![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
চট্টগ্রামের টেরি বাজার থেকে নাকি সারা শহরের মার্কেট গুলোয় শাড়ী সরবরাহ হয়। মানে ওটা পাইকারদের বাজার; তাই শহরের শপিং-মল গুলোর চেয়ে কম’এ পাওয়া যাবে এই আশায় সেখানে গিয়েছিলাম ঈদ উপলক্ষে কিছু উপহারের শাড়ী কিনব বলে।
এ ধরনের শাড়ির দোকান আমি আগে কখনো দেখিনি। কিছু দোকান আছে যেখানে জুতা খুলে, জুতার টোকেন সংগ্রহ করে ঢুকতে হয়। আধুনিক শপিং মল নয় ঠিক কিন্তু সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এত বড় শাড়ীর দোকান নগরীর আর কোথাও আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
জুতা খুলে বিভ্রান্ত আমি কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম কেন এই জুতা খোলা। দোকানের ভেতরে দোকানের দেওয়াল গুলো জুড়ে তাকে তাকে হাজার হাজার শাড়ী থাকে থাকে সাজানো। আর সেগুলোকে ঘিরে মেঝেতে বিশাল বিশাল তোষক বিছিয়ে দেওয়া, যেখানে ক্রেতারা আরামে আসন করে বসে শাড়ী দেখেন।
রীতিমত মহোৎসব!
ক্রেতাদের (বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের) শাড়ী দেখাতে দেখাতে তাদের সামনে বিক্রয়িকেরা শাড়ীর স্তূপ করে ফেলেছেন! আর ক্রেতারা হাউকাউ করে, উচ্চস্বরে কথা বলে, উপরের শাড়ী সরিয়ে, নিচ থেকে শাড়ী টেনে বের করে একের পর এক শাড়ী দেখে চলেছেন। আর তাদের স্বামীরা তাদের পাশে বসে বিরস মুখে তাদের অবিশ্বাস্য কার্যকলাপ দেখছিলেন। সময় সময়ে তাদের কারো কারো মুখ ভিত আর করুণ হয়ে উঠছিল।
তাদের বাচ্চাকাচ্চা গুলো দোকান জুড়ে বিছানা পেয়ে সেখানে দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করে সব মাথায় তুলে ফেলেছিল। কিন্তু শাড়ীর পাহাড়েও মহিলা ক্রেতাদের মন ভরছিল না। বারবার তারা বিক্রয়িকদের আরও শাড়ী দেখাতে বলছিলেন।
বিক্রয়িকেরা হাসি মুখে ক্লান্ত হবার ভান করে বিন্দু মাত্র ক্লান্ত না হয়ে এদিক-ওদিক, উপর-নিচ, বিভিন্ন শো-কেস, তীক্ষ্ণ, গোপন কোণ থেকে হরেক রকমের ও রঙের শাড়ী বের করে এনে এনে মহিলা ক্রেতাদের পাগল করে তুলছিলেন।
তো যাই হোক, আমরাও কয়েকটা শাড়ী কিনলাম। লেখা আছে এক দামের দোকান, "ফিক্সড প্রাইজ"।
কিন্তু শাড়ীর কোণায় একটা সাঙ্কেতিক নম্বর ছাড়া কোনও দাম লেখা ছিল না। বিক্রয়িকেরা সেই সংহিতা গুলো দেখে দাম বলছিল আর সাথে সাথে সেটা বাতাসেই ফিক্সড হয়ে যাচ্ছিল!
আজব বিষয়!
তাই কিছু সম্মান-ছাড় পাওয়া ছাড়া দামাদামি করে দাম কমানোর কোনও সুযোগ ছিল না। তারপরও বেশ খুশি খুশি চিত্তে শাড়ী কিনে নিয়ে বিজয়ীর ভঙ্গিতে আমরা বাসায় ফিরে গেলাম।
হাজার হোক পুরনো শহরের গভীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী পাইকারদের টেরি বাজার থেকে কিনে এনেছি! নিশ্চয়ই কমে পেয়েছি।
তা, টেরি বাজার থেকে কেনা একই রকম একটি শাড়ী দুদিন পরে বাসার কাছে এক সাধারণ মার্কেটের দোকানে দেখতে পেল আমার স্ত্রী। খুশি খুশি মনে সে শাড়ীর দাম জানতে চেয়েছিল দোকানীর কাছে।
এহেম...
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমি ফোনে তাঁর ব্যথিত, করুণ কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। জানতে পারি, অন্তত ১০০০ টাকা কমে সেটা বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
ফরমালিন মুক্ত মাছ, কেমিক্যাল বিহীন আম-কাঁঠাল-কলা বলে যেগুলো বিক্রি হচ্ছে, আমাদের বোঝা উচিৎ ওগুলোই আসলে সবচেয়ে বেশি বিষাক্ত।
আর বিশেষ বাজারের খবর যদি পাওয়া যায়, বুঝতে হবে, টোপ ফেলে বিশালাকারের ছোরা হাতে ওখানে অপেক্ষা করে আছে বিক্রেতারা।
টোপ গিলেছেন তো কতল।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
আহলান বলেছেন: হিহিহিহিহি ...এর থেকে সবক নিন ...
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
পথহারা নাবিক বলেছেন: কন কি!! আমি যাইতে চাইছিলাম! তাইলে আর জামু না!!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: কতল কতল!
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
ভ্রমন কারী বলেছেন: পাইকারী মার্কেটে খুচরা কিনতে গেলে দাম সব সময়ই বেশী পরে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপচুস!!!!!!!!!!!!!!!

ঈদের পয়লা ধরা