নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাইরেদ্দীন বারবারোসা বা বারবারোসা খাইরেদ্দীন পাশা (তুর্কী: Barbaros Hayreddin (Hayrettin) Paşaজন্ম: খিজর বা খিদার, তুর্কী: Hızır; সি. ১৪৭৮ – ৪ জুলাই, ১৫৪৬), জর ১৪৭০ সালে লেসবোস দ্বীপপুঞ্জের পালাইওকিপস গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তার নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, তিনি তুর্কী বাবা ইয়াকুপের পুত্র ছিলেন ও তার বাবা উসমানীয়দের দ্বারা এই দ্বীপপুঞ্জ অধিকৃত হওয়ার পর এখানে বসবাস করা শুরু করেন।তার মায়ের নাম ক্যাটিরিনা, তিনি ছিলেন একজন গ্রিক। আলজিয়ার্সে তার তৈরি মসজিদের তালিকা থেকে জানা যায় তার পিতার পুরো নাম ইউসুফ ইয়াকুব আল-তুর্কী ও সেখানেও দাবি করা হয় তার পিতা তুর্কী বংশদ্ভূত ছিলেন।অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে খিজর সম্ভবত গ্রিক,তুর্কী বা আলবেনীয়ার বংশদ্ভূত ছিলেন। তার মাকে ম্যাটেলির স্থানীয় গ্রিক খ্রিস্টান মহিলা হিসেবে উল্লেখ করা হয় যিনি একজন অর্থোডক্স যাজকের বিধবা স্ত্রী ছিলেন।তার বাবা ভারদারি ইয়াকুপ আগা ম্যাটেলির বা তুর্কীর ধর্মত্যাগী গ্রিক ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তিনি ইয়নাইস ই-ভার্দার (বর্তমান ইয়ানিটসা) সাবেক সিপাহী ছিলেন এবং ১৪৬২ সালে লেসবোসে উসমানীয় অভিযানের সময় তিনি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর পুরস্কার হিসেবে দ্বীপের বোনোভা গ্রামে একটি কেল্লা নির্মাণের সুযোগ পান। ইয়াকুপ ও ক্যাটিরিনা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হনএবং তাদের দুটি মেয়ে এবং চার জন ছেলে ছিল; ইছাখ, অরাজ, খিজর ও ইলিয়াস। ক্রমেই ইয়াকুপ কুমার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান এবং একটি নৌকা সংগ্রহ করে তার মালামাল নিয়ে বাণিজ্য করতে বের হন। তার চার ছেলেরা তাদের বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করত কিন্তু তার মেয়েদের কথা খুব বেশি জানা যায় না। প্রথমদিকে অরাজ তার পিতাকে নৌকার কাজে সাহায্য করত যখন খিজর হাড়ি পাতিল তৈরির কাজে সহয়তা করত।
হাইরেদ্দীন (আরবি: খয়ের আদ-দীন خير الدين, যার অর্থ - ধার্মিকতা বা ইসলাম ধর্মের জন্য শ্রেষ্ঠ) নামটি সম্মান দিয়ে তাকে দিয়েছিলেন সুলতান সুলাইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট। তিনি ইউরোপে বারবারোসা (ইতালিক ভাষায়: রেডবিয়ার্ড) নামে পরিচিত হতে থাকেন যে নামটি তিনি তার ভাই বাবা ওরাক (ফাদার আরাজ) এর কাছ থেকে পেয়েছিলেন যখন তার ভাই স্প্যানীয়দের সাথে এক যুদ্ধে আলজেরিয়ায় নিহত হন। ইউরোপীয়দের কাছে এই নামটি রেডবিয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণ বাবা ওরাকের লাল দাড়ি ছিল। এরপর থেকে হাইরেদ্দীনের তুর্কী নামের সাথে 'বারবারোস' শব্দ থেকে এই ডাকনামটি যুক্ত হয়ে যায়।
চলবে...
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
-নীচের অংশটুকু আপনি তার পরিচয়ে ব্যবহার করেছেন; সেই লোক আজকে আমাদের কাছে কেন উল্লেখযোগ্য, সেটা লিখতে আপনার কত পাতা লাগবে?
"খাইরেদ্দীন বারবারোসা বা বারবারোসা খাইরেদ্দীন পাশা (তুর্কী: Barbaros Hayreddin (Hayrettin) Paşaজন্ম: খিজর বা খিদার, তুর্কী: Hızır; সি. ১৪৭৮ – ৪ জুলাই, ১৫৪৬), জর ১৪৭০ সালে লেসবোস দ্বীপপুঞ্জের পালাইওকিপস গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তার নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, তিনি তুর্কী বাবা ইয়াকুপের পুত্র ছিলেন ও তার বাবা উসমানীয়দের দ্বারা এই দ্বীপপুঞ্জ অধিকৃত হওয়ার পর এখানে বসবাস করা শুরু করেন।তার মায়ের নাম ক্যাটিরিনা, তিনি ছিলেন একজন গ্রিক। আলজিয়ার্সে তার তৈরি মসজিদের তালিকা থেকে জানা যায় তার পিতার পুরো নাম ইউসুফ ইয়াকুব আল-তুর্কী ও সেখানেও দাবি করা হয় তার পিতা তুর্কী বংশদ্ভূত ছিলেন।অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে খিজর সম্ভবত গ্রিক,তুর্কী বা আলবেনীয়ার বংশদ্ভূত ছিলেন। তার মাকে ম্যাটেলির স্থানীয় গ্রিক খ্রিস্টান মহিলা হিসেবে উল্লেখ করা হয় যিনি একজন অর্থোডক্স যাজকের বিধবা স্ত্রী ছিলেন।তার বাবা ভারদারি ইয়াকুপ আগা ম্যাটেলির বা তুর্কীর ধর্মত্যাগী গ্রিক ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তিনি ইয়নাইস ই-ভার্দার (বর্তমান ইয়ানিটসা) সাবেক সিপাহী ছিলেন এবং ১৪৬২ সালে লেসবোসে উসমানীয় অভিযানের সময় তিনি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। "