নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনে ক্লান্ত হলেও বিশ্রাম নিতে শিখিনি :)

অ্যাপল ফ্যানবয়

where oceans bleed into the sky………

অ্যাপল ফ্যানবয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়মান সাদিক, ইসলাম - এবং অন্যান্য ।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২২

[শুরুতেই বলে নিই পোস্টটি আকারে যথেষ্ঠ বড়, তবে ধৈর্য্য ধরে পড়লে অনেক চিন্তার খোড়াক পাবেন আশাকরি । যেকোনো গঠনমূলক মন্তব্য সাদরে গ্রহণীয় । ধন্যবাদ ।]

“ইসলাম” শব্দটি শুনলে আমাদের চিন্তাধারায় যে শব্দদুটি “প্রায় সমার্থক” রূপে ব্যবহৃত হয় তা হলো,

• পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান
• সকল সমস্যার সমাধান

কিন্তু, এই লাইনদুটো স্কুল-লেভেলের সব ইসলাম শিক্ষা বইতে লেখা থাকলেও আদতে আমরা এদুটো শব্দ দ্বারা কি বুঝি ? & এদুটো শব্দ আসলে কি ডিফাইন করে ? আসুন, একটু গল্প করা যাক ।


“পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান” বলতে আমাদের প্রচলিত সমাজে আমরা বুঝি কিভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে তার ব্যাখ্যা । কিন্তু সেটাই বা কি ?

জীবন হলো সময়ের সমষ্টি । একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি সেকেন্ডের সামষ্টিক অধ্যায়ের নামই হলো জীবন । কিন্তু আমাদের ধর্মে “পরকালীন জীবন” নামে আরও একটি বস্তু স্বীকৃত, যেখানে আমাদেরকে আমাদের ইহকালীন জীবনের সকল কাজের হিসেব দিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে আমরা জান্নাত কিংবা জাহান্নামে যাবো - এবং এ বিচার করবেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা স্বয়ং ।

এখন, ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা বলায় আমরা যে জিনিসটা ভাবি তা হলো, “ইহকালীন জীবনের কাজের মাধ্যমে পরকালীন জীবনে মুক্তি” । একজন ইসলামে বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে পরকালীন জীবনে মুক্তি তথা জান্নাত লাভের গুরুত্ব অস্বীকার করা সম্ভব নয় । কিন্তু একজন মানুষ তথা “আশরাফুল মাখলুকাত” হিসেবে আপনার সেন্স অব লজিক কি আপনাকে এটাই বলে যে বাথরুমে যাওয়ার দোয়া, খাওয়ার আগে-পরে পড়ার জন্য দোয়া, তাবিজ-কবজ — এগুলোর মাধ্যমে & হুজুরদের বয়ান শুনে একজন মানুষকে নাস্তিক, মুরতাদ ঘোষণার মাধ্যমে এবং তাকে গালিগালাজ করে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন ?

না ভাইয়া । কারণটা আপনার-আমার চিন্তাধারায় উঠে আসা দ্বিতীয় সমার্থক শব্দের মধ্যেই আছে ।


“সকল সমস্যার সমাধান” বলতে আমরা কি বুঝি ? আমরা বুঝি যে চাকরি না পাওয়া বা স্ত্রী কিংবা অফিসের বসের সাথে ঝগড়া হওয়া [আরও অনেক সমস্যা থাকতে পারে, অস্বীকার করছি না] । আমরা যখন এসকল সমস্যায় নিপতিত হই তখন আমরা ঠিক কি করি ? আমরা কি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই ? না । বরং আমরা যাই হুজুরদের কাছে, তাবিজ কিংবা পানিপড়া নিয়ে আসি এবং ভাবি এতে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।

কিন্তু আপনি কি জানেন ভাইয়া, যে ইসলামে এগুলো হারাম এবং শিরকের সমতূল্য ? বরং ইসলাম যেকোনো সমস্যায় এক আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি ইসলামের নিয়ম মেনে এসব সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করে । ইসলামের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামিক নিয়মনীতি সমৃদ্ধ একটি সমাজ গঠন, ঐ দোয়া-কালাম পড়ে জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখানো নয় । কিভাবে ? চলুন, একটা এক্সাম্পল দেখি :
ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত হলো নামাজ । নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার শিক্ষা পাই - এটা তো সবাই জানি । কিন্তু আপনি খেয়াল করুন, এটা কিন্তু সমাজ পরিচালনারও শিক্ষা দেয় আমাদের । জামায়াতে নামাজ আদায়ের সময় ইমাম নেতৃত্ব দেন, এবং তিনি নামাজ পাঠকালে যতোটা সময় নিয়ে একেকটা অংশ সম্পাদন করবেন সেটা নামাজে দাঁড়ানো সকলকেই মানতে হয়; কিন্তু ইমাম নামাজ চলাকালে কোনো ভুল করলে সেটা ভদ্রভাবে শুধরে দেয়ার উপায়ও ইসলামে আছে ।

