নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনের কথকতা -০৫

০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯



১. সামু ব্লগে দিন দিন অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছি !! বেশিরভাগ সময়েই ব্লগের লিংক পাওয়া যায় না , দেশে ফেরার পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়েছে , হঠাৎ হঠাৎ ব্লগে ঢুকতে পারি অনেক দিন পর । ব্লগটিকে সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছিল , এই নিষেধাজ্ঞা কি এখনো আছে ??? বিকল্প কোনো উপায়ে যে ব্লগে ঢুকবো তাও ঠিক জানিনা, এই পরিস্থিতিতে বাধাহীন ভাবে ব্লগিং করার কোনো উপায় কেউ বললে ভালো হতো ।

২. সদ্যসমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল যারপরনাই হতাশ করেছে , যদিও এই রকম একটি ফলাফলেরই আশংকায় ছিলাম , এই ফলাফলের পেছনে ভারতের সমস্ত বিরোধী দল সম্মিলিত ভাবে দায়ী । তারা সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেশের জনগণকে দেখতে পারেনি , তার কোনো ভবিষৎ কর্মপরিকল্পনা ছিলোনা , মোদী বিরোধিতায় ছিল তাদের মূল উপজীব্য , অপরদিকে বিরোধীপক্ষ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে সে সম্পর্কে তারা কিছুই বলেনি । অপরদিকে মোদির নির্বাচনী কৌশল ছিল অনেক গোছানো , মোদির মূল অস্ত্র ছিল ধর্মীয় উস্কানি , সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বাতাস ছড়িয়ে সে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে । তবে এই নির্বাচনী ফলাফল ভারতের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তির উপর বিশাল আঘাত ।

৩. লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস খারাপ করেছে ঠিকই কিন্তু ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক ভারত বিনির্মানে সবচাইতে অবদানকরি দল কংগ্রেস এখনো সমাদৃত । একথা অনস্বীকার্য , কংগ্রেস না হলে আজকের ভারত যে কিনা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির বলে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তা কখনোই সম্ভব হতোনা । ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু শুরুতেই ভারতকে বিজ্ঞান ও তত্থ প্রযুক্তি গবেষণায় বিশ্বের সামনের কাতারে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন । সে লক্ষেই উনি আইআইটি , আইআইএস, ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি ও ব্যাপক সংখ্যায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিয়েছিলেন , সে সময় ভারতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা সহ আরো অনেক নামকরা বিজ্ঞানী বিশ্বমানচিত্রে তাদের তুলে ধরতে পেরেছিলেন । এই ধারা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ও অব্যাহত ছিল , বিশেষত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অকুন্ঠ সমর্থন আর বাংলাদশের প্রায় দুই কোটি শরণার্থীকে ভারতে আশ্রয়দান ছিল ইন্দিরা গান্ধীর এক অনন্য মানবিকসত্তার দৃষ্টান্ত । সেই সময় যদি ভারতে বিজেপির মত সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে আমরা কখনোই ভারতের সহায়তা পেতাম না , এককথায় বলতে গেলে কংগ্রেস দলটি না থাকলে ভারতের আধুনিকায়ন হতোনা , তিমিরেই থেকে যেত দেশটি ।

