![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ভাবি, কী আমাদের অনেককে বাংলা বাক্যে অযথা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ, প্ররোচিত, পরিচালিত করে? বাংলাভাষায় স্থায়ীভাবে স্থান করে নেয়া নতুন ও পুরাতন ইংরেজি শব্দগুলো ছাড়া, আরোপিত বাচন-ভঙ্গিমায় অত্যন্ত সাধারণ ইংরেজি শব্দ দ্বারা বাংলা শব্দগুলোর অকারণ প্রতিস্থাপন অত্যন্ত শ্রুতিকটু হলেও আমাদের অনেকেই নির্বিকারভাবে, নির্বিচারে এই কাজটি করেন! কেউ কেউ শুধু নির্বিচার প্রতিস্থাপনই নয়, ইংরেজি শব্দের সঠিক ব্যবহারেও অবিচার করেন। উদাহরণ স্বরূপ- ''এটার মধ্যে একটা কালার-ফুল ব্যাপার আছে'', ''এটা খুবই ব্যাড হল'', ''অনেক সময় লুক করি'', ''সবসময় লাইক করি'' ইত্যাদি। এমনকি টেলিভিশনে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক-উপস্থাপিকাদেরও এভাবে বাংলা বাক্যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে শোনা যায়। টকশো শ্রেণীর অনুষ্ঠানগুলোতে আমন্ত্রিত ছোট-বড় পর্দার অনেক তারকাও এটা করে থাকেন। এফএম রেডিওর চ্যানেলগুলো তো এই প্রবণতার প্রবর্তকদের মধ্যে অন্যতম!
চিন্তা করি, আমরা কেন এটা করি? কী প্রমাণ বা প্রকাশ করতে চাই? নিজেকে অন্যের কাছে আধুনিক হিসেবে উপস্থাপন করাই কি এর উদ্দেশ্য? লিও তলস্তয়, ফিওদর দস্তোয়ভস্কি, আন্তন চেখবদের উপন্যাসগুলোয় তৎকালীন রাশিয়ার যে বনেদী সমাজ ফুটে উঠে, তাতে দেখা যায় রাশিয়ানরাও নিজেদের মধ্যকার কথোপকথনে রুশ ভাষার পাশাপাশি ফরাসী ভাষা ব্যবহার করত নিজেদের শিক্ষা, সামাজিক অবস্থানকে প্রমাণ করার জন্য। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে এধরণের চর্চা আছে। আমরাও কি তাদের মতই নিজেদেরকে অন্যের কাছে উচ্চ শিক্ষিত, উঁচু সমাজের প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে ইংরেজিকে ব্যবহার করি? কিন্তু বাংলা কথোপকথনে, বাংলা বাক্যের ভেতর হুট করে কাম, লুক, ব্যাড, গুড ইত্যাদি অতি সাধারণ ইংরেজি শব্দের ব্যবহার সেই উদ্দেশ্য অর্জন করে কি? আমরা যদি এভাবে, ইংরেজি জ্ঞান দ্বারা নিজেদেরকে অন্যের কাছে শিক্ষিত প্রমাণ করতে চাই (এবং তার সাথে সাথে আধুনিকও), তবে ইংরেজি ভাষার প্রতি আমাদের অনুরাগ জন্ম নেয় না কেন? কেন সত্যি সত্যি আমরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করি না? নিজ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা জন্ম দেওয়ার স্বার্থে ইয়েস-নো-ভেরি-গুড দিয়ে অন্যকে বিব্রত, বিভ্রান্ত, বিরক্ত করা কেন?
