![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।
একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে আসতে পারতেন —
পরিবারে, জীবনের কাছে, হাসিমাখা মুখগুলোর মাঝে।
কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি।
তিনি থেকে গিয়েছিলেন সেই বিধ্বস্ত ফাইটার জেটের ককপিটে —
যে জেটের বুকে পুরনো লোহা, আর প্রযুক্তির নাম করে ছিল শুধুই মরচে!
তাঁর হাতেও ছিল ‘ইজেকশন সুইচ’,
যা টিপে নিজেকে বাঁচিয়ে ফেলা যেত।
কিন্তু না— তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন,
বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে।
তিনি শুধু একজন তরুণ অফিসার ছিলেন না—
ছিলেন একজন ভাই, একজন সন্তান, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা।
মাত্র কিছুদিন আগেই পেয়েছিলেন এই একাকী ফ্লাইটের অনুমতি—
‘সোলো মিশন’।
আর সেটাই হয়ে উঠল তাঁর জীবনের শেষ ফ্লাইট।
তিনি মারা যাননি শুধু আকাশ থেকে পড়ে —
তাঁকে মেরে ফেলেছে এক জঞ্জাল সিস্টেম,
যেখানে ১৯৭৬ সালের বাতিল যুদ্ধবিমান দিয়েই চলছে প্রশিক্ষণ,
যেখানে আধুনিকতা নেই, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, নেই বিকল্প ব্যবস্থা।
এবং যেখান থেকে কোটি কোটি টাকা চলে যায় অদৃশ্য খাতের দিকে—
কিন্তু আসেনা একটি আধুনিক প্যারাসুট, আসেনা একটি নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন।
একটি রাষ্ট্র তার সৈনিককে মরচে ধরা জাহাজে বসিয়ে যুদ্ধে পাঠায় না।
কিন্তু আমরা পাঠাই।
পাঠাই তৌকিরদের মতো সাহসী ছেলেদের,
যারা নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে আমাদের,
আর আমরা রক্ষা করতে পারি না তাদের।
আজকের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শুধু তৌকির নয়—
আরও অনেকে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন।
একটি স্কুলে ভয়ের চিৎকার ছড়িয়ে গেছে—
যেখানে শিশুরা পড়ে, খেলাধুলা করে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকে।
আজ সেই আকাশ থেকে তাদের উপর নামলো আতঙ্ক, আগুন, ধোঁয়া।
এই রাষ্ট্র কি শুধুই একেকটি মৃত্যুর পর হুঁশে আসবে?
কতজন তরুণ তৌকির মরলে আমরা সিস্টেম পাল্টাব?
কেন আজও আমাদের শহরের মাথার উপর দিয়ে উড়ে বেড়ায় যুদ্ধবিমান?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে —
নইলে প্রতিটি মৃত্যু মেঘের মতো জমতে থাকবে,
আর একদিন সে-ই মেঘ বিস্ফোরণ ঘটাবে আমাদের বিবেকের উপর।
---
আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ও অন্যান্য নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আহতদের জন্য দোয়া করি —
আল্লাহ যেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
এবং আমরা চাই—
আর কোনো তরুণ তৌকির যেন এমন মৃত্যুর দিকে না ঠেলে দেওয়া হয়।
আকাশ হোক নিরাপদ, আকাশ হোক গর্বের প্রতীক— আর নয় মৃত্যুপুরী।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
#JusticeForTauqir
#StopFlyingRust
#SafeSkyForAll
#ShameOnSystem
২২ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
স্পর্শ বলেছেন: সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেন।ধন্যবাদ।
২| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: কান্না।।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
স্পর্শ বলেছেন: কান্না আর চোখের পানি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৫:২৬
রবিন_২০২০ বলেছেন: ভুল তথ্য দিয়ে খামোকাই পাইলটকে নায়ক বানাচ্ছেন।
সে আগেই ইজেক্ট করে বেরিয়ে গেছে।