এই উদাহরণ থেকে আপনার মনে হয়তো দুটো প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই এসেছে,
১) এ এক্সাম্পলটা থেকে আমি কেন টানলাম ?
২) আমি কি ইবাদত করার গুরুত্ব অস্বীকার করছি ?
দেখি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি কি না…

প্রথম প্রশ্নে আসি । আমাদের সমাজে কোনো একজন মানুষ ভিন্ন চিন্তাধারার হলে আমরা তাঁকে অপমান করি, গালিগালাজ করি, মেরে ফেলার হুমকি দিই - কিন্তু তাঁর চিন্তাধারা নিয়ে যুক্তিসম্মত আলোচনায় উপনীত হতে পারি না; তাঁর কাছ থেকে তাঁর ভালো গুণগুলো গ্রহণ করা তো আরও পরের ব্যাপার । কিন্তু উপরের এক্সাম্পলটা খেয়াল করলে দেখবেন যে ইসলাম সহনশীলতা ও ভদ্রতার শিক্ষা নামাজের মধ্য দিয়েও তুলে ধরছে ।

এবার চলুন দ্বিতীয় প্রশ্নে । আমি জানি আপনারা যারা এতোক্ষণ ধৈর্য্য ধরে লেখাটি পড়েছেন তাঁদের কাছে আমি ইতোমধ্যে “নাস্তিক” তকমা অর্জন করেছি । কিন্তু আপনি কি উপরের একটি কথার মাঝেও ইসলামের বিরুদ্ধে কোনোকিছু পেয়েছেন ? আমি নিজেও ইসলামের ইবাদতের নিয়মগুলো যথাসাধ্য ও যথাশাস্ত্র মেনে চলার চেষ্টা করি । আমরা কেউই ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নই ।


আপনি হয়তো এতোক্ষণে পোস্টের শিরোনাম দেখে ভাবছেন যে আয়মান সাদিকের কথা বলে ইসলাম নিয়ে এতো আলোচনায় কেন গেলাম । আচ্ছা, আসলেই তো ? কেন এতো কষ্ট করলাম ? আসুন, দেখি আয়মান সাদিকের এগেইন্সটে আমাদের সমাজের অ্যালিগেশন কি কি । তবে তাঁর আগে আমরা জানবো আয়মান সাদিক কে এবং তিনি কি কি কাজের জন্য আমাদের সমাজে সুপরিচিত । আমি উইকিপিডিয়া থেকে কপি করছি আপনাদের সুবিধার্থে,

“২০১৫ সালে আয়মান সাদিক ১০ মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।সেই সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর ছাত্র ছিলেন। তিনি সমরূপ অনলাইন শিখন ওয়েবসাইট খান একাডেমী, টেড এবং কোর্সেরা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ভাবলেন, একই ধরনের কার্যক্রম তিনিও শুরু করবেন; যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য কোর্সগুলো বাংলায় নেওয়া হবে।প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ২০১৪ সালে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ১০ মিনিট স্কুলের কার্যক্রম শুরু করেন। শুরুতে ১০ মিনিট স্কুলের প্রাথমিকভাবে বড় আকারে স্ব-স্পনসরিত কোনও ওয়েবসাইট ছিল না এবং কেবলমাত্র শিক্ষামূলক তথ্য গ্রাফিক্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো হতো
ওয়েবসাইটটি গণিত এবং ইংরেজি ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করা শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত ফেসবুকে লাইভ ক্লাস নেওয়া শুরু করে। ১০ মিনিট স্কুল প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ একাডেমিক সিলেবাস, সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা এবং বিস্তৃত সফ্টওয়্যার এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির বিষয়গুলি জুড়ে দেয়।”

তো আমরা জানলাম আয়মান সাদিক Ten Minute School এর প্রতিষ্ঠাতা, এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA এর ছাত্র ছিলেন ।

এখন দেখা যাক সম্প্রতি তাঁর এগেইন্সটে আসা দুটো অ্যালিগেশন কি কি :

১) Ten Minute School এর প্রাক্তন দুজন কর্মকর্তার এবং এক বন্ধুর LGBT এর সাপোর্টে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ ।
২) Ten Minute School এর প্ল্যাটফর্ম সমূহে sexual consent & menstruation এর ওপর দুটো ভিডিও প্রকাশ ।

