নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল

আরাফাত শাহরিয়র

আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

আরাফাত শাহরিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী আর চট্টগ্রাম ফকিন্নি?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ থাকে না। বিষয়টি বাংলাদেশের আর দশটা সমস্যার মত সমাধানহীন মনে হলেও অসামঞ্জস্যটা যেখানে সেটা হল ঢাকায় কিন্তু এই লোডশেডিং চট্টগ্রামের মত এত প্রকট না! "এত প্রকট না" এইভাবে বললেও সঠিক অবস্থাটি ধরা পড়ছে না। বলা উচিৎ, চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় ইলেক্ট্রিসিটি যায় না বললেই চলে। ঢাকায় তবু যখন লোডশেডিং হত, আগের কথা বলছি, সেই সময়ের এই সমস্যার ধরণটার তবু মা ও বাবা ছিল; মানে মা-বাপ ছিল। বোঝা যেত, বিদ্যুৎ ১ ঘণ্টা না থাকলে পরবর্তী এক ঘণ্টা থাকবে। আচ্ছা না হয়, ২ ঘণ্টা না থাকলে, পরবর্তী আধা ঘণ্টা থাকবে। মানুষ অন্তত বলতে পারত কখন আসবে আবার কখন চলে যাবে। অবস্থা সঙ্গিন হলেও, সেই অবস্থার একটা মানইজ্জত ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম’এর প্রতি এতই অবহেলা, চট্টগ্রাম-বাসীদের প্রতি এতই তাচ্ছিল্যের মনোভাব কর্তৃপক্ষ পোষণ করে যে চট্টগ্রামের সাথে বিদ্যুৎ অফিস যা করে সেটারে মস্করা বললেও ঠিক হবে না। কারণ মস্করারও একটা সীমা আছে। ইলেক্ট্রিসিটি যখন আসে তাঁর ঠিক পাঁচ মিনিট পর আবার চলে যায়। অনেকক্ষণ পর আবার যখন আসে, এবার তার চার মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর পুনরায় পগারপার। অভদ্র ইলেক্ট্রিসিটি আর লোডশেডিং, এই দুটি অবস্থা, ভাদ্র মাসের বৃষ্টি আর রোদের মত আসা যাওয়া করে এখানে।



চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন কর্মকাণ্ড না হয় বাংলাদেশের "সরকারী চর্চা" বিবেচনায় মেনে নিলাম, কিন্তু নিজেদের প্রতি চট্টগ্রাম-বাসীর বিস্ময়কর উদাসীনতা কি করে মানা যায়? এই সমস্যা ঢাকা'র হলে, ফেসবুক-ব্লগে চলা অনেক ঝড়ের মধ্যে এই ঝড় অবশ্যই সময় সময় আমাদের ওয়ালে বয়ে যেত। কিন্তু ব্লগাররা যারা চট্টগ্রামের অধিবাসী, তারা মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক ব্লগ-সমাজে চলা বিষয় ও ধারায় বেশি মগ্ন থাকে। নিজেদের সমস্যার প্রতি অনাসক্ত। ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে গেলে মোবাইল থেকে স্ট্যাটাস দেয় ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম সংক্রান্ত স্থবিরতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে।



আগ্রাবাদের মত ব্যস্ত কমার্শিয়াল এলাকায় বিদ্যুৎ’এর অবস্থা এতই সঙ্গিন যে (যখন ঢাকায় কোনও বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই বললেই চলে) মাঝে মাঝে আমি দেখেছি, ব্যাংকের এটি-এম বুথ গুলো পর্যন্ত ব্যাকআপ ফেল করে। লিফট গুলো মাঝপথে আটকে থাকে (কারণ জেনারেটর গুলো অধিকাল কাজ করে অবসর নেয় যখন তখন), আইপিএস গুলো পাঁচ মিনিট ব্যাপ্তিকালের বিদ্যুৎ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি নিয়ে রাখতে পারে না বলে কথায় কথায় হিক্কা দেয়। এদিকে অফিস গুলো ভরে থাকে মৃতপ্রায় ইউপিএস গুলোর রক্ত হিম করা ত্রাহিতে।



বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চট্টগ্রাম বাসী নাকাল শিরোনামে পত্রপত্রিকায় খবর আসে বটে, তবে অন্যান্য সকলের মতই চট্টগ্রাম বাসীরাও বোধ করি সমান উপহাসের সাথে সেই খবর পড়েন। কারেন্ট নাই, টিভি-কম্পিউটার বন্ধ। কি করবেন? তাই, খবরের কাগজ।



আমার আর্জি কর্তৃপক্ষের কাছে নয় চট্টগ্রাম-বাসীদের কাছে। তারা যেন চোখ-খুলে দেখে কি অন্যায় তাদের প্রতি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সঙ্কট যদি থাকে তবে সেটার ভাগাভাগি হবে সমানভাবে। রাজধানী হিসেবে একটু বেশি সুবিধা না হয় পেল ঢাকা! কিন্তু তাই বলে সে রাজরানী আর এ ফকিন্নি? সেখানে বিদ্যুৎ’এর সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন, আর চট্টগ্রাম বেশীরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন?



চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পুরো দেশ চলে বিষয়টা মনে রাখা দরকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: চট্টগ্রাম কি বিদ্যুৎ মুক্ত এলাকা ? তবে কি সারাদেশ বিদ্যুতে ভাসিয়ে দেবার খবর মিথ্যা ?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: ভাই কি বলব, যারা এই খবর প্রচার করে তাদের থাপড়াইয়া নিয়া আইসা চট্টগ্রামে অফিস কারানো দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.