নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গত এক বছরে বাংলাদেশে এফিলিয়েটেড সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা (সূত্র : নেচার ইনডেক্স )

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২




সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স এর ক্ষেত্রে বিশ্বের নামকরা প্রকাশনা সংস্থা হচ্ছে নেচার , তারা প্রতি বছরই পৃথিবীর সকল দেশের এফিলিয়েটেড সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা নিয়ে একটি তালিকা তৈরী করে থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এফিলিয়েটেড (মানে হচ্ছে বাংলাদেশের কতজন গবেষক এবং সংস্থা পাবলিশড পেপারে অন্তর্ভুক্ত ) পাবলিকেশন্স এর একটি তালিকা তৈরী করেছে , এখানে বলে রাখা ভালো যে নেচার শুধু মাত্র মানসম্মত ও উচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যুক্ত জার্নাল গুলোকেই বিবেচনায় নেয় , সে হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক নয় ।

স্ক্রিন শর্ট এ দেখা যায় এই তালিকা তৈরিতে দুটি Parameter ধরা হয়েছে :

AC= Subject AC বলতে মূলত ওই সাবজেক্ট এ কোনো দেশের এফিলিয়েশন এ কতটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে , আর Institutional AC বলতে ওই দেশের কোন কোন সংস্থার এফিলিয়েশন ওই আর্টিকেল এ আছে

FC= Subject FC হচ্ছে ওই বিষয়ের ওই আর্টিকেল এ অন্তর্ভুক্ত দেশের গবেষকদের সংখ্যার শতকরা হিসাব , Institutional FC হচ্ছে আর্টিকেল এ অন্তর্ভুক্ত দেশের গবেষকদের সংস্থার সংখ্যার শতকরা হিসাব

নেচার ইনডেক্স এর সূত্র অনুযায়ী ০১লা নভেম্বর ২০১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত উচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যুক্ত জার্নাল এ প্রকাশিত পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা ২ ১ ( যদিও হিসেবে দেখা যায় ২ ২ )।

তালিকায় দেখা যায় Earth and environmental sciences এবং Life sciences এ গত বাংলাদেশ এফিলিয়েটেড গবেষক ও সংস্থা তুলনামূলকভাবে বেশি ( ৮ টি ও ৭ টি করে টোটাল ১৫ টি রিসার্চ পেপার ) এদের মধ্যে আছে Nature Communications, Nature Genetics, PNAS এর মত নামকরা জার্নাল , অপর দিকে Physical sciences এর অবস্থা খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয় ,একই অবস্থা কেমিস্ট্রি এর ক্ষেত্রেও (সবমিলিয়ে ৭ টি রিসার্চ পেপার ) ।

এখন দেখা যাক ইনস্টিটিউশন্স এর ক্ষেত্রে , এদিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইসিডিডিআরবি , তাদের এফিলিয়েশন এ অন্তত ৬ টি রিসার্চ পেপার আছে , এরপর আছে যথাক্রমে ব্র্যাক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ( ২টি ও ৫ টি ), যদিও ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর প্রবন্ধের সংখ্যা বেশি , কিন্তু ইনডেক্স এ তারা একটু পিছিয়ে গেছে , এর পর আছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড , এরপর যথাক্রমে ১ টি করে গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে পিছিয়ে আছে জাবি , KUET, CHUET প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় ,

এখানে উল্লেখ্য একটি রিসার্চ পেপারেও বাংলাদেশিরা Principal author হিসেবে নেই, সবাই co- author , আইসিডিডিআরবি এর এগিয়ে থাকার কারণ সংস্থাটির সাথে বিদেশী কোলাবোরেশন খুব শক্ত সেই হিসেবে এখানে বেশ কিছু কাজ হয় কিংবা কাজের অংশবিশেষ হয় সেই হিসেবে তারা পাব্লিকেশন্স এর সময় co- author হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় , অন্য সকল গবেষণা সংস্থার একই অবস্থা ,

বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ Principal author এ High Impact Journal ( যেমন Nature Communications, Nature Genetics, PNAS ) এ শুধু বাংলাদেশী এফিলিয়েশন এ কোনো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত গত এক বছর কিংবা এর আগের বছর গুলোতেও হয়তো খুব সামান্য কিংবা হয়নি , ঢাকার বাহিরের আরো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্বিদ্যালয়গুলো এই তালিকায় আসতে পারেনি দেশের সায়েন্টিফিক রিসার্চের দৈন্যদশা প্রমান করে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু বুঝলাম না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: লেখাটি একটু বিশেষায়িত , আমি নিজেও অনেক সময় নিয়ে বুঝেছি

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। আমারও দুইটা পাবলিকেশন্স আছে কেমিস্ট্রির

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বাহ , বেশ ভালো তো , আপনার গবেষণার সফলতা কামনা করি

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: CUET হবে.....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য , আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

আরোহী আশা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

আরইউ বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক গবেষক বাংলাদেশ থেকে স্টাডি লিভ নিয়ে (স্টিল এফিলিয়েটেড উইথ বিডি ইউনি) বাইরে পড়তে যান। ওনারা বাংলাদেশের এফিলিয়েশন ব্যবহার করতে পারেন কীনা জানিনা।

নেচার ইনডেক্স এর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে অনেক ভালো জার্নাল বিশেষ করে হার্ডকোর মেডিকেল সায়েন্স ফিল্ডের (উদাহরণঃ নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন, ল্যানসেট, জামা, বিএমজে) ওদের ইনডেক্সে নেই!!