এই অভ্যাস আছে, এমন কারো সাথে কথা বলার সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে অপমানিত বোধ করি। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই, আমার মনে হয় ঐ ব্যক্তি আমাকে একজন সপ্রতিভ, আধুনিক মানুষ হিসেবে বিবেচনা করছেন না, যেহেতু, স্পষ্টতই তিনি আধুনিকতাকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেন। তাছাড়া আমার এও মনে হয় যে তিনি আমার বুদ্ধিমত্তাকে খাটো করে দেখছেন এবং আমাকে তার নিজের সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের আরোপিত বাচনভঙ্গি এবং ইচ্ছাকৃত বাংলা শব্দের বিকৃত উচ্চারণও (যেমন, শেষ কে সেস বলা, সেটা না বলে সেতা বলা) অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং কুৎসিত। আমি যা নই, অন্যের কাছে তা প্রমাণ করার চেষ্টা অগৌরবের। আমাদের কাছে নিজের জন্য যথেষ্ট সম্মান নেই, ভালবাসা নেই; তাই এই অদ্ভুত চর্চার সৃষ্টি। আমরা নিজের পছন্দ মোতাবেক কিছু করি না, ফলে, অন্যের কাছে নিজেদের এমনভাবে উপস্থাপন করতে চাই, যা আমরা ভাবি যে আমাদের জন্য গৌরবময় হবে। অথচ তেমনটা আসলে হয় না। হয় ঠিক তার উল্টোটা।
আমরা কেন নিজের জন্য কিছু করি না? হয়ত শুধু এই বিষয়টিতে কিছুটা স্বার্থপর হলেই কল্যাণ হয়! যে লেখক নিজের জন্য লেখেন, তার লেখাই অমর হওয়ার যোগ্যতা রাখে। প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ যদি তার নিজের জন্য লিখতেন, তবে নিশ্চয়ই আমরা, বাংলাভাষীরা, এই অসাধারণ মেধাবী লেখকের কাছ থেকে কালজয়ী কিছু উপন্যাস পেতাম;আমাদের সন্তানদের বলতে পারতাম- "বাছা, তাঁর এই উপন্যাসটি তোমার জন্য অবশ্য পাঠ্য"। কিন্তু তিনি সচেতনভাবে বিলাসবহুল বাড়ির জীবন বেছে নিয়েছিলেন এবং স্বেচ্ছায় মানুষের মনে আজীবন বেঁচে থাকাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন (তবে হ্যাঁ, এই দিক থেকে চিন্তা করলে, তিনি স্বার্থপর ছিলেন বটে)। হুট হাট ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেও বোধ করি সাময়িকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত (কাউকে মুগ্ধও কি?) করা যায়, কিন্তু নিজেকে, নিঃসন্দেহে, প্রমাণ করা যায় না। ফেসবুকে-- বন্ধু, অনুসারীদের সাড়া, পোস্টে লাইকের সংখ্যা বিবেচনা করে যারা লেখার ধরণ-আকার-বিষয় নির্ধারণ করেন, তাদের সাথে বাংলিশ-ভাষীদের মিল খুঁজে পাই। এই দুই শ্রেণীর ব্যক্তিরা নিজেদের সনাক্ত করেন অন্যের দৃষ্টি দিয়ে। আমি তাদের জন্য দুঃখবোধ করি। কথাটা উন্নাসিকের মত শোনালেও, এটা মিথ্যে নয়। কিন্তু এখনো নিশ্চিত নই এতে অন্যায় কিছু হচ্ছে কিনা! হয়ত এটা বিরক্তিকর হলেও স্বাভাবিক। একে মেনে নিতে হবে। এই'ই জগতের নিয়ম যে বিস্ময়কর রকম জনপ্রিয়তা পেতে শরত, হুমায়ূনরা আসবেন, মানুষ কোনো না কোনো উপায় খুঁজে নেবে নিজেদের অন্যের তুলনায় ভিন্ন প্রমাণ করতে এবং বিক্রি হবে অপরের পছন্দ-অপছন্দের কাছে। এই নিয়ে ভাবিত হবার কিছু নেই।
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪০
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও আপনার মত অনেক আশাবাদী।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
নতুন বলেছেন: পরিবত`ন তো ভাষাতে আসবেই তাইনা?
বত`মানের বাংলা ভাষা আমরা বলছি বা লিখছি তা কি ১০০ বছরের আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন নয় কি?