উল্লেখিত দুটো ঘটনার পর আমাদের সমাজের রিয়্যাকশন ছিলো এমন,

• আয়মান সাদিকের প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মকর্তাদের এবং তাঁর বন্ধুদের ব্যক্তিগত মতামতের দায় আয়মান সাদিকের ।
• আয়মান সাদিক একজন ইসলামবিরোধী মানুষ, নাস্তিক।
• Ten Minute School আমাদের সমাজে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার চালাচ্ছে - যেটা তাঁদের একটা প্রোপাগান্ডা ।
• আয়মান সাদিককে হত্যা না করলে ইসলামের মান থাকবে না ।

এখন দেখা যাক আমাদের এই রিয়্যাকশনগুলো কতোটা যুক্তিসম্মত…„

• আজকে আপনার বন্ধু যদি ক্লাস বাঙ্ক দিয়ে সিনেমা দেখতে যান এবং এর জন্য টিচার আপনাকে ভর্ৎসনা করেন, তাহলে কি আপনার প্রতি সেটা অন্যায় নয় ?
• একজন মানুষ নাস্তিক না আস্তিক, সেটা বিচার করার অধিকার বা ক্ষমতা - কোনোটাই তো আল্লাহ তা'য়ালা মানুষকে দেননি ? তাহলে আপনি কি একজন মানুষকে এসব উপাধি দিয়ে গিবতের পাশাপাশি শিরকও করছেন না ?
• তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নিই যে Ten Minute School এর কারণে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে; তাহলে ফেইসবুক, হোয়াটস'অ্যাপ, ভিনদেশী সিরিজ, মুভি - এগুলো কি অস্তিত্বহীন ? এখন হোটেলে গেলেই দেখি অনেক উঁচু সোফা, & হেলান দিয়ে বসতে গেলেই অন্যপাশের মানুষদের ছিনিমিনি খেলার ধাক্কা খেতে হয় - ইহা কি পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতির প্রভাবে নহে ? কিন্তু Ten Minute School কি তাঁদের কোনো ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে সেগুলোকে সাপোর্ট দিয়েছে কখনো ?
• “আয়মান সাদিক'কে হত্যা না করলে ইসলামের মান থাকবেনা” — এটা সম্ভবত দুনিয়ার সবচে' হাস্যকর কথাগুলোর একটা । কারণ আপনি যদি ইসলামকে সত্য বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে তো আপনার এটাও বিশ্বাস করার কথা আল্লাহ-প্রেরিত ঐশীবাণীর মান একজন ব্যক্তির কথায় বা কাজে নষ্ট হয়না । যে ইসলাম সহনশীলতার শিক্ষা দেয়, যে ইসলাম অন্যের ঘুমের অসুবিধা হলে কুরান আস্তে পড়তে বলে, যে ইসলামের রাসুল (সা) ইসলামের সবচে' বড় শত্রুকে ক্ষমা করতে পারেন - তাঁর অনুসারী হয়ে আপনারা কিভাবে একজন মানুষকে মেরে ফেলার থ্রেট দেন ?


নিজেকে জানুন । একজন মানুষের নামে কোনো ধরণের অ্যালিগেশন আনার আগে নিজের ব্যাপারে চিন্তা করুন যে আপনি কতোটা শুদ্ধ আছেন । ম্যাক্সিম গোর্কী'র “মা” উপন্যাসে একটা লাইন ছিলো এরকম,

“নিজেদেরও দয়ামায়া না করে একবার একটু খোলা চোখ দিয়ে সবটা ভেবে দেখো দিকি ।”

ঠিক তাই । আগে নিজের বিচার করুন, নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো ঠিক করুন । একজন মানুষ কোনো মহৎ কাজ করলে তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান প্রদান করুন । বিশ্বাস করুন; এতে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না, বরং দেশ ও দশের সামগ্রিক উন্নতি সাধিত হবে । আমাদের চিরদুখীনি বাংলা মায়ের সবচে' বেশি এটাই দরকার । নিজের জন্মদাত্রী মা'কে যদি আপনি সুখী দেখতে চান, তাহলে দেশমাতা'কে সুখী দেখতে চাইবেন না কেন !?


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে এতো দীর্ঘ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । যেকোনো গঠনমূলক ও যুক্তিসম্মত মতামত সাদরে গ্রহণযোগ্য । শেষ করবো বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের কথাটি দিয়ে,

“Know Thyself” - “নিজেকে জানো”

লেখনী → আহনাফ অঞ্জিষ
জুলাই ৭, ২০২০

© All Rights Reserved.

