলটা আড়াল করে আমার সাথে গল্প করত। এত গল্প ও কোথায় পেতো আজও ভেবে অবাক হই। ওর পুরোনো বহুলব্যবহৃত মোবাইলটিতে যখন আমি ইন্টারনেট সেটিংস করে দেয়ার কথা ফোনে বলে দেই বুদ্ধিমতী সেটাও করে ফেলে। আমাকে বাংলাদেশে কয়জাতের খরগোস আছে সেদিনই বলে দেয়। ও ওর বাবাকে বলেছিলো খরগোশের কথা আর উনি এনেদিয়েছিলেন মুরগি তাও বাচ্চা সহ। তিনতালার ছাদে আদর্শ মুরগির খামার স্থাপনের বৃথা চেষ্টা। বেচারি তাতেও মন ছোটো করেনি। ও আসলে হার মানতে নারাজ।আমি আদর করে অপরাজিতা ডাকতাম।।ও রাগ করত ও আসলে নিজের জগতটাকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করত। আমি যতবারই ওকে আবিস্কার করতাম ও ক্ষেপে যেতো। কোনোদিন নিজের দুর্বলতা স্বীকার করার বান্দা ও না। ছয়মাস ঝগড়া করেছি। সবশেষে সব দোষ ওই আমার ঘাড়েই চাপত। আমরা বন্ধু ছিলাম না কখনোই আমাদের পরিচয় শত্রু। ও কোনোদিন স্বীকার করেনি ও আমাকে ভালোবাসে অথচ বাসত সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেতাম।আমার মাকে ও খুব পছন্দ করত। যা বলার মাকে বলত। আমার প্রতি ওর মায়া বাদেও একটা অন্ধ ভালোবাসা ছিলো আজো আছে ও ব্রেকআপ করেনি ও আমার বন্ধুরুপী শত্রুদের কাজের প্রতিবাদ স্বরুপ নিরব হয়ে আছে। যারা আমার খুব কাছের তারা জানে আমাকে দুনিয়া ছেড়ে দিতে বললে আমি কষ্ট পাইনা ওকে ছাড়ার কথা বললে পাই। ওর বোঝা দরকার যে ওর টেডিবিয়ারটা ওকে মিস করে ভীষন ভীষন মিস করে। আমার সব আছে সুধু নিজের সমস্যা সমাধানের সহযোগী নেই। কেউ ওই নাদান বালিকাকে বোঝাক নিজের মানুষের সাথে জেদ ধরতে নেই। এতে নিজের মানুষটা ভালো থাকেনা। মানুষটা এমনই বর্ষাময় রাতগুলোতে তার প্রিয় মানুষটাকে খরগোশ কিনে দিতে না পারার জ্বালায় জেগে থাকে। আর অভিমানীদের অভিমান ভাঙ্গার নিস্ফল অপেক্ষা করে। রাত বিরেকে বৃষ্টিকে ভেজে একটু শান্তির আশার। অন্ধকারের গল্প লেখে।।।এই আমি এই আমার গল্প।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অপরাজিত আল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
সাফরিনলিপি বলেছেন: ভাল লাগলো, ভাইয়া।Keep it up, অনুসরণ করলাম।