সেই হিসেবেই ভাষা নতুন নতুন শব্দ গ্রহন করবে আবার কিছু শব্দ বাদ দেবে...
মানুষ চেয়ার গ্রহন করেছে আর কেদারাকে ভুলে যাচ্ছে....
পরিবত`ন তো খুবই সাভাবিক....
ইংরেজীতে সেক্সেপিয়ারের ইংরেজী আর বত`মানের ইংরেজীর মাঝে কতটা তফাত????
আমাদের বাংলাভাষার তো তাই হবে.... পরিবত`নকে ভয় পেলে কি পরিবত`ন বন্ধ হবে?
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪১
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: এমন কোনো হাতিঘোড়া লিখি নাই, কিন্তু আশা করব লেখাটি একবার পড়ে দেখবেন। আপনার কমেন্টটি আমার লেখার বক্তব্যের সাথে ঠিক যায় না।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
নতুন বলেছেন: আপনি যেই ইংরেজীর ব্যবহার কথা বলছেন... সেই ভাবেই ভাষায় নতুন নতুন শব্দ যোগ হয়...
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৮
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন এটা স্বাভাবিক। এটাই নিয়ম। আর, আমি বলছি, আমাদের অনেকের ইংরেজি ব্যবহারের এই চেষ্টা ঠিক স্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক। অহেতুক।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৬
নতুন বলেছেন: আমি মনে করি কিছু মানুষ অবশ্যই ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করে নিজেকে জাহির করতে চায় এবং সেটা অবশ্যই মূখতা...
কিন্তু মানুষের এই অভ্যাসের জন্যই আমাদের বাংলাভাষাতে এতো বিদেশী শব্দ এসেছে...
আপনার কমেন্টটি আমার লেখার বক্তব্যের সাথে ঠিক যায় না।
লেখক বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও মন্তব্যের বদলে কমেন্ট ব্যববহার করেছেন.... যেটা বেশির ভাগ ব্লগারই করে... কিছুদিন পরে সবাই মন্তব্যের বদলে কমেন্ট ব্যবহার শুরু করবে..
আমি বলছি এটা সাভাবিক... অস্বাভিক না..
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: এই যে আপনি আসল আলোচনায় এসেছেন। যেটা ছেঁটে বাদ দেয়া যাচ্ছে না, (যেমন এখানে কমেন্ট > যেহেতু ব্লগের ধারণা এবং ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমগুলো ইংরেজির উপর ভিত্তি করে তৈরি) সেগুলো ছাড়া কেন আমরা অহেতুক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি? দেখেন ব্লগের-তো বাংলাই নাই!
কমেন্ট বলছি কারণ এই অপশনটির নাম কমেন্টই। আক্ষরিক অর্থেই ফেসবুক ইত্যাদি মাধ্যমগুলোতে শব্দটি লেখা থাকে এবং এই নামেই পরিচিত! আরও এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলো পাকাপাকিভাবে বাংলায় ঢুকে পড়ছে। যেগুলোকে এই লেখায় আমি বলেছি 'নতুন' ইংরেজি শব্দ। যেমন চ্যালেঞ্জ, উপরে বললাম অপশন- যেগুলোর বাংলার চেয়ে ইংরেজিটাই শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ ব্যবহার করবে।
তো যেখানে এমনিতেই এত এত ইংরেজি শব্দ স্বাভাবিক নিয়মে বাংলায় ঢুকে পড়ছে (অথবা তাদের ঢুকে পড়া রোধ করা করা যাচ্ছে না), সেখানে কেন অহেতুক অতি সাধারণ ইংরেজি শব্দ গুলো ব্যবহার করা? বলেন দেখি? যেমন: এটার মধ্যে একটা কালার-ফুল ব্যাপার আছে'', ''এটা খুবই ব্যাড হল'', ''অনেক সময় লুক করি'', ''সবসময় লাইক করি''--- যেটা নিয়ে মূলত আমি লিখলাম। শুনেন এইটা তারা করে অন্য কারণে। উপরোক্ত লাইক, গুড, ব্যাডের ইত্যাদি শব্দের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বাংলা শব্দ আছে।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
নতুন বলেছেন: মানুষের কিছু শব্দ পছন্দ হয় কিছু অপছন্দ করে....
