![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
যাদের ঘণ্টা খানেকের কর্মবিরতিতে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না, তাদেরকে সুশৃঙ্খল বাহিনীগুলোর মত কড়া, সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলা, বিধিনিষেধ, নিয়মকানুনের আওতায় আনা হোক। ডাক্তাররা কি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর চেয়ে কম শক্তিশালী? যে নিয়মানুগ প্রক্রিয়ায় ডাক্তারদের প্রশিক্ষিত করা হয়, সেটি কি অমানবিকীকরণ প্রক্রিয়া নয়? অতএব এইসব মানবিকতা, গায়েবিয়তার কথা বলে বলে মুখে-মাথায় ফ্যানা তুলে ফয়দা নাই। মানুষের জান রক্ষা-রক্ষণাবেক্ষণ করা ডাক্তারদের গুরুদায়িত্ব এবং তা পালনে তারা বাধ্য। আর স্বাভাবিকভাবেই, সুশৃঙ্খল করতে তাদেরকে যখন জনসাধারণের সঙ্গ-সংসর্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে, কঠিন বিধিনিষেধ-নিয়মকানুনের আওতায় আনা হবে তখন তেমন সুযোগসুবিধাও তারা পাবে!
আর যদি এমনটা করা না যায়, তাহলে, সোজা কথা: তাদের সাথে বচসা-বাহাসে অবতীর্ণ হওয়া নয়। যারা হবে, তাদেরই দোষ; তারাই সাধারণ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য দায়ী হবে। ডাক্তারদের গায়ে হাত দেবেন; তাদের কর্মক্ষেত্রে ভাঙচুর করবেন; কিন্তু তারা যখন ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে কর্মবিরতিতে যাবেন তখন তারাই শুধু জানোয়ার বনে যাবে, এটা ক্যামন কথা? তারাও রক্তমাংসের মানুষ। বরং অমানবিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বের হয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন প্রকৃতির মানুষ। তারা প্রতিটি, প্রত্যেকটি দিন রক্ত দ্যাখে, ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসা রক্তধারা দ্যাখে, মারাত্মক আহত মানুষ দ্যাখে, জীবনের জন্য মানুষের আকুতি, বাঁচার জন্য কাকুতিমিনতি দ্যাখে, মানুষের মৃত্যু দ্যাখে, শিশুর মৃত্যু দ্যাখে, শিশুকে অনাথ করে যাওয়া মায়ের মৃত্যু দ্যাখে। So don't mess with them.
২| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি সামনে আল্লাহ না করুক কোন হাসপাতালে গেলে, প্রথমেই গিয়াই ডাক্তারদের আগে পা ধইরা সালাম দিমু। উনারা চেয়ারে বসবেন, আমি মাটিতে বসুম। তারপর যথাযোগ্য সম্মান, শ্রদ্ধা এবং পয়সা দিয়ে 'চিকিৎসা দয়া' নিব। এটাই সবচেয়ে ভালো সিস্টেম হবে।
এই মহান পেশা মানুষগুলোকে আমরা কখনই সম্মান দিতে পারি নাই। সব সময় তাদেরকে অসম্মান করেছি।
ঢাকাবাসী ভাই বলেছেন দুপক্ষেরই সংযমী হওয়া দরকার।
এটাতে আমি তীব্র সহমত। কিন্তু এতে আবার নতুন ইন্টান ডাক্তারদের সম্মানহানী হয় কিনা বুঝতে পারতেছি না।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
বামে প্লাস্টিক বলেছেন: সংযম তো ভাই রোগীর ভূষণ তাই না? কেন রোগীকে বা তাদের সাথের কাউকে এত রেফারেন্স দিতে হয়? নেত উতা কইতে হয়? কারণ ডাক্তারদের বিশাল চাপ, তারা রোগী দেখে ক্লান্ত, শ্রান্ত ভ্রান্ত।
ডাক্তারদের তথাকথিত এই মর্যাদা আসলে ভাই, বিসিএস এর পুলিশ বা কাস্টমস এর মত হয়ে গেছে। যতটাকা দিকে ঢোকা হয়েছে তার চেয়ে কতবেশি কত দ্রুত তুলে আনা যায় সেই চাপ সবসময়ই থাকে। ফলে বিশেষভাবে দোষ দেয়া লাগেনা, রোগীরা এমনিতেই জবাই হতে থাকে।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
৪| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
হেডস্যার বলেছেন:
কিন্তু তারা যখন ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে কর্মবিরতিতে যাবেন তখন তারাই শুধু জানোয়ার বনে যাবে, এটা ক্যামন কথা?
কিন্তু এইটাই কথা।
আগে জিজ্ঞেস করি কাদের সেবা করার জন্য সরকারী মেডিকেলে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হইছে, কার টাকায় পড়ালেখা করছেন? আপনাগো বেতন কই থেইকা আসে?
কর্মবিরতি পালন করার উদ্দেশ্য কি?
রোগীদেরকে বিপদে ফালাইয়া নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন তাই তো?
চালায়া যান ডাক্তার সাহেবরা....নিমক হারাম ছাড়া আপনাগো আর কিছু বলতে পারতেছি না। দুঃখিত।
৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৫
ডাক্তার পোলা বলেছেন: @হেড সার সরকারি হাসপাতালে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য ডাকতার নিয়োগ দেয়া হয়েছে,মাসতান পাততা দেয়ার জন্য না।
সরকারি টাকায় পড়ালেখা করছি, কারো বাপের টাকায় না যে তারে আববা বইলা ডাকা লাগব। ডাকতার রাই খালি সরকারি টাকায় পড়ছে।আর বাকিরা সবাই নিজের টাকায় পড়ছে।যতত সব বেকুবের কথা।
বেতন আসে সরকার থেকে,এখন বলবেন সরকার রে ট্যাকস দেয় জনোগন,তাই তাগো মাইর খাওয়া লাগব,আবাল বাংালি কোনদিন মানুষ হইব না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুপক্ষেরই সংযমী হওয়া দরকার। ছাত্রলীঘাররা নেতাগিরী করবে তো ডাক্তাররা ছাড়বে কেন?