![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. ইদানিংকালে আর বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোর আর কোনো খবর পড়তে ইচ্ছা হয়না , আমি খবরের জন্য মূলত অনলাইন সংস্করণের উপর নির্ভরশীল ।ওয়েবপেজগুলো তে গেলেই দেখা যায় শুধু খারাপ খবর , অসংখ্য মৃত্যুর খবর , প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে , কিছুক্ষন আগেও দেখলাম ট্রাকের ধাক্কায় দুজন মারা গেছে ।গতসপ্তাহে প্রতিদিন কমপক্ষে দশজন করে মানুষ মারা যাচ্ছে , ট্রেনে কাটা পরে মানুষ মরছে , রিক্সায় করে যাবার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু , গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যুতো নৈমিত্তিক হয়ে গেছে , কয়েকদিন আগে শুনলাম মিডল ইস্ট এর দেশ ওমান থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে । ভাবা যায় কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার !!! এসব পড়তে আর ভালো লাগে না , চারদিকে শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু !!! অনেকদিন আগে ব্লগার ও কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ এর একটা লেখায় পড়েছিলাম এদেশে জীবন জিয়ে না , সত্যি কি তাই ?
২. আমার ল্যাবরেটরির এক জাপানিজ ছাত্র নাম হাতায়ে কয়েকদিন আগে রাস্তায় একটি অসুস্থ বিড়াল কুড়িয়ে পায় , জাপানে এই দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না , মানে হচ্ছে সবারই পোষা বিড়াল কিংবা কুকুর আছে , রাস্তায় এগুলোর দেখা কখনোই মেলে না ।সব উন্নত দেশের অবস্থা হয়তো তাই । সে বিড়ালটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় , বিড়ালের জন্য একটা ছোট ঘর বানায় , কিন্তু ভীষণ অসুস্থ থাকায় সে বিড়ালটিকে নিয়ে পশু হাসপাতালে যায় , এভাবে কাটে কমপক্ষে দশদিন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিড়ালটাকে সে বাঁচাতে পারেনি , এই শোকে সে আরো প্রায় একসপ্তাহ ল্যাব এ আসেনি । ভেবেছিলাম হয়তো সে অসুস্থ , কিন্তু দিন বিশেক পর সে ল্যাব এ এসে যখন এই ঘটনা বললো , আমি তো তাজ্জব !!! এই বিশদিন সে কোনো কাজ করেনি , সারাটা সময় শুধু বিড়াল নিয়েই থেকেছে ।রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া একটা বিড়ালের জন্য যার মনে এতো মায়া , না জানি মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা কতটা বেশি !!!
৩. সামনের মাস থেকে বোধহয় এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে , এই সময়টা আসলেই একটা শিক্ষার্থীর জন্য অনেক উদ্বেগের, দশবছরের শিক্ষা জীবন শেষ করার মধ্যে আনন্দের চেয়ে উদ্বেগের পরিমানই হয়তো বেশি থাকে ।আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম ২০০৩ সালে , ব্লগে যদি ২০০৩ সালের এসএসসি উত্তীর্ণ কোনো ব্লগার থেকে থাকেন তাহলে নিশ্চয় মনে থাকবে ওই সময়কার পরীক্ষার কথা ।২০০১ সালে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হবার পর এ+ ছিল ৮ ০ তে আর এ গ্রেড ছিল ৬০ এ , ২০০৩ সালে সরকার সেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার চিন্তা করলো , তারা ৯০ তে এ + আর এ গ্রেড ৬০ থেকে ৭০ এ নিয়ে আসার চিন্তা করলো ( ২০০ ২ সালে ৬০ পেলে এ গ্রেড ধরা হতো )। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা আমলে নিয়ে এ + ৮০ তে ঠিক রাখলো কিন্তু এ গ্রেড নিয়ে এলো ৭০ এ এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করা বাদ দিয়ে দিলো (২ ০ ০ ৩ সালে ৭০ পেলে এ গ্রেড আর ৮ ০ এ + , এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করা বন্ধ ছিল ) । আর এই খবর শিক্ষার্থীদের জানানো হল পরীক্ষার একমাস আগে, বাংলাদেশে গ্রেডিং সিস্টেমের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হল সেই বছর । এখন যেমন মাসব্যাপী পরীক্ষা হয় , ২০ ০ ৩ সালে সেই সিস্টেমে মাত্র দশ কি ২ সপ্তাহের মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ হয়েছিল , এখনো মনে আছে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল মার্চের ২৭ তারিখ যা এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধেই শেষ হয় । আমাদের আগের বছর অর্থাৎ ২০ ০ ২ সালে ম্যাথমেটিক্স এ গ্রেস