আপনি বলেছেন "যদিও হিসেবে দেখা যায় ২২" - ওদেরে ওয়েব পেজে নোটটা হয়ত আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে "Note: Articles may be assigned to more than one subject area."

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: সাধারণত স্টাডি লিভ নিয়ে যারা বিদেশে গবেষণা করতে যান তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের এফিলিয়েশন ব্যাবহার করতে পারেন না , বিদেশে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন তার এফিলিয়েশন ব্যবহার করেন

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

সামুতে, বুয়েটের পিএইচডি' ইয়াজুত-মাজুতের কাহিনী লিখেন। তুরস্ক, ভারত, বৃটেন, জাপান, মালয়েশিয়া, জার্মানীতে পিএইচডি'তে অধ্যয়নরত অনেক বাংগালীর লেখা সামুতে ও বাংলা দৈনিকগুলোতে আসে; উনাদের লেখা থেকে বুঝা যায়, কেন বাংগালীদের সায়েন্টিফিক লেখা কম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: হা হা হা চাঁদগাজী ভাই , আপনি দেখি খোঁচা দিলেন !!!!

ভালো সায়েন্টিফিক লেখা লিখতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক পারদর্শী হতে হয় , এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক ভিত্তিক সায়েন্টিফিক গবেষণা , আর তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থ

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

গ্রীনলাভার বলেছেন: অর্থ প্রয়োজন - এই অনুধাবন ভুল। আমরা প্রচুর অর্থ ঢেলেও বাংগালীর মাথা থেকে গোবর ছাড়া কিছু বের করাতে পারছি না। যদিও আমেরিকানরা কিছু বের করাতে পারছে। এবং গবেষনার আউটপুট নিজের কাজে লাগাচ্ছে। বিনিময়ে বাংগালী দুটি রেভিনিউ পাচ্ছে। তাও আবার প্রতি ১৫ বছরে লোপাট হয়ে যায়।

কখনো কি ভেবেছেন, আমারিকানরা যখন প্রথম গবেষনা শুরু করেছিল তখন কে তাদের পয়সা যুগিয়েছিল?

বাংলায় যদি গবেষনা পত্র না লিখতে পারেন তাহলে বুঝবেন সময় নষ্ট করছেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: লেখাটি পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ , আপনার মূল্যায়ন সঠিক কিন্তু অর্থ ছাড়া কোনো গবেষণার সূচনা করে সম্ভব নয় , তবে আমাদের দেশে গবেষণাখাতে বরাদ্দকৃত টাকার সঠিক প্রয়োগ হয়না , আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে চিন্তার সীমাবদ্ধতা , একজন গবেষককে প্রথম ভাবতে হবে , পড়াশুনা করতে হবে এবং তা যেন বর্তমানের সাথে সমসাময়িক হয় , আমেরিকানদের সাথে আমাদের পার্থক্য হল ওদের চিন্তাভাবনা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে , আমাদের দেশের একসময় কয়েকজন বিশ্বমানের গবেষক ছিলেন সেটা হয়তো অনেক বছর আগের , কিন্তু প্রশ্ন হল এখন নেই কেন ??? সমস্যা হচ্ছে আমরা সময়ের সাথে তাল মেলাতে পারিনি , এবং আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে পারিনি , ফলশ্রুতিতে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে কিছু সুপারফিসিয়াল গবেষণা কাজ নিয়েই পরে আছি

N.B. আমাদের দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী বর্তমানে উচ্চতর গবেষণার জন্য জন্য বিদেশে বিশেষ করে আমেরিকা যাচ্ছে , কিন্তু এদের সবাই কি ভালো গবেষক হতে পেরেছে , কিছু গিয়ে গবেষণা শুরুই করেনি , কেউ মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছে , আর কেউ হয়তো অনেক কষ্টে গবেষণা শেষ করে কাঙ্খিত চাকরি কিংবা পজিশন পায়নি , তার ট্র্যাক চেঞ্জ করে ফেলেছে , আর কিছু শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে এবং বিদেশে অবস্থান করছে সার্বিক বিচারে এই সংখ্যা যে পরিমানে শিক্ষার্থী গিয়েছিলো তার থেকে অনেক কম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.