নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক এই অন্ধকারাচ্ছন্নময় মুহুর্তে ওসমানী খিলাফতের প্রয়োজন এমন একজন ন্যায়পরায়ণ খলিফা যিনি আমলাদের মোকাবেলা করবে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা ফিরিয়ে অনবে সবার।তাই এবার ওসমানের ছোট ভাই মুরাদ দ্য লাইট ইন দ্য ডার্ক উত্তরাধিকারী সিংহাসনে আসীন হন। জানিসারিস ও সিপাহি উভয় পক্ষই একযোগে মেনে নেয় সুলতানকে।
১৬২৩ সালে সুলতান চতুর্থ মুরাদ ইস্তাম্বুলে প্রবেশ করেন।
বয়সী বালক, ভারী দেহ সত্ত্বেও দেহাবয়ব ও প্রাণবন্ত,ন্যায়পরায়ণ আর বীর সুলতানের আগমনে সবার মাঝে প্রশান্তি নেমে আসে। সাবাই নিঃশ্বাস ফেলে। অটোমান সাম্রাজ্য আরো একজন অতীতের গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য এক বীর ও শক্তিশালী নতুন খলিফার আগমন ঘটে।যার আগমনে সবার মাঝে আশার বীজ রোপিত হয়।
চতুর্থ মুরাদ আস্তে আস্তে নিজের সংক্ষিপ্ত শাসনামলে হয়ে উঠেন—একজন অটোমান বীর যেন আবার মুহাম্মাদ আল ফাতেহ ফিরে আসল।অনেকের মতে সুলতানদের মধ্যে তিনি নাকি সবচেয়ে নিষ্ঠুর ছিলেন কারণ উনি আইনে যা আছে সে অনুযায়ী বিচার করেন ঠিক ওমর ফারুক রাঃ এর মতো।তরুণ সুলতান আয়ুব মসজিদে গিয়ে শাসক হিসেবে আল্লাহ্র কাছে রাজ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থনা করে সেরাগলিওর দিকে অগ্রসর হন।এরপর রীতি অনুযায়ী রাজকোষের দিকে এগিয়ে যান সুলতান। কিন্তু শূন্য রাজ খাজানা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুলতান। প্রতিজ্ঞা করেন “ইনশাআল্লাহ! হে আল্লাহ্ যারা এই রাজকোষ শূন্য করেছে তাদের সম্পত্তির মাধ্যমেই আমি এটি আবার পূর্ণ করে তুলব। আর আরো পঞ্চাশটি রাজকোষ সংযুক্ত করব ।”
বিদেশি দূতেরাও নতুন করে ঋণদানে অস্বীকার করে। অথচ পূর্বে এরাই বার্ষিক কর প্রদান করত। যাই হোক সুলতান মুরাদ নিজের সম্পত্তি থেকে ৩,০৪০ ব্যাগ অর্থ জানিসারিসদের মাঝে বন্টন করে দেন(সুবহানআল্লাহ)।এর পরেও প্রায় এক দশক কেটে যাওয়ার পর রাজ্যের পরিচালনার ভার নিজের হাতে নেয়ার মতো উপযুক্ত বয়সী হয়ে উঠেন সুলতান মুরাদ গ্রিক-বংশীয় মাতা কোসেম শক্তসমর্থ ও প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে তোলেন সুলতানকে। কিন্তু সৈন্যদের ও দাপ্তরিক দুর্নীতি বন্ধে সফল হতে পারেননি। বিদেশে এশিয়া মাইনর গৃহযুদ্ধ আর বিদ্রোহে ক্ষতবিক্ষত।পারস্য বাহিনী পুনরায় বাগদাদ ও রিভান দখল করে নিয়েছে। লেবাননে চলছে গোত্রীয় বিদ্রোহ। ক্রিমিয়ার তাতারেরা বিদ্রোহ করে বসেছে।কোজাক কৃষ্ণ সাগরের উপকূল, বসফরাসে অনুপ্রবেশ করে খোদ বাহিনী রাজধানীর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। চারিদিকে যেন বিপদের আকাশ ভেঙে পড়েছে!
চলব...
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
আরব বেদুঈন বলেছেন: জানিনা তবে এই ইতিহাস নিয়ে মিথ্যা সিরিয়ালই হল বাঙালীর মাথা নষ্টের মূল।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এত অগোছালো কেন?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
আরব বেদুঈন বলেছেন: আগামী পর্ব থেকে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কসেম পুত্র মুরাদ পশ্চিমাদের কাছে "নিষ্ঠুর" বলে পরিচিত। অন্যদিকে সুলেমান "ম্যাগনিফিসেন্ট" নামে পরিচিত। তুলনা করছি না। কিন্তু ম্যাগনিফিসেন্ট সুলেমান তার কাছের মানুষদের যতটা হত্যা করেছেন, মুরাদ সেরকমটি করেন নি।
মুরাদের কঠোর হবার পেছনের কারন তার মাতা বালিদ সুলতানা কসেম। কসেম নায়েবে সুলতান হিসেবে রাজত্ব কালে ছিলেন কিছুটা উদার ও দুর্বল। যা অটোম্যান বিশাল সাম্রাজ্যের জন্য মোটেও মানানসই ছিল না। ক্ষমতা হাতে পেয়েই মুরাদ তার ক্ষমতার দাপট দেখান যাতে সাম্রাজ্য দৃঢ় ভাবে চালানো যায়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
আরব বেদুঈন বলেছেন: ইউরোপীয়ানদের চোখে নিষ্ঠুর না কে?যারা গডফ্রের মতো নিষ্ঠুর রাজা কে গ্রেট আখ্যা দেই তাদের কাছ থেকে মতামত গ্রহন করাই ভুল।তাদের চোখে শাসক রাসূল সাঃ থেকে শুরু করে এমন কোন মুসলিম শাসক নেই যে কিনা নিষ্ঠুর না!ইতিহাস বিকৃতিতে তারা খুবই সিদ্ধ হস্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: শীগ্রই মনে হয় দ্বীপ্ত টিভিতে এই কাহিনি নিয়ে কসেম সুলতান নামের ধারাবাহিক শুরু হবে