দিয়েছিলো , ফলে আমাদের বছর সব বিষয়ে প্রশ্ন হলো কঠিন , রেজাল্ট এ দেখা গেলো পাশের হার মাত্র ২ ৭ % , এ + পেয়েছিলো ১১ ০ ০ জন আর এ গ্রেড পেয়েছিল ১ ০ , ০০ ০ জন , পাশের হার অত্যন্ত কম । সেই পরিস্থিতি দেখে সরকার ২০ ০ ৪ সাল থেকে আবার গ্রেডিং সিস্টেম এ পরিবর্তন এনে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । সেসময় আমাদের স্কুল থেকে আমরা চারজন সর্বোচ্চ জিপি এ পেয়েছিলাম , রেজাল্ট প্রকাশের ১৫ দিন আগে প্রচন্ড টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল , রেজাল্টের আগের দিন বাসায় ফিরি , পরে অসুস্থ অবস্থায় রেজাল্ট শুনেছিলাম।
৪. বাংলাদেশে মৌলিক বিজ্ঞান অর্থাৎ বেসিক সাইন্স এর চর্চা একদম কমে গেছে , বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয় বলতে আমি ফিজিক্স , কেমিস্ট্রি , ম্যাথমেটিক্স , জুলোজি কিংবা বোটানির মত বিষয়কে বোঝাচ্ছি , একসময় ফিজিক্স কিংবা কেমিস্ট্রিকে টপ লেভেলের সাবজেক্ট ধরা হতো ।জাপানে শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনে প্রথমদিকে থাকে কেমিস্ট্রি আর এর পরে ফিজিক্স কিংবা ম্যাথমেটিক্স বর্তমানকালে ছাত্ররা তাদের বিষয় নির্বাচনের প্রথমদিকে এই বিষয়গুলোকে রাখতে চায় না ।এখন সবাই ঝুঁকছে EEE (Electrical and Electronic Engineering) কিংবা ফার্মেসির মতো বিষয়গুলোতে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদই দিলাম , আনাচে কানাচে সমস্ত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই দুটি ডিপার্টমেন্ট আছে । নেই কোনো ভালো শিক্ষক , নেই কোনো ল্যাবরেটরি কেবল চাকরির কথা চিন্তা করে বিষয়দুটোকে একদম বাজারি সাবজেক্ট বানিয়ে ফেলেছে । অবশ্যই এই দুই বিষয়ের গুরুত্ব অনস্বীকার্য্য , কিন্তু বিষয়দুটো সম্পূর্ণ প্রায়োগিক এবং ল্যাবভিত্তিক । ভালো ল্যাব কিংবা ভালো মানের শিক্ষক না থাকলে ভালো গ্রাজুয়েট বের হয়ে আসবে না ।এর সাথে সাথে বেসিক সাইন্স এর বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে , বেসিক সাইন্স এর ডেভেলপমেন্ট ছাড়া অ্যাপ্লায়েড ফিল্ডের ডেভেলপমেন্ট হয়না ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কমেন্টের জন্য , আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল পোষ্ট। জাপানে আছেন? আমার বোন থাকে জাপানে
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫১
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কমেন্টের জন্য , বর্তমানে জাপানে আছি , খুব ভালো লাগলো শুনে যে আপনার বোন ও জাপানে থাকেন , শুভকামনা রইলো
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের সংবাদ পত্র গুলো মানুষের জন্য না। তারা চায় শুধু ব্যবসা আর নাম।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫১
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজীব ভাই
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন:
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন:
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় "গিনিপিগ আইটেম" হল শিক্ষাব্যবস্থা"।
লেখায় +++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন , ভালো থাকবেন ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২
তারেক ফাহিম বলেছেন: পোষ্টের প্রথমটির বিষয়বস্তু অত্যন্ত মর্মান্তিক।
![X((](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_23.gif)
গত সপ্তাহ, নোয়াখালীতে হিমাচল বাস অটো রিক্সাকে চাপ দিলে ঘটনাস্থলে ৪ জন যাত্রী নিহত হয়।
দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে, আন্দোলন পান্দোলন করেও কোন কাজ হয়নি
দ্বিতীয়টিতে উধহরন যা দিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়।
২৫ জানুয়ারী সাতসাগরের মাঝি-২ একটি ব্লগ দিয়েছেন কুকুর-বিড়ালের প্রতি "সত্যিকারের রবিনহুড" আফজালের অকৃত্রিম ভালোবাসা!
স্বদেশেও এমন রবিনহুড আছে।
তৃতীয়তে যা বলছেন- আমার কাছে মনে হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস জেনারেশন এ+ মান ১০০ করলেও তা নিতে পারবে
চুতর্থতে বলতে গেলে ভালো সাবজেক্ট পড়েও চাকরীর বাজারে মামু-খালুকে অপশনার সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে হয়