৪ . কয়েকদিন আগেই পত্রিকায় বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অববস্থাপনা বিষয়ে একটি আর্টিকেল পড়ছিলাম , লেখকের প্রোফাইল দেখে মনে হলো উনি বিএনপি ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবী , তদুপুরি ভদ্রলোকের এডুকেশনাল প্রোফাইল খুব ভালো । উনি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা শেষে একটি ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কুদরাত -ই -খুদা শিক্ষা কমিশন কতৃক প্রণীত শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ছাড়া আর গত্যন্তর নেই । যাক অবশেষে তাদের বোধোদয় হলো !!! তবে অনেক দেরি হয়ে গেছে , বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই -খুদার নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল , এই কমিশন একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল , যদি তার সঠিক বাস্তবায়ন হতো তাহলে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত । যদিও এই নীতির কিছু কিছু ধারায় কিছু বিতর্ক ছিল , কিন্তু সেই বিষয়গুলোকে একটি সুন্দর সমাধান করে এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা যেত , কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো এই ব্যাপারে কোনো ভ্রূক্ষেপ করেনি , বিএনপিপন্ধি সেই বুদ্ধিজীবী তাদের সময় নেয়া একমুখী শিক্ষানীতির যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন , যদিও সেই শিক্ষানীতিও আলোর মুখ দেখেনি । আপনারা সবাই জানেন যে বিগত জোট সরকারের আমলে একমুখী শিক্ষানীতি নাম একটি অদ্ভুত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল , যেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে , পদার্থবিজ্ঞান , রসায়ন , জীববিজ্ঞান , গণিত ও উচ্চতর গণিত সব বিষয়গুলোকে এক করে একটি সাধারণ বিজ্ঞানের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল , এই ব্যাবস্থায় মাত্র একটি সাধারণ বিজ্ঞানের বই থাকবে। এখন যেমন বা আমরা যেভাবে আলাদা ভাবে পদার্থবিজ্ঞান , রসায়ন অর্থাৎ মৌলিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলো শিখেছিলাম । সেগুলো কিছুই থাকতোনা ওই একমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে , বলতে গেলে দেশের বিজ্ঞানশিক্ষাকে একদম পাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা ছিল ওই একমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থায় , ভাগ্যিস সেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হয়নি , হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো বেহাল দশায় পড়তো ।

৫. সমস্ত ঢাকা শহর জুড়ে শুধু ফ্লাইওভার , ফ্লাইওভার দিয়ে যেন ঢাকা শহর অন্ধকার হয়ে গেছে , আগে কিছুটা খোলামেলা আর চওড়া সড়কের আস্বাদ পাওয়া যেত , এখন ফ্লাইওভার এর কারণে রাস্তা গেছে সরু হয়ে , বিশাল ফ্লাইওভার এর দরুন নিচের রাস্তায় সূর্যের এল ঠিকমতো এসে পড়েনা , নিচের রাস্তাগুলো যেন গিঞ্জি ময়লার ভাগাড় হয়ে গেছে । এমনকি সেখানে বাজার বসছে , কিন্তু যানজট সমস্যার কোনো সমাধান আসেনি , ঢাকার মানুষের যেন নাজেহাল হয়ে ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নাই , উদাহরণস্বরূপ , মৌচাক -মালিবাগ ফ্লাইওভার বানাবার সময় এই এলাকার মানুষকে যারপরনাই কষ্ট করতে হয়েছে , কিন্তু ফ্লাইওভার হবার পর এই এলাকার মানুষজন কতটুকু সুবিধা ভোগ করতে পারছে ??? যানজট তো সেই আগের মতোই রয়ে গেছে ওই দিকটায় , এখনো প্রতিদিন জ্যাম এ আটকে থাকতে হয় , তারপর নিচের রাস্তাগুলো যেন ময়লার ডিপো হয়ে গেছে ??? এখন আবার মেট্রোরেল নির্মাণজনিত জটিলতা , যারা মেট্রোরেল কনস্ট্রাকশন এরিয়া দিয়ে যাতায়াত করেন তারা বুঝবেন প্রতিদিন কি পরিমান কর্মঘন্টা নষ্ট হয় তাদের !!! মেট্রোরেল এর দরকার আছে , এই বিষয়ে দ্বিমত নেই , কিন্তু এতবড়ো একটা প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের যথেষ্ট স্টাডি করা দরকার ছিল , এই জায়গা গুলো ঢাকার সবচেয়ে কর্মব্যাস্ত আর জনবহুল এলাকা , প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এদিক দিয়ে যায় , অবশ্যই এই মানুষগুলোর বাধাহীন চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখতে হতো । উন্নত বিশ্বে সবসময় কোনো নির্মাণকাজ শুরুর আগে ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী লোকেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর কাজে নাম , আর আমাদের দেশে হয়েছে উল্টো , এখানে আমরা কিছু না ভেবেই কাজে হাত দেই , তারপর মাঝপথে আমাদের একেকটা সমস্যার কথা মনে আসে !!!! মেট্রোরেল শেষ হতে আরো বেশ কিছু বছর বাকি , বলা হচ্ছে এই মেট্রোরেল ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম , জানিনা এই হিসাব প্রকল্প গ্রহণকালীন সময়ের বাস্তবতায় করা হয়েছে কিনা ? কারণ যদি ২০২৪ কিংবা ২০২৫ সালে মেট্রোরেল যদি পুরোদমে চালু হয় তখন ঢাকার জনসংখ্যা কত হবে ???? নিশ্চয় অনেক বেশি বেড়ে যাবে বর্তমান সময়ের তুলনায় !!! আবার এই মেট্রোরেল নির্মাণকালীন সময়ে ওই এলাকায় বসবাসকারী কিংবা যাতায়াতকারী মানুষের যে পরিমান স্বাস্থগত ক্ষতি হবে , এর কি কোনো পরিসংখ্যান আছে ??? স্বাস্থখাতেও তো সরকারের খরচ বৃদ্ধি পাবে । সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ফ্লাইওভার নির্মাণাধীন এলাকায় যেসব মানুষ বসবাস করেন তাদের মধ্যে বায়ুদূষণ জনিত রোগ এবং শ্বাসনালিতে প্রদাহ কয়েকগুন বেড়ে গেছে যা খুবই আশংকাজনক ব্যাপার , সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এদিকে নজর দিতে হবে , ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্য সকল মেগাসিটির তুলনায় খুব বড় নয় আয়তনে , একে ছোটই বলা যায়, যানজটমুক্ত রাজধানী পেতে হলে , ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ ও সুপরিকল্পিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার এই পোস্টটা দেখুনঃ
view this link