যেমন " পা ঝুলিয়ে বসা" = ঠ্যাং ঝুলিয়ে বসা... ( আমার কাছে ঠ্যাং ভাল লাগে)
হয়তো ঐ মানুষের কাছে রংঙ্গিন শব্দটা কঠিন তাই সে কালার ব্যবহার করে... ( আর কালার সহজ শব্দ কালার ল্যাবে যে চাকুরী করে সে এটা সব সময়ই বব্যবহার করে )
এটা মানুষ নিজের অজান্তেই করে... কেউই ইচ্ছা করে ঠিক করেনা... যে আমি এই এই শব্দ গুলি ইংরেজীতে ( ইউজ) ব্যবহার করবো...
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: আপনার ইতিবাচক চিন্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি সবসময় এমন চিন্তাকে সাধুবাদ জানাই।যেমন, সেদিন এক ব্যাংকার অভিযোগ করছিল, বেশীরভাগ মানুষ নাকি চোর!
কিভাবে?
তারা নাকি ডেস্ক থেকে স্বাক্ষর করার জন্য কলম নিয়ে কাজ শেষ হবার পর আর কলম ফেরত দেয় না। পকেটে পুরে নিয়ে যায়!
আসলে কিন্তু তারা কাজটা ভুল ক'রে করে। কিন্তু ভদ্রলোক তাদের চোর ডেকে বসলেন!
তা অবশ্যই অনেকের ক্ষেত্রে এটা ( বাংলায় তুচ্ছ ইংরেজি ইংরেজি শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে) হতে পারে। তবে আমি দেখেছি আবার অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছে করে, নিজেদের যাহির করার জন্য এমনটা করে থাকেন। হাস্যকর-ভাবে। এবং এদের সংখ্যাই প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানে এইক্ষেত্রে, জেনেশুনে কলম চুরি করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
আমি চাই বলেছেন: ami mone kori..... nobin torun toruni ra dhong korar jonno bole... "Ami eta sobsomoy LIKE kori"
r o onek ache jara ei rokom iccha krito vabe nij uddoge notun english wordgulor procholon ghotate chay. Eder moddhe ache high socityr family, celebrity, radio channel er RJ ra etc etc.
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৯
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
এরশাদ বাদশা বলেছেন: আর ইউ পম গানা?????????!!!!!!!!!!
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৯
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন:
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
নতুন বলেছেন: তবে আমি দেখেছি আবার অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছে করে, নিজেদের যাহির করার জন্য এমনটা করে থাকেন। হাস্যকর-ভাবে। এবং এদের সংখ্যাই প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমাদের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষকদের মাঝেও দেখেছি... যেই স্যার বেশি জানেন তিনি সব সময়ই সহজ শব্দে আমাদের পড়াতেন.... ( কারন আমরা যেন বুঝতে পারি.. কিন্তু দরকার হলে নতুন নতুন জটিল শব্দ ব্যবহার করতেন..)
কিন্তু যেই শিক্ষক নিজেকে জাহির করতে চাইতো তিনি কঠিক শব্দ গুলি ব্যবহার করতেন....
এটা হয়... মানুষ ভাব দেখানোর জণ্য করে থাকে...
কিন্তু সাধারন ভাবে এটা মানুষ নিজের অজান্তেই করে.... উচ্চারনে সহজ সব্দগুলি আস্তে আস্তে যায়গা করে নেবে ভাষাতে...
