নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফুল আরিফ

আমি একজন সাধারণ মানুষ হতে চাই।

আরিফুল আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন হাজারখানেক মানুষ মেরে ফেলি!!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২

আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, আমরা যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই, অর্থাৎ আমরা যারা ভারতের দালাল, আমরা সবাই চলুন এবার মানুষ মারা শুরু করি। কোন জায়গায় কাউকে অন্যায় করতে দেখলেই চলুন তাকে ধরে মেরে ফেলি। কাউকে কোথাও ধর্ষন করতে দেখলে চলুন তার পুরুষাঙ্গ কেটে মেরে ফেলি। যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে আগ্রহী কাউকে পেলেই চলুন ধরে জবাই করে ফেলি।

শুধু তাই না, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি, জামাত-শিবির নেতা-কর্মী, তাদের সমর্থক, মন দিয়ে বা প্রাণ দিয়ে বা এমনিতেই তাদের যারা সমর্থন করে, তাদের গণহারে মেরে ফেলি চলুন। কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না। অথর্ব বুড়া-বুড়ি থেকে শুরু করে নিষ্পাপ দুধের শিশু সবাইকে চলুন হত্যা করে ফেলি।

এভাবে মারতে মারতে হাজারখানেক হয়ে গেলেও ভয় কি? আমরা তো ইন্ডিয়ার দালাল, ভেগে ইন্ডিয়া চলে যাব। তারপর ২০/২৫ বছর পর আসব। তখন সবাই সব ভুলে যাবে। আর যদি মনে করেও ফেলে, বিচারের আওতায় যদি এনেও ফেলে, ক্ষতি কি? শেষ বয়সে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেবে, সরকার বদল হয়ে নিজ দল চলে এলেই জেল থেকে বের হয়ে যাব। আর যদি তা নাও হয় তাতেই বা সমস্যা কি? ততদিনে তো মৌজ-মাস্তি যা করার করেই নিয়েছি।



অতএব এত চিন্তা করার কিছু নেই, চলুন মানুষ মারা শুরু করি। রাজাকার মানসিকতার নির্বংশ করে ফেলি।



আরে ভাই এত ভয় পাচ্ছেন কেন? দেখলেন না কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, আইনজীবী-সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাত জনকে হত্যা, কেরাণীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দু’টি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার পরও জামায়তে ইস্লামির নেতা রাজাকার আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হল না। কি হইল? তার হইল ১টা মামলায় খালাস, ৩টায় ১৫ বছর কারাদন্ড আর ২টায় আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ।



এত সুন্দর সুবিচার যে বাংলাদেশে হয় সে দেশে থেকে আপনারা মানুষ মারতে ভয় পান মিয়া? নাহ্‌, আপনাদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না।



আমাদের দিয়েই কিচ্ছু হবে না। আমরা এমন এক দেশে বাস করি যে দেশে ধর্ষকেরা আবার ধর্ষন করে, যে দেশে গনহত্যাকারীরা সগর্বে ঘুরে বেরায়। আমরা তাদের পা চাটি। যারা চাটি না তারা দূরে বসে ভয়ে কুঁকড়ে থাকি। যারা আরেকটু সাহসী তারা এইসব অমানুষদের বিচার করতে যাই। কিন্তু ওই যে, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্তই। বিচার করতে গিয়ে রাজাকারদের লিঙ্গ চাটা পশুদের তর্জন-গর্জনে পরনের প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলি।

আর ভয়ে ভয়ে বলি, “লে বাবা তোদের লিঙ্গ তোরাই চাট, আমাদের কি আর এত সাহস আছে যে তোদের ওটা কেটে ফেলব? কিন্তু কি করব বল, জনগণকেও তো কিছু বলা লাগবে। তাই আর কি লোক দেখানো যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিলাম। সত্যি সত্যি কি আর আটকে রাখব নাকি? আর পারবই নাকি? তোরা ক্ষমতায় এসে বের করে নিস। এই কটা মাস আর, একটু ধৈর্য ধড় বাছারা। ছাড়া পেয়ে গেল বলে…”



শালার রাজনীতি, সোনার বাংলাদেশের সোনার ছেলেদের রাজনীতি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.