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই , দেখবো আপনার লিংক

২| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পড়তে কষ্ট হচ্ছে । তারপরও ভালোই।

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য

৩| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই শহরে শান্তি নাই।
এই দেশে মনের মতো ব্লগিংও করতে পারবেন না।

এই দেশ পুরোটা নষ্টদের দখলে।

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই , সবকিছু বোধহয় নষ্টদের অধিকারে গেছে

৪| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ভয়ংকর বাজে বিষয়গুলি দৃষ্টিগোচর করেছেন,

আসলেই আমার মনে হয়,সরকার এইযে এতো এতো ফ্লাইওভার,রাস্তাঘাট,বিভিন্ন প্রকল্প ও সেতু নির্মাণ এর কাজগুলো হাতে নিয়েছেন,তা মূলত বিশেষ কোন বেনিয়াদের ইশারায়।এক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের ব্যপারটা গৌণ।

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: হুম বুঝলাম , হলেও হতে পারে

৫| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ নং (লোকসভা নির্বাচন), আপনি পত্রিকা পড়ে উহা লিখেছেন, হাউকাউ; এই বিষয়ে আপনার নিজের কোন ধারণা নেই।

৪ নং (শিক্ষানীতি) ড: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ২ বছর পর রিপোর্ট দিয়েছিলেন শেখ সাহেবকে; দরকার ছিলো ২ দিনে একটা প্রাথমিক ধারবা দেয়ার; ড: কুদরত-ই-খুদা আপনার মত বুদ্ধিমান পিগমী ছিলেন।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪ নং (শিক্ষানীতি) ড: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ২ বছর পর রিপোর্ট দিয়েছিলেন শেখ সাহেবকে; দরকার ছিলো ২ দিনে একটা প্রাথমিক ধারবা দেয়ার; ড: কুদরত-ই-খুদা আপনার মত বুদ্ধিমান পিগমী ছিলেন।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ৪ আর ৫ এর কথা যদি বলি,আমাদের দেশের সরকারের আমলারা এ বিষয়ে কোন চিরস্হায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করেনা বলেই এত সমস্যায় জর্জরিত আমরা। প্রতিবছর নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করে নতুন নতুন বাজেট বিল বানিয়ে তারা তাদের ভুড়ি বাড়াচ্ছে।

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন , নীরব দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া আমাদের আর করার কিছুই নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.