নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল

আরাফাত শাহরিয়র

আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

আরাফাত শাহরিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

এঠা খি ধরনের খথা?

২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

সেই দিন এপোলোতে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুপুরের খাবারের সময় হলে ওদের ক্যাফেতে গিয়ে দেখি, এক সময়কার সুনসান ক্যাফে, লোকসমাগমে গম গম করছে। চট্টগ্রামের জেফত গুলোতে যেমন টেবিলে বসতে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তেমনিভাবে এখানেও চেয়ারের মাথা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তবেই বসা যায়! এতো ভিড়! এমনটা ছিল না কিন্তু কিছু দিন আগেও!



কাস্টোমারদের সবাই যে এপোলোর রোগীদের পরিদর্শক, তা কিন্তু না। পাশের অভিজাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাচ্চাদের বাবামা আর বাচ্চারাই মূলত এখানে সংখ্যায় বেশি। তা খাবার ও খাবারের দাম ভাল। খারাপ না।



যাহোক, খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে, বাটনে ডেকে লিফটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম যখন, আমাদের সাথে অপেক্ষা করছিল ১২-১৩ বছর বয়সী তিনটি মেয়ে। পোশাকে বোঝা যায় পাশের সেই ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেই পড়ে ওরা। সেদিন বোধহয় তাদের স্পোর্টস ডে, টে জাতীয় কিছু একটা ছিল তাই সাদা ক্যাডস, সাদা স্কার্ট আর টি-শার্টে বেশ হালকা মেজাজে ছিল ওরা। ওরা নিচু কণ্ঠে নিজেদের ভেতর কথা বলছিল। লিফটের সামনের অংশটি ক্যাফের ভেতরটার মত কোলাহলপূর্ণ ছিল না। বরং বেশ নীরবই। তাই না চাইলেও ওদের নিচু সুরের কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম। অবশ্যই ওরা নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলছিল। তিনজনের একজন এতো কালো আর অপর দুইজন এত ফর্সা ছিল যে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ওরা ইন্ডিয়ান। কিন্তু হঠাৎ লিফটের ভেতর বাংলা বলে উঠলে বুঝতে পারলাম, তারা বাংলাদেশী। তবু সন্দেহ পুরোপুরি দূর করতে পারিনি। কারণ তাদের ইংরেজি খুব ভাল ছিল কিনা তা বুঝে উঠার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকলেও, সামান্য বাংলা বলতেই বুঝতে পারলাম ওদের বাংলা অত্যন্ত খারাপ!



এত অভিজাত, ভাল স্কুলে এরা পড়ছে, না হয় ইংরেজি মাধ্যম'হ হল, কিন্তু তাদের মাতৃভাষায় দখল এতো খারাপ হবে কেন? বাংলিশ শুনলে কে না ঠাট্টা করে? যারা করে না তারা করুণা করে। কিন্তু সেদিন বাচ্চা গুলোর অদ্ভুত বাংলা উচ্চারণে আমি খুব ব্যথিত হলাম। ওরা নিশ্চিত ঢং করছিল না। ওরা ওভাবেই নিজের ভাষাকে ভুল উচ্চারণে শিখেছে। এবং নিশ্চিত তাদের বাবামা তাদের এতে প্রশ্রয়ও দিচ্ছেন।



তারা প্রতিটা 'র' কে উচ্চারণ করছিল ড়'এর মত করে। একটি ত'ও তাদের উচ্চারনে 'থ' হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে পারেনি সেদিন!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

রাতুল রেজা বলেছেন: তাদের ভাষার অবস্থা কি পোস্টের টাইটেলের মত ?

২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: হ্যাঁ! :)

২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

সাদা রং- বলেছেন: এটা হচ্ছ আমাদের দেশে তথাকথিত মর্ডাণ ছেলেমেয়েরা। ওদের বাবা-মাকে এ ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া দরকার।

২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: :) ঠিক।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ওদের দৃষ্টিতে, বাংলা একটি নিচু শ্রেণীর ভাষা; যারা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে, তারা ক্ষেত। আর যারা বেংলিশে কথা বলে, তারা তাদের মত স্মার্ট।

২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: নিচু শ্রেণীর ভাষাই যদি হবে তাইলে বাংলা বলারই বা কি দরকার? :)

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

আমি শুধুই পাঠক বলেছেন: ওহ ফিশ। টোমড়া যে খবে কালচার্ড হবে।

২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.