![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতীব সাধারন পোলা...বর্ণচোরা আম স্বভাব বিশিষ্ট..।
প্রচন্ড মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করছি সকাল থেকে, মন টন ফ্রেসই ছিলো,ধুম করে মেজাজটা বিগড়ালো, এক দম্পতি তাদের সাত আট বছরের বাচ্চা ছেলে নিয়ে হাজির, তাদের ভাষ্য মতে তাদের মেয়ের বিয়ে কিছু সাহায্য দরকার, আমি ভালো করে চেয়ে দেখলাম হিন্দু দম্পতি পোষাক আসাক ভালোই, ছেলেটার পরনে পলো গেঞ্জি,মায়ের শাখা সিঁদুর, এমন একটা পরিবার আজ পথে পথে ঘুরছে মেয়ে বিয়ে দিবে বলে, নিজের কাছে প্রশ্ন হলো আচ্ছা মেয়ে হয়ে জন্মানোটা কি একটা অপরাধ? কৌতুহলটা দমিয়ে রাখতে পারলাম না পাশের ডেস্কের দাদা কে জিগেস করলাম - দাদা মেয়ে হয়ে জন্মানোটা কি অপরাধ? দাদা কোনো উত্তর দিলেন না, আমিও হয়তো কোনোদিন বিয়ে থা করবো, আমারো মেয়ে হবে হয়ত, আমার যে আর্থ সামাজিক অবস্থা আমারো আজ থেকে বিশ বছর পর একই ভাবে রাস্তায় নামতে হবে নিজের বুকের ধন কে অন্যের হাতে তুলে দেবার জন্যে, কোনো ভালো পাত্রের চাহিদা মেটাবার জন্যে কিন্তু আমার মেয়ের কি কোনো ঘাটতি থাকবে? লেখা পড়া করাবো, অন্যদের মতোই তার হাত পা মাথা চোখ সবই থাকবে, আমাদের ভালোবাসায় যত্নে বেড়ে ওঠা নীল প্রজাপতিকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হলে যে আমাকেও টাকা জমি মোটরবাইক স্বর্ন বা সরকারী চাকুরির ব্যবস্থা করে দেয়া লাগবে, আমার যা আয় তাতে সুদুরপ্রসারী চিন্তা করলে তাতে আমারো হয় আজ থেকে দুর্নিতির আশ্রয় নিতে হবে সুদের ব্যবসা ঘুষ খেয়ে মালদার শশুর হতে হবে কিংবা রাস্তায় নেমে ভিক্ষা করে টাকা যোগাতে হবে, মেয়ে মানুষ কি মানুষ না? প্রস্নটা অনেক কেই করেছি, উত্তর একটাই ওরা মানুষ তবে আমাদের মতো না, তবে কাদের মতোন? তখন আমি আবাল বানচোৎ হিজড়া গাল খেয়ে নিজের মুখ খানায় কুলুপ আটতে বাধ্য হয়েছি, আমার কাছে মেয়ে দের অনেক রুপ আমি তেমন ঘাটিনি তবে দুর থেকে কখনো তাদের মাতৃরুপ দেখেছি কখনো বোন কখনো প্রেমিকা কখনো বন্ধু,তাদের মনের আকাশ সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা নেই আমি আনাড়ী, তবে এটুকু মানি তারাও মানুষ আমি টেস্টেস্টেরনে চলি তারা প্রজেস্টেরনে, পার্থক্য এটুকুই, স্ত্রীর প্রতিশব্দ জায়া, জায়া মানে যার ভিতর দিয়ে পুরুষ দ্বিতীয় বার জন্মলাভ করে, আমার মেয়েটাও তো আমার নারী রুপই, আমাকে আমার নিরাপত্তার খাতিরে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেবার লজ্জা কারো লোভ লালসার শিকার হওয়ার চেয়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা সমস্যার কথা চিন্তা করে নিজেকে প্রতিলিপি প্রস্তুতের সকল ব্যবস্থাপনা থেকে সরিয়ে নিচ্ছি, দরকার কি নিজের স্ত্রীর নিজের মেয়ের চোখের জল দেখার, রাস্তায় হাত পেতে কাউকে বলা ভাই আমার মেয়ের বিয়ে দয়া করে কিছু সাহায্য করুন, ধুমধাম করেরে বিয়ে না হয় নাই বা করলাম,মানুষকে না খাওয়ালে কি আর্থ সামাজিক অবস্থান ক্ষুন্ন হবে? হলে হোক, সমাজ আমাকে ছোট লোক বলবে? বললে বলুক, আমিও বলতে জানি যে সমাজব্যবস্থাপনায় মেয়ে হয়ে জন্মানো অপরাধ তার নিয়মগুলোতে মূত্রবিসর্জনে আমার কোনো দ্বিধা নেই, আমি না হয় একটু অসামাজিকই না হয় হলাম, কারো নাড়ি ছেড়া ধন যদি বোঝা হয়ে যায় তবে পৃথিবীর কোনো মায়ের উচিৎ না মেয়ে জন্ম দেয়া, দেখি শালারা তোদের সভ্যতা কিভাবে টেকে তখন, টাকা দিবো মেয়েও দিবো তোদের মতো নপুংশকের হাতে? আমাকে পাগল সবাই বলে তা বলে এতো মূর্খ আমি না,, মাঝে মাঝে তোদের কাজ কারবার চাওয়া দেখলে নিজেকে পুরুষ বলে পরিচয় দিতেও ঘেন্না লাগে পৌরুষে বাধে, প্রচন্ড ঘেন্না নিয়ে কথাগুলো বললাম, হয়তো নিজেকেই এই এলোমেলো কথা গুলো পড়ালাম, তোদের জন্য না আমার এ লেখা, অপরাজিত কখনো গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসায়নি আর কখনো ভাসাবেও না, তোরা দেখে নিস! আমার মেয়ে তোদের সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হবে সে তোরা দুয়োধ্বনী দিলেও আটকাতে পাররবিনা, আগে তোরা নিজে মানুষ হ তবেই মানুষ অমানুষ বুঝবি,মানুষের মূল্যায়ন করতে পারবি,! না পারলে ভ্যাসেক্টমী করিয়ে নিস সরকার পয়সা দিবে!
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
অপরাজিত আল আমিন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার কন্যা হলে
তার নিজেকে সম্পদ ভাবতে শিখাবেন, ইনফ্যাক্ট আপনি বিলিভ করলে দেখবেন, কন্যা নিজেকে সম্পদ ভাবতে শিখবে। তাকে যোগ্য তম করে গড়ে তুলবেন। আর সমস্ত পৃথিবীকে দেখিয়ে দেবেন যে আপনি একজন কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা নন আপনি একজন কন্যা সম্পদ এর অধিকারী পিতা। এভাবে ভাবতে থাকলে ইনশা আল্লাহ নিশ্চয়ই একদিন পরিবর্তন আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি এটা বিস্ময়কর যে মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া পুরুষ নারীকেই এমন অবস্থানে ভাবে!!!!!!!!!!!!!
এইজন্যই ইসলামে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মোহরানার ব্যবস্থা রেখেছে। নারীকে বিয়া দিতে বাবা-মার চিন্তারতো প্রয়োজন নাইই,, উল্টো নারীর ভবিষ্যতও যাতে নিষ্কন্টক হয়- তাই বিয়ের পূর্বেই মোহরানা পরিশোধের বিধান রাখা হয়েছে। যদিও অনেকেই তা করে না।
নারী মূল্যায়িত হোক মানবী হিসেবে। যথাযথ মর্যাদায়!