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অপধারণাকে টেনেটুনে লম্বা করার জন্য বকবক

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৩

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: কোন অপধারণার কথা বলছেন !? জানাবেন কাইন্ডলি ।

ধন্যবাদ

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ‘মানুষ যদি হতে চাও, মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করো’। বিবেক জাগ্রত থাকলে আর কোনো সমস্যা নাই। সকল সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৪

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: ইন-শা-আল্লাহ

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আয়মান সাদিক যুক্তি দিয়েছে । অন্যরা যুক্তি খন্ড না করে মেরে ফেলতে চায়। একজন নাস্তিক অন্যরা জঙ্গী ।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৬

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আয়মান সাদিক নাস্তিক কি না সেটা এক আল্লাহ এবং আয়মান সাদিকই ভালো বলতে পারবেন । তবে “উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে” দেয়ার নতুন স্ট্রাটেজিটা সত্যিই অসহনীয়, এবং তাত্ত্বিক অর্থে জঙ্গিবাদেরই নামান্তর ।

ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপু জ্ঞানীরা বুজলেও অজ্ঞানীরা এর থেকে ১০০ হাত দূরে থাকে। সেটা অনেকের কমেন্টেই দেখতে পারবেন।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: সব প্ল্যাটফর্মেই স্বাভাবিক । তবে আমি যুক্তিযুক্ত যেকোনো কথাকেই সম্মান করার চেষ্টা করি ।

ধন্যবাদ ভাইয়া (আমি আপু নই)

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৩

রাশিয়া বলেছেন: আয়মান সাদিক খারাপ কি করেছে আমার কাছে স্পষ্ট না। সে যদি সমকামিতাকে প্রমোট করে থাকে, তাহলে তার সব ভালো কাজ ধুলোয় মিশে যাবে। সমাজকে নষ্ট করার জন্য এর চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩১

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: কথাটা ঠিক, কিন্তু সমস্যা হলো আয়মান সাদিক সমকামিতা'কে প্রমোট করেন নি ।

ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: গরুর একবালতি খাঁটি দুধের মধ্যে যদি একফোটা গরুর ছনা বা মুথ পড়ে তাহলে সামান্য ঐ এক ফোটা পুরা এক বালতি বিশুদ্ধ দুধকে অপবিত্র করে খাওয়ার অযোগ্য করে দেয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: কিন্তু গরুর চোনা যদি অন্য বালতিতে পড়ে & আপনি সেটাকে বাদ দিয়ে বিশুদ্ধ দুধের বালতিটা সড়িয়ে রাখেন - অসুখ তো হবেই

ধন্যবাদ

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৫

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: শালীন ও অনাক্রমনাত্বক ভাষায় যুক্তি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ । বাংলাদেশে এখনো ওই বিশেষ ধর্মের শাসন চালু হয়নি, শুধু এর অনুসারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে । আর এতেই ভিন্নমত পোষন কারীকে ( এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষনকারীর সাথে দুরতম সম্পর্ক থাকতেও পারে এমন মানুষ কে) হত্যা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এর আগেও এ দেশে অনেক গুনী মানুষকে শুধু ভিন্নমত থাকার কারনে , ঘোষনা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ধর্মের শাসন চালু হলে দেশের অবস্থা কত ভয়াবহ হবে ভাবতে পারেন? কি হয়েছে পাকিস্তানে, আফগানিস্তানে , সোমালিয়ায়, সৌদি আরবে বা অন্যান্য আরব দেশে? যে ধর্ম তার অনুসারীদের এমন উগ্র, পরমত অসহিষ্ণু করে তোলে সেই ধর্ম কি আসলেই পূর্নাংগ জীবন বিধান ও সকল সমস্যার সমাধান?