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
রাজিব বলেছেন: বিদেশী শব্দ আসা বেশ সাধারণ ব্যপার। এতে কোন দোষের কিছু নেই। ইংরেজি ভাষা অনেক বিদেশী শব্দ গ্রহন করেছে এবং এতে করে ইংরেজির শক্তি কিছু মাত্র কমেনি। কিন্তু এফএম রেডিও ষ্টেশনের আরজেরা যেভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলিশ বলে এভাবে কিন্তু ব্রিটিশ বা আমেরিকান আরজেরা বলে না। জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক বিদেশী শব্দ আসা কোন খারাপ লক্ষন নয়। কারণ মোবাইল ফোনের অনুবাদ মুঠো ফোন হয়না কারণ মোবাইল মানে মুঠো নয়।
ভাষার পরিবর্তনও দোষের কিছু নয়। ১০০ বছর আগের বাংলা হয়তো পড়ে বুঝতে পারব কিন্তু ৩০০ বছর আগের বাংলা পড়ে বুঝতে পারা মনে হয় বেশ কঠিন হবে আমাদের অনেকের জন্যই। রবীন্দ্রনাথ অনেক সহজ ভাষায় লিখতে পেরেছিলেন বলেই এখনো আমরা অনেক সহজে বুঝতে পারি কিন্তু বঙ্কিম বেশ দুর্বোধ্য। কিন্তু ডিজুস এর লোক জন যেভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাষা বদলানোর চেষ্টা করে তা কৃত্তিম এবং আরোপিত।
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪
আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: "কিন্তু ডিজুস এর লোক জন যেভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাষা বদলানোর চেষ্টা করে তা কৃত্তিম এবং আরোপিত।" সহমত
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
রাজিব বলেছেন: লেখাটি অবশ্যই চমৎকার হয়েছে এবং মুল্যবান কমেন্ট যোগ করার জন্য নতুন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। খুব ভাল হতো আরও অনেকে যদি এই আলোচনায় যোগ দিতেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭
রাজিব বলেছেন: খুবই চমৎকার লেখা এবং পড়ে আনন্দ পেলাম। নিজের কিছু ভাব ব্যক্ত করি এখানে।
১। বাংলা খুবই সমৃদ্ধ একটি ভাষা এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বা দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে আধুনিক কালে বাংলা সাহিত্য সবচেয়ে সেরা এতে বোধহয় কোন বিতর্ক নেই। সেন আমল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত (প্রায় ৯০০ বছর) বাংলা কখনোই রাজ কাজের ভাষা ছিলনা। তারপরও এটি বহাল তবিয়তে টিকে ছিল এবং থাকবে।
২। বাংলিশ যতখানি খারাপ ঠিক ততখানি খারাপ ফারুকি ধরনের খাইছি করছি ধাচের বাংলা শব্দ, বাক্য ও উচ্চারণ নাটকে ও টিভিতে ঢোকানো। আঞ্চলিক ভাষায় নাটক ও সাহিত্য বিকশিত হোক এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ফারুকিদের বাংলা ভয়াবহ এবং বর্তমান টিভি নাটকের মান ও জনপ্রিয়তা পড়ে যাবার অন্যতম কারণ এটি- অন্তত আমার তাই মনে হয়।
৩। হুমায়ূন আহমেদের প্রতিভা ছিল এবং হয়তো তার উচিৎ ছিল নিজের জন্য লেখা। কিন্তু টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় তার নেশা হয়ে যায় চটুল সুড়সুড়ি দিয়ে পাঠককে হাসানোর। যাই হোক ব্লগ ফেইসবুক আসার ফলে নতুন নতুন সাহিত্যিকদের আগমন হওয়া সহজ হবে। এখন আমাদের কর্তব্য হল হুমায়ূন আহমেদদের থেকে শরৎচন্দ্রদের আলাদা করা।
৪। বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। ডিজুস দলের বা গোষ্ঠীর সংখ্যা আমাদের তরুন সমাজের ১০% হবে বলে মনে হয়না। তবে তাদের হাতে পয়সা, প্রভাব, প্রতিপত্তি আছে। তবে তাদের নেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন
৫। বাংলাদেশে এখন ৬% হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটছে। শিক্ষার হার বাড়ছে। ফলে মধ্যবিত্তের সংখ্যা অনেক বাড়বে এবং বাংলা ভাষা সাহিত্যকে এরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।