অন্ধ বিশ্বাস যুগে যুগে মানুষকে শুধু পেছনে ঠেলে দিয়েছে, গড়ে তুলেছে সমস্যার পাহাড়। মানুষ আজ যতদুর এসেছে, তার পেছনে কাজ করেছে শুধু জ্ঞান বিজ্ঞান। আমরা যদি সমস্যাকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে না পারি, সেই চিহ্নিত সমস্যার সমাধানে প্রানপন চেষ্টা না করি , তবে সমস্যার সমাধান হবে না। চলমান করোনা সমস্যার কথাই ধরাযাক। একজন ধর্মপ্রান হিন্দু যদি সমস্যার কারন হিসেবে চিহ্নিত করেন একজন বিশেষ দেবতা বা ভগবান এর অসন্তুষ্টি, তাহলে সমাধান হচ্ছে সেই সত্বাকে সন্তুষ্ট করা/ পুজা দেয়া / হিন্দু ধর্মানুষ্ঠান পালন করা। একজন ধর্মপ্রান খ্রীষ্টান একই ভাবে ভাববেন এবং গড এর অসন্তুষ্টি এই সমস্যার কারন এবং বাইবেলের অনুসরন হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান। ভাবুন তো এর কোন একটিতেও কি করোনা ভাইরাস দুর হবে? একই ভাবে আমরা হিন্দু, খ্রীষ্টান এর বদলে যে কোন ধর্ম বা বিশ্বাস কেই ভাবিনা কেন, তার ফলাফল কি হবে আমরা সহজেই বুঝতে পারছি।
পৃথিবীতে আরো বহু সমস্যা রয়েছে। এই পোষ্টে কিছু ব্যাক্তিগত সমস্যার উদাহরন ও রয়েছে। এর বাইরে অনেক বড় পরিসরে যদি আমরা ভাবি তাহলে দেখব বহু ছোট / স্থানীয় সমস্যা আসলে আরো বড় কোন অসঙ্গতির উপসর্গ মাত্র। চাকুরী না পাওয়া হতে পারে আরো পাচ দশ বছর আগে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভাবনা চিন্তা ও উদ্যোগের অভাব । তখন যদি দেখা হত আজকের সময়ে কত জন তরুন চাকুরীপ্রার্থী হবে, তাদের জন্য কিকি চাকুরী তৈরী করা যায় , কতটি ব্যাবসা বানিজ্য বাড়ানো যায় এবং সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হত, তাহলে হয়তো এই উপসর্গ দেখা দিত না। রাষ্ট্রের চাইতেও বড় পরিসরে ভাবনা হচ্ছে । বিশ্বের জনসংখ্যা যতটা বড় হয়েছে এবং জনপ্রতি প্রাকৃতিক সমপদ ও শক্তির ব্যাবহার যতটা বাড়ছে তার সবটা যোগান দেয়ার সামর্থ এই পৃথিবীর আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে কোথাও না কোথাও টান পড়বেই। কোন দেশে তা দেখা দেবে বন্যা- ঘুর্ণিঝড় হয়ে, কোথাও দেখা দেবে নানা রাষ্ট্রীয়- সামাজিক অসঙ্গতি হয়ে।

তবে যেভাবেই দেখা দিক না কেন, এর চুড়ান্ত ফলাফল টি মানুষ কেই ভোগ করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা প্রান্তিক মানুষ হয় ভুমি হীন কৃষক বা চাকুরীহীন শিক্ষিত তরুন বা underemployed অথবা এমনি কেউ। এই মানুষেরা যে ধর্মই অনুসরন করুক না কেন, যে স্রষ্টা / দেবতা কেই সন্তষ্ট করার চেষ্টা করুক না কেন, তারা এখানে ভুক্তভোগী হবে ই - যতদিন পর্যন্ত মুল সমস্যার চিহ্নিতকরন ও তার সমাধান না হয় । কোন দেশ বা জাতি যদি মুল সমস্যা চিহ্নিত না করে, উল্টো যারা এই সমস্যা চিহ্নিত কারী বা তা দুর করনে নিয়োজিত তাদের যন্ত্রনা দেয়, আইন বহির্ভুত হত্যা করে তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যত কি ?

আশা করি আমাদের তরুনেরা বিষয় টা গভীর ভাবে ভাববে।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৪

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।
আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার একটি হাদিস মনে পড়লো, যেটি ছিলো এরকম, “তোমরা নামাজ পড়তে এসো, কিন্তু আল্লাহর ভরসায় উটটি ছেড়ে রেখো না ।”

ঠিক তাই । আমাদের সমাজে আমরা ধর্মের নামে যে বাড়াবাড়িটা দেখি তা কিন্তু মহানবি(স) এর কথার এবং কুরানের বাণীর পরিপন্থী । যেখানে মহান আল্লাহ অন্যের ঘুমের অসুবিধা হলে কুরান আস্তে পড়ার আদেশ দিয়েছেন সেখানে তার প্রকৃত অনুসারীরা কখনোই এতোটা পরমতঅসহিষ্ণু হতে পারে না । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, “মগজ ধোলাই” এক্সিস্টস ।

আমরা যতোদিন না নিজেদের চিন্তাভাবনা স্বচ্ছ করে নিজেদেরও দয়ামায়া না করে সাচ্চা মন দিয়ে সবকিছু ভাবতে না পারবো এবং হুজুগ থেকে যতোদিন না বের হতে পারবো - ততোদিন এর সমাধান নেই ।
……………
অনেকদিন পর ব্লগে এসে রিপ্লাই দিলাম, দেরী হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.